গরুরহাটে ব্যবসায়ী ও খামারীদের চেতনানাশক ওষুধ ও হালুয়া খাইয়ে গরু বিক্রির টাকা লুট করার পরিকল্পনা করেছিল তারা। তাদের পরিকল্পনা নস্যাৎ করে রংপুরে আন্তঃজেলা অজ্ঞান পার্টির মূল হোতাসহ ১১ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শুক্রবার ভোরে নগরীর হোটেল এম রহমান, হোটেল জামাল ও হোটেল সানমুনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, ফরিদপুর আলফাডাঙ্গার ইমরান খান (৩৫), রাজবাড়ি জেলার পাংশার সাদেক সেখ (২৫), টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইলের আব্দুল লতিফ (৫৬), সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুরেরখসরু আহমেদ (৪৬), গাইবান্ধা জেলার সদরের জয়নাল আবেদীন (৪৫), মুন্সিগঞ্জজেলার সিরাজদিখানের মহিবুল (৪৫), মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুরের আব্দুস সালাম(৪০), মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ির চাঁন শরীফ ব্যাপারী (৬২), শ্রীনগর কারারখোলার রিপন (৫৫), জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জের আজহার উদ্দিন (৬২) ও কুষ্টিয়া জেলার সদরের রেজাউল ইসলাম (৫৫)।
শুক্রবার (৩০ মে) দুপুরে র্যাব-১৩ এর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাঃ জয়নুল আবেদীন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দল শুক্রবার ভোরে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কোম্পানির চেতনানাশক ৩৫ পাতা ওষুধ, বিভিন্ন সাইজের ১০ কৌটা চেতনানাশক হালুয়া, ১টি পলিথিন ব্যাগে ১৭ পিস হালুয়া উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ইমরান খান আন্তঃজেলা অজ্ঞান
পার্টির মূল হোতা। তারা হোটেলগুলোতে অবস্থাান করে গরুরহাটে ব্যবসায়ী ও খামারীদের চেতনানাশক ওষুধ ও হালুয়া খাইয়ে গরু বিক্রির টাকা লুট করার পরিকল্পনা করছিল। আসামিদের প্রত্যেকের নামে আন্তঃ জেলা অজ্ঞান পার্টি হিসেবেবিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র্যাব-১৩ অধিনায়ক।
বিডি প্রতিদিন/এএ