শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ০৩ জানুয়ারি, ২০২২

ছাত্রলীগের ইতিহাস- বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাস

নূরে আলম সিদ্দিকী
প্রিন্ট ভার্সন
ছাত্রলীগের ইতিহাস- বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাস

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের আনুষ্ঠানিক জন্মদিন। বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বেলিত ও উজ্জীবিত স্বাধীনতার ভ্রূণটির সৃষ্টি হয় ছাত্রলীগের গর্ভে। এ বাংলার রূপ-রস-গন্ধ ও মননের নির্যাস নিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের যে ভ্রূণটি সেদিন জন্মলাভ করেছিল, তাই বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবির স্বর্ণালি চন্দন মেখে অস্তিত্বের আবির মাখে। ‘এ মাটি আমার সোনা, আমি করি তার জন্মবৃত্তান্ত ঘোষণা’- এটি ছাত্রলীগের অযুত-নিযুত কর্মীর জন্য শুধু একটি স্লোগান ছিল না, বরং অস্তিত্বের স্বর্ণসৈকত ছিল। দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানেও বাঙালি চেতনার উন্মেষ ঘটানোর দুঃসাহসিকতা একটি অকল্পনীয় ব্যাপারই ছিল। অস্বীকার করার উপায় নেই, সমগ্র পাকিস্তানেই মুকুটহীন সম্রাট হিসেবে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ অধিষ্ঠিত ছিলেন। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নয়, বরং জিন্নাহ সাহেবের মধ্যাহ্নের সূর্যরশ্মির মতো প্রদীপ্ত ব্যক্তিত্বের আলোকরশ্মির প্রখরতা হৃদয়াঙ্গম করেই মহাত্মা গান্ধী তাকে কায়েদে আযম উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। ভারতকে অবিভক্ত রাখার অভিলাষ ও অভিপ্রায় করমচাঁদ গান্ধীর এতটাই প্রবল ও তীব্র ছিল যে, জিন্নাহকে তিনি অবিভক্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু জিন্নাহ তার চিন্তা-চেতনা, মনন ও মননশীলতায় আপসহীন, অকুতোভয় ও এতটাই প্রত্যয়দৃঢ় ছিলেন যে, এ ধরনের প্রস্তাবনা জিন্নাহকে সামান্যতম দুর্বল করতে পারেনি, আকর্ষণও করতে পারেনি। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় তার এ প্রত্যয়দৃঢ় চেতনাবোধ নীল নভোনীলের প্রদীপ্ত সূর্যের মতোই উদ্ভাষিত ও প্রজ্বলিত করে তোলে তার নেতৃত্বকে। তিনি নেতৃত্বের এমন শিখরচূড়ায় অবতীর্ণ হন যে, তার প্রতিটি আহ্বান এ উপমহাদেশের মুসলমানদের কাছে অলঙ্ঘনীয় হয়ে দাঁড়ায়। জিন্নাহ সাহেব সত্যিকার অর্থে কায়েদে আযম বা মহান নেতায় পরিগণিত ও প্রতিষ্ঠিত হয়ে যান। মনে রাখতে হবে, মুসলিম লীগের রাজনীতি ছিল প্রাসাদকেন্দ্রিক। নবাবদের সুরম্য প্রাসাদ আহসান মঞ্জিলের মতো নবাবী প্রাসাদে জন্মলাভ করা সংগঠনটি আভিজাত্যের দাম্ভিকতায় বুঁদ হয়ে থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তব অর্থে তিনি তো পাকিস্তানের উভয় অংশের মানুষের হৃদয়ের সিংহাসনের অধিপতি ছিলেন। কিন্তু প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের কুটিল প্রয়াসে একটি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করা এবং রাজনৈতিক জীবনে আলী ভ্রাতৃদ্বয়ের (শওকত আলী, মোহাম্মদ আলী) প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা ওই নেতৃত্ব কীভাবে পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষে একপেশে হয়ে গেলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অতি সাধারণ ছাত্র হিসেবে আজও তা আমার বোধগম্য হয় না। তবুও আমি বিদগ্ধ চিত্তে ও পরিতৃপ্ত হৃদয়ে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাব এ কারণে যে, সেদিন তিনি ক্ষমতার নেশায় বুঁদ হয়ে বাঙালির অস্তিত্বকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা বানানোর অভিলাষ ব্যক্ত না করলে বাঙালি জাতীয় চেতনায় উজ্জীবিত আন্দোলনের পথপরিক্রমণের উন্মত্ততায় ছাত্রলীগের জন্ম হতো না। বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি এবং বাঙালি জাতীয় চেতনার উন্মেষ ব্যাপ্তি ও বিকাশ হতো না।

উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা বানানোর জিন্নাহর এ উক্তি তাৎক্ষণিক বা ক্ষণিকের চিন্তার ফসল ছিল না। তখন ক্ষমতায় টিকে থাকার অভিলাষকে চরিতার্থ করার জন্য মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দের প্রায় সবাই এই নির্লজ্জ অভিলাষ ব্যক্ত করেন। আর ক্রমাগত জনসম্পৃক্ততা তৈরি করে তখনকার ছাত্রলীগ বাঙালি জাতীয়তাবাদের মনন তৈরির সাধনায় লিপ্ত হয়। তাইতো ভাষা আন্দোলনের বিশ্লেষকরা একমত হয়ে বলতে পেরেছিলেন, বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মেনে নাও, নয়তো আন্দোলনের মোকাবিলা কর। বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা না করলে রাজপথের বিদগ্ধ গণআন্দোলনের মাধ্যমে এ দাবি আদায় করে নেওয়া হবে। হয়েছেও তাই। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারের বুকের রক্তে বাংলার মাটি রঞ্জিত হয়েছে। কিন্তু বুকের তাজা রক্তের মাধ্যমে এ ভাষার দাবি অর্জিতও হয়েছে। ছাত্রলীগের একটি অতি ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে এ অর্জন আমার কাছে প্রচন্ড অহংকারের। এ অর্জনের বিচ্ছুরিত আলোকরশ্মিতেই পথ দেখে আমরা স্বায়ত্তশাসন থেকে স্বাধিকার, স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার অগ্নিঝরা পথে হাঁটতে পেরেছিলাম। এ পথে ছোটখাটো দ্বন্দ্ব ও মতানৈক্য আমাদের মধ্যে লেগেই থাকত। তার মধ্যে ৭০-এর নির্বাচনের আগে কোনো ম্যান্ডেট ছাড়াই স্বাধীনতার আহ্বান জানানোর রোমান্টিক অভিলাষটি প্রচন্ড চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এমনিতেই বিশ্বব্যাপী তখন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ঝড়ো হাওয়া বইছিল। তার প্রচন্ড উত্তাপের প্রভাব তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র আন্দোলনে পড়াটাও স্বাভাবিক। আমি ছাত্রলীগের একজন কর্মী। সৌভাগ্যক্রমে তখন ছাত্রলীগের সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত ছিলাম। স্বাধীনতার অববাহিকায় একজন চারণ কবির মতো গান গেয়ে ফেরার বিস্তৃত সুযোগ আমার ভাগ্যে এসেছিল। আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এ প্রজন্মকে আমি অবহিত করতে চাই, সেদিনের সেই অগ্নিঝরা সময়ে আবেগাপ্লুত হৃদয়কে সযত্ন নিয়ন্ত্রণে এনে সম্পূর্ণ সঠিক ধারায় পরিচালিত করতে পেরেছিলাম বলেই আন্দোলনের সোনারতরী সফলতার তীর খুঁজে পেয়েছে। ৭০-এর নির্বাচনের গণম্যান্ডেটের রায় আন্দোলনের মূর্ত প্রতীক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দুর্দমনীয় ব্যক্তিত্ব এবং ছাত্রলীগের সূক্ষ্ম ও ত্রুটিবিমুক্ত অসংখ্য রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রতিপালনের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতার প্রদীপ্ত সূর্যটিকে আলিঙ্গন করতে পেরেছি। অনেক তপ্ত-তাজা প্রাণের রক্ত ঝরেছে, অনেক সতী-সাধ্বী রমণীর সতীত্ব বিসর্জিত হয়েছে। স্বাধীনতার সূর্যের বিকীর্ণ অগ্নিকণায় বাঙালির সব ক্ষতচিহ্নগুলো মুছে দিয়ে স্বাধীনতার বিমূর্ত অস্তিত্বকে মূর্ত করেছে। অবস্থার প্রেক্ষাপটে নতুন প্রজন্মকে আমার বারবার বলতে ইচ্ছা করে, এ সুদীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনের মূর্ত প্রতীক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আর তার সূক্ষ্ম কারিগর ছিল ছাত্রলীগ। রাতের সব তারা যেমন লুকিয়ে থাকে দিনের আলোর গভীরে, তেমনি স্বাধীনতার চেতনাটি লুকিয়ে ছিল ছাত্রলীগের মননে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালে যখন ছাত্রলীগ বা স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নামটি উচ্চারিত হয় না, তখন আমার হৃদয়টি দুমড়ে-মুচড়ে যায়- কুঁকড়ে কেঁদে ওঠে। বঙ্গবন্ধুকে ছোট করার জন্য নয়, বরং তাঁর কর্মময় জীবনটিকে শিল্পীর আঁচড়ে প্রতিভাত করার জন্যই ছাত্রলীগের সব রাজনৈতিক কর্মকান্ডকে নিবিড়ভাবে তুলে আনতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, ইতিহাস একদিন কথা বলেই। আমি চোখ বুজে হৃদয়ের ধড়কানিতে শুনতে পাই, বঙ্গবন্ধুর সেই অমোঘ উচ্চারণ, ‘ছাত্রলীগের ইতিহাস- বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাস।’

বঙ্গবন্ধুর এ কথার সূত্র ধরেই আমার হৃদয়ের অনুরণনকে আমি ব্যক্ত করতে চাই। বঙ্গবন্ধুকে বটবৃক্ষের সঙ্গে তুলনা করলে, তার মাটিতে প্রোথিত শিকড় হলো ছাত্রলীগ। তাকে বিশাল সাগরের সঙ্গে তুলনা করলে তার উচ্ছ্বসিত উর্মিমালা হলো ছাত্রলীগ। তিনি বাংলা, বাংলাই তাঁর- এ ছন্দে কোনো কবি যদি শেখ মুজিবকে অভিহিত করেন, তবে তার অস্তিত্বের সমস্ত শরীর থেকে বেরিয়ে আসবে দোঁআশ মাটির পূত-পবিত্র গন্ধ। মনে হবে সারা বাংলার শ্যামল-সুন্দর ছবিটি তার অবয়বে গাঁথা। এগুলোর নিপুণ শিল্পী এবং শৈল্পিক মনন হলো ছাত্রলীগ। এখানে সংগঠনের মতভেদের প্রশ্ন আসে না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শ তো অবশ্যই থাকবে। এ ভিন্নতা বাংলাদেশের গণতন্ত্রেরই বিকাশ ঘটাবে। কিন্তু শেখ মুজিবের মহান অস্তিত্বকে কোনোভাবেই খাটো করবে না। তবে বঙ্গবন্ধুর আন্দোলনের মহান পথপরিক্রমণে যারা সহযাত্রী ও সহকর্মী ছিলেন- তাদের অবস্থানকে নিশ্চিহ্ন করার যে কোনো অভিলাষ তাঁকে খাটো করবে, স্বাধীনতা আন্দোলনের সূর্যস্নাত  গৌরবকে ম্লান করে দেবে। ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের আনুষ্ঠানিক জন্মের ঊষালগ্নের দিনে নতুন প্রজন্মের কাছে আমার প্রত্যাশা, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সাফল্যকে তুলে ধরতে হলেই ছাত্রলীগের বিশাল কর্মযজ্ঞকে যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে। বঙ্গবন্ধু যে চেতনার মূর্ত প্রতীক, সেই চেতনার বাস্তবায়নের কারিগর ছাত্রলীগকে পাশ কাটিয়ে ইতিহাসের সঠিক বিশ্লেষণ ও বর্ণনা হয় না। বরং একটি বিকৃত মানসিকতার উদগ্র চেতনাই প্রতিভাত হয়।

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে অবমুক্তির পরপরই আমার পূর্ব পুরুষদের একটি বেদনাদায়ক ও বিশ্বকে অবাক করা একটি নতুন সংগ্রামের পথপরিক্রমণে নামতে হয়। বোধ করি পৃথিবীর কোনো দেশের কোনো বর্ণ-গোত্রের কোনো ভাষার মানুষকে নিজের ভাষায় নিজের মাকে ডাকার অধিকার আদায় করতে গিয়ে বুকনিঃসৃত তাজা তপ্ত রক্ত ঢালতে হয়নি। সেই রক্তদান এতটাই গৌরব ও আত্মমর্যাদার ছিল যে, দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে অর্জিত পাকিস্তানের ঊষালগ্নেই বাঙালি জাতীয় সত্তার বিকাশ, ব্যাপ্তি ও সফলতার- একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সুদৃঢ় বিনির্মাণের উপাত্ত তৈরি করে। বাঙালির আত্মপরিচয় সগৌরবে তুলে ধরার লক্ষ্যেই ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের জন্ম হয়। এ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠার মহান ব্রতে ব্রতী হয়ে যারা এ অসাধ্য সাধন করেন, সেই স্থপতিরা শুধু বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় অধিকারেই তাদের চিন্তাকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। বরং ভাষা আন্দোলনে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি আদায়ের পরও সেসব উচ্চকিত, উচ্ছ্বসিত, উদ্গত উদ্ধত প্রাণগুলো ভাষা আন্দোলনের অববাহিকায় দেশের প্রথম বিরোধী শক্তির সংগঠন হিসেবেই একটি স্বর্ণোজ্জ্বল সংগঠন ছাত্রলীগের আত্মপ্রকাশ ঘটায়। শুধু আমাদের কেন, সারা বিশ্বকে বিস্ময়াভিভূত করে ৫২, ৬২, ৬৬, ৬৯ সালে আন্দোলনের একেকটি সোপান তৈরি ও তা অতিক্রমণের মধ্য দিয়ে ৭০-এর নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ৭০ এর নির্বাচনকে প্রশান্ত চিত্তে আলিঙ্গন করে। প্রতিটি আন্দোলনের স্রোতধারায় দোল খাইয়ে বাঙালি জাতীয় চেতনাকে তখনকার জনগোষ্ঠীর বিস্তীর্ণ হৃদয়ে এমনভাবে প্রতিস্থাপিত করে যে, বঙ্গবন্ধুকে আন্দোলনের প্রতীক বানিয়ে ছাত্রলীগ আন্দোলনটিকে স্বায়ত্তশাসন থেকে স্বাধিকার এবং স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতায় শুধু রূপান্তরিতই করেনি, ছাত্রলীগ তখনকার বাংলার জাগ্রত জনতার চিত্তকে এতটাই শানিত করে যে, নিরস্ত্র জাতি পৃথিবীর সবচেয়ে হিংস্র ও পৈশাচিক সেনাশক্তিকে শুধু মোকাবিলাই করেনি, পর্যুদস্ত করার মাধ্যমে পরাধীনতার বক্ষ বিদীর্ণ করে স্বাধীনতার প্রদীপ্ত সূর্যকে ছিনিয়ে আনে। একটি নিরস্ত্র জাতির এ ঐতিহাসিক বিজয় ও স্বাধীনতা বিশ্বকে শুধু বিমুগ্ধই করেনি, বিস্ময়াভিভূত ও আশ্চর্যান্বিত করেছিল। এ মহান বিজয়ের পথপরিক্রমণের একজন পথিক হিসেবে আমার মনে হয়, একটি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে ৯০ ভাগ জনগোষ্ঠীর এমন মহামিলন বোধ করি পৃথিবীর আর কোথাও ঘটেনি।

ষাট দশকের প্রথমার্ধে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এসএফ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে একটি অংশ সরকার সমর্থিত এনএসএফ নামে আত্মপ্রকাশ করে। রব সাহেব বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ও প্রতিভা প্রদীপ্ত ছাত্র হিসেবে খ্যাত ছিলেন। তাকেই সভাপতি এবং মাহবুবুল হক দোলনকে সাধারণ সম্পাদক করে এনএসএফ এর যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তী সম্মেলনে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জমির আলীর প্রযতেœ এনএসএফ প্রকৃতভাবেই বিকশিত হয় এবং অনেক হল ছাত্র সংসদে নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে সক্ষম হয়। ডাকসুতেও তাদের নেতৃত্বের অংশীদারিত্ব ছিল। দাঙ্গা-হাঙ্গামা, মারপিট ও নানাবিধ ইস্যুতে তুলকালাম সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের জৌলুস ও আধিপত্য বিস্তারের দুর্দমনীয় লালসার পরিস্ফুটন ঘটলেও দলটির মধ্যে কাকতালীয়ভাবে অনেক প্রতিভাবান ছাত্রের সমাহার ঘটে। নেতৃত্বের মধ্যেও প্রতিভা প্রদীপ্ত ছাত্রদের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। সেই সময় সমাজতন্ত্রের স্লোগান সমন্বিত ছাত্র ইউনিয়নের প্রচন্ড প্রতাপ ছিল। ছাত্র ইউনিয়ন তখনো দ্বিধাবিভক্ত হয়নি। বদরুল আলম, ফরহাদ ভাই, কাজী জাফর ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বের অগ্রভাগে থেকে ছাত্র ইউনিয়নের ব্যাপ্তি ও বিকাশ সমুজ্জ্বল করে তোলেন। ছাত্রলীগ সামরিক জান্তা আইয়ুবের সামরিক শাসনের জগদ্দল পাথরচাপা অবস্থান থেকেও অত্যন্ত দৃপ্ত পদক্ষেপে হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বাতিলের অধ্যায় বিনির্মাণ করে মূলত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মুক্তি, মৌলিক গণতন্ত্র-ব্যবস্থা বাতিল এবং সামরিক শাসনের কুটিল চক্র ও হিংস্র থাবা থেকে জাতিকে বিমুক্ত করার প্রচেষ্টাকে ব্যাপকতর করে তোলে। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় রফিকুল্লাহ চৌধুরী, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, শেখ ফজলুল হক মণি, এনায়েতুর রহমান, কে এম ওবায়দুর রহমান, সিরাজুল আলম খান- এরাই প্রত্যয়দৃঢ় মননশীলতায় ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে প্রবল গণআন্দোলন তৈরি করতে সক্ষম হন। তখনকার সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদে ছাত্রলীগের সুদৃঢ় ভূমিকা থাকলেও অগ্রভাগকে আলোকিত করে রাখত ছাত্র ইউনিয়ন। তৎকালীন ঘটনা প্রবাহের বাস্তবতায় এ নিরেট সত্যটিকে অস্বীকার করা যাবে না। তবে সবচেয়ে গৌরব, অহংকার ও আত্মবিশ্বাসের কথা হলো- শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, শেখ ফজলুল হক মণি, এনায়েতুর রহমান, কে এম ওবায়দুর রহমান, সিরাজুল আলম খান এবং পরবর্তীতে সৈয়দ মযহারুল হক বাকী ও আবদুর রাজ্জাক ছাত্রলীগের মাধ্যমে আন্দোলনের হাল ধরে সমগ্র বাংলাদেশকে ভিসুভিয়াসের মতো জ্বালিয়ে তোলেন। বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনের প্রচন্ড তোড়ে হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট চিরতরে বাতিল হয়ে যায়। গণতন্ত্রের প্রতিশব্দ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কারারুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তিলাভ করেন। এখানে একটি কথা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক যে, ছাত্র আন্দোলনকে গণআন্দোলনে রূপদান করার এবং অভীষ্ট সৈকতে নোঙর করার লক্ষ্যে একটি জাতীয় রাজনৈতিক ফ্রন্ট গঠনের প্রয়োজনীয়তা ও প্রেক্ষিত গড়ে ওঠে অনিবার্যভাবেই। এবং সেই লক্ষ্যমাত্রায় নূরুল আমিন সাহেবের নেতৃত্বে এনডিএফ নামে একটি রাজনৈতিক ঐক্যফ্রন্ট গড়ে ওঠে। এখানেও ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়।

৬২-এর আন্দোলনে শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, শেখ ফজলুল হক মণি, এনায়েতুর রহমান, কে এম ওবায়দুর রহমান- এরা ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বের মূর্ত প্রতীক ছিলেন। আন্দোলনের বেদিমূল সৃষ্টি তো বটেই, তাদের ব্যক্তিগত জীবনের কথোপকথন, চালচলন, ওঠাবসা- এমন নিখুঁত আদলে পরিমন্ডিত হতো যে, সব মিলিয়ে তারা ছাত্র আন্দোলনের আদর্শ পুরুষ ও অনুকরণীয় হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। ছয় দফা প্রদানের পর সৈয়দ মাযহারুল হক বাকী, আবদুর রাজ্জাক- এরাও ছাত্ররাজনীতির ক্ষেত্রে বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠেন। পরিমার্জিত চিন্তার ও বুদ্ধির সৌকর্যে বাম রাজনীতির ধারাকে ছাপিয়ে ছয় দফার দাবিকে উচ্চকিত করতে তারা সক্ষম হন। এ আন্দোলনের স্রোতধারায় ছাত্র-জনতার আরও উচ্ছ্বসিত ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে গড়ে ওঠে ১১ দফার আন্দোলন। তাদের অকুতোভয় সাহস ও প্রত্যয়দৃঢ় দৃপ্ত চেতনায় পরবর্তীতে ৬৯-এর গণআন্দোলনের প্রচন্ড চাপে লৌহমানব খ্যাত আইয়ুব খানের পতনকে নিশ্চিত করে। তা সত্ত্বেও ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে সামরিক শাসনের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। তবুও ইয়াহিয়া খানের সামরিক শাসন ছিল অনেকটা ভোঁতা এবং মানুষের চেতনাটাও ছিল তীব্র এবং তীক্ষè। সামরিক শাসনের ভ্রুকুটিকে উপেক্ষা ও অগ্রাহ্য করার মতোই শানিত। সম্ভবত পাকিস্তানের সামরিক জান্তা মানুষের এ শানিত চেতনাটি উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছিল। যার ফলে সামরিক শাসন জারি করার পরপরই ইয়াহিয়া খান ৭০-এর সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা এবং জনসংখ্যার ভিত্তিতেই সাধারণ নির্বাচনের সুষ্পষ্ট রূপরেখা প্রদান করতে বাধ্য হন। ফলে গণআন্দোলন একটুখানি হোঁচট খেলেও মূলত পাকিস্তানের রাজনীতিতে একটা বিস্ময়কর বিজয় এনে দেয়। এ বিজয়ের আরেকটি বৈর্বক্তিক দিক হলো, জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংসদীয় আসন নির্ধারণের মাধ্যমে নির্বাচনটি অনুষ্ঠানের ঘোষণা। ফলে পূর্ব পাকিস্তানের সৌভাগ্যে জুটল ৩০০ আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন। ১১ দফা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সমগ্র বাংলাদেশ গণসমুদ্রের ফেনিল চূড়ায় ভিসুভিয়াসের মতো জ্বলে ওঠে। আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন ছাত্রনেতা আবদুর রউফ, খালেদ মোহাম্মদ আলী ও তোফায়েল আহমেদ। তখনকার ছাত্ররাজনীতিতে ছাত্রলীগের একাধিপত্যের শুরু এখান থেকে।

আমরা পরবর্তীকালে যারা স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা বা চার খলিফা হিসেবে আন্দোলনের জাজ্বল্যমান প্রতীকরূপে রাজনীতিতে প্রতিভাত হয়েছিলাম, আমাদের চিত্তের অনুরণন, নাড়ির স্পন্দন, রক্তের শিরায় শিরায় যে ছন্দ সৃষ্টি হতো- তা বাঙালি জাতীয় চেতনারই বহিঃপ্রকাশ। এদেশের সব আন্দোলনের বিশ্লেষণে এটি মরুভূমির নিষ্কলুষ সূর্যোদয়ের মতো ফুটে ওঠে যে, ছাত্রলীগই সব আন্দোলনের অগ্রযাত্রী, উদ্ভাবক ও সারথি। বঙ্গবন্ধুকে তারা আন্দোলনে শুধু প্রণোদনাই প্রদান করেনি, বরং মূল শক্তি হিসেবে তার সমস্ত অগ্রযাত্রায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। ইতিহাসের অলঙ্ঘনীয় বিচারে বাংলাদেশ, শেখ মুজিব এবং ছাত্রলীগ একটি অপরটির প্রতিশব্দ বা পরিপূরক হিসেবে প্রতিস্থাপিত হয়েছে।

বর্তমানে সরাসরি রাজনীতি না করলেও রাজনীতি আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে, অনুভূতির পরতে পরতে। রাজনীতির চেতনায় উজ্জীবিত আমার সমগ্র সত্তা আমাকে একটি মুহূর্ত থেকেও রাজনৈতিক চেতনাবিমুক্ত হতে দেয় না। তাই এ প্রজন্মের কাছে আমার শাশ্বত দাবি রয়েই যায়, তোমাদের গৌরবদীপ্ত অতীতকে জানার চেষ্টা কর। সেদিনের সংগ্রাম ছিল ভাষা, স্বাধিকার ও স্বাধীনতার। আজকের সংগ্রাম হোক বিশ্বাসের, দেশপ্রেমের ও জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে দেশকে সম্মুখের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। জীবন সায়াহ্নে আমার শেষ আশীর্বাণী, সেদিনের যে ছাত্রলীগ স্বাধীনতা এনেছে, বাঙালি জাতীয় চেতনার মূর্ত প্রতীক সেই ছাত্রলীগ স্বাধীনতার সুফলকে প্রান্তিক জনতার দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করুক। মূল্যবোধের কোনো অবক্ষয় তাদের উজ্জীবিত হৃদয়কে অন্ধকারে ঢেকে না দিক। প্রগতিশীল চেতনাকে বিবর্ণ না করুক। যার অতীত আছে, তার বর্তমান কলঙ্কিত হতে পারে না, ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে পারে না।

লেখক : স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ নেতা ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।

এই বিভাগের আরও খবর
সীমানা জটিলতা
সীমানা জটিলতা
শুভবুদ্ধির উদয় হোক
শুভবুদ্ধির উদয় হোক
মানবতার পরীক্ষায় পৃথিবী
মানবতার পরীক্ষায় পৃথিবী
সফলতা আমলের ওপর নির্ভরশীল
সফলতা আমলের ওপর নির্ভরশীল
ট্রাম্পের পাগলপন্থা ও ইরানি বাস্তবতা
ট্রাম্পের পাগলপন্থা ও ইরানি বাস্তবতা
বেকারত্বের অভিশাপ
বেকারত্বের অভিশাপ
যুদ্ধ নয় শান্তি
যুদ্ধ নয় শান্তি
বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হন বখতিয়ার খলজি
বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হন বখতিয়ার খলজি
যুদ্ধ নয়, শান্তি ফিরে আসুক
যুদ্ধ নয়, শান্তি ফিরে আসুক
খাল-নদীর বরিশালে
খাল-নদীর বরিশালে
রাজনীতিতে স্বস্তি, অর্থনীতিতে অস্বস্তি
রাজনীতিতে স্বস্তি, অর্থনীতিতে অস্বস্তি
কক্সবাজার মহাসড়ক
কক্সবাজার মহাসড়ক
সর্বশেষ খবর
যুক্তরাষ্ট্র ‘পরমাণু হামলার জবাব দেবে’ শুনেই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া!
যুক্তরাষ্ট্র ‘পরমাণু হামলার জবাব দেবে’ শুনেই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া!

১ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারি সেবা নিতে তিনজনের একজন দুর্নীতির শিকার
সরকারি সেবা নিতে তিনজনের একজন দুর্নীতির শিকার

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

নিজ বাড়িতে মিলল ইসরায়েলি ২ নারীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ
নিজ বাড়িতে মিলল ইসরায়েলি ২ নারীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ

২৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেসির জাদুকরী ফ্রি-কিক! মায়ামির দুর্দান্ত জয়
মেসির জাদুকরী ফ্রি-কিক! মায়ামির দুর্দান্ত জয়

৪৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

যেসব কারণে সেনায় জন-আস্থা ও নির্ভরতা
যেসব কারণে সেনায় জন-আস্থা ও নির্ভরতা

৫১ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

মার্তিনেজকে ঘিরে জোরাল গুঞ্জন
মার্তিনেজকে ঘিরে জোরাল গুঞ্জন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নোয়াখালীতে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, গ্রেফতার ২
নোয়াখালীতে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা, গ্রেফতার ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার
৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হজে গিয়ে ৩৬ বাংলাদেশির মৃত্যু
হজে গিয়ে ৩৬ বাংলাদেশির মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সত্যিই কি ইরানের পর পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচিতে হামলা চালাবে ইসরায়েল?
সত্যিই কি ইরানের পর পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচিতে হামলা চালাবে ইসরায়েল?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের অধিকাংশ এলাকায় আজ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
দেশের অধিকাংশ এলাকায় আজ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের জেরে তেহরানে দূতাবাস বন্ধ করল অস্ট্রেলিয়া
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের জেরে তেহরানে দূতাবাস বন্ধ করল অস্ট্রেলিয়া

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিমুলিয়ায় ফের চালু করা হবে ফেরি: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
শিমুলিয়ায় ফের চালু করা হবে ফেরি: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিদেশি ঋণে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা
বিদেশি ঋণে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ফ্ল্যাট-প্লট বিক্রি ৪০% কমেছে
ফ্ল্যাট-প্লট বিক্রি ৪০% কমেছে

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের সম্মানিতদের আনন্দিত করেছে : খামেনি
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের সম্মানিতদের আনন্দিত করেছে : খামেনি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমদানি-রপ্তানিতে অনলাইনে সিএলপি ইস্যু বাধ্যতামূলক করলো এনবিআর
আমদানি-রপ্তানিতে অনলাইনে সিএলপি ইস্যু বাধ্যতামূলক করলো এনবিআর

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

'বিশ্ববাসীকে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে, রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর'
'বিশ্ববাসীকে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে, রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর'

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যাংক মালিকদের পেটে পৌনে দুই লাখ কোটি টাকা
ব্যাংক মালিকদের পেটে পৌনে দুই লাখ কোটি টাকা

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আওয়ামী লীগের মুখে জনগণ চুনকালি মেখেছে : খায়রুল কবির খোকন
আওয়ামী লীগের মুখে জনগণ চুনকালি মেখেছে : খায়রুল কবির খোকন

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সেই ছাত্রীকে বিয়ে করলেন নোবেল
সেই ছাত্রীকে বিয়ে করলেন নোবেল

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইরানে হামলার সিদ্ধান্তের আগে কূটনীতির জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেবেন ট্রাম্প
ইরানে হামলার সিদ্ধান্তের আগে কূটনীতির জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেবেন ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০ বছরের বেশি পুরোনো বাস চলতে পারবে না, প্রজ্ঞাপন জারি
২০ বছরের বেশি পুরোনো বাস চলতে পারবে না, প্রজ্ঞাপন জারি

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাঁচ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর
পাঁচ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিপিএলের নতুন চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম
বিপিএলের নতুন চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কক্সবাজারে অস্ত্রসহ যুবদল নেতা গ্রেফতার
কক্সবাজারে অস্ত্রসহ যুবদল নেতা গ্রেফতার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেনী সীমান্তে ১১ জনকে বিএসএফের পুশইন, নজরদারি জোরদার
ফেনী সীমান্তে ১১ জনকে বিএসএফের পুশইন, নজরদারি জোরদার

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রায় সকল দলই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তনে আগ্রহী : আলী রীয়াজ
প্রায় সকল দলই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তনে আগ্রহী : আলী রীয়াজ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আড়িয়াল বিলের সব অপরিকল্পিত বাঁধ অপসারণের নির্দেশ পরিবেশ উপদেষ্টার
আড়িয়াল বিলের সব অপরিকল্পিত বাঁধ অপসারণের নির্দেশ পরিবেশ উপদেষ্টার

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আহত পুলিশ সদস্যদের শয্যাপাশে আইজিপি
আহত পুলিশ সদস্যদের শয্যাপাশে আইজিপি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
চীন থেকে ‘রহস্যময়’ উড়োজাহাজের উড্ডয়ন, ইরানের কাছে গিয়ে ‘উধাও’!
চীন থেকে ‘রহস্যময়’ উড়োজাহাজের উড্ডয়ন, ইরানের কাছে গিয়ে ‘উধাও’!

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার মিসাইল নিক্ষেপ করল উত্তর কোরিয়া
এবার মিসাইল নিক্ষেপ করল উত্তর কোরিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করলে ভয়াবহ পরিণতি, যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার
ইরান ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করলে ভয়াবহ পরিণতি, যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধের খরচে নাজেহাল ইসরায়েল, বিপর্যস্ত অর্থনীতি
যুদ্ধের খরচে নাজেহাল ইসরায়েল, বিপর্যস্ত অর্থনীতি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি পরমাণু স্থাপনায় বোমাবর্ষণ চেরনোবিল-ফুকুশিমার মতো বিপর্যয় ডেকে আনবে না: বিবিসি
ইরানি পরমাণু স্থাপনায় বোমাবর্ষণ চেরনোবিল-ফুকুশিমার মতো বিপর্যয় ডেকে আনবে না: বিবিসি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সকালে কোন মিসাইল ব্যবহার করেছে ইরান, বুঝতেই পারছে না ইসরায়েল
সকালে কোন মিসাইল ব্যবহার করেছে ইরান, বুঝতেই পারছে না ইসরায়েল

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের হামলার আশঙ্কা; মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুদ্ধবিমান ও জাহাজ সরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের হামলার আশঙ্কা; মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুদ্ধবিমান ও জাহাজ সরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমন ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ আছে- যা এখনও ব্যবহার করিনি, হুঁশিয়ারি ইরানের
এমন ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ আছে- যা এখনও ব্যবহার করিনি, হুঁশিয়ারি ইরানের

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আবারও রহস্যজনক বার্তা দিলেন ট্রাম্প
আবারও রহস্যজনক বার্তা দিলেন ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেই ছাত্রীকে বিয়ে করলেন নোবেল
সেই ছাত্রীকে বিয়ে করলেন নোবেল

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইরান ইস্যুতে ট্রাম্পকে পিছু হটার আহ্বান স্টারমারের
ইরান ইস্যুতে ট্রাম্পকে পিছু হটার আহ্বান স্টারমারের

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে সম্ভাব্য ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি’ নিচ্ছে তুরস্ক
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে সম্ভাব্য ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি’ নিচ্ছে তুরস্ক

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের এক রাতের হামলায় হাসপাতালে ২৭১ ইসরায়েলি
ইরানের এক রাতের হামলায় হাসপাতালে ২৭১ ইসরায়েলি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অডিও ফাঁস নিয়ে তোলপাড়, পদচ্যুত হতে পারেন থাই প্রধানমন্ত্রী
অডিও ফাঁস নিয়ে তোলপাড়, পদচ্যুত হতে পারেন থাই প্রধানমন্ত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলজাজিরার সম্প্রচার নিষিদ্ধের পর এবার দর্শকদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপের হুমকি
আলজাজিরার সম্প্রচার নিষিদ্ধের পর এবার দর্শকদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপের হুমকি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিষাক্ত পদার্থ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা
ইসরায়েলের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিষাক্ত পদার্থ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে আরও ৩০ মিসাইল হামলা ইরানের, আহত অন্তত ২০
ইসরায়েলে আরও ৩০ মিসাইল হামলা ইরানের, আহত অন্তত ২০

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফোর্ডো ধ্বংসে যুক্তরাষ্ট্রের বাংকার বাস্টার চায় ইসরায়েল
ফোর্ডো ধ্বংসে যুক্তরাষ্ট্রের বাংকার বাস্টার চায় ইসরায়েল

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডিএসসিসিতে যেভাবে নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে, আর বসে থাকার সুযোগ নেই: আসিফ মাহমুদ
ডিএসসিসিতে যেভাবে নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে, আর বসে থাকার সুযোগ নেই: আসিফ মাহমুদ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানে হামলার সিদ্ধান্তের আগে কূটনীতির জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেবেন ট্রাম্প
ইরানে হামলার সিদ্ধান্তের আগে কূটনীতির জন্য দুই সপ্তাহ সময় দেবেন ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লজ্জা ভুলে ট্রেন্ড! ইরানের টিভি স্টুডিওতে হামলা নিয়ে ইসরায়েলে ব্যঙ্গ, বিশ্বব্যাপী নিন্দা
লজ্জা ভুলে ট্রেন্ড! ইরানের টিভি স্টুডিওতে হামলা নিয়ে ইসরায়েলে ব্যঙ্গ, বিশ্বব্যাপী নিন্দা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ আগস্ট সরকারি ছুটি পালনের সিদ্ধান্ত : ফারুকী
৫ আগস্ট সরকারি ছুটি পালনের সিদ্ধান্ত : ফারুকী

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরান ইস্যুতে পুতিন- শি জিনপিংয়ের ফোনালাপ
ইরান ইস্যুতে পুতিন- শি জিনপিংয়ের ফোনালাপ

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর
পাঁচ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে, হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর
ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে, হুঁশিয়ারি নেতানিয়াহুর

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভয় না পেয়ে জনগণকে দৃঢ় থাকার আহ্বান খামেনির
ভয় না পেয়ে জনগণকে দৃঢ় থাকার আহ্বান খামেনির

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি ইরানের পর পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচিতে হামলা চালাবে ইসরায়েল?
সত্যিই কি ইরানের পর পাকিস্তানের পরমাণু কর্মসূচিতে হামলা চালাবে ইসরায়েল?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে হামলা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন কূটনীতিক
ইরানে হামলা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন কূটনীতিক

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের সম্মানিতদের আনন্দিত করেছে : খামেনি
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বের সম্মানিতদের আনন্দিত করেছে : খামেনি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সর্বশেষ হামলায় ইসরায়েলে আহত ১৩৭: আল-জাজিরা
ইরানের সর্বশেষ হামলায় ইসরায়েলে আহত ১৩৭: আল-জাজিরা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ধ্বংসযজ্ঞ তেল আবিব তেহরানে
ধ্বংসযজ্ঞ তেল আবিব তেহরানে

প্রথম পৃষ্ঠা

সুইস ব্যাংকে ২০২৪ সালে জমা ৮,৫৭০ কোটি টাকা
সুইস ব্যাংকে ২০২৪ সালে জমা ৮,৫৭০ কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

এনটিআরসিএর ছেলেখেলা লাখো চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে
এনটিআরসিএর ছেলেখেলা লাখো চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে

নগর জীবন

জ্বালানি খাতে বিপুর দুর্নীতির পারিবারিক উৎসব
জ্বালানি খাতে বিপুর দুর্নীতির পারিবারিক উৎসব

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না
সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জুভেন্টাস ফুটবলারদের একি বললেন ট্রাম্প
জুভেন্টাস ফুটবলারদের একি বললেন ট্রাম্প

মাঠে ময়দানে

ঘরোয়া ফুটবলে অশনিসংকেত
ঘরোয়া ফুটবলে অশনিসংকেত

মাঠে ময়দানে

গ্যাস বিপর্যয় দুর্ভোগে গ্রাহক
গ্যাস বিপর্যয় দুর্ভোগে গ্রাহক

পেছনের পৃষ্ঠা

আন্তর্জাতিক ট্রেকিংয়ে দেশের পাহাড়প্রেমীরা
আন্তর্জাতিক ট্রেকিংয়ে দেশের পাহাড়প্রেমীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশকে সমর্থনের আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের
বাংলাদেশকে সমর্থনের আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের

প্রথম পৃষ্ঠা

রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়াতে ঐকমত্য
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়াতে ঐকমত্য

প্রথম পৃষ্ঠা

হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের সামনে নতুন ভারত
হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের সামনে নতুন ভারত

মাঠে ময়দানে

অলিভিয়া কেন অন্তরালে
অলিভিয়া কেন অন্তরালে

শোবিজ

ট্রাম্পের পাগলপন্থা ও ইরানি বাস্তবতা
ট্রাম্পের পাগলপন্থা ও ইরানি বাস্তবতা

সম্পাদকীয়

আরবীয় বাধায় আটকাল রিয়াল
আরবীয় বাধায় আটকাল রিয়াল

মাঠে ময়দানে

ব্যাটারদের দাপট অব্যাহত
ব্যাটারদের দাপট অব্যাহত

মাঠে ময়দানে

আস্থা রেখেছেন হোবার্ট হারিকেন্স
আস্থা রেখেছেন হোবার্ট হারিকেন্স

মাঠে ময়দানে

স্লোগানে উত্তাল নগর ভবন
স্লোগানে উত্তাল নগর ভবন

পেছনের পৃষ্ঠা

কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে আরও পেছাল বাংলাদেশ
কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে আরও পেছাল বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

টেস্ট অভিষেকের রজতজয়ন্তী পালন করবে বিসিবি
টেস্ট অভিষেকের রজতজয়ন্তী পালন করবে বিসিবি

মাঠে ময়দানে

পারবেন কি সোনা জিততে
পারবেন কি সোনা জিততে

মাঠে ময়দানে

সম্পর্ক প্রসঙ্গে জয়া
সম্পর্ক প্রসঙ্গে জয়া

শোবিজ

৪০ টাকায় অরিজিৎ সিংয়ের আয়োজন
৪০ টাকায় অরিজিৎ সিংয়ের আয়োজন

শোবিজ

দেশজুড়ে বাহারি ফলের উৎসব
দেশজুড়ে বাহারি ফলের উৎসব

নগর জীবন

চ্যানেল আইতে কৃষকের ঈদ আনন্দ
চ্যানেল আইতে কৃষকের ঈদ আনন্দ

শোবিজ

রিপন মাহমুদের কথায় কুমার শানু
রিপন মাহমুদের কথায় কুমার শানু

শোবিজ

নির্বাচনের নির্দেশনা এখনো আসেনি
নির্বাচনের নির্দেশনা এখনো আসেনি

প্রথম পৃষ্ঠা

ছাত্রদল নেতার মুক্তি দাবি বাবার
ছাত্রদল নেতার মুক্তি দাবি বাবার

দেশগ্রাম

ক্যাপিটাল ড্রামায় মিথ্যে প্রেমের গল্প
ক্যাপিটাল ড্রামায় মিথ্যে প্রেমের গল্প

শোবিজ