রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ময়ূর

ময়ূর

ময়ূর চমৎকার ও আকর্ষণীয় রঙের পাখি। এ উপমহাদেশের নীল ময়ূর একটি বিপন্ন প্রাণী। ময়ূরের পালক অসাধারণ উজ্জ্বল, ধাতব আভাযুক্ত সবুজ ও নীল রঙের। লেজের উপরিভাগের পালকগুলো অতিশয় লম্বা; পেখম মেললে এর দৈর্ঘ্য হয় ১ মিটারের বেশি। তামাটে-সবুজ ও নীল রঙের সংমিশ্রণে সজ্জিত চওড়া পালকে অলংকৃত থাকে রঙিন চোখের মতো বড় বড় ফোঁটা দাগ। ময়ূর ও ময়ূরীর প্রণয়লীলার সময় মেলানো পেখমের আন্দোলন অতি বৈশিষ্ট্যময়। খাঁচায় বদ্ধ ময়ূর এমনিতেও অনেক সময় পেখম মেলে, সম্ভবত তা মানুষকে দেখাবার জন্য। লেজের পালকসহ ময়ূরের  দৈর্ঘ্য ২-২.২৫ মিটার, ময়ূরী লম্বায় হয় প্রায় ৮৬ সেমি। ময়ূরীরও মাথায় মুকুট থাকে, তবে পেখম মেলার মতো লেজে উজ্জ্বল লম্বা পালক নেই। এদের মাথা ও ঘাড় হালকা বাদামি, দেহের ওপরের অংশ বাদামি। ঘাড়ের নিচের অংশ নীল রঙের নয়, উজ্জ্বল সবুজ। পেট সাদা, কিছুটা হলুদ আভাযুক্ত। অপরিণত বয়সের ময়ূর দেখতে অনেকটা পরিণত বয়সের ময়ূরীর মতো, তবে পালক বহুলাংশে লালচে-ধূসর। প্রজনন মৌসুমে ময়ূর বিশেষ ধরনের কর্কশ সুরে ডাকে। ময়ূর বহুগামী, প্রতিটি ময়ূর চার-পাঁচটি স্ত্রী পাখি একসঙ্গে নিজের অধিকারে রাখতে চায়। সাধারণত জানুয়ারি-এপ্রিল এদের প্রজননকাল, তবে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরেও প্রজনন ঘটে। ময়ূরী সাধারণত ফোঁটা দাগবিশিষ্ট চার-ছয়টি ডিম পাড়ে। বাচ্চা ফুটতে লাগে ২৬-২৮ দিন। আজ থেকে প্রায় ৪০ বছর আগেও গাজীপুরের বনে ময়ূর-ময়ূরী বাস করত বলে জানা যায়। আশঙ্কা করা হয়, এখন এ দেশ থেকে এরা বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর