শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৮

হাতি দিয়ে সন্ত্রাস

সাইফুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
হাতি দিয়ে সন্ত্রাস

সম্রাট জাহাঙ্গীর তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন— ইথিওপিয়া থেকে জাহাজে চড়িয়ে সভাসদ মুকাবর খাঁ তাকে একটি হাতি উপহার দেন, যদিও হাতির প্রতি জাহাঙ্গীরের খুব যে একটা অনুরাগ ছিল তা বলা যায় না। তার পরও তার আত্মকথায় কম করে হলেও হাতি প্রসঙ্গ এসেছে পঞ্চাশবার। হাতির প্রতি বরং দুর্বার আকর্ষণ ছিল তার পিতা সম্রাট আকবর ও জাহাঙ্গীরের মধ্যম ভ্রাতা শাহজাদা দানিয়েলের। এসব কথা আমরা জানতে পারি আবুল ফজল ও তুজুক্-ই-জাহাঙ্গীরি অর্থাৎ সম্রাট জাহাঙ্গীরের আত্মজীবনী থেকে। আকবরের হাতিশালায় সর্বসাকল্যে হাতি ছিল ৩৫ হাজারের মতো। সে সময় অর্থাৎ সেই ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে শুধু হাতির খাওয়া বাবদ প্রতিদিন ব্যয় হতো ৪ লাখ টাকা। বর্তমান হিসাবে হয়তো তা শত কোটি টাকাও ছাড়িয়ে যাবে। সম্রাট জাহাঙ্গীর তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন— ‘পিতার হস্তীশালা ছিল অতুলনীয়। পৃথিবীর কোনো সম্রাটই এত হাতি সংগ্রহ করতে পারে নাই এবং পারবেও না। কিন্তু আমি সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর যুদ্ধ এবং আমোদ-প্রমোদের জন্য কয়েকটি হাতি রেখে অবশিষ্ট সব হাতি বনে ছেড়ে দিই।’ সম্রাট আকবর যে শুধু হাতি পছন্দ করতেন তা নয়। তিনি যে কোনো হাতিকে সম্মোহিত করতেও পারতেন। অনেক সময় এক হাতির পিঠ থেকে অন্য এক ভয়ঙ্কর ও অতিশয় দুর্দান্ত হাতির ওপর লাফিয়ে পড়তেন নির্দ্বিধায়।

এটি ছিল এমন এক হাতি যা ইতিপূর্বে বহু মাহুতকে অবলীলায় মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়েছে। সুতরাং এর পিঠে এভাবে আরোহণ করায় অনেক সুদক্ষ হাতিচালকও আশ্চর্যান্বিত হয়ে যেতেন। অনেক সময় দেখা যেত সম্রাট আকবর বড় কোনো বৃক্ষ থেকে কোনো একটি প্রকাণ্ড ও দুর্দান্ত হাতির পিঠে লাফিয়ে পড়লেন। তিনি বৃহৎ সেই হাতির পিঠে আরোহণ করামাত্র হাতিটিও যেন কোনো এক মন্ত্রবলে তার বশীভূত হয়ে যেত। সম্রাট জাহাঙ্গীরের সহোদর শাহজাদা দানিয়েলের অধীনে হাতি ছিল ১৫০০। দানিয়েলের মৃত্যুর পর হাতিগুলোকে দেখাশোনার ভার জাহাঙ্গীরের ওপরই বর্তায়। তিনি তার আত্মজীবনীতে আরও লিখেছেন- ‘আমার ভ্রাতার সুন্দর হস্তীর মধ্যে একটি অশেষ গুণসম্পন্ন হস্তী ছিল। আমি ইহার নাম “ইন্দ্রের হস্তী” রাখিয়াছিলাম। এত বৃহৎ হস্তী আমি পূর্বে কখনো দেখি নাই। ইহার পৃষ্ঠে আরোহণ করিতে হইলে চৌদ্দ ধাপবিশিষ্ট একটি মইয়ের প্রয়োজন হইয়া থাকে। ইহার স্বভাব এত মৃদু ও শান্ত যে অতিশয় উত্তেজিত হইলেও ইহার সম্মুখে কোনো শিশু পতিত হইলে তত্ক্ষণাৎ শুঁড় দ্বারা সরাইয়া সযত্নে তাহাকে নিরাপদ স্থানে রাখিয়া দেয়। ইহা এত দ্রুতবেগে চলিতে পারে যে, অতি দ্রুতগামী অশ্বকেও পশ্চাৎপদ করিয়া দেয়। এই হস্তী এত সাহসী যে একশত মত্ত হস্তীর সহিত অনায়াসে যুদ্ধ করিতে পারে। ইহার অন্যান্য অনেক সদ্গুণও আছে।

প্রতিদিন প্রাতঃকালে এই হস্তী ১৪ সের জল পান করে এবং প্রতি প্রাতে ও সন্ধ্যায় ইহার জন্য ৫৬ সের চাল, ২৮ সের ভেড়া কিংবা গোরুর মাংস, ১৪ সের তৈল অথবা ঘি দ্বারা রন্ধন করা হয়।’ হাতি মূলত নিরামিষভোজী হলেও রাজড়াদের হাতি বলে কথা! ওরা তো এসবই খাবে তাই না? চাণক্য কিংবা কৌটিল্য তো আরও একধাপ এগিয়ে তার অর্থশাস্ত্রে হাতিদের মদ ও মাংস খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

সমুদ্র কিংবা পাহাড়ের সামনে দাঁড়িয়ে মানুষ যেভাবে বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে, হাতির সামনেও বোধকরি দর্শনার্থী এর বিশালতা ও সৌন্দর্যে বিস্মিত হয়। এই প্রাণীটিকে দেখে যেমন মুগ্ধ হয়েছিলেন সলোমন দ্য গ্রেট। ইথোপিয়ার রানী ‘কুইন অব সিবা’ যখন সলোমনের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তখন তিনি এসেছিলেন হাতির পিঠে চড়ে। অন্যদিকে সলোমন রানী সিবাকে দেখা বাদ দিয়ে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে ছিলেন সিবার হাতিগুলোর দিকে। এর কারণ সম্ভবত রাজা সলোমন ইতিপূর্বে কোনো দিন হাতি দেখেননি। হাতি অবশ্য শেক্সপিয়রও জীবনে দেখেছিলেন কিনা বলা যায় না, (না দেখার সম্ভাবনাই অবশ্য বেশি)। যিনি ইংল্যান্ডের বাইরে এক পা না ফেলেই লিখে ফেলেন ‘মার্চেন্ট অব ভেনিস’, ‘টু জেন্টেলম্যান ফ্রম ভেরোনা’ ইত্যাদি নাটক। তার পক্ষে সবই সম্ভব। কারণ তার লিখিত নাটক ‘জুলিয়াস সিজারে’ আছে সিজারকে হত্যার ঠিক আগের রাতে ক্যাসিয়াস ব্রুটাসকে বোঝাচ্ছেন— ভালুককে ঘাবড়ানো যায় আরশি দেখিয়ে, আর হাতিকে ফাঁদে ফেলা যায় গর্তে ফেলে— ‘বেয়ার্স্ উইথ গ্লাসেস, এলিফ্যান্টস্ উইথ হোলস্।’

শুধু কিং সলোমন কিংবা শেক্সপিয়রই নয়, সাড়ে তিন হাজার বছর আগে তুরস্ক, ইরান, কাজাখস্তান প্রভৃতি দেশ থেকে আর্যরা যখন ভারতবর্ষে আসেন তখন তারাও হাতি চিনতেন না। কারণ ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে তখন হাতি পাওয়া যেত না। সেজন্যই আর্যজাতির প্রধান কীর্তি হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ ঋগ্বেদে ‘হস্তী’ শব্দটি মোটে পাঁচবার এসেছে। আর্যজাতি হাতি না চিনলেও মৃগ অর্থাৎ হরিণ চিনত খুব ভালো করে। আর এজন্যই তারা হাতিকে বলতেন ‘হস্তীমৃগ’, ঋগ্বেদেও সে কারণে হাতিকে হস্তীমৃগ বলে সম্বোধন করা হয়েছে।

প্রশান্ত মহাসাগরের পলিনেশিয়ান অঞ্চলে ফরাসি ঔপনিবেশিক দেশ তাহিতি দ্বীপের লোক শুধু শূকর চিনত। ইউরোপীয়রা যখন সেখানে ঘোড়া, কুকুর, ভেড়া আরও নানারকম জন্তু-জানোয়ার নিয়ে গেল তখন লোকজন ঘোড়াকে বলত চিঁ-হিঁ-হিঁ শুয়োর, কুকুরকে বলত ঘেউ ঘেউ শুয়োর, ভেড়াকে বলত ভ্যা ভ্যা শুয়োর। আর্যরা একইভাবে মৃগ চিনতেন, কেননা তারা শিকারে খুব পারদর্শী ছিলেন। তাদের খাবারদাবারের মূল উৎসই ছিল হরিণের মাংস। ভারতবর্ষে এসে যখন তারা হাতি দেখলেন তখন তাকে হাতওয়ালা হরিণ বলে ডাকতে লাগলেন। এক অর্থে হস্তী মানে তো হাতই।

এবার হাতি প্রসঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে দু-চার কথা বলি। এই তো কয়েকদিন আগে গাড়ি নিয়ে নিকুঞ্জ থেকে প্রধান সড়কে ওঠার জন্য যানজটে পড়েছি। সঙ্গে পুরো পরিবার। হঠাৎ কোত্থেকে বিশালাকৃতির এক হাতি এসে দাঁড়াল একেবারে গাড়ির সামনে। জানালা খুলে ড্রাইভার কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই হাতিটি ওর লম্বা শুঁড়টি ঢুকিয়ে দিল জানালার ভিতর দিয়ে। আর যায় কোথায়! আমার তিন বছরের ছেলেটি ভয় ও আতঙ্কে চিৎকার জুড়ে দিল। আমার স্ত্রী তড়িঘড়ি করে তার ব্যাগ থেকে ১০টি টাকা তুলে দিল হাতির শুঁড়ে। না, হাতি ১০ টাকা নিতে রাজি নয়। পিঠের ওপর থেকে হাতিটিকে কৌশলে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন চতুর মাহুত। হাতির দাবি ৫০ টাকা। অবশেষে ২০টি টাকা হাতির শুঁড়ে গুঁজে দিয়ে কোনোমতে সে সময়ের জন্য রক্ষা পাওয়া গেল। এর কিছুদিন আগের ঘটনা। আমার ভগ্নিপতি আমার দুই ভাগ্নে জাহিন ও জাবিরকে নিয়ে রেসিডেনশিয়াল স্কুল থেকে সবে বের হয়েছেন। ভাগ্নে দুটি পড়ে ওই স্কুলে। রিকশায় ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আচানক এক হাতি এসে সামনে হাজির। দাঁড়িয়ে গেছে শুঁড় উঁচিয়ে। ভাগ্নে দুটি তো ভয়ে অস্থির। ৫০ টাকা গচ্চা দিয়ে তবেই মুক্তি। মাসখানেক আগে আমার একজন অতি প্রিয় মানুষ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান নিজে ড্রাইভ করে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন ঢাকার পূর্বাচলের দিকে। সেখানেও হাতির চাঁদাবাজির দৌরাত্ম্য। আচমকা অতিকায় এক হাতি এসে পথরোধ করে দাঁড়িয়ে গেল তার গাড়ির সামনে। ব্যারিস্টার হাসানেরও রোখ চেপে গেল মাথায়। এসব কী! দিনদুপুরে চাঁদাবাজি! যাক অবশেষে অল্পের জন্য রক্ষা পায় তার ব্যক্তিগত গাড়িটি। ভাবতেই অবাক লাগে হাতির মতো এমন সংবেদনশীল প্রাণীকে দিয়ে চাঁদাবাজি করানো হচ্ছে। হাতি নিঃসন্দেহে সব প্রাণিকুলের মধ্যে অন্যতম বুদ্ধিদীপ্ত একটি প্রাণী। সেই সঙ্গে মানুষের স্বভাবচরিত্রের সঙ্গেও হাতির স্বভাব-চরিত্রের রয়েছে বিস্তর সাযুজ্য। বর্তমানে যদিও হাতি পোষা হয় প্রধানত চাঁদাবাজি ও সার্কাস খেলা দেখানোর জন্য। কিন্তু প্রাচীনকালে হাতি পোষা হতো মূলত হাতিকে যুদ্ধে ব্যবহার ও রাজা-জমিদারদের শিকারের প্রয়োজনে। ভারতে হাতির ব্যবহার সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ নীহাররঞ্জন রায় তার লেখা ‘বাঙালির ইতিহাস’ বইতে লিখেছেন— ‘গ্রিক ঐতিহাসিকেরা বলিতেন যুদ্ধে গঙ্গা রাষ্ট্রের সৈন্যবলের মধ্যে প্রধান বলই ছিল হস্তীবল।’ কিন্তু ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায় এই হস্তীবলই মার খেয়েছিল দুটি ক্ষেত্রে। বিশেষ করে আলেকজান্ডার ও তৈমুর লংয়ের কাছে।

যুদ্ধে হাতি ব্যবহারের চিন্তাভাবনার শুরু ভারতেই। ভারতীয় রাজা পুরু ও সম্রাট আলেকজান্ডারের সেই ইতিহাসবিখ্যাত যুদ্ধ— ফলাফলে পুরুরাজ হেরেছিলেন। কিন্তু অমিতবিক্রম সম্রাটও অবাক হয়ে গিয়েছিলেন ভারতের ছোট্ট এক রাজ্যের রাজার রণবাহিনীতে এত হাতি দেখে। যুদ্ধে হাতি তিনিও ব্যবহার করেছিলেন, তবে পুরুরাজের ১৩০টির তুলনায় তা নেহাতই কম। মাত্র ৩৮টি। তবু আলেকজান্ডারের বুদ্ধির কাছে তাকে হার মানতে হয়েছিল। এ ছাড়া হাতিকে ঘায়েল করার কলাকৌশল আলেকজান্ডারের জানা ছিল ভালোভাবেই। এর আগে প্রুশিয়ার যুদ্ধে তিনি গজবাহিনী স্বচক্ষে দেখেছিলেন।

চীনা সম্রাট কুবলাই খানকে চার হাতির পিঠের ওপর বসানো কাঠের তৈরি প্রাসাদে কীভাবে যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা পাওয়া যায় মার্কোপোলের বিবরণে।

১৩৯৮ সালে তৈমুর লং যখন ভারত আক্রমণ করেন তখন দিল্লির সুলতান নাসির উদ্দিন মাহমুদ শাহ তুঘলক সহস্রাধিক হাতি নিয়ে তৈমুর লংকে মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন। তার ধারণা ছিল যুদ্ধক্ষেত্রে চলমান পাহাড়ের মতো এসব প্রাণীকে তেড়ে আসতে দেখে লড়াইয়ের আগেই হয়তো হেরে বসে থাকবেন তৈমুর। কিন্তু তৈমুর লং ছিলেন একজন অতিশয় দক্ষ ও দুর্ধর্ষ সমরপতি। হাজারখানেক উটের পিঠে খড়ের স্তূপ চাপিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দিলেন তৈমুর। আগুনের গনগনে আঁচে সেসব উট উদ্ভ্রান্তের মতো আছড়ে পড়ল সেই হাতির পালের মধ্যে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে হাতিগুলোও ছুটতে লাগল দিগিবদিক। সুলতানের সৈন্যবাহিনীর বেশির ভাগই পদদলিত হলো নিজ হাতিবাহিনী দ্বারা। সে এক চরম মর্মান্তিক দৃশ্য। ঘরে পোষা হাতির কথা পাওয়া যায় হিন্দুদের প্রাচীনতম গ্রন্থ ঋগ্বেদে। এরও বহুপূর্বে মহেঞ্জোদারো-হরপ্পা থেকে সিলমোহরে পাওয়া গেছে দড়িবাঁধা হাতির ছবি। হরপ্পার কিছু পোড়ামাটির খেলনায় মিলেছে হাতির মূর্তি। এশিয়ার শিল্পীদের হাতে বানানো নানান জিনিসের ভিতর পাওয়া গেছে হাতিও। এগুলো প্রাক-সিন্ধু সভ্যতার। সিন্ধু উপত্যকা থেকে পাওয়া জিনিসপত্র খ্রিস্টজন্মের তিন হাজার বছর আগের। আজ থেকে দু-তিন হাজার বছর আগে এশিয়াজুড়ে শুধু হাতি আর হাতি। মুদ্রায় হাতি, ছবিতে হাতি, ভাস্কর্যে হাতি, ধর্মে হাতি। প্রাচীন লোকগাথায় হাতি। রাজার উপাধি ‘গজপতি’ ইত্যাদি ইত্যাদি।

ব্রিটিশ আমলে আমাদের প্রিয় শহর ঢাকাও ছিল হাতিময়। হাতির ঝিলে হাতিদের গোসল করানো হতো। হাতির পুল এলাকায় সে সময় একটি শক্তপোক্ত সাঁকো ছিল। সেই সাঁকো পার হয়ে এলিফ্যান্ট রোড (হাতির সড়ক) দিয়ে সব হাতি নিয়ে রাখা হতো পিলখানায়। (পিল অর্থও হাতি) সেসব হাতির দেখভাল করার জন্য মাহুতরা সাধারণত পুরান ঢাকার যে অঞ্চলটিতে থাকতেন তার নাম মাহুতটুলী। প্রখ্যাত কবি শামসুর রাহমানও জন্মেছিলেন এই মাহুতটুলীতে। অন্যদিকে সিরাজউদ্দৌলা যখন কলকাতা আক্রমণ করতে আসেন তখন তিনি তার হাতিগুলোকে যেখানে রেখেছিলেন সে স্থানের নাম ‘হাতিবাগান’। হাতির আরেকটি নাম হচ্ছে পিল। শুধু পিল বলে কথা নয় অভিধান ঘেঁটে দেখা যায় হাতির রয়েছে প্রায় অর্ধশত সমার্থক শব্দ। তার মধ্যে পিল, পীলু, ঐরাবত, গজ, দ্বিপ, দ্বিরদ এগুলো তো আছেই। এ ছাড়া হাতির একটি সমার্থক শব্দ দারুণভাবে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তা হচ্ছে ‘নাগ’। আমরা সাধারণত জানি সাপের সমার্থক শব্দ হচ্ছে নাগ। কিন্তু হাতির সমার্থক শব্দ নাগ হয় কী করে! নিজের জ্ঞান ফলানোর জন্য বলছি না। বহুদিন আগে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভ্রাতুষ্পুত্র কবি ও প্রাবন্ধিক ঋতেন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখিত একটি বইয়ে এ বিষয়ে পড়েছিলাম। বেশ কিছু বছর ধরেই বাংলাদেশের হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি শিরোনামে শুধু এ বছরই ডজনখানেকের মতো খবর ছেপেছে পত্রপত্রিকাগুলো। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত লিখেছে বাংলাদেশ প্রতিদিন। ৩ মার্চ ২০১৮ খবর ছেপেছে প্রথম আলো। এ ছাড়া যুগান্তর, সমকাল, পরিবর্তনসহ আরও অনেক পত্রিকা। এর পরও নেই কারও ভ্রুক্ষেপ। প্রশাসন ভাবলেশহীন ও নির্লিপ্ত। শুধু যে হাতি দিয়েই চাঁদাবাজি হচ্ছে তা কিন্তু নয়। আরও নানা ধরনের ও বৈচিত্র্যময় উৎপাত লক্ষ্য করা যায় শহরের অলিগলিতে, সড়ক ও প্রান্তরে। বেশ কয়েক বছর আগে বোধহয় পত্রিকাতেই পড়েছিলাম একশ্রেণির চাঁদাবাজের কথা তারা নাকি মানুষের বিষ্ঠা হাতে নিয়ে ঘুরত। নিরীহ পথচারী কিংবা যাত্রীরা টাকা না দিলে সেই পুরীষ ছিটিয়ে দেওয়ার হুমকি দিত সেই চাঁদাবাজরা। দু-তিন বছর আগে গুলশান-১ নম্বর ট্রাফিক সিগন্যালের আগে একদল বেদেনিকে দেখতাম ছোট ছোট কাঠের বাক্স নিয়ে ঘুরতে। রিকশা কিংবা গাড়িতে উপবিষ্ট যাত্রীদের প্রচ্ছন্নভাবে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করত। একদিন আমি সিগন্যালের সামনে যানজটে বসে আছি রিকশায়। ঠিক সে সময় এক বেদেনি কাছে এসে কাঠের ছোট্ট একটি বাক্স আমার মুখের সামনে ঘোরাতে ঘোরাতে টাকা চাইল। আমার যথেষ্ট সন্দেহ ছিল কাঠের ওই বাক্সের মধ্যে আদৌ কোনো বস্তু আছে কিনা! থাকলেও আমার ধারণা ওগুলো নির্বিষ ধরনের কোনো সাপটাপ হবে হয়তো। আমি আমার বাঁ-হাতটি ওর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললাম, তোমার ওই সাপ দিয়ে বরং হাতে একটা ছোবল খাইয়ে যাও কিন্তু কোনো টাকা-পয়সা দিতে পারব না। আমি বললাম, তোমাকে দেখে তো যথেষ্ট কর্মঠ মানুষ বলেই মনে হচ্ছে। কাজ করে খাও না কেন! এমন একটি পরিস্থিতির জন্য বেদেনিটি মনে হয় মোটেও প্রস্তুত ছিল না। আমার কথা শুনে সে হনহন করে চলে গেল নতুন কোনো শিকারের খোঁজে। এ ছাড়া আছে হিজড়া ও স্বেচ্ছায় পতিত ভিক্ষুকের দল। তৃতীয় লিঙ্গের এই মানুষগুলোর অত্যাচারে সাধারণ মানুষ একেবারে অতিষ্ঠ। সরকারের কি কোনো দায়বদ্ধতা নেই অবহেলিত এই জনগোষ্ঠীর প্রতি। প্রতিদিন শত শত ভিক্ষুক কোন সুড়ঙ্গ থেকে যে পিলপিল করে পিপীলিকার মতো বেরিয়ে আসে সে এক বিস্ময়। তারা কে, কোন জাতি, কোন সমাজের লোক কিংবা কেমন তাদের জীবনযাত্রা কখনই আমরা খতিয়ে দেখি না কিংবা দেখতে চাই না। অন্ধ, খঞ্জ, বিকলাঙ্গ, বিবিধ ব্যাধিগ্রস্ত, মেয়ে-পুরুষ ও বালক-বালিকার দল— সব বয়সের। কারও পরনে স্বল্পবসন, কারও শরীরে জীর্ণ কাপড়ের টুকরো, কোমরে জড়িয়ে রয়েছে ছেঁড়া ময়লা জামা, কারও চোখ নেশায় লাল, কারও মাথায় বন্যচুলের রাশ, কেউবা সর্বহারা। কারও কোলে কাঁকালে ঘুমের বড়িতে আচ্ছন্ন উলঙ্গ শিশু। যেসব মানুষ স্বেচ্ছায় বেছে নেয়নি ভিক্ষাবৃত্তি, হয়তো তাদের সত্যি সত্যি কোনো উপায়ান্তর নেই ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়া জীবনধারণের। দেশের সাধারণ মানুষের দাবি— সরকারের কর্তাব্যক্তিদের জন্য দামি দামি গাড়িবাড়ি না কিনে আগে পুনর্বাসন করতে হবে রাষ্ট্রের অবহেলিত এই মানুষদের।

            লেখক : গল্পকার ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।

ইমেইল :  [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
থানায় হামলা
থানায় হামলা
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
নূরুল হুদার জবানবন্দি
নূরুল হুদার জবানবন্দি
শেখ হাসিনার কারাদণ্ড
শেখ হাসিনার কারাদণ্ড
হিজরি সনের তাৎপর্য ও হিজরতের চেতনা
হিজরি সনের তাৎপর্য ও হিজরতের চেতনা
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
সংকটে রপ্তানি খাত
সংকটে রপ্তানি খাত
নতুন বাংলাদেশ
নতুন বাংলাদেশ
সর্বশেষ খবর
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা
কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’
‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’

৩২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিজ বাঁচাতে বিকেলে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
সিরিজ বাঁচাতে বিকেলে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

৩৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ভাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু
ভাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে রানওয়েতে আটকা মদিনা ফেরত উড়োজাহাজ
চট্টগ্রামে রানওয়েতে আটকা মদিনা ফেরত উড়োজাহাজ

৪০ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আলোচনায় প্রস্তুত হামাস, আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে
আলোচনায় প্রস্তুত হামাস, আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে

৪৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাছাই পর্বে শেষ লড়াই আজ, টাইগ্রেসদের চোখ শতভাগ সাফল্যে
বাছাই পর্বে শেষ লড়াই আজ, টাইগ্রেসদের চোখ শতভাগ সাফল্যে

৪৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?
ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুনামগঞ্জে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার
সুনামগঞ্জে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিবি পুলিশকে কুপিয়ে জখম মাদক কারবারিদের, মামলা
ডিবি পুলিশকে কুপিয়ে জখম মাদক কারবারিদের, মামলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সেন্সরে আটকে থাকা ‘অন্যদিন…’ প্রেক্ষাগৃহে আসছে ১১ জুলাই
সেন্সরে আটকে থাকা ‘অন্যদিন…’ প্রেক্ষাগৃহে আসছে ১১ জুলাই

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মুরাদনগরে গণপিটুনিতে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় আটক ২
মুরাদনগরে গণপিটুনিতে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় আটক ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আশুরা উপলক্ষে সিএমপির গণবিজ্ঞপ্তি, আতশবাজি-দা-ছুরি নিষিদ্ধ
আশুরা উপলক্ষে সিএমপির গণবিজ্ঞপ্তি, আতশবাজি-দা-ছুরি নিষিদ্ধ

