শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৫ জুন, ২০২১

এলএসডি যুগে টিকটক রাজনীতি

সৈয়দ বোরহান কবীর
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
এলএসডি যুগে টিকটক রাজনীতি

পত্রিকায় দেখে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কীসের ছবি। এই ছেলেরা কি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের কোনো আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য গ্রেফতার হয়েছে? পুলিশ ভ্যানে তাদের হাস্যোজ্জ্বল ছবি। ছেলেগুলোর চেহারা সপ্রতিভ। কদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। এজন্যই কি পুলিশ এদের গ্রেফতার করল? এমন ভাবতে ভাবতে খবরে চোখ বুলিয়ে চমকে গেলাম। এরা এলএসডি সেবকচক্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর নিখোঁজ এবং মৃত্যুর সূত্র ধরে পুলিশ এলএসডির মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়ার তথ্য পায়। তরুণদের সর্বশেষ ক্রেজ এলএসডি। একটু পরে দেখলাম এলএসডি এমন একটা নেশা যা উদ্ধত করে, আত্মবিনাশী করে, আত্মহত্যাপ্রবণ করে একজন মানুষকে। হতাশা, বিষাদ থেকে রক্ষা পেতে এ নেশার চল হয়েছিল। এটি নেশা হিসেবে পুরনো হলেও বাংলাদেশে নতুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুরনো নেশা হলেও বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে এলএসডির ব্যাপক চল শুরু হয়েছে তরুণদের মধ্যে। এলএসডি খেয়ে তরুণরা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য, বোধশক্তিহীন, আত্মবিনাশী হয়ে উঠছে। সেজন্য ছবিতে তাদের গ্লানি নেই, কুণ্ঠা নেই, অপরাধবোধ নেই, তারা লজ্জিত নয়।

সংবাদপত্র পড়ে অফিসের উদ্দেশে বেরিয়ে দেখলাম এক অদ্ভুত দৃশ্য। দেশে কাগজে-কলমে লকডাউন চলছে। সরকারের পক্ষ থেকে অন্তত মাস্ক পরাটা বাধ্যতামূলক করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। বাসে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। মানুষ উপচে পড়ছে। বেশির ভাগ গণপরিবহন যাত্রীর মাস্ক নেই। বাজার হাটের অবস্থা তো আরও ভয়ংকর। রাস্তায় চলতে চলতে দেখবেন, স্বাস্থ্যবিধি মানে এমন মানুষের সংখ্যাই কম। মাস্ক পরা যেন এক শাস্তি। গত মার্চ থেকে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ওঠানামা করছে। কিন্তু ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন শঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় করোনা নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এর থেকে বাঁচার উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক পরা। কিন্তু কজন করছে তা? ঢাকায় তা-ও দোকানপাটে, গণপরিবহনে নানা স্টাইলে মাস্ক পরা হয়। কেউ নাকের নিচে, কেউ গলায় মাস্ক ঝুলিয়ে রাখে। মাস্ক যেন এক নতুন ফ্যাশন স্টাইল। কিন্তু ঢাকার বাইরে গেলে আপনি বুঝতে পারবেন না দেশে করোনা মহামারী চলছে। ইউরোপ, সৌদি আরবসহ ৪১টি দেশ বাংলাদেশে সংক্রমণ বেশি হওয়ায় বাংলাদেশিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনায় প্রায় ১৩ হাজার মানুষ মারা গেছে। গত মের শেষ সপ্তাহে রংপুর গেলাম। আমার মায়ের মৃত্যুর ৪০ দিন পেরোনো স্মরণে কবর জিয়ারত ও দোয়া করতে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকেই দেখলাম মাস্ক উধাও। মাস্কের কথা বললে লোকজন হাসে। পীরগঞ্জের ছোট গ্রাম চতরা আমাদের বাড়ি, সেখানে ‘মাস্ক’ জিনিসটা কী তাই অনেকে জানে না। মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি, মাস্ক পরার কথা বললে হাসে। এ হাসি আর ওই তরুণদের হাসি একই রকম। করোনাকালে আমার মনে হচ্ছে পুরো সমাজ যেন এলএসডিতে বুঁদ হয়ে আছে। না হলে কেন এ আত্মবিনাশী উপেক্ষা? আমরা যেন এলএসডি যুগে প্রবেশ করেছি।

করোনা তো একটা ব্যাধি। আমাদের সমাজে বীভৎসতা, অমানবিকতা, পৈশাচিকতা এক ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। এ প্রবণতা করোনার চেয়েও ভয়াবহ। সেদিন একজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। আমাদের তরুণদের ভবিষ্যৎ কী, এ নিয়ে তাঁর মত জানতে চাইছিলাম। বেচারা একটি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। এখন চাকরি নেই। অনলাইন এবং বাড়িতে গিয়ে টিউশন করে কোনোমতে চলেন। আমার প্রশ্ন শুনে হাসলেন। তারপর বললেন, ‘এখনকার তরুণরা এলএসডির নেশায় বুঁদ হয়ে টিকটক বানাবে। টিকটক শেয়ার দেবে, লাইকি বাড়বে এরপর ভাইরাল হবে।’ আমি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলাম। তাই তো, আমাদের তরুণদের ভবিষ্যৎ কী? দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। অনলাইন ক্লাসের নামে এক তামাশা চলছে। গতবার এইচএসসি পরীক্ষা হয়নি। এবার মাধ্যমিকের পরীক্ষাও হলো না। আগে তা-ও একটি খোলার তারিখ দিয়ে আশা ঝুলিয়ে রাখা হতো। এখন শিক্ষামন্ত্রী বলে দিলেন, করোনা সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে না নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে না। আবার তিনি বলছেন, ‘শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে।’ শিক্ষার্থীরা কী করবে? তারা এলএসডিতে আসক্ত হচ্ছে। কিশোর গ্যাং তৈরি করছে। টিকটকের ফাঁদে নানা অপরাধ-অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। এদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্র। টিকটকের নামে এক নারীর ওপর নিপীড়নের রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে নারী পাচারের ভয়ংকর কাহিনি বেরিয়ে এসেছে। এলএসডির আত্মবিনাশী প্রভাব কি শুধু তরুণ-কিশোররা? একটু ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন পুরো সমাজ যেন এক আত্মবিনাশী পথে। আমরা সবাই কেমন যেন বীভৎস, উন্মাদ, অমানবিক হয়ে উঠছি। সেদিন পত্রিকায় দেখলাম স্বামীকে কয়েক টুকরো করা হয়েছে। শুধু মেরে ফেলে মনের জ্বালা মেটেনি। এই ভয়ংকর মানসিকতা তৈরি হয় কীভাবে? সংবাদপত্রে দেখলাম একজন নারী চিকিৎসকের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। এজন্য মামলা করতে হবে। কিন্তু কেউ মামলায় বাদী হতে রাজি না। এ রকম অমানবিক বাংলাদেশ কেন হচ্ছে? এ রকম স্বার্থপর কেন হচ্ছে আমাদের সমাজ?

এখন চাপপাশে যা দেখছি, যা ঘটছে তা আমাদের বৈশিষ্ট্য নয়, এ আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য নয়। কিন্তু আমরা যেন ক্রমে বদলে যাচ্ছি। আগে রাস্তায় একজন দুর্ঘটনায় পড়লে লোকজন ছুটে আসত। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেত। নিকটজনকে খবর দিত। এখন এ রকম দুর্ঘটনায় যদি কখনো পড়েন তাহলে খবর আছে। কয়েকজন এসে আপনার মানিব্যাগ, ঘড়ি, অন্যান্য দামি জিনিস অবলীলায় নিজের মনে করে নিয়ে যাবে। আর বেশির ভাগ মানুষ দূর থেকে মোবাইলে ঘটনার ভিডিও ধারণ করবে। তারপর তা ফেসবুকে দেবে। অপেক্ষা করবে ভাইরালের। এ রকম একটা সমাজে আমরা প্রবেশ করেছি যেখানে আমরা জানি না পাশের ফ্ল্যাটে কে থাকে। সন্তান জানে না তার পিতার বিপুল বিত্তের উৎস কী? স্বামীর মাসিক বেতন কত জানার পরও স্ত্রী ডায়মন্ডের হার দাবি করেন। আয়ের চেয়ে অসংগতির জীবন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলে না। নব্বইয়ের দশকেও বাংলাদেশে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে একটা সামাজিক ঘৃণা ছিল। দুর্নীতিবাজরা মানুষের সঙ্গে মিশতে আড়ষ্ট থাকত। চুরির টাকার বড়াই দেখা যেত না। কিন্তু সময় এখন পাল্টে গেছে। এলএসডির প্রভাবে এখন দুর্নীতিবাজরাই দাপুটে। দুর্নীতিবাজদের উল্লাসনৃত্যে সৎরা কোণঠাসা। দুর্নীতির অভিবাসন ঘটেছে। দুর্নীতিবাজদের মধ্যে নিম্নশ্রেণির দুর্নীতিবাজরা দেশে কিছু চুরি-চামারি করে। আর বড় দুর্নীতিবাজরা তো সব টাকা রপ্তানি করে। বলা হয়, গার্মেন্ট নাকি বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য। আমি হিসাব করে দেখেছি এ তথ্য ভুল। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় রপ্তানি পণ্য হলো টাকা। প্রতি বছর যে পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার হয় তার তুলনায় গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানি আয় তুচ্ছ। বাংলাদেশে দুর্নীতি নিয়ে কথা হয় হঠাৎ। হাঁপানি রোগীর মতো। শ্বাসকষ্ট হলে যেমন জোরে কাশে। তেমনি কারও সঙ্গে দেনা-পাওনায় ঝুটঝামেলা হলেই তাকে মহা উৎসাহে ধরা হয়। আর যতক্ষণ দেনা-পাওনায় সমস্যা নেই ততক্ষণ তার টিকিটি কেউ ধরতে পারে না। জি কে শামীম থেকে সাহেদ, ড্রাইভার মালেক থেকে ডা. আরিফ সবই শর্ত পূরণে ব্যর্থতায় দুর্নীতিবাজ। আবার স্বাস্থ্য খাত খোবলা করা মিঠু, বেসিক ব্যাংক চেটেপুটে সাফ করা বাচ্চুর কিছু হয় না। তারা গায়ে বাতাস দিয়ে ঘোরে। কিছুদিন আগে কানাডার বেগমপাড়ায় বাংলাদেশিদের বাড়ি নিয়ে খুব হইচই হলো। টিকটক রাজনীতির যুগে প্রথমবার নির্বাচন করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ড. আবদুল মোমেন। তিনি বোঝেন কী বললে ভাইরাল হবে। তিনি এক বোমা ফাটালেন, বললেন, ‘আমরা আগে মনে করতাম কানাডায় বোধহয় রাজনীতিবিদদের বাড়িঘর বেশি। কিন্তু এখন খোঁজ নিয়ে দেখলাম আমলাদের বাড়িঘরই বেশির ভাগ।’ তাঁর এ কথায় লাইক, শেয়ার হলো বটে কিন্তু কানাডাসহ বিদেশে বাড়ির মালিকদের নামের তালিকা জাতি জানল না। হয়তো কোনো দিন জানবেও না। এখন বাংলাদেশে প্রভাবশালী অনেক আমলা দেশে ব্যাচেলর জীবনযাপন করেন। বউ-বাচ্চারা বিদেশ থাকেন। তাদের বিদেশি পাসপোর্টও আছে। অর্থাৎ দেশপ্রেমবিবর্জিত, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত, আত্মবিনাশী একটি সমাজের চেহারা যেন প্রকট হচ্ছে। যে চেহারার সঙ্গে এলএসডির উপসর্গের মিল আছে। কেউ কারও অবস্থায় সুখী নয়। যিনি ভাড়াবাড়িতে থাকেন তিনি যেন মৃতপ্রায়, তার বাঁচা আর মরার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। যিনি নিজের বাড়ি বা ফ্ল্যাটে থাকেন তার মতো দুঃখী যেন দ্বিতীয় কেউ নেই, আরেকটি বাড়ি না থাকলে তার ভবিষ্যৎ কী? এভাবেই অপ্রাপ্তির হতাশায় আকণ্ঠ ডুবে যাচ্ছে এই সমাজ, আমাদের চারপাশ। লোভ এখন সর্বব্যাপী। হেফাজত পরিচয়ের মাওলানা সাহেবদের যে বিত্তবৈভবের কথা আজকাল শুনছি তাতে লোভ মহামারী কোথায় পৌঁছেছে অনুমান করা যায়। প্রশ্ন হলো, সমাজটা এ রকম অনৈতিক হয়ে উঠছে কেন? কেন আমাদের নীতি উবে যাচ্ছে। মূল্যবোধের শিকড়কে কেন উপড়ে ফেলছি। অসহিষ্ণুতার বিষবাম্প ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র? এ প্রশ্নের উত্তরে অনেকে অনেক কথা বলবেন। অনেকে সামাজিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দেবেন। কিন্তু আপনি যদি রাষ্ট্রে বিশ্বাস করেন তাহলে মানতেই হবে রাজনীতিই হলো রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক শক্তি। রাজনীতিহীন রাষ্ট্রে সমাজ হয় ভারসাম্যহীন। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত হবে রাজনীতি দিয়ে। রাজনীতিই হলো একটি দেশ ও সমাজের চালিকাশক্তি। রাজনীতি যদি রাষ্ট্র পরিচালনায় চালকের আসনে না থাকে তাহলে ওই রাষ্ট্র ব্যাধিতে আক্রান্ত হবেই। বিশে^র দেশে দেশে এটি প্রমাণিত, রাজনীতিকে যেখানেই নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে সেখানে রাষ্ট্রই ব্যর্থ হয়েছে। পাকিস্তান এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ এবং বোধগম্য উদাহরণ। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। জনগণ তার পছন্দের প্রতিনিধিদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচিত করে। এরা হলেন সংসদ সদস্য। জনপ্রতিনিধিদের নেতা আবার তার নির্বাহী দায়িত্ব কয়েকজনকে ভাগ করে দেন। এরা হলেন মন্ত্রী। আর জনপ্রতিনিধিরা যেন ঠিকঠাকমতো কাজ করতে পারেন সেজন্য সহযোগিতা করতে কিছু লোক রাখা হয় বেতন দিয়ে। এরা হলেন কর্মচারী। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় এরা চলেন। এদের বোধগম্য ভাষায় চাকরবাকর বলা যায়। এই হলো একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালন পদ্ধতি। আর এজন্যই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, ‘সবচেয়ে খারাপ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সবচেয়ে ভালো স্বৈরাচারী ব্যবস্থার চেয়ে উত্তম।’ এর প্রমাণ বিশে^র চারপাশে তাকালেই ঢের পাওয়া যাবে। কিন্তু বাংলাদেশে এক অদ্ভুত গণতন্ত্র চলছে। এখানে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আছেন, কিন্তু সংসদ সদস্যদের কোনো ক্ষমতা নেই। ক্ষমতা ডিসিদের হাতে। এখানে মন্ত্রিসভা আছে কিন্তু মন্ত্রীদের কোনো ক্ষমতা নেই। সব ক্ষমতা আমলাদের হাতে। রাজনীতি এখন নিয়ন্ত্রক নয়। ফলে এ সমাজে এলএসডি সংক্রমণ ঢুকেছে।

ধরা যাক আপনি বাড়ির মালিক। আপনার বাড়িতে ড্রাইভার আছে, মালী আছে, রান্নার বাবুর্চি আছে, ঘর পরিষ্কারের লোক আছে। একদিন আপনি আবিষ্কার করলেন, আপনি বাড়ির মালিক ঠিকই কিন্তু আপনার কোনো ক্ষমতা নেই। আপনার ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোনো গুরুত্ব নেই। আপনি সকালে লুচি আর আলুর দম খাবেন বলে আগের রাতে বাবুর্চিকে বললেন। বাবুর্চি বললেন, না, এটা সম্ভব নয়। আমি যা দেব তা-ই খেতে হবে। আপনি ঘুমুতে যাবেন। ঘর পরিষ্কারের লোক বললেন, এখন তো ঘুমাতে পারবেন না। আপনার চাকরবাকরই যদি আপনার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে তখন আপনি কী করবেন? অতিষ্ঠ হয়ে পাগল হয়ে যাবেন (এলএসডি আক্রান্ত) অথবা ঘর ছেড়ে চলে যাবেন। আপনি যদি বলিষ্ঠ, ব্যক্তিত্ববান হন তাহলে এসব চাকরবাকরকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করবেন, ভালো লোক নিয়োগ দেবেন। আর দুর্বল চিত্তের হলে চাকরবাকর জোট বেঁধে আপনাকে চালাবে। আপনি তাদের কথায় উঠবেন-বসবেন। আপনি তাদের ভয় পাবেন। এরা আপনার খাবারে বিষ মেশাতে পারে। রাতে এরা আপনার গলা টিপে মারতেও পারে। এ আতঙ্কে এদের হাতেই সংসারের চাবি তুলে দিয়ে আপনি আশ্বস্ত থাকতে চাইবেন।

বাংলাদেশ কি এখন এ রকম একটি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে? চাকরবাকরই যেন দেশের মালিক বনে গেছে। আর বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ায় রাজনীতিবিদরা টিকটকের চরিত্র হয়ে গেছেন। দেশে এখন রাজনীতি বলতে কিছু নেই, রাজনীতির নামে যা হচ্ছে তা হলো টিকটক। টিকটক নিয়ে বিশে^ হুলুস্থুল। এটা আসলে খুব ছোট্ট (৩০ থেকে ৯০ সেকেন্ড) ভিডিও কনটেন্ট। অল্প কিছু সময়ে এমন কিছু করতে হবে যাতে মানুষ আকৃষ্ট হয়। সময়স্বল্পতায় দ্রুত ভিডিও কনটেন্টের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এখন টিকটকে বিকৃতি, অশ্লীলতা এবং অরুচির উৎসব চলছে। বাংলাদেশের রাজনীতিও এখন শটকাট পদ্ধতিতে ধাবমান। রাজনীতি এখন মাঠেও নেই, জনগণের কাছেও নেই। এখন রাজনীতি চলে গেছে ফেসবুকে। ফেসবুকে লাইভে এসে নেতারা ঘোষণা দেন, হুমকি দেন। ফলে নেতৃত্বের চেইন অব কমান্ড নেই। ফেসবুকে যার যত ফলোয়ার, লাইক, শেয়ার তিনি তত বড় নেতা। ত্যাগী, পরীক্ষিত ইত্যাদি শব্দ কেবল বক্তৃতার জন্য সংরক্ষিত। রাজনীতিতে টিকটক ফরমুলাই এখন শক্তিশালী। একটা-দুইটা কথা বলে ঝড় তুলুন, ব্যস, আপনি ভাইরাল নেতা। কাদের মির্জা থেকে মন্ত্রী। সবাই দেড় মিনিটে কিছু বলে, করে ভাইরাল হতে চান। জনগণের কী হলো না হলো সে কথা কে ভাবে। টিকটক রাজনীতি সমাজকে লক্ষ্যহীন করেছে। চাকরবাকর যখন ড্রাইভিং সিটে বসেছে, সাধারণ মানুষ অধিকারহীন হয়ে পড়েছে তখন মানুষ আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর হয়েছে। অদ্ভুত এক আত্মহননের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে টিকটক রাজনীতির মহামারীতে।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
শিল্প-বাণিজ্যে হতাশা
শিল্প-বাণিজ্যে হতাশা
জাতীয় ঐকমত্য
জাতীয় ঐকমত্য
শ্রেষ্ঠত্ব শুধু তাকওয়ার কারণে
শ্রেষ্ঠত্ব শুধু তাকওয়ার কারণে
ইখলাস মানুষের হৃদয়ে সৃষ্টি হয়
ইখলাস মানুষের হৃদয়ে সৃষ্টি হয়
জনশূন্য চরজমিতে জীবিকা
জনশূন্য চরজমিতে জীবিকা
ওপরে হইচই ভিতরে কী
ওপরে হইচই ভিতরে কী
শেয়ারবাজার
শেয়ারবাজার
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ
যুদ্ধের ময়দানেও মানবিক ছিলেন যিনি
যুদ্ধের ময়দানেও মানবিক ছিলেন যিনি
সাঁতার শেখা বাধ্যতামূলক করুন
সাঁতার শেখা বাধ্যতামূলক করুন
গণতন্ত্র বনাম মবতন্ত্র ও ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দৈত্য
গণতন্ত্র বনাম মবতন্ত্র ও ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দৈত্য
বাড়ছে মন্দ ঋণ
বাড়ছে মন্দ ঋণ
সর্বশেষ খবর
ড. ইউনূসের জন্মদিনে তারেক রহমানের ফুলেল শুভেচ্ছা
ড. ইউনূসের জন্মদিনে তারেক রহমানের ফুলেল শুভেচ্ছা

এই মাত্র | জাতীয়

টাঙ্গাইলের যৌনপল্লীতে অগ্নিকাণ্ডে ২২ ঘর ভস্মীভূত
টাঙ্গাইলের যৌনপল্লীতে অগ্নিকাণ্ডে ২২ ঘর ভস্মীভূত

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘গৃহশ্রমিক সুরক্ষা নীতি’ বাস্তবায়নের দাবি
‘গৃহশ্রমিক সুরক্ষা নীতি’ বাস্তবায়নের দাবি

৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

পাওনা টাকা নিয়ে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন, রহস্য উদঘাটন
পাওনা টাকা নিয়ে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন, রহস্য উদঘাটন

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় বাল্যবিয়ের দায়ে বর কারাগারে
বগুড়ায় বাল্যবিয়ের দায়ে বর কারাগারে

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

রাজবাড়ীতে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ২
রাজবাড়ীতে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ২

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গোবিন্দগঞ্জে মাদক কারবারি গ্রেফতার
গোবিন্দগঞ্জে মাদক কারবারি গ্রেফতার

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ
সিলেটে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ

২৭ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে নওগাঁয় গাছের চারা রোপণ
জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে নওগাঁয় গাছের চারা রোপণ

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দুর্বল ব্যাংকগুলোতে সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
দুর্বল ব্যাংকগুলোতে সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

৪১ মিনিট আগে | অর্থনীতি

সিরাজগঞ্জে নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি
সিরাজগঞ্জে নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পদ্মায় জালে ধরা পড়ল ৫০ কেজির বাগাড়
পদ্মায় জালে ধরা পড়ল ৫০ কেজির বাগাড়

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডিমলায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান
ডিমলায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’
‘কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জোটবদ্ধ ইসলামি দল হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি: চরমোনাই পীর
জোটবদ্ধ ইসলামি দল হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি: চরমোনাই পীর

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মাদারীপুরের শিবচরে পুকুর থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার
মাদারীপুরের শিবচরে পুকুর থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কলাপাড়ায় মানববন্ধন ও সাইকেল শোভাযাত্রা
কলাপাড়ায় মানববন্ধন ও সাইকেল শোভাযাত্রা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপিতে নতুন সদস্য বাড়াতে হবে : মিন্টু
বিএনপিতে নতুন সদস্য বাড়াতে হবে : মিন্টু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই পাখির ছানাকে হত্যা
তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই পাখির ছানাকে হত্যা

১ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

সিলেটের ২৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা
সিলেটের ২৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

চট্টগ্রামে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
চট্টগ্রামে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মহাসড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল কনস্টেবলের
মহাসড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল কনস্টেবলের

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোবিন্দগঞ্জে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ
গোবিন্দগঞ্জে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিরোধে খুন যুবক, অভিযানে মিলল কোটি টাকার মাদক
বিরোধে খুন যুবক, অভিযানে মিলল কোটি টাকার মাদক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে করোনায় প্রথম মৃত্যু
সিলেটে করোনায় প্রথম মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গরুর মাংস বলে ঘোড়ার মাংস বিক্রি, কসাই আটক
গরুর মাংস বলে ঘোড়ার মাংস বিক্রি, কসাই আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘ভোক্তা-স্বার্থ রক্ষায় বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার
‘ভোক্তা-স্বার্থ রক্ষায় বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে ডেঙ্গু জ্বরে শিশুর মৃত্যু
বরিশালে ডেঙ্গু জ্বরে শিশুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন উমামা ফাতেমা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেন উমামা ফাতেমা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের আসছে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম
ফের আসছে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ থেকে ৩ পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত
বাংলাদেশ থেকে ৩ পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনবিআরের আন্দোলনে কঠোর হচ্ছে সরকার
এনবিআরের আন্দোলনে কঠোর হচ্ছে সরকার

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইরানে আবারও বোমা হামলার হুমকি ট্রাম্পের
ইরানে আবারও বোমা হামলার হুমকি ট্রাম্পের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১০ হাজার করে টাকা পাচ্ছেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৭৪ শিক্ষার্থী
১০ হাজার করে টাকা পাচ্ছেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৭৪ শিক্ষার্থী

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত অভিনেত্রী শেফালী জারিওয়ালা আর নেই
‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত অভিনেত্রী শেফালী জারিওয়ালা আর নেই

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করতে পারবে না ভারত: আন্তর্জাতিক আদালত
একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করতে পারবে না ভারত: আন্তর্জাতিক আদালত

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেনের বিমানঘাঁটিতে হাইপারসনিক মিসাইল নিক্ষেপ রাশিয়ার
ইউক্রেনের বিমানঘাঁটিতে হাইপারসনিক মিসাইল নিক্ষেপ রাশিয়ার

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিন সরকারকে ৩০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান সৌদি আরবের
ফিলিস্তিন সরকারকে ৩০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান সৌদি আরবের

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অবৈধ সরকারের ৩০০ এমপির বিরুদ্ধে একাই লড়াই করেছি: রুমিন ফারহানা
অবৈধ সরকারের ৩০০ এমপির বিরুদ্ধে একাই লড়াই করেছি: রুমিন ফারহানা

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এবার গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে সুখবর দিলেন ট্রাম্প
এবার গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে সুখবর দিলেন ট্রাম্প

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলামী আন্দোলনের ১৬ দফা ঘোষণা
ইসলামী আন্দোলনের ১৬ দফা ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পর্যটক টানতে সাগরতীরে রিসোর্ট খুললেন কিম জং উন
পর্যটক টানতে সাগরতীরে রিসোর্ট খুললেন কিম জং উন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাধারীদের সুখবর দিল সৌদি আরব
মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাধারীদের সুখবর দিল সৌদি আরব

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানকে আলোচনায় আনতে লোভনীয় প্রস্তাবের সিরিজ টোপ যুক্তরাষ্ট্রের
ইরানকে আলোচনায় আনতে লোভনীয় প্রস্তাবের সিরিজ টোপ যুক্তরাষ্ট্রের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশের প্রথম অধিবেশন শুরু
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশের প্রথম অধিবেশন শুরু

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে ট্রাম্পের উদ্যোগে বিচারবিভাগের বাধা নয় : মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে ট্রাম্পের উদ্যোগে বিচারবিভাগের বাধা নয় : মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার নিন্দা জানাল সৌদি আরব
ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার নিন্দা জানাল সৌদি আরব

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিনে এক বেলা পাউরুটি-বিস্কুট খেয়ে থাকছেন দেশের ৮৮ শতাংশ নিম্নআয়ের মানুষ
দিনে এক বেলা পাউরুটি-বিস্কুট খেয়ে থাকছেন দেশের ৮৮ শতাংশ নিম্নআয়ের মানুষ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুকাচ্ছে পানি, বিলুপ্তির পথে কাস্পিয়ান সাগর?
শুকাচ্ছে পানি, বিলুপ্তির পথে কাস্পিয়ান সাগর?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাঝ আকাশে হঠাৎ বিমানের ক্রুর মৃত্যু
মাঝ আকাশে হঠাৎ বিমানের ক্রুর মৃত্যু

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত
টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কালও চলবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’
কালও চলবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আগস্টেই রাজধানীতে নামছে ই-রিকশা
আগস্টেই রাজধানীতে নামছে ই-রিকশা

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট
ট্রাম্পের ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেই গোরখোদক মনু মিয়া মারা গেছেন
সেই গোরখোদক মনু মিয়া মারা গেছেন

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ আজ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ আজ

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মহাসড়কে শিয়ালকে চাপা দিল সিএনজি, প্রাণ গেল গৃহবধূর
মহাসড়কে শিয়ালকে চাপা দিল সিএনজি, প্রাণ গেল গৃহবধূর

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছে বিএনপির প্রতিনিধি দল
চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছে বিএনপির প্রতিনিধি দল

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
মনোনয়ন ও কমিটি বাণিজ্যে হাতিয়েছেন হাজার কোটি
মনোনয়ন ও কমিটি বাণিজ্যে হাতিয়েছেন হাজার কোটি

প্রথম পৃষ্ঠা

যমুনা সেতু থেকে তুলে ফেলা হচ্ছে রেললাইন
যমুনা সেতু থেকে তুলে ফেলা হচ্ছে রেললাইন

পেছনের পৃষ্ঠা

কমছে ইলিশ মাছের দাম
কমছে ইলিশ মাছের দাম

পেছনের পৃষ্ঠা

তিন রোগের মরণকামড়
তিন রোগের মরণকামড়

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্কে তিন নির্বাচনের কুশলীরা
আতঙ্কে তিন নির্বাচনের কুশলীরা

প্রথম পৃষ্ঠা

ডলার রেটে ঋণঝুঁকিতে বাংলাদেশ
ডলার রেটে ঋণঝুঁকিতে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

যে কারণে অস্থির চালের বাজার
যে কারণে অস্থির চালের বাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

পর্তুগাল জাতীয় ক্রিকেট দলে বাংলাদেশি খেলোয়াড়ের চমক
পর্তুগাল জাতীয় ক্রিকেট দলে বাংলাদেশি খেলোয়াড়ের চমক

শনিবারের সকাল

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জাপা থেকে বাদ পড়ছেন সাত প্রেসিডিয়াম সদস্য
জাপা থেকে বাদ পড়ছেন সাত প্রেসিডিয়াম সদস্য

প্রথম পৃষ্ঠা

কাজে ফেরেননি ১৮৭ পুলিশ
কাজে ফেরেননি ১৮৭ পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

তিন রুটে দেশে আসছে হেরোইন
তিন রুটে দেশে আসছে হেরোইন

পেছনের পৃষ্ঠা

খামেনিকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম
খামেনিকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিমানী মন্দিরা
অভিমানী মন্দিরা

শোবিজ

ক্যাপিটাল ড্রামাতে ‘চলো হারিয়ে যাই’
ক্যাপিটাল ড্রামাতে ‘চলো হারিয়ে যাই’

শোবিজ

যেভাবে টিকে গেল অজয়-কাজলের সংসার
যেভাবে টিকে গেল অজয়-কাজলের সংসার

শোবিজ

বাল্যবিয়ে বন্ধ বর-কনের বাবার কারাদণ্ড
বাল্যবিয়ে বন্ধ বর-কনের বাবার কারাদণ্ড

পেছনের পৃষ্ঠা

কমিটিতে দলীয় পদধারী ও মামলার আসামি
কমিটিতে দলীয় পদধারী ও মামলার আসামি

নগর জীবন

ফের আসছে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম
ফের আসছে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম

প্রথম পৃষ্ঠা

অঞ্জনাকে কেউ মনে রাখেনি
অঞ্জনাকে কেউ মনে রাখেনি

শোবিজ

ক্রাইম-থ্রিলার সিনেমা টুডারাম
ক্রাইম-থ্রিলার সিনেমা টুডারাম

শোবিজ

অভিযুক্ত পূজা...
অভিযুক্ত পূজা...

শোবিজ

ডাকসু নিয়ে তৎপরতা সংগঠনগুলোর
ডাকসু নিয়ে তৎপরতা সংগঠনগুলোর

পেছনের পৃষ্ঠা

সিইসির সঙ্গে কী কথা হলো
সিইসির সঙ্গে কী কথা হলো

প্রথম পৃষ্ঠা

ওয়ানডে খেলতে শ্রীলঙ্কা গেলেন ১০ ক্রিকেটার
ওয়ানডে খেলতে শ্রীলঙ্কা গেলেন ১০ ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে উজ্জ্বল তাইজুল
ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে উজ্জ্বল তাইজুল

মাঠে ময়দানে

বন্দুকের মুখে মুসলমানদের পাঠাচ্ছে ভারত
বন্দুকের মুখে মুসলমানদের পাঠাচ্ছে ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

রক্ষণভাগ দুর্ভেদ্য রাখতে চায় বাংলাদেশ
রক্ষণভাগ দুর্ভেদ্য রাখতে চায় বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

স্বাধীন দেশের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মানুষের মন’
স্বাধীন দেশের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মানুষের মন’

শোবিজ

‘অভিষেক টেস্টের আগের সারারাত ঘুমাইনি’
‘অভিষেক টেস্টের আগের সারারাত ঘুমাইনি’

মাঠে ময়দানে