ঢাকায় উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম সাগরের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার আদি গ্রাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষ্ণচন্দ্রপুরে।
তৌকিরের গ্রামের বাড়ি জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়নের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামে। তবে পরিবারটি দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে রাজশাহীতে বসবাস করছে। গ্রামে তাদের বাড়িটি এখন খালি পড়ে আছে এবং বর্ষার কারণে বর্তমানে কিছুটা তলাবদ্ধ হয়ে আছে। বছর দু-একেক তারা গ্রামে এসে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতেন।
সাগরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামের মানুষজন ভিড় করছেন তার পুরোনো বাড়িটিতে। গ্রামের অনেকেই বলছেন, সাগরের বাবা ও মা অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তাঁদের ছেলে তৌকির ইসলাম সাগর দেশের জন্য জীবন দিয়ে গেছেন—এ গর্বের হলেও, তার অকাল মৃত্যু এলাকাবাসীর হৃদয়ে গভীর বেদনার ছাপ ফেলেছে।
একজন এলাকাবাসী বলেন, “সাগর ছোটবেলা থেকেই ভদ্র, মেধাবী ছেলে ছিল। বড় হয়ে পাইলট হয়েছে, সেটা শুনে আমরা খুব গর্বিত হয়েছিলাম। এখন তার লাশ দেখতেও পারলাম না—এটাই দুঃখ।”
নিহতের পরিবারের সব সদস্য বর্তমানে রাজশাহীতে অবস্থান করছেন এবং সেখানেই তৌকিরের দাফন সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে। তবে গ্রামের অনেকেই আফসোস করে বলেন, “যদি দাফনের আগে তাকে গ্রামের মানুষদের একবার দেখানো হতো, তাহলে আমরা শেষবারের মতো তাকে দেখে বিদায় জানাতে পারতাম।”
বিডি প্রতিদিন/হিমেল