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দেড় বছরে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা
দেড় বছরে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মব সন্ত্রাসে অতিষ্ঠ দেশ
মব সন্ত্রাসে অতিষ্ঠ দেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোলরক্ষকের ভুলে হারল পালমেইরাস, সেমিতে চেলসি
গোলরক্ষকের ভুলে হারল পালমেইরাস, সেমিতে চেলসি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প
নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে বসুন্ধরা শুভসংঘ লালমনিরহাট জেলা শাখার আয়োজনে পাঠচক্র
পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে বসুন্ধরা শুভসংঘ লালমনিরহাট জেলা শাখার আয়োজনে পাঠচক্র

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৬৫ হাজার ৫৭৩ হাজি
হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৬৫ হাজার ৫৭৩ হাজি

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত
৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

করাচিতে ভবন ধসে নিহত ১৪
করাচিতে ভবন ধসে নিহত ১৪

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান
১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৬৬ জন
বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৬৬ জন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নবীনগরে কৃষক দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
নবীনগরে কৃষক দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৬৫ হাজার ৫৭৩ হাজি
হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৬৫ হাজার ৫৭৩ হাজি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!
বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সবার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে সবার সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন মিথিলা
তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন মিথিলা

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইরান ছেড়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শক দল
ইরান ছেড়েছে জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শক দল

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধামরাইয়ে নাচের কারণে কনের বিয়ে ভাঙার সংবাদটি সত্য নয়
ধামরাইয়ে নাচের কারণে কনের বিয়ে ভাঙার সংবাদটি সত্য নয়

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে যা বলল চীন
তালেবান সরকারকে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে যা বলল চীন

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল-হিলালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স
আল-হিলালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের
মেটিকুলাস ডিজাইনে সমস্যা কোথায়, প্রশ্ন মাহফুজ আলমের

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কিছু দেশের ওপর ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
কিছু দেশের ওপর ৭০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট
উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চার ওমরাহ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করলো সৌদি আরব
চার ওমরাহ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থগিত করলো সৌদি আরব

১৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা
লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০০৮ সালের অবৈধ নির্বাচনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে : দুলু
২০০৮ সালের অবৈধ নির্বাচনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে : দুলু

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক লাখ শিক্ষক নিয়োগ, প্রার্থীদের জন্য এনটিআরসিএ’র সুখবর
এক লাখ শিক্ষক নিয়োগ, প্রার্থীদের জন্য এনটিআরসিএ’র সুখবর

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত সিরিয়া
১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত সিরিয়া

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান
১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দেশের এ পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন, প্রশ্ন জামায়াত আমিরের
দেশের এ পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন, প্রশ্ন জামায়াত আমিরের

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পিআর পদ্ধতিতে ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, বন্ধ হবে মনোনয়ন বাণিজ্য : মাসুদ সাঈদী
পিআর পদ্ধতিতে ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, বন্ধ হবে মনোনয়ন বাণিজ্য : মাসুদ সাঈদী

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সবজির বাজার চড়া, সহনীয় মুরগির দাম
সবজির বাজার চড়া, সহনীয় মুরগির দাম

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা: চমক রেখে বাংলাদেশের টি-২০ দল ঘোষণা
প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা: চমক রেখে বাংলাদেশের টি-২০ দল ঘোষণা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘কুলি’-তে আমির খানের রাফ লুক, ফার্স্ট লুকেই চমক
‘কুলি’-তে আমির খানের রাফ লুক, ফার্স্ট লুকেই চমক

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিএনপির বিকল্প প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে ইসলামি দলগুলো
বিএনপির বিকল্প প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে ইসলামি দলগুলো

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেফালীর মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন রামদেব
শেফালীর মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন রামদেব

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এমন কাউকে নির্বাচিত করবেন না যাকে পালিয়ে যেতে হয় : জ্বালানি উপদেষ্টা
এমন কাউকে নির্বাচিত করবেন না যাকে পালিয়ে যেতে হয় : জ্বালানি উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’
আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুটিংয়ে আসতে দেরি, গোবিন্দোকে কষে চড় মারেন অমরিশ পুরি!
শুটিংয়ে আসতে দেরি, গোবিন্দোকে কষে চড় মারেন অমরিশ পুরি!

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খুলনার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ
খুলনার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এখন অনলাইনেও দান করা যাবে পাগলা মসজিদে
এখন অনলাইনেও দান করা যাবে পাগলা মসজিদে

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
জিরো টলারেন্সে বিএনপি
জিরো টলারেন্সে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

রনি টকশোতে অসত্য তথ্য ছড়াচ্ছেন
রনি টকশোতে অসত্য তথ্য ছড়াচ্ছেন

নগর জীবন

আমে ভরা বাজার তবু কমেনি দাম!
আমে ভরা বাজার তবু কমেনি দাম!

পেছনের পৃষ্ঠা

মামলা হয়নি তবু গ্রেপ্তার আতঙ্কে গ্রাম পুরুষশূন্য
মামলা হয়নি তবু গ্রেপ্তার আতঙ্কে গ্রাম পুরুষশূন্য

প্রথম পৃষ্ঠা

আটকে গেল চার বিমানবন্দর
আটকে গেল চার বিমানবন্দর

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার মন্ত্রী তাজুল
শতকোটি টাকার মন্ত্রী তাজুল

প্রথম পৃষ্ঠা

হত্যা করলেই মিলত টাকা
হত্যা করলেই মিলত টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ট্রাফিক সিগন্যালে দেশীয় প্রযুক্তির স্বয়ংক্রিয় বাতি
ট্রাফিক সিগন্যালে দেশীয় প্রযুক্তির স্বয়ংক্রিয় বাতি

নগর জীবন

চালের বাজারে পাগলা ঘোড়া
চালের বাজারে পাগলা ঘোড়া

পেছনের পৃষ্ঠা

মুজিব পরিবার জমিদারতন্ত্র করেছিল
মুজিব পরিবার জমিদারতন্ত্র করেছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের এই পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন
দেশের এই পরিস্থিতিতে কীসের নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন করে বাঁচতে শেখাবে ‘চলো হারিয়ে যাই’
নতুন করে বাঁচতে শেখাবে ‘চলো হারিয়ে যাই’

শোবিজ

২২ লাখ পরিবারের জীবনমান বদলে দিয়েছেন যিনি
২২ লাখ পরিবারের জীবনমান বদলে দিয়েছেন যিনি

শনিবারের সকাল

ওষুধ সরবরাহ বন্ধ তৃণমূল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে
ওষুধ সরবরাহ বন্ধ তৃণমূল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে

নগর জীবন

জয়েই শেষটা রাঙাতে চান মেয়েরা
জয়েই শেষটা রাঙাতে চান মেয়েরা

মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা
যুক্তরাষ্ট্রে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ড্রেন পরিষ্কার, লাইটিং ও নিরাপত্তায় কাজ করছেন তরুণরা
ড্রেন পরিষ্কার, লাইটিং ও নিরাপত্তায় কাজ করছেন তরুণরা

শনিবারের সকাল

ছয় মাসের জন্য কানাডায় ববিতা
ছয় মাসের জন্য কানাডায় ববিতা

শোবিজ

নতুন ভালোবাসায় পারসা ইভানা
নতুন ভালোবাসায় পারসা ইভানা

শোবিজ

নব্বই পেরোনো এক নরসুন্দর
নব্বই পেরোনো এক নরসুন্দর

শনিবারের সকাল

পিআর পদ্ধতিতে রোধ হবে দুর্নীতি
পিআর পদ্ধতিতে রোধ হবে দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

আইএস তহবিলে অর্থ পাঠাতেন গ্রেপ্তারকৃতরা
আইএস তহবিলে অর্থ পাঠাতেন গ্রেপ্তারকৃতরা

প্রথম পৃষ্ঠা

অমিতাভের বার্তা জয়ার উচ্ছ্বাস
অমিতাভের বার্তা জয়ার উচ্ছ্বাস

শোবিজ

হারের বৃত্ত ভাঙার ম্যাচ মিরাজদের
হারের বৃত্ত ভাঙার ম্যাচ মিরাজদের

মাঠে ময়দানে

সরকারের ঘাড়ে ঋণের বোঝা
সরকারের ঘাড়ে ঋণের বোঝা

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্রুক-স্মিথের সেঞ্চুরিতেও এগিয়ে ভারত
ব্রুক-স্মিথের সেঞ্চুরিতেও এগিয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

রানের দেখা নেই লিটনের
রানের দেখা নেই লিটনের

মাঠে ময়দানে

টি-২০ স্কোয়াডে নাঈম-সাইফউদ্দিন
টি-২০ স্কোয়াডে নাঈম-সাইফউদ্দিন

মাঠে ময়দানে

আনকাট ‘শোলে’
আনকাট ‘শোলে’

শোবিজ