শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

অবৈধ যানবাহন

সততার সংকটই বড় সমস্যা

দেশের সড়ক-মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন থ্রি-হুইলার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, নসিমন, করিমন চলাচল একাধিকবার বন্ধ ঘোষণার পরও দেশের সব মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব অবৈধ যান। সরকারি সিদ্ধান্তের ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও অবৈধ যানবাহন নির্বিঘ্নে চলছে। ফলে সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রশাসন ও হাইওয়ে পুলিশের নির্লিপ্ততা এবং কার্যকর তদারকির অভাবে মহাসড়কে থ্রি-হুইলার বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে না। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা। সড়কে নিয়মিত চাঁদা দিয়েই চলছে এসব ঝুঁকিপূর্ণ যান। স্মর্তব্য, মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে থ্রি-হুইলার, অটোরিকশা, অটোটেম্পো ও অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী। এর আগে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এ সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রয়োজনে মহাসড়কে থ্রি-হুইলারের জন্য আলাদা লেন চিহ্নিত করে দেওয়া হবে। সরকারিভাবে ২২টি মহাসড়কে থ্রি-হুইলার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, করিমন, নসিমন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণার পর কয়েক দিন পুলিশি তৎপরতায় ওইসব যান বন্ধ থাকে। দেশের সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যাও বেশ হ্রাস পায়। তবে তারপর সবকিছু আগের অবস্থায় ফিরে যায়। যারা সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন তারা উৎকোচের কাছে বিক্রি হয়ে যাওয়ায় সবকিছু দেখেও না দেখার ভান করা শুরু হয়। এমনকি খোদ রাজধানীতেও বিভিন্ন সড়কে অবাধে চলছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন। পুলিশের নাকের ডগায় এগুলো চলাচল করলেও তারা নিস্পৃহ ভূমিকা পালন করছে। দুর্ঘটনা রোধে ট্রাফিক পুলিশ ও অন্যদের মধ্যে যে সততার সংকট বিরাজ করছে তার অবসান ঘটাতে হবে। তা সম্ভব হলে বন্ধ হবে অবৈধ যানবাহনের দাপট।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর