গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ‘পলাতক’ থাকার পর অবশেষে প্রকাশ্যে এসেছেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তার অনুপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়ে। জন্মনিবন্ধন, বিভিন্ন সনদ প্রদান, গ্রাম আদালতসহ নাগরিক সেবার গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ।
চেয়ারম্যানের দীর্ঘ অনুপস্থিতির বিষয়টি পরিষদের ইউপি সদস্যরা আগেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালককে (ডিডিএলজি) জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। পরিষদের কার্যক্রম সচল রাখতে প্যানেল চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব প্রদানের জন্য রেজুলেশনসহ লিখিত আবেদনও দাখিল করেন তারা।
ইউপি সদস্যদের অভিযোগ, পরিষদ ভবন না থাকায় চেয়ারম্যান নিজের বাড়িতে কার্যালয় স্থাপন করে শুরু থেকেই সরকারের দলীয় প্রভাব দেখিয়ে পরিবারের লোকজনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ চালাতেন। পরিষদের সিদ্ধান্ত, সদস্যদের মতামত বা নিয়মকানুন তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছিলেন তিনি। গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক ছিলেন। উপজেলা মাসিক সভাগুলোতেও বরাবরই অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। অবশেষে আমরা সদস্যরা একত্রিত হয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানের কাছে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন দেওয়ার পর চেয়ারম্যান তড়িঘড়ি করে গতকাল (১৭ নভেম্বর) প্রকাশ্যে এসেছেন।
ইউপি সদস্যদের দাবি, এমন পরিস্থিতিতে আমরা তার পাশে থেকে নাগরিক সেবাসহ পরিষদের কার্যক্রম ব্যাহত করতে চাই না। স্বচ্ছ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিষদ পরিচালনার স্বার্থে প্রশাসনকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।
পলাতক থাকার কথা অস্বীকার করে হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, নিয়মিত অফিস করেছি, পরিষদের কার্যক্রম ব্যাহত হয়নি।
এ ব্যাপারে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির অভিযোগসহ প্যানেল চেয়ারম্যানের কাছে দায়িত্ব চেয়ে পরিষদের সদস্যরা আবেদন দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি