শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১৪ মে, ২০১৪

গান্ধীর ধাঙড়গিরি ও \\\'স্যার\\\' উপাধির ইতিবৃত্ত

সাইফুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
গান্ধীর ধাঙড়গিরি ও \\\'স্যার\\\' উপাধির ইতিবৃত্ত

এক. 'May I Come in Sir'- মুণ্ডটা কচ্ছপের মতো করে দরজা গলে কক্ষের ভেতরে ঢুকিয়ে কিঞ্চিৎ ভয় মিশেল গলায় উপরোক্ত কথাগুলো বললাম আমি। প্রতিউত্তরে ভদ্রলোকটি বললেন- Yes, please come in. তাকে দেখেই একেবারে চমকে উঠলাম আমি। মানুষটি দেখতে অনেকটাই ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জন মেজরের মতো। সেই শুভ্র সফেদ ধবধবে সাদা কেস বিন্যাস। দুজনেরই প্রায় একই রকম মুখাবয়ব। পার্থক্য শুধু এতটুকুই- জন মেজর খানিকটা শীর্ণকায় ও লম্বাটে, অন্যদিকে এই মানুষটি ঈষৎ খর্বকায় ও হৃষ্টপুষ্ট। কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ থেকে আমাকে জানানো হয়েছিল যে, আমার কোর্স ডিরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে প্রখ্যাত আইনজ্ঞ ও ডিন, প্রফেসর ফিলিপ থমাসকে। আর সে জন্যই আমি এসেছি তার সঙ্গে মোলাকাত করতে। আমি তাকে সাড়ম্বরে 'স্যার' সম্বোধন করে আমাদের মধ্যকার কথোপকথনের সূত্রপাত করলাম। আর এতেই ঘটল বিপত্তি। উনি খানিকটা অপ্রসন্ন ও উষ্মা কণ্ঠে বললেন- Who is your Sir! I’m not your Sir. My name is Phillip Thomas. You can call me ‘Phill’. প্রফেসর থমাসের কথাগুলো শুনে আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। একি বলছেন তিনি! যিনি বয়সে আমার বাবার চেয়েও বড়; তিনি কি না আমাকে বলছেন তার নাম ধরে ডাকতে! তাও আবার তার প্রথম নাম 'ফিল' বলে! আমাদের সংস্কৃতিতে শুধু মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধবসহ একান্তই কাছের কিছু মানুষ সাধারণত আমাদের উপনামগুলো ডাকার যোগ্যতা রাখে। কিন্তু তিনি কেন আমাকে সে অধিকার প্রদান করছেন? পরে অবশ্য জেনেছি, পাশ্চাত্যে কালক্রমে আধুনিক যুগে এটাই এখন তাদের সংস্কৃতি হয়ে উঠেছে।

প্রফেসর ফিল থমাস আমাকে বললেন, 'ঔপনিবেশিকতার যুগ অতিক্রম করে আমরা এখন বহুদূর চলে এসেছি। এখন আর স্যার-ট্যার ডাকার সুযোগ নেই। তোমরা এশিয়ানরা এখানে এসে কেন যে আমাদের স্যার ডাকা শুরু করে দাও, বুঝি না।' ফিলিপ থমাস ঠিকই বলেছেন, স্যার, মাইলর্ড, হুজুর, ধর্মাবতার- এই সম্মানসূচক অনুষঙ্গগুলো প্রশাসনিক কাজের মধ্যে দ্রুত বিস্তার লাভ করেছিল সেই ঔপনিবেশিক সময়ে অর্থাৎ ইংরেজরা যখন প্রথম ভারতবর্ষে আসে। তবে এসব শব্দের উদ্ভব হয় ইউরোপে সেই সামন্ত যুগে। 'স্যার' শব্দের উৎপত্তি ফরাসি দেশে, সেখানে জমিদার বা সামন্ত প্রভুদের প্রজারা সম্বোধন করত 'স্যায়ার' বলে, সেই 'স্যায়ার' শব্দটি কালক্রমে বারোশ শতকের দিকে ঢুকে পড়ে ইংরেজি ভাষায়। পৃথিবীতে সামন্ত ও ঔপনিবেশিকতার যুগ শেষ হলেও সেসব যুগের ভূতগুলো এখনো চেপে আছে আমাদের ঘাড়ে।

পাশ্চাত্যে আধুনিক যুগে ছাত্র-শিক্ষক, আমলা-প্রজাসহ অন্য সব সম্পর্ক সহজ সাবলীল ও বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে আসছে; কিন্তু আমরা সেই পুরনো সংস্কৃতিতেই আটকে আছি। পাশ্চাত্যের উন্নত দেশগুলোতে স্যার শব্দটিকে এখন অনেকটাই খেলো কিংবা হালকা করে ফেলা হয়েছে। আর সে জন্যই আমরা দেখি আমেরিকাতে রাগবি খেলার কোচকে যেখানে স্যার বলা অনেকটাই বাধ্যতামূলক, সেখানে সর্বোচ্চ পদের মানুষটি অর্থাৎ রাষ্ট্রপতিকে মাননীয় কিংবা মহামান্য তো অনেক দূরের কথা, তাকে শুধু সম্বোধন করা হয় মি. প্রেসিডেন্ট। উত্তরজীবনে প্রফেসর ফিল থমাসের সঙ্গে আমার সম্পর্ক এক অন্যরকম অন্তরঙ্গতায় পৌঁছেছিল। আইন পড়ার শেষ পর্যায়ে এসে ব্যারিস্টারিতে ভর্তি হওয়ার সময় তিনি আমার শিক্ষাজীবনের ওপর এমন একটি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছিলেন যে, আমি যে পাঁচটি ইনস্টিটিউটে আবেদন করেছিলাম সম্ভবত হাতেগোনা গুটিকয়েক ছাত্রের মতো আমিও পাঁচটি (একজন ছাত্র সর্বোচ্চ পাঁচটি ইনস্টিটিউশনে আবেদন করতে পারে) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ভর্তির আমন্ত্রণপত্র পেয়েছিলাম। এটি আমার জীবনের একটি স্মরণীয় ঘটনা। বেশ কয়েক বছর আগে প্রফেসর ফিল থমাস ঢাকায় এসেছিলেন। বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট থেকে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। আমি সেই সময় অসুস্থ বাবাকে নিয়ে ব্যাংককে ছিলাম বলে তার সঙ্গে দেখা হয়নি। বন্ধু ব্যারিস্টার জুনায়েদ ও অনুজপ্রতিম ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুকের কাছে আমার অনেক খোঁজখবর নিয়েছিলেন বলে শুনেছিলাম। আমার সঙ্গে দেখা হয়নি বলে দুঃখও করেছিলেন।

দুই. ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য কার্ডিফ থেকে চলে এলাম লন্ডনে। যা হোক, লন্ডনে এসে আমি দ্রুতই শহরটিকে ভালোবেসে ফেললাম। চারদিকে আভিজাত্যময় উঁচু উঁচু হর্ম্য। নদী, প্রাসাদ, পার্লামেন্ট, শপিংমল... কী নেই শহরটিতে। আধুনিক চাকচিক্যে ইউরোপের বোধকরি আর কোনো শহর এর সামনে দাঁড়াতে পারে না। তবে এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্যারিস। লন্ডন যদি ব্যারিস্টারদের সেকেন্ড হোম বলে বিবেচিত হয়, তবে শিল্পী-সাহিত্যিকদের জন্য ফার্স্ট হোম হচ্ছে প্যারিস। সাহিত্য, কবিতা, নন্দনতত্ত্ব, বিজ্ঞান, শিল্পকলায় কার চেয়ে কে এগিয়ে এই প্রতিযোগিতা চলছে যুগ যুগ ধরে এ দুটি শহরের মধ্যে। এহেন অসাড় প্রতিযোগিতায় দুই শহরকেই খুশি করে উপন্যাস লিখেছিলেন চার্লস ডিকেন্স 'এ টেল অফ টু সিটিস'। বিখ্যাত ফরাসি সাহিত্যিক বালজক দুই শহরকে একসঙ্গে খুশি করতে স্টাইল ও ফ্যাশন সম্পর্কে একটি অসাধারণ কথা বলেছিলেন সেই কবে; যা আজও সমান সত্য বলে বিবেচিত হয় “What is French Fashion in London is English Fashion in Paris” অর্থাৎ লন্ডনে যা ফরাসি ফ্যাশন হিসেবে চলে, সেটাই আবার প্যারিসে চলে ইংরেজি ফ্যাশন বলে।

বড় বড় ইমারত, প্রাসাদ, পার্লামেন্ট, শপিংমল ঘুরে বেড়িয়ে আমি যখন আত্দপ্রসাদের স্বগতোক্তি করছি যে, আমি লন্ডনের সব কিছু দেখে ফেলেছি, সেই সময় আমার এক অগ্রজ আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমি মোহাম্মদ আল ফায়াদের বিখ্যাত শপিংমল 'হ্যারোডস্' দেখেছি কি-না? আমি বললাম, না। তিনি পরামর্শ দিলেন সেই শপিংমলটি ঘুরে দেখতে। যা হোক, এক দিন হাতে সময় নিয়ে সকাল সকাল চলে গেছি বিখ্যাত সেই শপিংমল হ্যারোডস্ দেখতে। শপিংমলের মূল ফটকটি দিয়ে প্রবেশ করতেই চিরাচরিত সুসজ্জিত বেশ-ভূষার একজন দারোয়ান মাথাটি ঈষৎ নিচে নামিয়ে হাত দুটি সম্প্রসারিত করে বলতে লাগলেন- 'আসুন স্যার আসুন, ভিতরে আসুন'। প্রথম দর্শনেই লোকটিকে আমার বেশ পরিচিত মনে হলো। ভেতরে প্রবেশ করে আমি এক দোকান পরিচারিকাকে জিজ্ঞেস করলাম- আচ্ছা, শপিংমলের মূল প্রবেশমুখে যে দারোয়ানটি দাঁড়িয়ে আছে তাকে বেশ চেনা চেনা লাগছে। উনি কি মোহাম্মদ আল ফায়াদের সহোদর? দোকানি স্মিত হেসে আমাকে বললেন- আপনি ঠিকই ধরেছেন স্যার; তবে উনি আসলে মোহাম্মদ আল ফায়াদের সহোদর নন। উনি স্বয়ং হ্যারোডসের মালিক মোহাম্মদ আল ফায়াদ। মোহাম্মদ আল ফায়াদকে আমি বেশ ভালো করেই চিনতাম। কারণ সেই সময়টায় মোহাম্মদ আল ফায়াদ ও বিখ্যাত জাঁদরেল এক ব্রিটিশ এমপি নীল হ্যামিল্টনের মধ্যে ঘুষ আদান-প্রদানের একটি মোকদ্দমা চলছিল। ফলে সেই সময়ে প্রায়ই ফায়াদ ও নীল হ্যামিল্টনের ছবি ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকাগুলোতে বেশ বড় বড় সাইজে ছাপা হতো। দোকান পরিচারিকার কাছ থেকে আমি যখন জানলাম যে, দারোয়ানটি আসলে স্বয়ং মোহাম্মদ আল ফায়াদ, তখন খানিকটা বোকামো ও নির্বুদ্ধিতা ভর করল আমার মাথায়। আমি দু-তিনবার করে হ্যারোডস্ শপিংমলে প্রবেশ করলাম ও বের হলাম। শুধু মোহাম্মদ আল ফায়াদের মুখ থেকে 'স্যার প্লিজ ভিতরে আসুন...' কথাগুলো বার বার শোনার জন্য। ঘোরাঘুরি শেষ করে অপরাহ্নে পাতাল রেলে যখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলাম ট্রেনে বসে- নিজের বোকামির কথা চিন্তা করে নিজেই নিজের কাছে অপ্রস্তুত ও হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছিলাম এই ভেবে যে, উত্তপ্ত রোদেলা দুপুরে মোহাম্মদ আল ফায়াদ নিজে দারোয়ান সেজে যতই 'স্যার' 'স্যার' বলুক; বেলা শেষে কিন্তু তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক। আর আমি সেই কপর্দকশূন্য এক আইনের ছাত্র।

তিন. সম্ভবত ঘটনাটি ১৯১৫ সালের জানুয়ারির একেবারে প্রথম দিকের। ইন্ডিয়ান কংগ্রেস পার্টির সভা হচ্ছে কলকাতায়। কংগ্রেসের মধ্যমণি গোপাল কৃষ্ণ গোখলে একটি টেবিল পেতে চেয়ারে বসে দলীয় নানা কাজের ফর্দ তৈরিতে ব্যস্ত। এমন সময় জনৈক ব্যারিস্টার সন্তর্পণে একটি ভিজিটিং কার্ড ধরিয়ে দিলেন গোখলের হাতে এবং বললেন- স্যার, আমি এসেছি গুজরাটের রাজকট থেকে। মাথাটি না তুলেই ভিজিটিং কার্ডটিতে চোখ বুলালেন গোখলে। কার্ডটিতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে- 'মোহন দাস করম চাঁদ গান্ধী, ব্যারিস্টার-এট-ল, ইনার টেম্পল'। গোখলে কার্ডটি দেখার সঙ্গে সঙ্গে চেয়ার ছেড়ে লাফিয়ে উঠে এক গভীর আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরলেন গান্ধীকে। গান্ধী ও গোখলে দুজন দুজনার পরম বন্ধু। ১৯১২ সালে গোখলে সাউথ আফ্রিকা ঘুরে এসেছেন গান্ধীর আমন্ত্রণে। তার অহিংস আন্দোলনের দারুণ ভক্ত তিনি। অন্যদিকে গান্ধী তার শুভানুধ্যায়ী, পরামর্শক ও পথপ্রদর্শক হিসেবে বিবেচনা করেন গোখলেকে। গান্ধী গুজরাটের রাজকট থেকে ছুটে এসেছেন কলকাতায়; নিজেকে কংগ্রেসের কোনো কাজে লাগে কি-না সেই বিবেচনায়। প্রথমেই গান্ধী লক্ষ্য করলেন যে, সভাটিতে এত মানুষের সমাগম অথচ পয়ঃনিষ্কাশন ও স্যানিটারি সুবিধার বেহাল অবস্থা। অন্যদিকে কলকাতায় তখন মেথর সম্প্রদায়ের ধর্মঘটের কারণে শৌচাগারগুলো উপচে পড়ছিল মানুষের মল ও বিষ্ঠায়। গান্ধী লক্ষ্য করলেন- যে ভবনটিতে পার্টির ক্যাম্প করা হয়েছে সেই ভবনটির বারান্দায় পর্যন্ত কেউ কেউ পুরীষ ত্যাগ করে রেখেছে তার দুর্গন্ধে যেখানে টেকাই দায়। কংগ্রেসের দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বললেন- 'ভাইসব ভারত মুক্তির আগে আসুন আমরা এই দুর্গন্ধময় নোংরা বর্জ্য থেকে মুক্ত হই।' রেকর্ডপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, এই কাজে সেদিন তাকে কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি, তাকে একাই করতে হয়েছিল সব কাজ। কিন্তু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তার প্রথম আলো উপন্যাসে লিখেছিলেন ত্রিপুরা মহারাজের অবৈধ পুত্র ভরতসিং নোংরা পরিষ্কারের এই কাজে গান্ধীকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। এ ঘটনা থেকে হয়তো মনে হতে পারে, জীবনে এই প্রথম হয়তো তিনি সবাইকে অবাক করে দেওয়ার জন্য এই কাজে লিপ্ত হয়েছিলেন। আসলে কিন্তু তা নয়, তিনি যখন মাত্র ১২ বছরের কিশোর, তার রাজকোটের বাড়িতে যে মহিলাটি তাদের শৌচাগার পরিষ্কার করত তার নাম ছিল উকা, গান্ধীর মা গান্ধীকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতেন- গান্ধী যদি উকাকে স্পর্শ করে তবে তাকে সমস্ত রাত ঘরের বাইরে কাটাতে হবে এবং তাকে স্নান সেরে তবেই ঘরে প্রবেশ করতে হবে। উত্তরে কিশোর গান্ধী তার মা-কে বলেছিল- রামায়ণে, গুহাকা নামে এক চণ্ডালকে রাম যখন আলিঙ্গন করেছিল, তাতে রামের জাত গিয়েছিল কি না? কিশোর গান্ধীর মুখে এসব কথা শুনে গান্ধীর মা পুতলীবাই আর কোনো কথা বলতে পারলেন না। দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকার সময়ও তার নিজ ঘরের নোংরা পুরীষ তিনি নিজেই পরিষ্কার করতেন এবং ভার্যা কস্তুরবাকে তিনি উৎসাহ জোগাতেন এই কাজ করতে। কিন্তু তার স্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করলে তিনি তাকে ভর্ৎসনা করতেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় ধাঙড়গিরি কিংবা ঝাড়ুদার হিসেবে গান্ধীর বেশ নাম ডাক ছিল, সেখানে তার বন্ধু-বান্ধবরা প্রায়ই তাকে দুষ্টামি করে মেথর গান্ধী বলে ডাকতেন। সে দেশে প্রথমবার যখন তাকে গারদে পোরা হলো, তিনি স্বেচ্ছায় সেখানকার শৌচাগারের বর্জ্য পরিষ্কার করতে চাইলেন। এর পর থেকে জেল কর্তৃপক্ষ তাকে দিয়েই সব সময় জেলের মলমূত্র পরিষ্কার করাতেন। ভারতেও তিনি কংগ্রেস কিংবা অন্যান্য সভা-সমিতিতে স্থাপিত অস্থায়ী শৌচাগারগুলোর নোংরা বর্জ্য নিজে উদ্যোগী হয়ে পরিষ্কার করতেন।

চার. কয়েক দিন আগে জাতীয় সংসদে আমাদের এক মাননীয় মন্ত্রী ও বর্ষীয়ান নেতা বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতাকে যথেচ্ছা গালমন্দ করলেন। আমি মনে করি, নিন্দে-মন্দ করার অধিকার তার যথেষ্ট রয়েছে। পৃথিবীতে কেউই আলোচনা ও সমালোচনার ঊধের্্ব নয়, কিন্তু তার কিছু সীমা কিংবা ভাষা-পরিভাষা থাকে। প্রায় পঞ্চাশ বর্ষীয় একজন মানুষকে এভাবে তুইতোকারি করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা ভেবে দেখা দরকার। ওই মাননীয় মন্ত্রী বলেছেন, বিএনপির ওই সিনিয়র নেতার বাবা তাকে স্যার স্যার বলে মুখে ফেনা তুলতেন। এ ব্যাপারে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। ইতিহাসে প্রতিটি মানুষের ভাগ্যই নির্ধারিত হয় তার কর্ম ও দর্শন দ্বারা। জীবনে চলার পথে গান্ধী, আব্রাহাম লিংকন, ম্যান্ডেলার মতো নেতারা হরহামেশাই হয়তো অনেককে স্যার বলে সম্বোধন করেছেন। কেউ কেউ মানুষের মলমূত্রও পরিষ্কার করেছেন। এতে করে তারা কেউ কারও কাছে ছোট হয়ে যাননি। বরং তাদের এই আত্দত্যাগ ও কর্ম তাদেরকে ইতিহাসে অনেক উঁচুতে স্থান করে দিয়েছে। আমাদের জাতির বড়ই দুর্ভাগ্য যে মানুষগুলো একটি দেশকে স্বাধীন করার সঙ্গে যুক্ত। যারা তাদের কর্ম, দর্শন ও চিন্তাশক্তি দ্বারা অনায়াসে ইতিহাসে একটি বড় জায়গা করে নেওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন তারা প্রায়ই নিজেদের মর্যাদার প্রতি সুবিচার করতে পারেন না। শত কিংবা অর্ধশত বছর পর অসংলগ্ন রাজনীতির উদাহরণ তুলে ধরতে গিয়ে যখন আর্কাইভ থেকে সেসব ভাষণ-উক্তি বার বার বাজিয়ে শোনানো হবে তখন তাদের নাতি-পুতিরা কেউ হয়তো দুঃখ কিংবা আক্ষেপ করে বলবেন- 'হায়রে আমাদের পিতামহ কিংবা প্রপিতামহরা যদি কিছু ভালো কথা ও কাজ করে যেতেন তাহলে আজ আমরা সেগুলোর ফল ভোগ করতে পারতাম।' শুধু প্রবীণদের কথাই বা কেন বলি? বিভিন্ন সভা-সমিতিতে কিংবা কোর্ট প্রাঙ্গণে অপেক্ষাকৃত কিছু তরুণ নেতার আচরণ দেখে মনে হয়, যেন তারা ইতিমধ্যে মন্ত্রী-মিনিস্টার কিংবা দলের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কিছু একটা হয়ে গেছেন। তাদের এই বাগাড়ম্বর ও আস্ফালন দেখে অদৃষ্টের দেবতা অন্তঃরীক্ষে বসে নিশ্চয়ই অট্টহাসি হেসে বলেন, "ওরে মূর্খ, ইতিহাস খুলে দেখে নে, ইতিহাস কীভাবে রচিত হয়। একদল যখন আত্দঅহমিকা ও নিজের অসাড় শ্রেষ্ঠত্ব দেখানোর কাজে ব্যস্ত আরেক দল তখন নিভৃতে ও সবার অলক্ষ্যে ইতিহাস তৈরিতে ব্যস্ত থাকেন। জীবনানন্দ দাশ, কমলকুমার মজুমদার, শহীদুল জহির প্রমুখ এদের মধ্য থেকে কিছু প্রকৃষ্ট উদাহরণ। অন্যদিকে আরেক দল আছেন, যারা ভিন্নরকম ও অতি সাধারণ জীবনযাপন করে এবং জনমানুষের জন্য ব্যতিক্রমী কিছু কর্ম ও দর্শন প্রদান করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রচিত করে যান এক সুমহান ইতিহাস। আব্রাহাম লিংকন, মহাত্দা গান্ধী, নেলসন ম্যান্ডেলা প্রমুখ। তাদের মধ্যে কিছু প্রজ্বল্যমান উদাহরণ।

লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী।

ই-মেইল : [email protected]

 

এই বিভাগের আরও খবর
পিটিয়ে হত্যা
পিটিয়ে হত্যা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
ভ্যাকসিন-সংকট
ভ্যাকসিন-সংকট
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
সর্বশেষ খবর
সিলেটের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষেপলেন সাবেক মেয়র আরিফ
সিলেটের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষেপলেন সাবেক মেয়র আরিফ

৩২ সেকেন্ড আগে | চায়ের দেশ

জাতীয় ঐকমত্য গঠনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে বিএনপি : সালাহউদ্দিন
জাতীয় ঐকমত্য গঠনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে বিএনপি : সালাহউদ্দিন

১ মিনিট আগে | রাজনীতি

নরসিংদীতে ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে কুপিয়ে হত্যা
নরসিংদীতে ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে কুপিয়ে হত্যা

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আগামী ৫ দিনে দেশজুড়ে বৃষ্টির আভাস
আগামী ৫ দিনে দেশজুড়ে বৃষ্টির আভাস

৬ মিনিট আগে | জাতীয়

জাপানে দুই সপ্তাহে ৯১১ ভূমিকম্প
জাপানে দুই সপ্তাহে ৯১১ ভূমিকম্প

৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চ লবণ সহিষ্ণু গমের নতুন জাত উদ্ভাবন
উচ্চ লবণ সহিষ্ণু গমের নতুন জাত উদ্ভাবন

১৩ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

জনতার ভয়ে ডোবায় কেশবপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি
জনতার ভয়ে ডোবায় কেশবপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাকৃবিতে উচ্চ লবণ সহিষ্ণু গমের নতুন জাত উদ্ভাবন
গাকৃবিতে উচ্চ লবণ সহিষ্ণু গমের নতুন জাত উদ্ভাবন

১৭ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

বিশেষ অভিযানে আরও ১৩০৫ জন গ্রেফতার
বিশেষ অভিযানে আরও ১৩০৫ জন গ্রেফতার

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও এখনও ফ্যাসিস্টরা রয়েই গেছে: নাহিদ ইসলাম
ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও এখনও ফ্যাসিস্টরা রয়েই গেছে: নাহিদ ইসলাম

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘বোমা ইরানের পারমাণবিক শিল্পকে ধ্বংস করতে পারবে না’
‘বোমা ইরানের পারমাণবিক শিল্পকে ধ্বংস করতে পারবে না’

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতিহাস গড়ে প্রথমবার এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ
ইতিহাস গড়ে প্রথমবার এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ

৩৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কৃষক নিহত
বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কৃষক নিহত

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের জন্য সংসদের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন : আমীর খসরু
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের জন্য সংসদের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন : আমীর খসরু

৩৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

বরিশালে কাচা রাস্তায়  জনভোগান্তি
বরিশালে কাচা রাস্তায় জনভোগান্তি

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বোমা ফেলে ইরানের পরমাণু শিল্প ধ্বংস করা যাবে না
বোমা ফেলে ইরানের পরমাণু শিল্প ধ্বংস করা যাবে না

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সব দল একমত : আলী রীয়াজ
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সব দল একমত : আলী রীয়াজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের উপর হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের তদন্ত কমিটি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের উপর হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের তদন্ত কমিটি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাশিয়ায় আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া
রাশিয়ায় আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফার্মেসিকে জরিমানা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফার্মেসিকে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় চোর চক্রের ২ হোতা গ্রেফতার
গাইবান্ধায় চোর চক্রের ২ হোতা গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফিজিওথেরাপিস্ট হয়ে গেলেন চিকিৎসক
ফিজিওথেরাপিস্ট হয়ে গেলেন চিকিৎসক

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মার্কিন সহায়তা স্থগিত, ইউরোপের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের চেষ্টায় ইউক্রেন
মার্কিন সহায়তা স্থগিত, ইউরোপের সঙ্গে যৌথ অস্ত্র উৎপাদনের চেষ্টায় ইউক্রেন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগকর্মী গ্রেফতার
বগুড়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগকর্মী গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রশাসনে ৫ উপ-সচিব পদে রদবদল
প্রশাসনে ৫ উপ-সচিব পদে রদবদল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টি-আকস্মিক বন্যায় ৬৪ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টি-আকস্মিক বন্যায় ৬৪ জনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাইবান্ধায় স্কুলের প্রাচীর নির্মাণে বাধা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
গাইবান্ধায় স্কুলের প্রাচীর নির্মাণে বাধা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু
ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬
উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর হাতে খুন হলেন প্রেমিক!
পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর হাতে খুন হলেন প্রেমিক!

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম চাকরিচ্যুত
সেই সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম চাকরিচ্যুত

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ
দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ

১৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

এলপি গ্যাসের দাম আরও কমেছে
এলপি গ্যাসের দাম আরও কমেছে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, যা বলছে ইসরায়েল-হামাস
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, যা বলছে ইসরায়েল-হামাস

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন
১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

৫ আগস্ট 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস', থাকবে সাধারণ ছুটি
৫ আগস্ট 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস', থাকবে সাধারণ ছুটি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন
ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করলো লাগেজ ট্রলি
দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করলো লাগেজ ট্রলি

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড
আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে গরু-ছাগলের চেয়ে ডক্টরেট ডিগ্রির সংখ্যা বেশি: বদিউর রহমান
দেশে গরু-ছাগলের চেয়ে ডক্টরেট ডিগ্রির সংখ্যা বেশি: বদিউর রহমান

৩ ঘণ্টা আগে | টক শো

হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন নির্দেশনা
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন নির্দেশনা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিআরটিএ’র নতুন নির্দেশনা
মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বিআরটিএ’র নতুন নির্দেশনা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শরীরে ‘ইসলামিক’ ট্যাটু করা কি জায়েজ
শরীরে ‘ইসলামিক’ ট্যাটু করা কি জায়েজ

১৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফট-অ্যামাজনসহ বহু প্রতিষ্ঠান
ইসরায়েলের গণহত্যায় সহায়তা করছে মাইক্রোসফট-অ্যামাজনসহ বহু প্রতিষ্ঠান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার, স্ক্যান করে পাঠানো যাবে নথিপত্র
হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার, স্ক্যান করে পাঠানো যাবে নথিপত্র

১২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল
ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার গুরুত্বপূর্ণ চালান স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার গুরুত্বপূর্ণ চালান স্থগিত করলো যুক্তরাষ্ট্র

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত
ঢাকায় যোগ দিলেন সৌদি আরবের নতুন রাষ্ট্রদূত

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তারেক রহমান জুলাই বিপ্লবের মূল নেতৃত্বে ছিলেন: অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান
তারেক রহমান জুলাই বিপ্লবের মূল নেতৃত্বে ছিলেন: অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নেতানিয়াহুর মৃত্যু অনিবার্য, ইরানি জেনারেলের হুঙ্কার
নেতানিয়াহুর মৃত্যু অনিবার্য, ইরানি জেনারেলের হুঙ্কার

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভিসা জটিলতার মূল কারণ হলো জাল সনদ : লুৎফে সিদ্দিকী
ভিসা জটিলতার মূল কারণ হলো জাল সনদ : লুৎফে সিদ্দিকী

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
চতুর্মুখী সংকটে রপ্তানি
চতুর্মুখী সংকটে রপ্তানি

প্রথম পৃষ্ঠা

এশিয়ার বিস্ময় আল হিলাল
এশিয়ার বিস্ময় আল হিলাল

মাঠে ময়দানে

নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে
নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা শুরুর আহ্বান
ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা শুরুর আহ্বান

পেছনের পৃষ্ঠা

সালমানের সেই মুন্নি এখন
সালমানের সেই মুন্নি এখন

শোবিজ

জনশক্তি রপ্তানিতে কামালের পারিবারিক প্রতারণা
জনশক্তি রপ্তানিতে কামালের পারিবারিক প্রতারণা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু পুলিশের
নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু পুলিশের

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রতারণায় শুরু, দাম চূড়ান্ত হয়নি কয়লার, চাচ্ছে মনগড়া বিল
প্রতারণায় শুরু, দাম চূড়ান্ত হয়নি কয়লার, চাচ্ছে মনগড়া বিল

পেছনের পৃষ্ঠা

মিয়ানমার চ্যালেঞ্জে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ
মিয়ানমার চ্যালেঞ্জে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

মুদ্রাস্ফীতির কবলে চায়ের আড্ডা
মুদ্রাস্ফীতির কবলে চায়ের আড্ডা

পেছনের পৃষ্ঠা

যেমন আছেন সিনিয়র তারকারা
যেমন আছেন সিনিয়র তারকারা

শোবিজ

মান্নাকে কেন চাননি ডিপজল
মান্নাকে কেন চাননি ডিপজল

শোবিজ

ওরা গায়ের জোরে প্রতিবেদন দিয়েছে
ওরা গায়ের জোরে প্রতিবেদন দিয়েছে

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে গোপালগঞ্জে
প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে গোপালগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজধানীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
রাজধানীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

মিরাজের নেতৃত্বে ওয়ানডে যাত্রা
মিরাজের নেতৃত্বে ওয়ানডে যাত্রা

মাঠে ময়দানে

ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা

সম্পাদকীয়

‘বুলবুলের ১৪৫ রানের ইনিংসটি মেসেজ দিয়েছিল’
‘বুলবুলের ১৪৫ রানের ইনিংসটি মেসেজ দিয়েছিল’

মাঠে ময়দানে

সংস্কারের পক্ষে জোট চায় এবি পার্টি
সংস্কারের পক্ষে জোট চায় এবি পার্টি

নগর জীবন

ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু
ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু

নগর জীবন

স্বৈরাচার যেন আর ফিরে আসতে না পারে
স্বৈরাচার যেন আর ফিরে আসতে না পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমল
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমল

পেছনের পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি
আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবিনা ইয়াসমীনের ‘প্রাণের বাংলাদেশ’
সাবিনা ইয়াসমীনের ‘প্রাণের বাংলাদেশ’

শোবিজ

জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়
জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সংস্কারবিহীন নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না
সংস্কারবিহীন নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

যশোরে বারান্দা ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের মৃত্যু
যশোরে বারান্দা ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

এনডিপির সভাপতি সোহেল, মহাসচিব জামিল
এনডিপির সভাপতি সোহেল, মহাসচিব জামিল

নগর জীবন