রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

যুদ্ধ নয় শান্তি

প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান সময়োচিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণদানকালে রোহিঙ্গা সমস্যা এবং রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে দেশটিতে চলমান অস্থিরতা ও সশস্ত্র সংঘাত নিরসনে জাতিসংঘের কার্যকর ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতি অর্থনীতি, পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। মানব পাচার, মাদক চোরাচালানসহ আন্তসীমান্ত অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি তা উগ্রবাদকেও ইন্ধন দিতে পারে। এ সংকট প্রলম্বিত হলে তা এ উপমহাদেশসহ বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। প্রধানমন্ত্রী রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা এবং খাদ্য সংকটের বিষয়টিও তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন। বলেন, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে সরবরাহব্যবস্থায় ব্যাঘাত এবং জ্বালানি, খাদ্যসহ নানা ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা ইউক্রেন ও রাশিয়ার সংঘাতের অবসান চাই। নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে একটি দেশকে শাস্তি দিতে গিয়ে নারী-শিশুসহ গোটা মানব জাতিকেই শাস্তি দেওয়া হয়। এর প্রভাব কেবল একটি দেশেই সীমাবদ্ধ থাকে না বরং সব মানুষের জীবন-জীবিকা মহাসংকটে পতিত হয়। যুদ্ধ বন্ধের পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেরও তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ববাসীর আশা-আকাক্সক্ষাই প্রতিফলিত হয়েছে। মিয়ানমার থেকে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে তাড়িয়ে দেওয়ার পরও বাংলাদেশ সংঘাতে জড়ানোর বদলে পাঁচ বছর ধরে প্রতিবেশী দেশটির কাছ থেকে সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ প্রত্যাশা করছে। আঞ্চলিক শান্তির স্বার্থে এ সমস্যার যৌক্তিক সমাধানে জাতিসংঘকে সক্রিয় হতে হবে। বিশ্ববাসীর স্বার্থেই রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ ও অবরোধ-পাল্টা অবরোধ বন্ধেও নিতে হবে গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর