শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৯ আপডেট:

রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছি না, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাইছি

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছি না, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাইছি

রাতে আনন্দ নিয়ে ঘুমালে সকালে দুঃস্বপ্ন নিয়ে উঠতে হয়। মন বিষণ্ন, বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আতঙ্ক গোটা দেশকে গ্রাস করেছিল। আশঙ্কা ছিল, অনেক প্রাণহানি ঘটবে। সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল প্রশংসার। কিন্তু আল্লাহর অসীম রহমত আর আমাদের সুন্দরবনের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ প্রকৃতির আঘাতকে রুখে দেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যতটা হওয়ার, ততটা হয়নি। ১৪ জনের প্রাণহানি, ১৫ জেলার কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও ৪ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারকে অভিনন্দন জানাতে হয় যে, আগাম প্রস্তুতি নিয়ে উপকূলবর্তী ১৮ লাখ মানুষকে সরিয়ে এনেছিলেন নিরাপদে। ত্রাণ তৎপরতা ও পুনর্বাসনের প্রস্তুতিও রাখা হয়েছিল বুলবুলের আঘাতের পরপরই শুরু করার। তাও শুরু হয়েছে। বুলবুলের আঘাতে যে কজনের প্রাণহানি ঘটেছে তার মধ্যে মাছ ধরার ট্রলার উল্টে ১০ জেলের মৃত্যু সবাইকে বেদনার্ত করেছে। এই সময়ে মাছ ধরা পড়ে বলে মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে জেলেরা আগ্রাসী হয়ে পড়েন। এত সতর্ক করার পরও তাদের দাবিয়ে রাখা যায়নি। লোভ কখনোসখনো নিয়তির কাছে জীবনের সলিলসমাধি ঘটায়। তাদের ভাগ্যে তা-ই ঘটেছে।

১২ নভেম্বর মঙ্গলবার ছিল আমার ৫৬তম জন্মদিন। সোমবার রাত থেকেই দেশ-বিদেশের স্বজনরা আমাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলেন। তাদের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে অনেক রাতে ঘুমাতে গিয়েছি। ১৯৬৩ সালের ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার জল-জোছনার শহর সুনামগঞ্জের ছায়াসুনিবিড় বাড়িতে বাবা-মায়ের সপ্তম সন্তান হিসেবে আমি জন্মেছিলাম। ছবির মতো সাজানো গ্রামীণ শহরের চারপাশজুড়ে বিস্তীর্ণ হাওর। শহরের বুক চিরে বইছে সুরমা। মেঘালয়ের পাদদেশে শুয়ে থাকা সুনামগঞ্জের বাড়িতে আমাদের আট ভাইবোনের সংসার ছিল আনন্দের। সংসারে টানাপড়েন ছিল। কিন্তু উপচে পড়া সুখও ছিল। অকালে চার ভাইবোন চিরনিদ্রায় শায়িত হয়। চার ভাইবোন বেঁচে আছি। সাম্প্রদায়িক শব্দটির সঙ্গে আমরা পরিচিত ছিলাম না। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে শহরে পরিবারে পরিবারে সামাজিক বন্ধন ছিল আত্মার গভীরে। একটা মধ্যবিত্ত, মূল্যবোধ ও ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে বেড়ে উঠলেও অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ নিয়ে বেড়ে উঠেছিলাম। শৈশবে ভীষণ চঞ্চল ছিলাম। যখন হাঁটা শিখেছি কোনো পুকুর, খাল-বিলে ডুবে মরি তাই মা কোমরে ঘুঙুর বেঁধে দিয়েছিলেন। কৈশোরে ছিলাম দুরন্ত ডানপিটে। পরিবার, স্কুল, পাড়াপড়শি সবাইকে জ্বালিয়ে মেরেছি। আমাদের সময় ছেলেবেলায় শুধু পরিবারের অভিভাবকরাই স্নেহ শাসনে রাখতেন না। পাড়াপড়শি, আত্মীয়স্বজন ও সামাজিক অভিভাবকদের ছায়াও ছিল কঠোর। মুরুব্বিদের প্রতি সম্মান ও ভয় ছিল সীমাহীন। তখনো সমাজকে লোভ-লালসা, অবৈধ অর্থ-বিত্তের মোহ গ্রাস করেনি। আদর্শিক রাজনীতি ছিল মানুষের গভীর সম্মানের জায়গায়। ছাত্রনেতা থেকে গণনেতারা ছিলেন নায়কের আসনে। সেই সমাজ, সামাজিক মূল্যবোধ অবক্ষয়ে পতিত। সেই আদর্শিক রাজনীতি নির্বাসিত হতে হতে রাজদুর্নীতিতে প্রবেশ করেছে। পেশাদারিত্বের ঐতিহ্য হারিয়ে নানা পেশার মানুষ দলকানা, দলদাসে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রদায়িকতা ও ক্ষমতার দাম্ভিকতা সেই সঙ্গে বেআদবির একটা উন্মাদনা চলছে।

অতীতের কথা মনে হলে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি। সাদাকালো যুগটাই আমাকে গভীরভাবে টানে। এখনো মুষলধারে বৃষ্টি নামে বর্ষায় আমাদের শহরে। মেঘালয়ের কোলে শুয়ে থাকা সুনামগঞ্জের বৃষ্টি এখনো মুগ্ধ করে। শহরের ধূলিকণা গায়ে মাখা পথে কত রাত জোছনায় ভিজতে ভিজতে ঘরে ফিরেছি। গানের সুরে লালিত কবির কোমল হৃদয় নিয়ে শহর আমাকে বড় করে তুলেছে। প্রেমের শহর, গানের শহর, আড্ডার শহর ও সম্প্রীতির শহর সুনামগঞ্জে স্কুলজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর মহান আদর্শে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে নিবেদিত হয়েছি। তিন ভাই পরম্পরায় পায়ে পায়ে একই রাজনীতি করেছি। তিন ভাই একসঙ্গে ক্রিকেট খেলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ দিন পর্যন্ত ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থেকেছি। পেশাগত দিক থেকে আইনজীবী হওয়ার শখ ছিল আমার। দুই ভাই আইনজীবী হলেও আমার শখ পূরণ হয়নি। রাজনীতি করার কথা ছিল, কেন হয়নি? আমার ৫০ বছর পূর্তিতে প্রকাশিত প্রামাণ্যগ্রন্থে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার লেখায় সেই ঘটনা উল্লেখ করেছেন। ’৮৪ সালে রাকসুর পত্রিকা সম্পাদক মরহুম আমান উল্ল্যাহ ও অগ্রজ কবি রেহান উদ্দিন রেজু আমাকে সাংবাদিকতায় টেনে নেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হলেও আমি সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্রমিছিলের নিয়মিত মুখ হয়ে উঠি। তখন উত্তরবঙ্গের বহুল প্রচারিত দৈনিক বার্তায় দুই হাত খুলে নিয়মিত গল্প লিখলেও অস্থির মন সেখানে বেশিদিন ঠাঁই দেয়নি। সেনাশাসন জমানায় কারাবরণও করেছি।

বিশ্ববিদ্যালয়-জীবন শেষে সাংবাদিকতার পেশার তারে জীবন জড়িয়েছিলাম বিত্ত-বৈভবের মোহে নয়, মানিক মিয়া হতে চেয়েছিলাম। একটি মহান অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শোষণমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম। রিপোর্টিং জীবনে রাজনৈতিক ও সংসদ বিটে কাজ করতে গিয়ে আমি বরেণ্য রাজনীতিবিদ ও পার্লামেন্টারিয়ানদের স্নেহ-সহযোগিতা পেয়েছি। রাজনীতির অন্দরমহলের খবর বের করার তীব্র নেশায় গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেছি। রিপোর্টিং করতে গিয়ে কখনো কোনো সিন্ডিকেটে প্রবেশ করিনি। নিজের আত্মবিশ্বাস, সেন্স অব নিউজ, পরিশ্রম ও গতিকে কাজে লাগিয়েছি। দলীয় বৃত্তের বাইরে এসে কাজের জায়গাকে ইবাদত মনে করেছি। রিপোর্টিং জীবন ছেড়ে কলাম লিখতে গিয়েও প্রথা ভেঙেছি। ইনিয়ে-বিনিয়ে নয়, রাখঢাক নয়, যা বিশ্বাস করেছি, যা দেখেছি এবং যা পর্যবেক্ষণ করেছি তা-ই অকপটে সহজ-সরল ভাষায় সাহিত্যের রসবোধে কাব্যিক ভঙিমায় উপস্থাপন করেছি। কে কী ভাবল, কে কী বলল তা কখনো আমলে নিইনি। মিডিয়া-স্বীকৃত প্রহসন অব দ্য রেকর্ডের শৃঙ্খল আমি কখনো মানিনি। সত্যই আমার কাছে বড়। নিরপেক্ষতাও আমার কাছে নির্বাসিত। মানবতাবাদী বিশ্বনন্দিত লেখক কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার সব বেদনার শক্তির আশ্রয়। আর আমার ভিতরে বাস করা মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সাহসের উৎস। অগণিত পাঠকের ভালোবাসা, আস্থা-বিশ্বাস আমার দায়বদ্ধতার জায়গা। আমার স্বভাব হলো কোথাও ভালোবাসা পেলে বার বার যাই। কেউ বিরক্ত হলে ভুলেও সেদিকে পা বাড়াই না। কাউকে পছন্দ না হলে তার দিকে ফিরেও তাকাই না। কৌশলী হওয়ার শব্দটি আমার চরিত্রের সঙ্গে খাপ খায় না। অনেকে বলেন আবেগ আমার শত্রু। আমি বলি, আবেগ আমার মুক্তিযুদ্ধের শক্তি। আবেগ-অনুভূতিহীন, রসবোধ, আত্মমর্যাদা ও ব্যক্তিত্বহীন মানুষকে আমার কখনো পূর্ণাঙ্গ মানুষ মনে হয় না। প্রিয়জনদের ওপর মেজাজ করলেও তা সাময়িক। যেখানে ভালোবাসা সেখানেই আমার সংঘাত হয়। প্রেমহীন মানুষের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ হয় না। এবং সেই মেজাজ খুব ক্ষণস্থায়ী হয়। বিষ পুষে রাখা আমার স্বভাবে নেই। কোনো সরকারের কাছ থেকে কোনো সুযোগ-সুবিধা না নিলেও সমাজ সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি বলে মানিক মিয়া হতে পারিনি। আমারও কবির মতো কোমল হৃদয় আছে। সেখানে অন্তহীন তৃষ্ণা, অতৃপ্তি ক্ষত ও দহন রয়েছে। মাঝে মাঝে আপস করে বেঁচে থাকার নীতি আমাকে ক্লান্ত, বিষাদগ্রস্ত করে। প্রেমহীন মায়া-মমতাহীন, স্বার্থপর নষ্ট সমাজ আমাকে নিঃসঙ্গ করে দেয়।

ছাত্র রাজনীতির কালে বা পেশাগত জীবনের শুরুতে যেসব রাজনীতিবিদের সঙ্গে হৃদ্যতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, তাদের অনেকেই চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন। অল্পসংখ্যক রাজনীতিবিদ বেঁচে আছেন। অনেককে আমি রাজনীতির অঙ্গনে বিচরণ করতে দেখলেও কেন জানি রাজনীতিবিদ মনে করেতে পারি না। এ আমার ব্যর্থতা। আমি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সত্য সে যে কঠিন, কঠিনেরে ভালবাসিলাম’ নীতিতে পথ হাঁটার চেষ্টা করি। আমি তাঁর ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চল রে’ হৃদয়ের ডাক গ্রহণ করি। আমি ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ারের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। ব্যক্তিগতভাবে একটি ধর্মপ্রাণ মুসলিম পরিবারে জন্ম নিলেও, ধর্মবিশ্বাসী হলেও, রাজনীতিতে ধর্মকে টেনে আনার ঘোর বিরোধী। ধর্মবিদ্বেষ, সাম্প্রদায়িক উসকানির আমি ঘোর বিরোধী। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে সব মত-পথের মানুষের সঙ্গে নাস্তিকরাও বসবাস করবেন। কিন্তু কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা, কথায় কথায় সংখ্যালঘুদের আক্রমণ আমার কাছে ঘৃণিত অপরাধ।

জন্মদিনে সবার শুভেচ্ছা-ভালোবাসায় আপ্লুত হয়ে আমি শুধু মিনতি করেছি এই দোয়াটুকু করতেÑ মহান আল্লাহ যেন আমাকে হায়াত দেন এবং নির্ভয়ের সঙ্গে সত্য উচ্চারণের ক্ষমতা দেন। সত্য উচ্চারণের জন্য কার গাত্রদাহ হলো, কে নোংরা আক্রমণের মিথ্যাচারের পথ গ্রহণ করলেন, তাও আমি আমলে নিই না। কারণ আমি বিশ্বাস করি, সত্যের জয় যেমন অনিবার্য, মিথ্যার পরাজয় তেমন নিশ্চিত। অন্যদিকে দুর্নীতিবাজ ও দুর্বৃত্তরা যতটা দাপটই দেখাক না কেন, জনগণের শক্তির কাছে তারা অসহায়। মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযান দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত পরাক্রমশালী দুর্নীতিবাজদের কালো হাত ভেঙে দিতে পারবে- এই স্বপ্ন আমি নতুন করে দেখি।

