শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ আপডেট:

তাজমহলের চেয়েও বেশি কিছু

সাইফুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
তাজমহলের চেয়েও বেশি কিছু

আলোক রশ্মির মতো কনফুসিয়াসের খ্যাতিও তখন ছড়িয়ে পড়েছে চীনের সর্বত্র। না ছড়িয়েই বা উপায় কী! তার মতো এমন জ্ঞানী, কবি, দার্শনিক, চিন্তাবিদ, রাজনীতিবিদ মহাকালে দু-একটির বেশি কেউ তো জন্মাতে দেখেননি। সে সময়ের চীনের মানুষ তাকে তুলনা করতে শুরু করলেন ঋষিমুনিদের সঙ্গে। প্রায়ই দেখা যায় গ্রামগঞ্জ কিংবা বিভিন্ন শহর থেকে মোষের পালের মতো দল বেঁধে লোক এসে সাক্ষাত্প্রার্থী হয় কনফুসিয়াসের। ঋষিমুনির কাছে সাধারণ মানুষের যে প্রত্যাশা কিংবা আকাঙ্ক্ষা থাকে কনফুসিয়াসের কাছেও তাদের প্রার্থনা সে রকমই- মান্যবর স্বর্গে যাওয়ার পথটা আমাদের একটু দেখিয়ে দিন। কনফুসিয়াস অট্টহাসিতে লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। চীনারা এমনিতেই সাধারণত হয় একটু নাটুকেপনা ও হাস্যরস প্রিয়। কনফুসিয়াসও তার ব্যতিক্রম নন। সহজ-সরল লোকজনের অবাক করা মুখের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, আমায় ক্ষমা করবেন। সত্যি সত্যি আমার জানা নেই স্বর্গে যাওয়ার পথ। কিন্তু সাধারণ মানুষ সেটা বিশ্বাস করবে কেন? যে মানুষটি এত জ্ঞানী, বিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ সেই মানুষটি জানবে না স্বর্গে যাওয়ার সঠিক পথ, তা কী করে হয়? প্রখ্যাত এ চিন্তাবিদ ও দার্শনিকের জন্ম হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ৫৫১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর চীনের লু রাষ্ট্রের ছুফু শহরে। তিনি কিছুকাল একাধারে লু রাষ্ট্রের আইন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তারপর রাজাদের সঙ্গে নানা বিষয়ে মতের বিরোধ হওয়ায় তিনি রাজনীতি ছেড়েছুড়ে শিষ্যদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েন জ্ঞান অন্বষণে। তার দর্শন ও রচনাবলি চীনসহ পূর্ব এশিয়ার জীবনদর্শনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে। সে যাই হোক আগে যে কথা বলছিলাম দলে দলে লোকজন আসে আর কনফুসিয়াসের মুখ থেকে তার অপারগতার কথা শুনে ফিরে যায় বিফল মনোরথে। শতসহস্র মানুষের এমন যাওয়া-আসা দেখে কনফুসিয়াসের পরিবারের সদস্যরাও বিশ্বাস করতে শুরু করলেন যে, কনফুসিয়াসের সত্যি মনে হয় এ ধরনের ক্ষমতা-টমতা কিছু আছে। তা না হলে নিত্যদিন এত লোক বাড়িতে ভিড় জমাবে কেন? কনফুসিয়াস তাই একদিন তার পুত্রকে ডেকে বললেন, দেখ পুত্র, তুমি তো আমার ঔরসজাত সন্তান, তোমার কাছে তো লুকোছাপা করে কোনো লাভ নেই। আমার সত্যিই সে ধরনের কোনো ক্ষমতা নেই। তবে হ্যাঁঁ এই যে আমার হাতে একটি বই দেখছ, এতে আছে চীনের বিখ্যাত সব কবির কবিতা। এসব কবিতার সমন্বয়ে আমি একটি সংকলন করেছি ‘বুক অব পয়েট্রি’ নামে। যদি এ বইটি কেউ মনোযোগ দিয়ে পড়ে তবে সে স্বর্গে যাওয়ার রাস্তা পেলেও পেতে পারে। কনফুসিয়াসের মুখে এমন কথা শুনে পুত্র বিস্ময়ে তাকিয়ে রইলেন পিতার দিকে। গল্পটি আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর ও আমার প্রিয় শিক্ষক আবদুল্লাহ আবু সাইদের মুখ থেকে শুনেছিলাম বহু বছর আগে। তখন আমি ঢাকা কলেজের ছাত্র। কবিতা আসলে কী? সত্যি কি কবিতা আমাদের স্বর্গে যাওয়ার পথ দেখাতে পারে। কেনইবা আমরা কবিতা পড়ি কিংবা অব্যাহতভাবে তা পড়তে থাকব। অ্যারিস্টটলের মতে কবিতা হলো দর্শনের চেয়ে বেশি। ইতিহাসের চেয়ে বড়। শেলীর ভাষ্য অনুযায়ী কবিতা হলো পরিতৃপ্ত এবং শ্রেষ্ঠ মনের পরিতৃপ্তি এবং শ্রেষ্ঠ মুহূর্তের বিবরণ। বসওয়েল একবার জিজ্ঞেস করলেন জনসনকে— স্যার তাহলে কাকে বলে কবিতা? জনসন এখানে একেবারে অকপট। কেন, কবিতা কি নয় সেটা বলে দেওয়াই তো সবচেয়ে সহজ। আলো কি জিনিস আমরা সবাই জানি। কিন্তু আলো কি সেটা বলা আদৌ সহজ নয়। জনসন আসলে ঠিকই বলেছেন কবিতাকে কোনো সংজ্ঞার আওতায় ফেলা খুবই দুষ্কর। কবিতা বিশুদ্ধ শিল্প হলেও এটি কিন্তু সত্যি সত্যি একটি গোলমেলে বিষয়। আর এ জন্যই কবি পূর্ণেন্দু পত্রী বলেছেন, যে কবি বাস্তববাদী নন, তিনি মৃত। আর যে কবি শুধুই বাস্তববাদী, তিনিও ততধিক মৃত। যে কবি অযৌক্তিকতায় আচ্ছন্ন, তার কবিতা বুঝবেন কেবল তিনি আর তাকে যারা ভালোবাসে। এটা খুবই দুঃখের। যে কবি তত্ত্ববাগীশ, তাকেও বুঝবে কেবল তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এটাও খুব দুঃখের। কবিতার জন্য কোথাও কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। ঈশ্বর অথবা শয়তান, কেউই তৈরি করে দেননি কোনো ফর্মুলা। অথচ এই দুই মহামান্য ভদ্রলোক, ঈশ্বর এবং শয়তান, কবিতার জগতে হাঁকিয়ে চলেছেন এক লাগাতার যুদ্ধ। যুদ্ধে কখনো জিতছেন ইনি, কখনো উনি। কিন্তু কবিতা রয়ে যাচ্ছে অপরাজেয়।

কবিতা অপরাজেয় হলেও নিশ্চয়ই সব কবিতা অপরাজেয় নয়। সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যত কাব্য, মহাকাব্য কবিতা সৃষ্টি হয়েছে সবই কি পদবাচ্য হয়েছে? সবই কি একাধিকবার পড়ার মতো কবিতা? আমার সঙ্গে বেশিরভাগ মানুষই সম্ভবত একমত হবেন যে নিশ্চয়ই তা নয়। শুধু কিছু কবিতাই হৃদয়ের বীণায় মূর্ছনা তোলে। মনের তন্ত্রিগুলোতে শিহরণ জাগায়। এ জন্যই বোধকরি কবি জীবনানন্দ দাশ বলেছেন, সবাই কবি নন, কেউ কেউ কবি। শুধু কিছু কবির কবিতাই বারবার পড়া যায়। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম যে সাহিত্যকর্মটির আবিষ্কার হয়েছে সেটিও কিন্তু কবিতা। আরও সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে বলতে হয়, এটি একটি মহাকাব্য, নাম ‘গিলগামেশ’। গিলগামেশ উপাখ্যানটি মেসোপটেমিয়া অঞ্চলের। একটি ব্যাবিলনীয় সাহিত্যের অন্তর্গত। গিলগামেশ রচিত হয়েছিল এখন থেকে প্রায় চার হাজার বছর আগে।

তখন কাগজ আবিষ্কৃত হয়নি, ফলে কাগজের ওপরে কোনো কিছু লিপিবদ্ধ করার প্রশ্নই ওঠে না। মেসোপটেমিয়ায় পাথরও ছিল না যে লোকজন তার ওপরে কিছু খোদাই করে লিখবে। মেসোপটেমিয়াবাসী অন্য পন্থা অবলম্বন করেছিল। এঁটেল মাটির তৈরি তক্তিতে তারা ছুঁচালো কাঠি দিয়ে দাগ কেটে কেটে লিখত। এ লিপির নাম বাণমুখ বা কীলক লিপি, ইংরেজিতে বলে কিউনিফর্ম।

পৃথিবীতে প্রাচীন মহাকাব্য যে কটি বর্তমান তন্মধ্যে দুটি রচিত হয়েছিল এ উপমহাদেশে। রামায়ণ আর মহাভারত। কারা রচনা করেছিলেন তাও আমরা জানি। বাল্মীকি লিখেছিলেন রামায়ণ, আর মহাভারতের কবির নাম কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস। এর অর্থ কিন্তু এই নয় যে, রামায়ণ ও মহাভারত কেবল বাল্মীকি ও ব্যাসদেবই রচনা করেছিলেন সুসম্পূর্ণ গ্রন্থ দুটি। আসলে কালে কালে আরও কত কবির অজস্র পঙিক্ত যে এই দুই মহাকাব্যের ভিতরে মিশে গিয়ে তাদের লাবণ্য ও শ্রী বৃদ্ধি করেছে তার ইয়ত্তা নেই। ইলিয়াড ও ওডেসি এবং তাদের রচয়িতা গ্রিক মহাকবি হোমার সম্বন্ধেও অনুরূপ ধারণাই ব্যক্ত করা চলে।

এ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, এগুলো সেই জাতের মহৎ সাহিত্য যার ‘ভিতর দিয়া একটি সমগ্র দেশ, একটি সমগ্র যুগ, আপনার হৃদয়কে, আপনার অভিজ্ঞতাকে ব্যক্ত করিয়া তাহাকে মানবের চিরন্তন সামগ্রী করিয়া তোলে।’ কোনো দেশের ‘সহস্র বৎসরের হৃিপণ্ড স্পন্দিত’ হয়ে ওঠে এ জাতীয় রচনায়। গিলগামেশ, ইলিয়াড, ওডেসি, রামায়ণ ও মহাভারত মহাকাব্যগুলোও এর ব্যতিক্রম নয়।

১৮০০ শতকের দিকে ধীরে ধীরে গদ্যসাহিত্য জনপ্রিয় হওয়ার আগ পর্যন্ত পদ্যেরই ছিল জয়জয়কার ও একচ্ছত্র আধিপত্য। কবিতা একাই দাপিয়ে বেড়িয়েছে বিশ্বসাহিত্যে। এরই ধারাবাহিকতায় জন্ম নেয় মিলটনের ‘প্যারাডাইস লস্ট’, শেকসপিয়রের ‘সনেট’, দান্তের ‘ডিভাইন কমেডি’, ভার্জিলের ‘ইনিদ’ প্রভৃতি মহাকাব্য। এ ছাড়া জন্ম হয় পের্ত্রাক, বোক্কাচিত্তর মতো কবি, যারা সূচনা করেছিলেন রেনেসাঁ যুগের। তবে অনেকে মনে করেন দান্তের ডিভাইন কমেডির মধ্যেই নিহত ছিল রেনেসাঁ যুগের বীজ। এরপর অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এলো রোমান্টিসিজম। ইংরেজি সাহিত্য তথা সমগ্র বিশ্বসাহিত্যে রচিত হলো এক নতুন ইতিহাস। ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে ওয়ার্সওয়ার্থ ও কোলরিজ বন্ধুদ্বয় মিলে লিখলেন ‘রিলিক্যাল ব্যালাডস’ নামে কাব্যগ্রন্থটি। কোলরিজ লিখলেন তার জীবনের শ্রেষ্ঠ কবিতা ‘রাইম অব দ্য এনসিয়ান্ট ম্যারিনার’। অনেকের মতো আমারও উচ্চ মাধ্যমিকে কবিতাটি পাঠ্য ছিল। চোখ বুজলে এখনো শুনতে পাই কবিতার সাড়া জাগানো সেই লাইন—‘ওয়াটার ওয়াটার এভরিহয়ার নর অ্যানি ড্রপ টু ড্রিংক’। এ রোমান্টিসিজমের বদৌলতে ইংরেজি সাহিত্যে জন্ম নিল একঝাঁক তরুণ কবি—বায়রন, শেলি, কিটসসহ আর অনেকে।

বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ-পরবর্তী বহু কবির জন্ম হয়েছে। নজরুল এসেছেন উল্কার বেগে। জনপ্রিয়তার বিচারে সে সময়ে নজরুল ছিলেন রবীন্দ্রনাথের চেয়েও জনপ্রিয়। তারপর বুদ্ধদেব বসু। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, অমিয় চক্রবর্তী, বিষ্ণু দে, প্রেমেন্দ্র মিত্র এরা রাজত্ব করেছেন কিছুকাল। জীবনানন্দ দাশ এদের মধ্যে সমসাময়িক হলেও তিনি ছিলেন একেবারে আলাদা। যাকে বলা চলে মুকুটহীন সম্রাট। ‘কবিরা কে কখন থাকে, কে হারিয়ে যায়’ নামক একটি প্রবন্ধে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য জীবনানন্দ দাশের চেয়ে সুভাষ মুখোপাধ্যায়কেই বড় কবি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

সুভাষ মুখোপাধ্যায় যে শক্তিমান কবি তাতে সন্দেহ নেই এতটুকু। কেবল তার মতো কবির কলমেই বেরিয়ে আসে ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত’-এর মতো কবিতা। কিন্তু রবীন্দ্র-উত্তর কবিদের মধ্যে আমি জীবনানন্দকেই এগিয়ে রাখি। রবীন্দ্রনাথের পরে আমাদের দেশেও জন্ম নিয়েছে প্রথিতযশা ও শ্রুতকীর্তসব কবি। তাদের সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। কবি আবুল হোসেন, আল মাহমুদ, শামসুর রাহমান, শহীদ কাদরী, রফিক আজাদ নির্মলেন্দু গুণ, মহাদেব সাহাসহ আরও অনেকে। পদ্যের এ খরার মৌসুমেও বাংলাদেশের অনেক কবির হাত দিয়েই বেরোচ্ছে উত্কৃষ্ট সব কবিতা। তাদের মধ্যে সর্বাগ্রে আসে ময়ূখ চৌধুরীর নাম। তিনি ছাড়াও মোহাম্মদ সাদিক, সৈকত হাবিব, পারভেজ হোসেন, রেজাউদ্দিন স্টালিন, রহমান হেনরী, মাসুদ হাসান, মাহবুব আজিজ সজল সমুদ্র এরা ভালো কবিতা লেখেন। তবে এবারের বইমেলায় দারুণ একটি ঘটনা ঘটেছে! কবি হেলাল হাফিজের ‘যে জলে আগুন জ্বলে’র পর এই প্রথম এমন একটি ঘটনা ঘটল। তরুণ এক কবির একটি কাব্যগ্রন্থ প্রথম সংস্করণ শেষ হয়ে দ্বিতীয় সংস্করণও প্রায় শেষের পথে। কবিতা ভালো লাগা, না লাগার প্রেক্ষাপটে এটি একটি দারুণ খবর। ঘটনাক্রমে এ তরুণ কবিটি আবার আমার ঘনিষ্ঠ সুহৃদ। কবি জুননু রাইনের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘এয়া’ যে মানুষের হৃদয় হরণ করে নেবে এটি আমার মতো অনেকেই ধারণা করেছিলেন। কিন্তু সমগ্র পাঠককুল বইটি যে এভাবে সাদরে গ্রহণ করবে এটি আমরা কেউই ভাবিনি। তবে এই কবিতার বইটি প্রকাশ করেছে প্রকাশনী সংস্থা ঐতিহ্য মিতভাষী মৃদুভাষী এ মানুষটি খুবই কম কথা বলেন। কবিতা নিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করলেই তার উত্তর হ্যাঁ... হুম... এসবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আমি বুঝতে পারি, যে নদী যত গভীর তার বয়ে চলাও হয় ততটা নিঃশব্দে। আমি একদিন জিজ্ঞাসা করলাম এই যে আপনি এত ভালো কবিতা লিখেন আপনার পূর্ব পুরুষদের মধ্যে কেউ কবিতা-টবিতা লিখত নাকি? উনি উত্তর দিলেন— আমার জানা মতে তো কেউ লিখত না। তবে আরও সুদূর অতীতে হয়তো কেউ লিখে থাকতে পারেন। জুননু আমাকে বললেন, কবিতার প্রতি আপনার এত অনুরাগ, তো আপনিও লেখা শুরু করুন। আমি বললাম, আপনাকে একটা গল্প বলি তাহলে। কবি এজরা পাউন্ডকে তো চেনেন নিশ্চয়ই। আমেরিকান কবি কিন্তু থাকতেন ইংল্যান্ডে। এলিয়ট, রবার্ট ফ্রস্ট, জেমস জয়েস, ইয়েটস এঁরা সবাই এজরা পাউন্ডকে গুরু মেনে সকাল বিকাল হুজুর হুজুর করতেন। আমি বললাম— কবি ইয়েটসকে চিনেছেন? ওই যে রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলিতে যে কবি ভূমিকা লিখেছিলেন তিনি। সে যা হোক, সেই এজরা পাউন্ড কে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘প্যারিস রিভিউ’ পত্রিকার পক্ষ থেকে। কেমন করে কবি হলেন আপনি? পাউন্ডের উত্তর— আমার দাদা স্থানীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে চিঠি লেখালেখি করতেন পদ্যে। আমার দাদি ও তার ভাই তারাও চিঠি চালাচালি করতেন পদ্য লিখে। এতেই প্রমাণ হয়, যে কেউই লিখতে পারে ওটা। তবে হাস্য-পরিহাস যাই করুন ছাপা অক্ষরে আমার প্রথম সাহিত্য কীর্তিটি ছিল কিন্তু কবিতা। আমি যখন দশম শ্রেণিতে পড়ি, তখন আমার একটি কবিতা ছাপা হয় ‘শিশু’ পত্রিকায়। কবিতাটির নাম ছিল ‘মেঘলা দিনে’ বহুকাল পরে একদিন দেখলাম কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীও এ নামে একটি সুন্দর কবিতা লিখেছেন। আমি নগণ্য একজন মানুষ, কবি জুননু রাইনের কাব্যগ্রন্থ ‘এয়া’ সম্পর্কে দেশের সব নামকরা বিশিষ্টজন বড় বড় সব পত্রিকায় ইতিমধ্যে বেশ জমিয়ে লিখেছেন। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী কালের কণ্ঠ পত্রিকায় লিখেছেন— “কবিতার প্রাণ থাকে চিত্রকল্পে ও ধ্বনিতে। জুননু ছোট ছোট সব ছবি এঁকেছে, যেগুলো স্বাভাবিকভাবে এসেছে। কষ্টকল্পিত নয়, যান্ত্রিকও নয়, ছোট নদীর ঢেউয়ের মতো তারা আসে এবং স্পর্শ করে। তাদের ধ্বনিগুলো স্বাভাবিক ও সংযত। এ বইয়ের কবিতাগুলো একবার নয়, একাধিকবার পড়ার মতো। যেমনটি আমি পড়েছি এবং আনন্দিত হয়েছি। সত্যিকারের কবিতার পরিচয় তো এটাই যে পড়লেও পড়াটা শেষ হয় না।”

সৃজন বিডি ডটকমে ময়ূথ চৌধুরী লিখেছেন—বাস্তবের উদ্ভট আধিপত্যের বিপরীতে তিনি দাঁড় করাতে চেয়েছেন প্রতিবাস্তবতা। তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন তার অন্তর্লোক, যার অধিষ্ঠার্তী ‘দেবী’ এয়া; যদিও তিনি জানেন যে, মেসোপটেমিয়ার গিলগামেশের এয়া একজন দেবতা—বিশুদ্ধ জল আর জ্ঞানের দেবতা। জলের যে জীবনার্থ, প্রজ্ঞার যে প্রতিশ্রুতি, তা তিনি খুঁজে পেয়েছেন নিবৃত এক নারীর কাছ থেকে। এ সুবাদেই মর্ত্যমানবী এয়ার সঙ্গে পৌরাণিক এয়ার সমানতা।

এ ছাড়াও লিখেছেন আলী রিয়াজ। মঈনুস সুলতান, রেজাউদ্দিন স্টালিনসহ আরও অনেকে। জুননু রাইনের কবিতায় সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি বর্তমানকে এড়িয়ে যাননি। দুঃখ, ব্যথা না পেলে, হৃদয় রক্তাক্ত না হলে নাকি কবিরা লিখতে পারেন না। এ জন্যই বোধকরি তার বেশ কিছু কবিতায় উঠে এসেছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, সামাজিক অসামঞ্জস্যতা, অন্যায় ও অবিচার। এসব বিষয় নিশ্চয়ই তাকে ভাবিয়ে তুলেছে। করেছে বেদনাতুর। মহামান্যের বিষণ্ন বাগানে নামের কবিতায় তিনি লিখেছেন—এরপর, সন্তানের পিতা হারানোর হাহাকারে/পিতার সন্তানের বিকলাঙ্গতার চিৎকারে/বিশ্বজিত্রা কৃষ্ণচূড়ায় ফুটবে, ফুটতে ফুটতে/ঝরে পড়বে মহামান্যের অলস এবং বিষণ্ন ফুল বাগানে। অন্যদিকে আরেকটি কবিতায় তিনি লিখেছেন—আমি আজরাইল দেখিনি প্রভু/ক্রসফায়ার দেখেছি।

আমার জানামতে বাংলাদেশের অনেক বড় বড় কবির প্রথম কবিতার বইয়ের প্রথম সংস্করণ ছ’মাসের মধ্যেও শেষ হয়নি। কবি শামসুর রাহমান তার আত্মজীবনী ‘কালের ধুলোয়’ লিখেছেন—তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ প্রকাশিত হওয়ার পর খুব বেশি বিক্রি হয়নি। মনজুরে মওলা থেকে শুরু করে অনেকের ভালো ভালো রিভিউ সত্ত্বেও। কিন্তু কবি জুননু রাইনের ‘এয়া’ দ্বিতীয় সংস্করণও শেষের পথে। এটি খুবই আশাবাদের কথা। এ মুহূর্তে আমার ইংরেজ কবি বায়রনের কথা মনে পড়ে গেল। কবি বায়রনই বোধকরি একমাত্র কবি, যার কবিতার বই প্রকাশিত হওয়ার পর সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই জানতে পারলেন, লন্ডন শহরে তার চেয়ে বড় সেলিব্রেটি আর দ্বিতীয় কেউ নেই। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘চাইল্ড হ্যারল্ডস পিলগ্রিমেজ’ প্রকাশিত হয় ১৮১২ সালে। এটি প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লর্ড বায়রন একেবারে রাতারাতি তারকা খ্যাতি পেয়ে যান। মুদির দোকানের মুদিয়াল মনোহরি দ্রব্যাদি বিক্রি করছে অথচ হাতে বায়রনের কাব্যগ্রন্থ চাইল্ড হ্যারল্ডস পিলগ্রিমেজ। কোনো ইংরেজ নারী তার প্রাণপ্রিয় আত্মজকে স্তন্যপান করাচ্ছেন হাতে বায়রনের কাব্য চাইল্ড হ্যারল্ড। বন্ধু-বান্ধবীরা সবাই একত্রে খোশগল্প মেতেছেন, তবুও হাতে বায়রনের সেই কাব্যগ্রন্থ। এ বিষয়ে জুননু রাইনের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি নির্লিপ্ত কণ্ঠে বলেন—আমার কবিতাগ্রন্থ নিয়ে আপনারাই বেশি মাতামাতি করছেন। কবিতার পাঠক বর্তমানে ক্রমহ্রাসমান। গদ্যেরই এখন জয়জয়কার। আমি বলি, কী বলেন এসব! পৃথিবী পাল্টে দিতে পারে কবিতা। ফরাসি বিপ্লব, রুশ বিপ্লব আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধসহ আরও কত বৈশ্বয়িক ক্রান্তিকালে কবিতা মানুষদের জুগিয়েছে প্রেরণা, দিয়েছে মুক্তির দিশা। নেরুদার কবিতা ছিল চিলির সমস্ত স্বৈরশাসকের জন্য একটি মূর্তিমান আতঙ্ক। শ্রমিক, মাঠের কৃষক ও সাধারণ মানুষ দল বেঁধে আবৃত্ত করত নেরুদার রক্তজাগানো সেসব কবিতা। মৃত্যুর মুহূর্তে শেলির পকেটে যেমন কিটসের কবিতা ঠিক তেমনি চে-গুয়েভারার অন্তিম মুহূর্তেও প্রেরণা এবং পরিতৃপ্তির বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে হাতের মুঠোয় ধরা দিল নেরুদার কবিতার বই। তিনি ছিলেন বিপ্লবী আন্দোলনে নিপীড়িতদের নির্ভরশীল বন্ধু। বিশ্বাস করেন কবিতা হচ্ছে সোশ্যাল অ্যাক্ট অথচ প্রেমের কবিতার সংখ্যাও তার অজস্র। একবার একশটা সনেট লিখে উৎসর্গ করেছিলেন নিজের প্রিয়তমা স্ত্রী মাতিলদে উরুশিয়াকে। আমি এবার বললাম—আমার দিকে তাকিয়ে বলুন তো, এই একশটা সনেট কি তাজমহলের চেয়ে কোনো অংশে কম? জুননু আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন শুধু কিছুই বললেন না। কবি আজ নীরব।

লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।

ই-মেইল :  [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
সুন্দরবন
সুন্দরবন
কষ্টে আছে মানুষ
কষ্টে আছে মানুষ
গরমে ক্ষতি
গরমে ক্ষতি
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
নেতাহীন মুসলিম বিশ্ব কাঁদছে গাজায়
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
বন্দরের মাশুল
বন্দরের মাশুল
রাজনীতির মেরূকরণ
রাজনীতির মেরূকরণ
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
চাঁদের চেয়ে সুন্দর ছিলেন প্রিয় নবী (সা.)
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিলাম কেন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
ডাকসু নির্বাচন ও নেপালে সরকার পতন
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
ভাবনা তারার মত রাজে
ভাবনা তারার মত রাজে
সর্বশেষ খবর
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ দফা দাবিতে শাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি
৭ দফা দাবিতে শাবি ছাত্রদলের স্মারকলিপি

৫৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

জিহ্বার জন্য দায়বদ্ধ হোন
জিহ্বার জন্য দায়বদ্ধ হোন

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধানের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!
১ কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা!

৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ
সমুদ্রে মিলেছে আট ধরনের ভারী খনিজ

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে দুদকের অভিযান

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের
গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজারে বন্দুক হামলায় নিহত ২২
নাইজারে বন্দুক হামলায় নিহত ২২

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো হাসপাতালে ভর্তি
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো হাসপাতালে ভর্তি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ
গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১২ মানবপাচারকারী আটক
টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১২ মানবপাচারকারী আটক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জামালপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
জামালপুরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে মাদকসহ কারবারি গ্রেপ্তার
দিনাজপুরে মাদকসহ কারবারি গ্রেপ্তার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক
ঝিনাইদহে মোটরসাইকেলসহ ডাকাত সদস্য আটক

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে
সুরমা-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি
বাংলাদেশকে দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেখতে চায় ইইউ: বিএনপি

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
চাঁদপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব
ফেডারেশন কাপে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব ও আর্মি গলফ ক্লাব

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১
শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় গ্রেফতার ১

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু
ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৬০ মিটার নদীগর্ভে
রংপুরে তিস্তা সেতু রক্ষা বাঁধের ৬০ মিটার নদীগর্ভে

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘সুন্নী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পরিণাম ভাল হবে না’
‘সুন্নী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার পরিণাম ভাল হবে না’

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সর্বাধিক পঠিত
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা
১৭ বিয়ে কাণ্ডে বরখাস্ত হলেন সেই বন কর্মকর্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান
যে কারণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না জাপান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান
খেলা ছিল হাতে, শেষ মুহূর্তেই ভেঙে গেল স্বপ্ন: রশিদ খান

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
টানা ৪ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের
দোহায় হামলা চালানোয় নেতানিয়াহুকে শাস্তি পেতেই হবে, হুঁশিয়ারি কাতারের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ
ভারতে গণবিক্ষোভের শঙ্কা, ১৯৭৪ পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম
আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন
নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা
ঢাকার ৪ অভিজাত আবাসিক এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)
অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের যে প্রশ্নে চটে গেলেন ট্রাম্প (ভিডিও)

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
রমজানের আগেই নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা
এখন আন্দোলন ডাকার মানে হলো আলোচনার টেবিলকে অসম্মান করা

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা
মেট্রোরেল স্টেশনে দোকান ভাড়ার বিষয়ে নতুন বার্তা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা জিতলে বাঁচবে স্বপ্ন, হারলে কঠিন সমীকরণ বাংলাদেশের

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!
শৈশবের ‘আলিয়া’কে জড়িয়ে ধরলেন বর্তমানের আলিয়া!

