স্পিডবোট দুর্ঘটনার আটদিন পর নিখোঁজ যাত্রী সজল দাসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে দুর্ঘটনার দুইদিন পর চালক ও দুই যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে বরিশালের দপদপিয়া সেতু সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার।
তিনি জানান, স্বজরা মরদেহটি সজল দাসের বলে সনাক্ত করেছে। নিহত সজল দাস (৩০) বরিশালের বাবুগঞ্জের রহমতপুরের দুলাল দাসের ছেলে। এখন নিয়মানুযায়ী সজলের মরদেহ বুঝিয়ে দেয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি। এরআগে গত রবিবার দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি স্থান থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া মরদেহ তিনটির মধ্যে একটি স্পিডবোট চালক আল আমিন (২৩) আর অপরদুটি যাত্রী মো. ইমরান হোসেন ইমন(২৯) ও মো. রাসেল আমিন (২৪) এর বলে স্বজনরা শনাক্ত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে কীর্তনখোলা নদীর লাহারহাট খালের প্রবেশমুখে জনতার হাট এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পর নদী থেকে উদ্ধার করা জালিস মাহমুদ (৫০) নামের এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। এছাড়াও মানসুর আহমেদ নামে ভোলার দৌলতখান থানার কনস্টেবল আহত হন।
প্রাথমিকভাবে ওই দুর্ঘটনার পর চারজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছিল পুলিশ। আর সর্বোশেষ সজল দাসের মরদেহ উদ্ধারের মধ্য দিয়ে এ দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হল।
বিডি প্রতিদিন/আশিক