বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এই মনসুর বলেছেন, আমরা অবশ্যই আমানতকারীদের রক্ষা করতে পদক্ষেপ নেব। আমানতের সুরক্ষা দেওয়া হবে। ব্যাংকগুলোকে টাকা দেওয়া হয়েছে, আশা করছি এর মাধ্যমে গ্রাহক আস্থা ফিরে আসবে।
রবিবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে প্রতিবেদন জমা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তার এই বক্তব্যের ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গভর্নর বলেন, বর্তমানে খেলাপি ঋণের হার সাড়ে ১২ শতাংশ। আগামী মাসে তা ১৫ শতাংশ, এরপর ১৭ শতাংশ হয়ে ধীরে ধীরে ৩০ শতাংশে পৌঁছে যেতে পারে।
তিনি বলেন, এই খেলাপি ঋণে বড় অংশ ২০১৭ সালের পর দেওয়া হয়েছে। আমরা দেশের আর্থিক খাতের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছি। এই খেলাপি আগেই হয়ে আছে। এখন হিসাবে তা আসবে। এটা কমিয়ে আনতে আমরা কাজ শুরু করেছি।
সামনে খেলাপি ঋণ যেটা দাঁড়াবে, তার অর্ধেক বা আড়াই লাখ কোটি টাকা হবে বড় কয়েকটি গ্রুপ ও ব্যবসায়ীর। ২০১৭ সালের পরে এসব ঋণ নেওয়া হয়। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা পাচার করা হয় বলে জানান গভর্নর।
এসব ব্যাংকের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন হবে বলে মত দেন তিনি।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে তদারকি জোরদার করতে হবে, যা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ব্যাংকগুলোর সম্পদের মান পরীক্ষা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে করা হচ্ছে, যা ১১ ডিসেম্বর শুরু হবে। প্রথমে ১২টি ব্যাংক ও পরে ২০ ব্যাংকে নিরীক্ষা করা হবে। এতে প্রকৃত চিত্র বের হয়ে আসবে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ
