সারা দেশে স্বর্ণ অলঙ্কার কারখানা গড়ে তুলতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)।
শুক্রবার বিকালে মেহেরপুর বাজুস কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাজুসের সাবেক সভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং এর চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়।
মেহেরপুর বাজুসের সভাপতি কিশোর পাত্রের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাজুসের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস এডিটর রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি ল এন্ড মেম্বারশিপ এর কার্যনির্বাহী সদস্য ও সদস্য সচিব মো. রিপনুল হাসান, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং এর সদস্য রকিবুল ইসলাম চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মেহেরপুর বাজুসের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি ডা. দিলীপ কুমার রায় আরও বলেন, স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও কারিগর মিলে সারা বাংলাদেশে ৩০-৪০ লাখ মানুষ রয়েছে। এই ৩০-৪০ লাখ মানুষকে আমরা একটা ছাতার নিচে নিয়ে আসব। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বৈধ স্টেকহোলডারদের কাছ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারের স্বর্ণ পাবে। এ ব্যবস্থা আমাদের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর করেছেন। বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে ছোট ও মাঝারি স্বর্ণ অলঙ্কার কারখানা গড়ে তোলা হবে। কেউ চুড়ি, কেউ চেইন, কেউ নাক ফুল বানাবেন। এভাবেই আমাদের শিল্প কারখানা দাঁড়িয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে সার্টিফিকেট, লাইসেন্স, সরকারি সহযোগিতা ব্যাংক লোন থেকে শুরু করে সকল সুযোগ সুবিধা দিয়ে আপনাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে দাঁড় করার সুযোগ করে দেবেন সায়েম সোবহান আনভীর। আমরা আমাদের আন্তরিকতার সাথে বড় ছোট সকল ব্যবসায়ী মিলে আমাদের প্রেসিডেন্টের রুট প্ল্যানের যাত্রী হবো। তাহলে আমরা আগামী দিনে স্বর্ণ অলঙ্কারের এক নতুন ইতিহাস গড়বো। স্বর্ণ অলঙ্কারে আমাদের দেশের চাহিদা মিটিয়ে বহির্বিশ্বে রফতানি করে বাজুস বাংলাদেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
মেহেরপুর বাজুসের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা বাজুসের সভাপতি টোটেন জোয়া, গাংনী বাজুসের সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত পাত্র প্রমুখ।
এর আগে অতিথিরা মেহেরপুর বাজুসের জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করেন।