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!
মানবপাচারের অভিনব কৌশল: ফুটবল টিম সেজে জাপানে পাড়ি!

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?
ন্যাটোর আদলে আরব-ইসলামিক জোট তৈরির সম্ভাবনা, আতঙ্কিত ভারত?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের
জবি উপাচার্যসহ পুরো প্রশাসনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু
অ্যাডিশনাল ডিআইজি জালাল উদ্দিন আহমেদের মৃত্যু

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান
ভারতে গেল ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন ইলিশের প্রথম চালান

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প
ব্রিটেনে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফরে ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর
জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু ২১ ডিসেম্বর

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা
গাজা শহরে বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণ চলছে, প্রাণ বাঁচাতে দক্ষিণে ছুটছে ফিলিস্থিনিরা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের
বাংলাদেশে ফ্রান্স ভিসাসেবা চালু ভিএফএস গ্লোবালের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমার শঙ্কা

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস
টার্গেট এখন বিএনপি মাইনাস

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!
বাংলাদেশ থেকে সস্তায় ইলিশ গেল ভারতে!

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন
বিভাগের এক জেলায় পরীক্ষামূলক পিআর দিন

নগর জীবন

বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান চারজন

নগর জীবন

আবার দখল সড়ক
আবার দখল সড়ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা
মাঠে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে অন্যরা

নগর জীবন

আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি
আমলাতন্ত্রে আটকা রোবোটিক সার্জারি

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে
রংপুরে ভাঙন, সিলেটে পানি বিপৎসীমার ওপরে

পেছনের পৃষ্ঠা

যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি
যেখানেই সাধন সেখানেই দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন
শহীদদের বিতর্কিত করার চেষ্টার অভিযোগে প্রথম আলোয় আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে
সব প্রকল্পের টেন্ডার হবে অনলাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা

পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে
পলাতক মালিকদের সম্পত্তি বিক্রি হচ্ছে

নগর জীবন

ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার
ভারতে পালানোর সময় সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

নগর জীবন

দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি
দেশের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

নগর জীবন

রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
রাজনৈতিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

পূর্ব-পশ্চিম

ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি
ইতিহাসে কোনো দিন এরকম কাজ হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি
অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পিআর পদ্ধতির দাবি

নগর জীবন

অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ
অভিন্ন দাবিতে জামায়াতসহ সাত দলের বিক্ষোভ আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক
পিআর পদ্ধতি হবে ধ্বংসাত্মক

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে
দুর্গাপূজা ঘিরে যে কোনো হীন উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিতে হবে

নগর জীবন

সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ
সাত কলেজ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় হলে সংকুচিত হবে শিক্ষার সুযোগ

নগর জীবন

এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি
এলডিসি ইস্যুতে সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জাতিসংঘের চিঠি

প্রথম পৃষ্ঠা

রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম
রোগীর মৃত্যু নিয়ে হাসপাতালে তুলকালাম

পেছনের পৃষ্ঠা

সমঝোতা স্মারক সই
সমঝোতা স্মারক সই

নগর জীবন

রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির
রাকসুতে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা চায় ছাত্রদল, বিপক্ষে শিবির

পেছনের পৃষ্ঠা

বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আইসিএসবি প্রেসিডেন্টের
বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আইসিএসবি প্রেসিডেন্টের

নগর জীবন

দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন
দুর্গাপূজা ঘিরে অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন

প্রথম পৃষ্ঠা

জবি ছাত্র সংসদের ভোট ২৭ নভেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা
জবি ছাত্র সংসদের ভোট ২৭ নভেম্বর রোডম্যাপ ঘোষণা

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি
নির্বাচনে অনীহা থেকেই তাদের কর্মসূচি

প্রথম পৃষ্ঠা