যাক, ১১ নভেম্বর ছিল দক্ষিণ এশিয়া কাঁপানো কূটনীতিক মরহুম স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর জন্মদিন। তিনি স্পিকার হিসেবে শেখ হাসিনার প্রথম শাসনামলের শেষ দিকে ইন্তেকাল করেন। জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারের পাশে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন। একজন অভিজাত উচ্চশিক্ষিত ভদ্রলোক হলেও তার স্নেহ-সান্নিধ্য লাভ করতে গিয়ে তার সেন্স অব হিউমার এবং হৃদয়ের বিশালতা আমাকে মুগ্ধ ও অভিভূত করেছে। একজন শৌখিন বিলাসী মানুষ হিসেবে জন্মের পর থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাটিয়েছেন। একজন গণমুখী মানবতাবাদী মানুষ হিসেবে তিনি সিলেটের উন্নয়নেই ভূমিকা রাখেননি; জাতিসংঘের ৪১তম অধিবেশনে সভাপতির আসন অলংকৃত করে আমাদের সম্মানিতই করেননি, মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশাল অবদান রেখেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলার সময় ’৭১-এর ৫ ডিসেম্বর ভারতের সংসদ অধিবেশনে বাংলাদেশ মিশনের প্রধান হিসেবে ভাষণই দেননি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে স্বীকৃতি আদায়ে ৪০টি দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছিলেন। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করে পররাষ্ট্র সচিব হয়েছিলেন।

চাকরি জীবন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তার অবদান ইতিহাসে অমরত্ব দিয়েছে। সিলেট সদর থেকে তিনি তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জকে একটা বিচ্ছিন্ন, অবহেলিত জনপদ থেকে আধুনিক উপজেলায় পরিণত করেছিলেন। সংসদে তিনি অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে স্পিকারের দায়িত্ব পালনকালে বিরোধী দলে যারা তাকে গালি দিতেন, তাদের তিনি হৃদয় থেকে ক্ষমা করতেন বলে পরে দেখেছি, তাদের অনেকে তার অফিসকক্ষে শ্রদ্ধায় পায়ে ধরে সালাম করতেন। বাংলা, ইংরেজি, উর্দু, ফরাসি ও ইতালি ভাষার ওপরই তার অগাধ পান্ডিত্য ছিল না; একজন উদার আধুনিক মানুষ হলেও ইসলামের প্রতি তার পান্ডিত্য ছিল বিস্ময়কর। কোরআন শরিফে বর্ণিত এমন কোনো ঘটনা নেই গল্পে আড্ডায় দেখেছি জানা নেই। তিনি আমাকে আইপিও সম্মেলনে সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে জর্ডানে এবং জাতিসংঘে নিয়ে গিয়েছিলেন। জর্ডান সফরকালে তিনি কোরআন শরিফে বর্ণিত অনেক ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখিয়েছেন। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সিলেট শহরে দরগাহ গেটস্থ রশীদ মঞ্জিলে ১৯২৮ সালের ১১ নভেম্বর তিনি জন্ম নেন। তার পিতা আবদুর রশীদ চৌধুরী অবিভক্ত ভারতের বিধানসভার সদস্য ছিলেন এবং মা সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য। তিনি শিলংয়ে স্কুলজীবন, আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ও ইংলিশ বারে অধ্যয়ন করে ’৫৩ সালে কূটনৈতিক জীবন শুরু করে পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন ’৮৪ সালে।

 

বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সময় তিনি জার্মানিতে রাষ্ট্রদূত ছিলেন। সে সময় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও তার স্বামী পরমাণুবিজ্ঞানী ওয়াজেদ আলী মিয়ার সঙ্গে শেখ রেহানাও ব্রাসেলসে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে বঙ্গবন্ধুর অনুকম্পায় রাষ্ট্রদূত হওয়া সানাউল হক খান তাদের খুব সমাদর করে রেখেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে সেই মহাদুঃসময়ে পারলে তাদের তড়িঘড়ি বাড়ি থেকে বের করে দেন। এমন অবস্থায় হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী চাকরি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সীমান্ত থেকে তাদের এনে তার বাড়িতে আশ্রয় দেন। সেখান থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের দিল্লি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এজন্য হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীকে ওএসডি করে সেনাশাসক জিয়াউর রহমান ঢাকা এনেছিলেন। তার জার্মানির বাসবভনে হামলাও হয়েছিল। কিন্তু তার মা বলেছিলেন, তুমি তোমার সঠিক দায়িত্ব পালন করেছ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এই মহান মানুষটিকে সম্মান দিতে কার্পণ্য করেননি। কুমিল্লার বিখ্যাত দারোগাবাড়ির মাহজাবিন রশীদ চৌধুরীকে বিয়ে করে সুখের দাম্পত্যজীবন কাটিয়েছিলেন। কিন্তু ধানমন্ডির ২৭ নম্বর রোড দিয়ে যখন যাই, তখন তার বাড়ির দিকে তাকালে বুকটি হু-হু করে ওঠে। মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত তার কন্যা নাসরীন চৌধুরী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অকালে চলে গেছেন। তার একমাত্র পুত্র নোমান রশীদ চৌধুরীর পর প্রিয়তমা স্ত্রীও ইন্তেকাল করেছেন। হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ক্ষমতায় থাকতে যারা তাকে ঘিরে থাকতেন তার জন্ম ও মৃত্যুদিনে তার স্মরণে তারা কোনো কিছু আয়োজন করেন না। সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলও তার নামে করা হয় না। তার একান্ত সচিব ছিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান। অক্লান্ত পরিশ্রমী, মেধাবী, দক্ষ ও পেশাদার অমায়িক ব্যবহারের এই মানুষটির মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ রয়েছে। হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর পুত্র স্নেহ তিনি লাভ করেছেন। তিনি একটি স্মৃতি পরিষদ করে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে এবার তার জন্মদিন পালন করে আমাদের কৃতজ্ঞ করেছেন। আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় নেতা দল ও দেশের জন্য আজীবন নিবেদিতপ্রাণ হয়ে ঐতিহাসিক অবদান রেখে মৃত্যুবরণ করেছেন। দল তাদের কেন স্মরণ করে না, আমি বুঝতে পারি না।

মঙ্গলবার সকালে উঠেই মনটা আবার বিষাদে ভরে যায় রেল দুর্ঘটনার সংবাদে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে এই লেখা পর্যন্ত ১৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অনেক লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ২টা ৪৮ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন  দুটির মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের চালক সিগন্যাল অমান্য করায় এ দুর্ঘটনা। নারী-শিশু ও পুরুষের লাশ ঘিরে মাতম চলছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শোক জানিয়েছেন। নিহতদের পরিবারকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আহতদের ১০ হাজার টাকা করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা দিচ্ছে। শতাধিক আহত নানা হাসপাতালে। পাঁচজন বরখাস্ত। কয়েকটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। ট্রেন দুর্ঘটনা ও সড়ক দুর্ঘটনায় কিছুদিন পরপর মানুষের মৃত্যু আমাদের বেদনার্ত করে। সরকার, প্রশাসন, জনগণকে প্রবল ঝাঁকুনি দেয়। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না। একসময় আমরা স্বাভাবিক হয়ে যাই। সবকিছু সয়ে যাই। সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনির নিহত হলে তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের পদত্যাগ চেয়েছিলাম। গণমাধ্যম তাকে তুলাধোনা করেছিল। তিনি যখন মন্ত্রী নন, তখন আমরা সিনিয়র সাংবাদিকদের একটি দল কুয়ালালামপুরে আয়েবার সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলাম। এয়ারপোর্টে আমাদের দেখে তিনি অতুলনীয় অমায়িক ব্যবহার নিয়ে মিষ্টি হাসি ছড়িয়ে এগিয়ে এসে বললেন, আমার পদত্যাগ চেয়েছিলেন এখন তো আর কারও পদত্যাগ চান না! ভদ্র, সজ্জন মানুষ হিসেবে তার এই মিষ্টি কথা আমাকে লজ্জা ও গ্লানিতে ডুবিয়েছিল।

আমাদের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় কোনো দুর্ঘটনায় লাশের মিছিল দেখলেও সংশ্লিষ্ট দফতরের দায়িত্বশীল কোনো মন্ত্রী নৈতিক দায় নিয়ে কখনো পদত্যাগ করেন না। নেহরুর রেলমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী, যিনি সেই কোন কবে ভারতের রেল দুর্ঘটনায় পদত্যাগ করেছিলেন, সেই উদাহরণ টেনে আনলেও আমাদের কারও হৃদয় স্পর্শ করে না। লাল বাহাদুর পরে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। এ দেশে জহির উদ্দিন খান ছাড়া নিজ থেকে কারও পদত্যাগের ইতিহাস নেই। আমরা রেলের অনিয়ম, রেললাইনের অব্যবস্থাপানা, চালকদের অদক্ষতা, পরিবহন সেক্টরের নৈরাজ্য নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলি কিন্তু অগ্রগতি যতটা যা হয়, তা হতাশ করে। শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠেছে। দুর্নীতি সহনীয় পর্যায়ে এলে, বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ হলে, অনিয়ম রুখতে পারলে, ব্যাংক ঋণের সুদ সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসতে পারলে, শেয়ারবাজার ও ব্যাংক লুটেরাদের শাস্তি দিতে পারলে এবং সংস্কার ঘটাতে পারলে উন্নয়নের চিত্র অনেক উঁচুতে চলে যাবে। আমি আজ কসবার মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় মানুষের করুণ মৃত্যু ও শোকের মাতমে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছি না। জানি, পদত্যাগ চাইলে কেউ নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগ করবেন না। মাঝখানে অনেকে রাগান্বিত হবেন। আমি চাইছি, মাননীয় মন্ত্রীদের কাছে অ্যারাবিয়ান ব্ল্যাক হর্স শেখ হাসিনার গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আপনারাও ছুটুন। আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ইমানের সঙ্গে, দক্ষতার সঙ্গে পালন করুন এবং মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি দিন। মানুষের জানমালের হেফাজত করুন।

                লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
সর্বশেষ খবর
দুটি ছবি থেকে বাদ, তবুও নিজের অবস্থানে অটল দীপিকা
দুটি ছবি থেকে বাদ, তবুও নিজের অবস্থানে অটল দীপিকা

৩ মিনিট আগে | শোবিজ

যেসব কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করা আবশ্যক
যেসব কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করা আবশ্যক

৩৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার নানা দিক
প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার নানা দিক

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

রাজস্থানে শুটিং চলাকালীন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছিলেন বিবেক
রাজস্থানে শুটিং চলাকালীন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছিলেন বিবেক

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এবার বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ককটেল বিস্ফোরণ
এবার বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ককটেল বিস্ফোরণ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হাজারীবাগ বেড়িবাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন
হাজারীবাগ বেড়িবাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় দুই পথচারীর মৃত্যু
মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক দুর্ঘটনায় দুই পথচারীর মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও
সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দরকষাকষির বিষয় নয়, টিকে থাকার প্রশ্ন: ফরিদা আখতার
জলবায়ু অর্থায়ন কোনো দরকষাকষির বিষয় নয়, টিকে থাকার প্রশ্ন: ফরিদা আখতার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জর্জিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের দুয়ারে স্পেন
জর্জিয়াকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের দুয়ারে স্পেন

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুন্সীগঞ্জে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মুন্সীগঞ্জে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ল চার দোকান
পাকুন্দিয়ায় আগুনে পুড়ল চার দোকান

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইয়াবাসহ দুই যুবক আটক

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

আগারগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণ
আগারগাঁওয়ে ককটেল বিস্ফোরণ

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল
সেনেগালকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিল ব্রাজিল

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার
ভাঙ্গা থানায় হামলার ঘটনায় আ.লীগের তিন নেতা গ্রেফতার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত
রমজান ও ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত

৭ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা
বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, মরদেহের পাশে মিলল গুলির খোসা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের
বিএনপি এখনো জনপ্রিয় হতে পারেনি, জামায়াত হয়েছে: ডা. তাহের

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার
রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার
নওগাঁয় চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

১৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!
অস্থিরতার ফাঁদে দেশ!

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

১৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী
এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা
সোমবার শেষবারের মতো রিংয়ে নামছেন জন সিনা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’

শোবিজ

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি
নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি

শোবিজ

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

উর্বশীর জীবন পরিবর্তন
উর্বশীর জীবন পরিবর্তন

শোবিজ

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে
বিচারকের ছেলে হত্যায় লিমন রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস থামছেই না
আগুনসন্ত্রাস থামছেই না

প্রথম পৃষ্ঠা

পালিয়েছে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার পরিবারের সদস্য
পালিয়েছে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার পরিবারের সদস্য

খবর