বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়ার দাবি ঠিক না।’ পিআর পদ্ধতির দাবি প্রসঙ্গে তিনি একথা বলেছেন।
শনিবার সকালে দুদু চুয়াডাঙ্গার বাড়িতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে সাক্ষাৎকালে সাংবাদিকদের বলেন, পিআর পদ্ধতি চালু করতে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন। সংসদ ছাড়া এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। যারা এটা দাবি করছে তারা সম্ভবত নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে। ভয় পাওয়ার কারণও আছে। পিআর দাবি করা অনেক দল আছে যারা কখনই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেনি।
দুদু বলেন, বর্তমান প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলো স্ব-উদ্যোগে নির্বাচনে অংশ না নিলে নিজেদেরই ব্যর্থতা। দাবি-দাওয়া থাকতে পারে। সেগুলোকে নির্বাচনের কর্মসূচিতে এনে জনগণের সমর্থন নিয়ে সংসদে আসতে হবে।
ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইসলাম মানুষকে শিষ্টাচার শেখায়। কীভাবে কথা বলতে হয় সেটা শেখায়। কোরআনের প্রথম কথা আছে ‘পড়’। এরা কতটুকু পড়াশোনা করে আমার জানা নেই। এরা অন্যের রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এমন ভাষা প্রয়োগ করে, যা খুবই দুঃখজনক।
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে দুদু বলেন, ‘বর্তমান সরকার যাতে সুচারুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারে এজন্য আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করবো। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ-সেনাবাহিনীর পাশাপাশি জনগণকেও দায়িত্ব নিতে হবে। তাহলে আগামী নির্বাচনে স্থিতিশীল পরিস্থিতি থাকবে বলে আমার ধারণা। আর নির্বাচনের নির্ধারিত দিন-তারিখ ঘোষণা হলে এখন যে-সব সংকট আছে সেগুলো কমে আসবে।
ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অন্যান্য দলের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন দেশে সরকারি দল নেই। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ও যদি কোনো রাজনৈতিক দল স্ব উদ্যোগে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, তাহলে এটি হবে তাদের জন্য ব্যর্থতা। হ্যাঁ, বিভিন্ন দলের বিভিন্ন দাবি থাকবে। দাবিগুলো নির্বাচনের কর্মসূচিতে উল্লেখ করে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমই নির্বাচন। যদি সেসব দাবি জনপ্রিয় হয়, তাহলে তারা নির্বাচিত হবে। কিন্তু নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাওয়া ঠিক হবে না।
চুয়াডাঙ্গা বিএনপির রাজনীতি প্রসঙ্গে দুদু বলেন, যেকোনো সময়ের তুলনায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপির রাজনীতি সুসংগঠিত আছে। তবে দলের মধ্যেও ভিন্নমত পোষণ করা বা ভিন্নভাবে চিন্তা করা মানুষ থাকতে পারে। এটা গণতন্ত্রেরই অংশ। যখন জোয়ার শুরু হবে তখন কেউ যদি জোয়ারে নামতে না পারে তাহলে সে ডাঙ্গায় একা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে।’ চুয়াডাঙ্গা বিএনপিতে কোনো মতভেদ বা মতপার্থক্য নেই বলেও মন্তব্য করেন এই বর্ষীয়ান নেতা।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল