বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেছেন, গার্মেন্টস অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে শ্রমিক ভাই-বোনদের জন্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হবে। এজন্য জমি বরাদ্দ চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। জমি পাওয়ার পর বিজিএমইএ তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু করবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে পোশাক শিল্পের সার্বিক শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে শ্রমিক ফেডারেশনগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক শিল্পের কর্মরত শ্রমিক ভাই-বোনদের জীবন স্বাচ্ছন্দ্যময় করার জন্য তাদের জন্য ফুড রেশনিং ব্যবস্থা নিয়েও খুব শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে।
এ জন্য শ্রমিক ফেডারেশনগুলোকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। বিজিএমইএ সভাপতির মতে, ফুড রেশনিং কার্ড বাস্তবায়নের মতো শ্রমিকদের কল্যাণ ইস্যুগুলোতে কাজ করার জন্য ডাটাবেজ তৈরি করা অপরিহার্য। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সভায় পোশাক শিল্পের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করার স্বার্থে সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা ও পোশাকখাতে স্থিতিশীল শ্রম পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়ে শ্রমিক ফেডারেশনগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হয়। বিশেষ করে, কারখানাগুলোতে আইন-বহির্ভূত দাবি ও তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে শ্রমিকরা রাস্তা যেন আশেপাশের কারখানাগুলো ভাঙচুর না করেন; দাবি আদায়ের নামে সড়ক অবরোধ করে সাধারণ মানুষদের জন্য ভোগান্তি বয়ে না আনেন। সেই ব্যাপারে বিজিএমইএ এর পক্ষ থেকে শ্রমিক ফেডারেশনগুলোর নেতাদের সহযোগিতা করার অনুরোধ জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, পরিচালক আসেফ কামাল পাশা, শেখ হোসেন মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
বিডি প্রতিদিন/কেএ