টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে কিছুটা স্থবিরতা দেখা দিলেও ফেনীর বড় কাঁচাবাজারগুলোতে সবজি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। বৃহস্পতিবার রাতের ভারী বৃষ্টির কারণে শুক্রবার সকাল থেকে বাজারে দোকান খুলতে কিছুটা দেরি হয়। অনেক দোকান বন্ধ থাকলেও যেগুলো খোলা ছিল, সেখানে ক্রেতার উপস্থিতি ছিল কম। তবে বাজারে পণ্য সরবরাহ ও দামে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি, জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি, বেগুন, কচুর লতি, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজি বিক্রেতা মোঃ ইসমাইল মিয়া বলেন,বৃষ্টির কারণে বেচাকেনা কম। তবে আগের রাতে পাইকারি বাজার থেকে সবজির সরবরাহ ঠিক ছিল, তাই দাম বাড়েনি। কিছু সবজি অবিক্রীত থেকেই গেছে।
বৃষ্টির কারণে মাছ ও মুরগির দামে কিছুটা প্রভাব পড়ছে। ফেনী বড় বাজার, পাঁচগাছিয়া বাজার ও মুক্তা বাজারে প্রতি কেজি পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০-২০০, পাঙাশ ২০০, রুই ২৬০-৩৩০, কাতল ৩৫০, টেংরা ৬৫০, কোরাল ৭৫০ ও কই মাছ ৩৫০ টাকায়। যা গত সপ্তাহের তুলনায় ১০-২০ টাকা বেশি।
মুরগির বাজারেও একই প্রবণতা দেখা গেছে। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি।
মুরগি বিক্রেতা মোঃ হাসান বলেন,বৃহস্পতিবার রাতে ভারী বৃষ্টির কারণে খামার থেকে গাড়ি আসতে পারেনি। ফলে সকালে সরবরাহ কম ছিল, এবং পাইকারিতে ১০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে। এছাড়া ফিডের দাম বেড়েছে, সেটারও প্রভাব পড়ছে বাজারে। গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০-৮০০ টাকা ও খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি এবং ডিম: ১৩৫-১৪০ টাকা ডজন যা পাড়ার দোকানগুলোতে ১৪৫ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। ডাল, চিনি, তেল ও মসলাসহ অন্যান্য মুদিপণ্যের দামে বড় কোনো পরিবর্তন নেই।
ফেনী জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বৃষ্টির কারণে পরিবহন কিছুটা বিঘ্নিত হলেও, বাজারে অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধির ঘটনা এখনো পাওয়া যায়নি। আমরা নিয়মিত নজরদারি করছি।
সার্বিকভাবে বলা যায়, বৃষ্টির মধ্যে বাজার কিছুটা ধীরগতি হলেও নিত্যপণ্যের সরবরাহ ও দামে স্থিতিশীলতা বজায় আছে। তবে মাছ ও মুরগির বাজারে সামান্য ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম