কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় সাবেক ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে (৫৫) তুলে নিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। রবিবার বাড়ির সামনে থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের আলীয়ারা গ্রামের যুবলীগ নেতা শেখ ফরিদ সালেহ আহাম্মদ মেম্বার ও আলাউদ্দিন মেম্বার গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মারামারি ও সংঘর্ষ চলছিল।
রবিবার আলাউদ্দিন মেম্বারের চাচাতো ভাই আবুল বাশারের নামাজে জানাযা শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ির সামনে এলে একদল মুখোশধারী আলাউদ্দিন মেম্বারকে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান।
অপহরণের খবর পেয়ে আলাউদ্দিন মেম্বারের ভাগিনা তারেক ও ডা. আনোয়ার তাদের ধাওয়া করে উপজেলার চাঁন্দাইশ গ্রামের আবুল খায়ের মাস্টারের বাড়ির সামনে এসে হাত-পা বাঁধা ও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন। নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ডা. আনোয়ার জানান, আলাউদ্দিন মেম্বারের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতা থাকায় ছালেহ আহমদ মেম্বার, শেখ ফরিদ, শহীদসহ মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা তাকে অপহরণ করে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সড়কের পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।
এদিকে এ ঘটনার পর আলীয়ারা গ্রামে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ-হামলা ও ভাঙচুরের ঘটেছে।
এ বিষয়ে জানতে সালেহ আহমদ মেম্বারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একে ফজলুল হক বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে। খবর পেয়ে নিহত যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম