৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৩:৫৫

বাংলাদেশের শ্রম খাতের অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে : বাণিজ্য সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের শ্রম খাতের অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হবে : বাণিজ্য সচিব

বাংলাদেশের শ্রম খাতে উন্নয়নের অগ্রগতি নিয়ে খুব দ্রুতই যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করবে সরকার। সোমবার স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে এক সভা শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ সাংবাদিকদের এ কথা জানান। 

শ্রম খাত নিয়ে বাংলাদেশের গৃহীত জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় যে ঘাটতি আছে সভায় সেগুলো মূল্যায়ন করা হয়। 

বাণিজ্য সচিব বলেন, প্রচলিত আইনে একটি কারখানায় কমপক্ষে ২০ শতাংশ শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন চাইলে তার অনুমোদন দেয়া হতো। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ১০ শতাংশ শ্রমিকের আগ্রহ থাকলেই ট্রেড ইউনিয়নের সুযোগ দিতে হবে। সংশোধিত আইনে ১৫ শতাংশ শ্রমিকের মতামতের ভিত্তিতে ট্রেড ইউনিয়নের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বেপজার কারখানায় ট্রেড ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন করার যে বিধি আছে, যুক্তরাষ্ট্র তা পরিবর্তন করে সরাসরি ট্রেড ইউনিয়ন করার বিধান রাখতে বলেছে। সুবিধাভোগীদের মতামত নিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে বলেও জানান বাণিজ্য সচিব। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রম সচিব মো. এহছানে এলাহী, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ'র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হাতেম প্রমুখ।

তপন কান্তি ঘোষ আরও বলেন, কারও দয়ায় নয়, পণ্যের গুণগত মান, আন্তর্জাতিক চাহিদা ও শ্রমিক অধিকার রক্ষা করেই তৈরি পোশাক রফতানি করছে বাংলাদেশ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক মূল্যায়ন রিপোর্টে অনুযায়ী বাংলাদেশের শ্রম আইনে ও শ্রম অধিকারের বিষয়গুলো বেশ কিছু পালন হয়েছে। তবে তারা চায় আরও অগ্রগতি হউক। 

নূন্যতম মজুরি ঘোষণা হয়েছে জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তাছাড়া আরও কি করে শ্রমিক কল্যাণ বাড়ানো যায় সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। শ্রমিক অধিকার চলমান প্রক্রিয়া প্রতিনিয়ন কি করে আরও উন্নতি করা যায় সেই চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশের কিছু শর্ত ছিল। 
শ্রম আইন, বেজা আইনে মার্কিন যে চাওয়া ছিল তা অনেকটাই পূরণ করা হয়েছে। গত কয়েক বছরে ৩ বার শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে।

সভায় কর্মক্ষেত্রে শ্রমমান পরিস্থিতি, শ্রম আইন বাস্তবায়ন অগ্রগতি, শ্রম অধিকার ও নায্য মজুরি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শ্রম অধিকার নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সেখানে বলা হয়েছে, কোন দেশে শ্রম অধিকার লঙ্ঘিত হলে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। এমন নির্দেশনার পরই ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর