শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৫ জুন, ২০২১

এলএসডি যুগে টিকটক রাজনীতি

সৈয়দ বোরহান কবীর
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
এলএসডি যুগে টিকটক রাজনীতি

পত্রিকায় দেখে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কীসের ছবি। এই ছেলেরা কি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের কোনো আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য গ্রেফতার হয়েছে? পুলিশ ভ্যানে তাদের হাস্যোজ্জ্বল ছবি। ছেলেগুলোর চেহারা সপ্রতিভ। কদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। এজন্যই কি পুলিশ এদের গ্রেফতার করল? এমন ভাবতে ভাবতে খবরে চোখ বুলিয়ে চমকে গেলাম। এরা এলএসডি সেবকচক্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর নিখোঁজ এবং মৃত্যুর সূত্র ধরে পুলিশ এলএসডির মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়ার তথ্য পায়। তরুণদের সর্বশেষ ক্রেজ এলএসডি। একটু পরে দেখলাম এলএসডি এমন একটা নেশা যা উদ্ধত করে, আত্মবিনাশী করে, আত্মহত্যাপ্রবণ করে একজন মানুষকে। হতাশা, বিষাদ থেকে রক্ষা পেতে এ নেশার চল হয়েছিল। এটি নেশা হিসেবে পুরনো হলেও বাংলাদেশে নতুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুরনো নেশা হলেও বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে এলএসডির ব্যাপক চল শুরু হয়েছে তরুণদের মধ্যে। এলএসডি খেয়ে তরুণরা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য, বোধশক্তিহীন, আত্মবিনাশী হয়ে উঠছে। সেজন্য ছবিতে তাদের গ্লানি নেই, কুণ্ঠা নেই, অপরাধবোধ নেই, তারা লজ্জিত নয়।

সংবাদপত্র পড়ে অফিসের উদ্দেশে বেরিয়ে দেখলাম এক অদ্ভুত দৃশ্য। দেশে কাগজে-কলমে লকডাউন চলছে। সরকারের পক্ষ থেকে অন্তত মাস্ক পরাটা বাধ্যতামূলক করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। বাসে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। মানুষ উপচে পড়ছে। বেশির ভাগ গণপরিবহন যাত্রীর মাস্ক নেই। বাজার হাটের অবস্থা তো আরও ভয়ংকর। রাস্তায় চলতে চলতে দেখবেন, স্বাস্থ্যবিধি মানে এমন মানুষের সংখ্যাই কম। মাস্ক পরা যেন এক শাস্তি। গত মার্চ থেকে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ওঠানামা করছে। কিন্তু ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন শঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় করোনা নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এর থেকে বাঁচার উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক পরা। কিন্তু কজন করছে তা? ঢাকায় তা-ও দোকানপাটে, গণপরিবহনে নানা স্টাইলে মাস্ক পরা হয়। কেউ নাকের নিচে, কেউ গলায় মাস্ক ঝুলিয়ে রাখে। মাস্ক যেন এক নতুন ফ্যাশন স্টাইল। কিন্তু ঢাকার বাইরে গেলে আপনি বুঝতে পারবেন না দেশে করোনা মহামারী চলছে। ইউরোপ, সৌদি আরবসহ ৪১টি দেশ বাংলাদেশে সংক্রমণ বেশি হওয়ায় বাংলাদেশিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনায় প্রায় ১৩ হাজার মানুষ মারা গেছে। গত মের শেষ সপ্তাহে রংপুর গেলাম। আমার মায়ের মৃত্যুর ৪০ দিন পেরোনো স্মরণে কবর জিয়ারত ও দোয়া করতে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকেই দেখলাম মাস্ক উধাও। মাস্কের কথা বললে লোকজন হাসে। পীরগঞ্জের ছোট গ্রাম চতরা আমাদের বাড়ি, সেখানে ‘মাস্ক’ জিনিসটা কী তাই অনেকে জানে না। মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি, মাস্ক পরার কথা বললে হাসে। এ হাসি আর ওই তরুণদের হাসি একই রকম। করোনাকালে আমার মনে হচ্ছে পুরো সমাজ যেন এলএসডিতে বুঁদ হয়ে আছে। না হলে কেন এ আত্মবিনাশী উপেক্ষা? আমরা যেন এলএসডি যুগে প্রবেশ করেছি।

করোনা তো একটা ব্যাধি। আমাদের সমাজে বীভৎসতা, অমানবিকতা, পৈশাচিকতা এক ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। এ প্রবণতা করোনার চেয়েও ভয়াবহ। সেদিন একজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। আমাদের তরুণদের ভবিষ্যৎ কী, এ নিয়ে তাঁর মত জানতে চাইছিলাম। বেচারা একটি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। এখন চাকরি নেই। অনলাইন এবং বাড়িতে গিয়ে টিউশন করে কোনোমতে চলেন। আমার প্রশ্ন শুনে হাসলেন। তারপর বললেন, ‘এখনকার তরুণরা এলএসডির নেশায় বুঁদ হয়ে টিকটক বানাবে। টিকটক শেয়ার দেবে, লাইকি বাড়বে এরপর ভাইরাল হবে।’ আমি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলাম। তাই তো, আমাদের তরুণদের ভবিষ্যৎ কী? দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। অনলাইন ক্লাসের নামে এক তামাশা চলছে। গতবার এইচএসসি পরীক্ষা হয়নি। এবার মাধ্যমিকের পরীক্ষাও হলো না। আগে তা-ও একটি খোলার তারিখ দিয়ে আশা ঝুলিয়ে রাখা হতো। এখন শিক্ষামন্ত্রী বলে দিলেন, করোনা সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে না নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে না। আবার তিনি বলছেন, ‘শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে।’ শিক্ষার্থীরা কী করবে? তারা এলএসডিতে আসক্ত হচ্ছে। কিশোর গ্যাং তৈরি করছে। টিকটকের ফাঁদে নানা অপরাধ-অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। এদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধী চক্র। টিকটকের নামে এক নারীর ওপর নিপীড়নের রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে নারী পাচারের ভয়ংকর কাহিনি বেরিয়ে এসেছে। এলএসডির আত্মবিনাশী প্রভাব কি শুধু তরুণ-কিশোররা? একটু ভালো করে লক্ষ্য করে দেখুন পুরো সমাজ যেন এক আত্মবিনাশী পথে। আমরা সবাই কেমন যেন বীভৎস, উন্মাদ, অমানবিক হয়ে উঠছি। সেদিন পত্রিকায় দেখলাম স্বামীকে কয়েক টুকরো করা হয়েছে। শুধু মেরে ফেলে মনের জ্বালা মেটেনি। এই ভয়ংকর মানসিকতা তৈরি হয় কীভাবে? সংবাদপত্রে দেখলাম একজন নারী চিকিৎসকের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। এজন্য মামলা করতে হবে। কিন্তু কেউ মামলায় বাদী হতে রাজি না। এ রকম অমানবিক বাংলাদেশ কেন হচ্ছে? এ রকম স্বার্থপর কেন হচ্ছে আমাদের সমাজ?

এখন চাপপাশে যা দেখছি, যা ঘটছে তা আমাদের বৈশিষ্ট্য নয়, এ আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য নয়। কিন্তু আমরা যেন ক্রমে বদলে যাচ্ছি। আগে রাস্তায় একজন দুর্ঘটনায় পড়লে লোকজন ছুটে আসত। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেত। নিকটজনকে খবর দিত। এখন এ রকম দুর্ঘটনায় যদি কখনো পড়েন তাহলে খবর আছে। কয়েকজন এসে আপনার মানিব্যাগ, ঘড়ি, অন্যান্য দামি জিনিস অবলীলায় নিজের মনে করে নিয়ে যাবে। আর বেশির ভাগ মানুষ দূর থেকে মোবাইলে ঘটনার ভিডিও ধারণ করবে। তারপর তা ফেসবুকে দেবে। অপেক্ষা করবে ভাইরালের। এ রকম একটা সমাজে আমরা প্রবেশ করেছি যেখানে আমরা জানি না পাশের ফ্ল্যাটে কে থাকে। সন্তান জানে না তার পিতার বিপুল বিত্তের উৎস কী? স্বামীর মাসিক বেতন কত জানার পরও স্ত্রী ডায়মন্ডের হার দাবি করেন। আয়ের চেয়ে অসংগতির জীবন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলে না। নব্বইয়ের দশকেও বাংলাদেশে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে একটা সামাজিক ঘৃণা ছিল। দুর্নীতিবাজরা মানুষের সঙ্গে মিশতে আড়ষ্ট থাকত। চুরির টাকার বড়াই দেখা যেত না। কিন্তু সময় এখন পাল্টে গেছে। এলএসডির প্রভাবে এখন দুর্নীতিবাজরাই দাপুটে। দুর্নীতিবাজদের উল্লাসনৃত্যে সৎরা কোণঠাসা। দুর্নীতির অভিবাসন ঘটেছে। দুর্নীতিবাজদের মধ্যে নিম্নশ্রেণির দুর্নীতিবাজরা দেশে কিছু চুরি-চামারি করে। আর বড় দুর্নীতিবাজরা তো সব টাকা রপ্তানি করে। বলা হয়, গার্মেন্ট নাকি বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য। আমি হিসাব করে দেখেছি এ তথ্য ভুল। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় রপ্তানি পণ্য হলো টাকা। প্রতি বছর যে পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার হয় তার তুলনায় গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানি আয় তুচ্ছ। বাংলাদেশে দুর্নীতি নিয়ে কথা হয় হঠাৎ। হাঁপানি রোগীর মতো। শ্বাসকষ্ট হলে যেমন জোরে কাশে। তেমনি কারও সঙ্গে দেনা-পাওনায় ঝুটঝামেলা হলেই তাকে মহা উৎসাহে ধরা হয়। আর যতক্ষণ দেনা-পাওনায় সমস্যা নেই ততক্ষণ তার টিকিটি কেউ ধরতে পারে না। জি কে শামীম থেকে সাহেদ, ড্রাইভার মালেক থেকে ডা. আরিফ সবই শর্ত পূরণে ব্যর্থতায় দুর্নীতিবাজ। আবার স্বাস্থ্য খাত খোবলা করা মিঠু, বেসিক ব্যাংক চেটেপুটে সাফ করা বাচ্চুর কিছু হয় না। তারা গায়ে বাতাস দিয়ে ঘোরে। কিছুদিন আগে কানাডার বেগমপাড়ায় বাংলাদেশিদের বাড়ি নিয়ে খুব হইচই হলো। টিকটক রাজনীতির যুগে প্রথমবার নির্বাচন করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ড. আবদুল মোমেন। তিনি বোঝেন কী বললে ভাইরাল হবে। তিনি এক বোমা ফাটালেন, বললেন, ‘আমরা আগে মনে করতাম কানাডায় বোধহয় রাজনীতিবিদদের বাড়িঘর বেশি। কিন্তু এখন খোঁজ নিয়ে দেখলাম আমলাদের বাড়িঘরই বেশির ভাগ।’ তাঁর এ কথায় লাইক, শেয়ার হলো বটে কিন্তু কানাডাসহ বিদেশে বাড়ির মালিকদের নামের তালিকা জাতি জানল না। হয়তো কোনো দিন জানবেও না। এখন বাংলাদেশে প্রভাবশালী অনেক আমলা দেশে ব্যাচেলর জীবনযাপন করেন। বউ-বাচ্চারা বিদেশ থাকেন। তাদের বিদেশি পাসপোর্টও আছে। অর্থাৎ দেশপ্রেমবিবর্জিত, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত, আত্মবিনাশী একটি সমাজের চেহারা যেন প্রকট হচ্ছে। যে চেহারার সঙ্গে এলএসডির উপসর্গের মিল আছে। কেউ কারও অবস্থায় সুখী নয়। যিনি ভাড়াবাড়িতে থাকেন তিনি যেন মৃতপ্রায়, তার বাঁচা আর মরার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। যিনি নিজের বাড়ি বা ফ্ল্যাটে থাকেন তার মতো দুঃখী যেন দ্বিতীয় কেউ নেই, আরেকটি বাড়ি না থাকলে তার ভবিষ্যৎ কী? এভাবেই অপ্রাপ্তির হতাশায় আকণ্ঠ ডুবে যাচ্ছে এই সমাজ, আমাদের চারপাশ। লোভ এখন সর্বব্যাপী। হেফাজত পরিচয়ের মাওলানা সাহেবদের যে বিত্তবৈভবের কথা আজকাল শুনছি তাতে লোভ মহামারী কোথায় পৌঁছেছে অনুমান করা যায়। প্রশ্ন হলো, সমাজটা এ রকম অনৈতিক হয়ে উঠছে কেন? কেন আমাদের নীতি উবে যাচ্ছে। মূল্যবোধের শিকড়কে কেন উপড়ে ফেলছি। অসহিষ্ণুতার বিষবাম্প ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র? এ প্রশ্নের উত্তরে অনেকে অনেক কথা বলবেন। অনেকে সামাজিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দেবেন। কিন্তু আপনি যদি রাষ্ট্রে বিশ্বাস করেন তাহলে মানতেই হবে রাজনীতিই হলো রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক শক্তি। রাজনীতিহীন রাষ্ট্রে সমাজ হয় ভারসাম্যহীন। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত হবে রাজনীতি দিয়ে। রাজনীতিই হলো একটি দেশ ও সমাজের চালিকাশক্তি। রাজনীতি যদি রাষ্ট্র পরিচালনায় চালকের আসনে না থাকে তাহলে ওই রাষ্ট্র ব্যাধিতে আক্রান্ত হবেই। বিশে^র দেশে দেশে এটি প্রমাণিত, রাজনীতিকে যেখানেই নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে সেখানে রাষ্ট্রই ব্যর্থ হয়েছে। পাকিস্তান এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ এবং বোধগম্য উদাহরণ। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। জনগণ তার পছন্দের প্রতিনিধিদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচিত করে। এরা হলেন সংসদ সদস্য। জনপ্রতিনিধিদের নেতা আবার তার নির্বাহী দায়িত্ব কয়েকজনকে ভাগ করে দেন। এরা হলেন মন্ত্রী। আর জনপ্রতিনিধিরা যেন ঠিকঠাকমতো কাজ করতে পারেন সেজন্য সহযোগিতা করতে কিছু লোক রাখা হয় বেতন দিয়ে। এরা হলেন কর্মচারী। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় এরা চলেন। এদের বোধগম্য ভাষায় চাকরবাকর বলা যায়। এই হলো একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালন পদ্ধতি। আর এজন্যই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, ‘সবচেয়ে খারাপ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সবচেয়ে ভালো স্বৈরাচারী ব্যবস্থার চেয়ে উত্তম।’ এর প্রমাণ বিশে^র চারপাশে তাকালেই ঢের পাওয়া যাবে। কিন্তু বাংলাদেশে এক অদ্ভুত গণতন্ত্র চলছে। এখানে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আছেন, কিন্তু সংসদ সদস্যদের কোনো ক্ষমতা নেই। ক্ষমতা ডিসিদের হাতে। এখানে মন্ত্রিসভা আছে কিন্তু মন্ত্রীদের কোনো ক্ষমতা নেই। সব ক্ষমতা আমলাদের হাতে। রাজনীতি এখন নিয়ন্ত্রক নয়। ফলে এ সমাজে এলএসডি সংক্রমণ ঢুকেছে।

ধরা যাক আপনি বাড়ির মালিক। আপনার বাড়িতে ড্রাইভার আছে, মালী আছে, রান্নার বাবুর্চি আছে, ঘর পরিষ্কারের লোক আছে। একদিন আপনি আবিষ্কার করলেন, আপনি বাড়ির মালিক ঠিকই কিন্তু আপনার কোনো ক্ষমতা নেই। আপনার ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোনো গুরুত্ব নেই। আপনি সকালে লুচি আর আলুর দম খাবেন বলে আগের রাতে বাবুর্চিকে বললেন। বাবুর্চি বললেন, না, এটা সম্ভব নয়। আমি যা দেব তা-ই খেতে হবে। আপনি ঘুমুতে যাবেন। ঘর পরিষ্কারের লোক বললেন, এখন তো ঘুমাতে পারবেন না। আপনার চাকরবাকরই যদি আপনার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে তখন আপনি কী করবেন? অতিষ্ঠ হয়ে পাগল হয়ে যাবেন (এলএসডি আক্রান্ত) অথবা ঘর ছেড়ে চলে যাবেন। আপনি যদি বলিষ্ঠ, ব্যক্তিত্ববান হন তাহলে এসব চাকরবাকরকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করবেন, ভালো লোক নিয়োগ দেবেন। আর দুর্বল চিত্তের হলে চাকরবাকর জোট বেঁধে আপনাকে চালাবে। আপনি তাদের কথায় উঠবেন-বসবেন। আপনি তাদের ভয় পাবেন। এরা আপনার খাবারে বিষ মেশাতে পারে। রাতে এরা আপনার গলা টিপে মারতেও পারে। এ আতঙ্কে এদের হাতেই সংসারের চাবি তুলে দিয়ে আপনি আশ্বস্ত থাকতে চাইবেন।

বাংলাদেশ কি এখন এ রকম একটি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে? চাকরবাকরই যেন দেশের মালিক বনে গেছে। আর বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ায় রাজনীতিবিদরা টিকটকের চরিত্র হয়ে গেছেন। দেশে এখন রাজনীতি বলতে কিছু নেই, রাজনীতির নামে যা হচ্ছে তা হলো টিকটক। টিকটক নিয়ে বিশে^ হুলুস্থুল। এটা আসলে খুব ছোট্ট (৩০ থেকে ৯০ সেকেন্ড) ভিডিও কনটেন্ট। অল্প কিছু সময়ে এমন কিছু করতে হবে যাতে মানুষ আকৃষ্ট হয়। সময়স্বল্পতায় দ্রুত ভিডিও কনটেন্টের মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এখন টিকটকে বিকৃতি, অশ্লীলতা এবং অরুচির উৎসব চলছে। বাংলাদেশের রাজনীতিও এখন শটকাট পদ্ধতিতে ধাবমান। রাজনীতি এখন মাঠেও নেই, জনগণের কাছেও নেই। এখন রাজনীতি চলে গেছে ফেসবুকে। ফেসবুকে লাইভে এসে নেতারা ঘোষণা দেন, হুমকি দেন। ফলে নেতৃত্বের চেইন অব কমান্ড নেই। ফেসবুকে যার যত ফলোয়ার, লাইক, শেয়ার তিনি তত বড় নেতা। ত্যাগী, পরীক্ষিত ইত্যাদি শব্দ কেবল বক্তৃতার জন্য সংরক্ষিত। রাজনীতিতে টিকটক ফরমুলাই এখন শক্তিশালী। একটা-দুইটা কথা বলে ঝড় তুলুন, ব্যস, আপনি ভাইরাল নেতা। কাদের মির্জা থেকে মন্ত্রী। সবাই দেড় মিনিটে কিছু বলে, করে ভাইরাল হতে চান। জনগণের কী হলো না হলো সে কথা কে ভাবে। টিকটক রাজনীতি সমাজকে লক্ষ্যহীন করেছে। চাকরবাকর যখন ড্রাইভিং সিটে বসেছে, সাধারণ মানুষ অধিকারহীন হয়ে পড়েছে তখন মানুষ আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর হয়েছে। অদ্ভুত এক আত্মহননের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে টিকটক রাজনীতির মহামারীতে।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
মহান পয়লা মে
মহান পয়লা মে
আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শ্রমনির্ভর করে
আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শ্রমনির্ভর করে
কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তা
কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তা
এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই
এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই
গ্যাসসংকট
গ্যাসসংকট
চাল নিয়ে চালবাজি
চাল নিয়ে চালবাজি
শ্রমিকেরাও মানুষ
শ্রমিকেরাও মানুষ
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শেরেবাংলা, মেয়র হানিফ ও ঢাকার মশা
শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য
শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য
অর্থনীতিতে বিসংবাদ
অর্থনীতিতে বিসংবাদ
শিক্ষা অর্জনের প্রেরণা জোগায় কোরআন
শিক্ষা অর্জনের প্রেরণা জোগায় কোরআন
সর্বশেষ খবর
দিল্লি হাটে ভয়াবহ আগুন
দিল্লি হাটে ভয়াবহ আগুন

১৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত
এবার পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত

২৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

'উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের সমাজভূমি নির্মিত হলেই শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে'
'উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের সমাজভূমি নির্মিত হলেই শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে'

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেড়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেড়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পদোন্নতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিসিএস হেলথ ফোরামের অবস্থান কর্মসূচি
পদোন্নতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিসিএস হেলথ ফোরামের অবস্থান কর্মসূচি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস
শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন
ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা
কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি
১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা
বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত
কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির 
দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ
সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির  দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'
'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক
ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা
বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা
খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে
অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারীকে হুমকির অভিযোগ
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারীকে হুমকির অভিযোগ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১৬ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের জামিন, স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি রবিবার
হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের জামিন, স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি রবিবার

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

১৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে
অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সারজিসের সামনে দফায় দফায় মারামারি
সারজিসের সামনে দফায় দফায় মারামারি

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইশরাক দায়িত্ব নিচ্ছেন কবে
ইশরাক দায়িত্ব নিচ্ছেন কবে

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্রমিকের স্বার্থে পাশে থাকুন ব্যবসায়ীদের
শ্রমিকের স্বার্থে পাশে থাকুন ব্যবসায়ীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই
এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই

সম্পাদকীয়

রেললাইনে লাশ রহস্য
রেললাইনে লাশ রহস্য

পেছনের পৃষ্ঠা

মহান মে দিবস আজ
মহান মে দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

শ্রমিকস্বার্থে কিছুই হয়নি
শ্রমিকস্বার্থে কিছুই হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে টর্নেডো
কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে টর্নেডো

পেছনের পৃষ্ঠা

বসুন্ধরায় প্রবেশে আরও একটি সংযোগ সড়ক
বসুন্ধরায় প্রবেশে আরও একটি সংযোগ সড়ক

নগর জীবন

পাকিস্তানে যে কোনো সময় হামলা
পাকিস্তানে যে কোনো সময় হামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসলামি দলগুলো এক মঞ্চে, নারী সংস্কার কমিশন প্রত্যাখ্যান
ইসলামি দলগুলো এক মঞ্চে, নারী সংস্কার কমিশন প্রত্যাখ্যান

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি জোটে আগ্রহী নয় এনসিপি
নির্বাচনি জোটে আগ্রহী নয় এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্ধ চিড়িয়াখানা হবে আধুনিক পার্ক
বন্ধ চিড়িয়াখানা হবে আধুনিক পার্ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

নায়ক-নায়িকাদের কার বিদ্যা কতদূর
নায়ক-নায়িকাদের কার বিদ্যা কতদূর

শোবিজ

জেল থেকে ইমরানের বার্তা
জেল থেকে ইমরানের বার্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই বক্তব্য শেখ হাসিনারই
সেই বক্তব্য শেখ হাসিনারই

পেছনের পৃষ্ঠা

আজ বিএনপি ও জামায়াতের সমাবেশ
আজ বিএনপি ও জামায়াতের সমাবেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

যুদ্ধপ্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী
যুদ্ধপ্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝুলছে ২২ হাজার মামলা
ঝুলছে ২২ হাজার মামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

উজ্জ্বলের আশাবাদ...
উজ্জ্বলের আশাবাদ...

শোবিজ

সংশোধন
সংশোধন

খবর

মাহির একাকিত্ব
মাহির একাকিত্ব

শোবিজ

সেঞ্চুরি করে সাকিবের পাশে মিরাজ
সেঞ্চুরি করে সাকিবের পাশে মিরাজ

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে

মাঠে ময়দানে

ববির ঘোষণা আসছে
ববির ঘোষণা আসছে

শোবিজ

জনগণকে নিরাপত্তাহীন করবেন না
জনগণকে নিরাপত্তাহীন করবেন না

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটি
ছুটি

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরও সংকটে
সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরও সংকটে

নগর জীবন

শিয়াল মারার ফাঁদে বৃদ্ধের মৃত্যু
শিয়াল মারার ফাঁদে বৃদ্ধের মৃত্যু

দেশগ্রাম