পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় শিশুসহ অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বোদা-দেবীগঞ্জ সড়কের পাকুড়িতলা মোড়ের কাছে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন—শ্যামলী রানী (৩০), তার বড় বোনের কন্যা দেবশ্রী রানী (৭) ও বর্ষা রানী (৩৫)। তাদের সবার বাড়ি দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের জোত ভুবনপাড়া গ্রামে।
জানা যায়, এক আত্মীয়ের মৃত্যুতে পরিবারের কয়েকজন সদস্য দিনাজপুরের ডোমার উপজেলার ভোগডাবুরী ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে যান। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে দেবীগঞ্জ ফিরছিলেন তারা। পাকুড়িতলা মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাছ বহনকারী ট্রাক অটোরিকশাটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে তা উল্টে গিয়ে মহাসড়কের পাশে পড়ে যায়।
এতে গুরুতর আহত হন শ্যামলী রানী, দেবশ্রী রানী, বর্ষা রানী, অজয় কুমার রায় ও পার্বতী রানী। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখান থেকে শ্যামলী ও দেবশ্রীসহ তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শ্যামলী পথে মারা যান এবং দেবশ্রী হাসপাতালে পৌঁছেই মৃত্যুবরণ করেন। পরে আহত বর্ষা রানী, অজয় কুমার ও পার্বতী রানীকেও রংপুরে স্থানান্তর করা হলে বর্ষা রানী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রাকটিতে মাছ বহনের ড্রাম ছিল এবং চালক দুর্ঘটনার পরপরই পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
নিহত শ্যামলী রানীর ভাই গৌতম চন্দ্র জানান, “আমার শাশুড়ির মৃত্যুতে আমরা কয়েকজন মিলে দেখা করতে গিয়েছিলাম। ফেরার পথে এই দুর্ঘটনায় আমার বোন, ভাগ্নি ও বউদি মারা গেছে।”
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোয়েল রানা বলেন, “ট্রাকটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