শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২২ আপডেট:

 ২০২৪ সালে কেন জরুরি শেখ হাসিনা

মো. সাহাবুদ্দিন চুপপু
প্রিন্ট ভার্সন
 ২০২৪ সালে কেন জরুরি শেখ হাসিনা

জাতীয় নির্বাচন ব্যবস্থা একটি দেশের গণতন্ত্রের মাপকাঠি স্বরূপ। সেই হিসেবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অপরিহার্য। নির্বাচনের মধ্য দিয়েই জনমতের প্রতিফলন ঘটে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মোট ১১ বার জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি গণভোট, তিনটি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে। এসব নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে যেমন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি বিশ্বনন্দিত হয়েছে। হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের দুঃসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেকে মুক্তি পেতে গণতন্ত্র রক্ষার নির্বাচনও। নির্বাচনের সময় আসলেই যে একটি গোষ্ঠী উন্মত্ত প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে, তা মোটামুটি সব নির্বাচনেই পরিষ্কার হয়েছে। ২০২৪-এর দ্বাদশ নির্বাচনও যে এক্ষেত্রে ভিন্ন হবে না, তা ইতোমধ্যে ওই পক্ষের কথা ও আচরণে প্রকাশ পেতে শুরু করেছে।

ঘটনা-১।

১৯৮১ সালের ১৭ মে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দীর্ঘ ছয় বছরের যন্ত্রণাদগ্ধ প্রবাস জীবন কাটিয়ে এ দিন স্বদেশে ফেরেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। উদ্দেশ্য, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৫, প্রায় দুই দশক পরিকল্পিত উপায়ে বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের নাম-নিশানা মুছে ফেলে দেওয়া হয়েছিল তা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা। বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে যে আগ্রাসন চালানো হয়েছিল, তার অবসান ঘটানো। বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র ছিল, দেশীয় চাপ ছিল। কিন্তু সবকিছু উতরে পরবর্তীতে তা-ই হয়েছে; যা দেশে ফিরে জনগণের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী সেদিন স্পষ্ট করে বলেছিলেন, ‘তিনি নিহত হওয়ার আশঙ্কায় শঙ্কিত নন; এমনকি যে সরকারের মোকাবিলা করবেন তার শক্তিকে তিনি বাধা বলে গণ্য করবেন না। জীবনে ঝুঁকি নিতেই হয়। মৃত্যুকে ভয় করলে জীবন মহত্ত্ব থেকে বঞ্চিত হয়।’ 

ঘটনা-২।

৭ মে, ২০০৭। ২০০৭ সালে ১১ জানুয়ারির পর শেখ হাসিনার দেশে ফেরার ওপর বিধিনিষেধ জারি করে ইয়াজউদ্দিন-ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিনের চক্রান্তে গঠিত সামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সিদ্ধান্ত হয়- শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার। কিন্তু সেই চক্রান্তও ব্যর্থ হয়। দেশে ফেরার আগ মুহূর্তে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘যত বাধা আসুক না কেন, আমি দেশে ফিরবই।’ এরপর তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন করেন। তাতে চক্ষুশূল হয় সে সময়ের সরকারের। ১৬ জুলাই যৌথবাহিনী তাঁকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে। সেদিন শেখ হাসিনা নির্ভীক চিত্তে জাতির উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন। যে যেভাবে আছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। মাথানত করবেন না। সত্যের জয় হবেই। আমি আছি আপনাদের সঙ্গে, আমৃত্যু থাকব। আমার ভাগ্যে যা-ই ঘটুক না কেন, আপনারা বাংলার জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যান।’ এরপর ৩৩১ দিন কারাগারে বন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়ে জাতির ক্রান্তিমুক্তির সংগ্রামে নামেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশ ও জনগণের কাছে প্রত্যাবর্তনের মতো শেখ হাসিনার ২০০৭ সালের ৭ মের দ্বিতীয় প্রত্যাবর্তনও ছিল কোটি কোটি বাঙালির জন্য ত্রাণস্বরূপ। ২০০৬ থেকে ২০০৭ সালে দেশে তখন শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার চেষ্টা চলছিল। দলের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছিল। রাজনীতিবিদদের বিশেষ আইনে কারান্তরিণ করে রাখা হয়। এমন এক পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের পথ সুগম হয় শেখ হাসিনার আগমনে। ওরা টোকাই কেন গ্রন্থে তিনি লিখেছেন-‘দেশ ও জনগণের জন্য কিছু মানুষকে আত্মত্যাগ করতেই হয়, এ শিক্ষাদীক্ষা তো আমার রক্তে প্রবাহিত। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এরপর প্রবাসে থাকা অবস্থায় আমার জীবনের অনিশ্চয়তা ভরা সময়গুলোয় আমি তো দেশের কথা ভুলে থাকতে পারিনি?’

শিরোনামের সঙ্গে সংগতি না থাকা ওপরের ঘটনাগুলো উল্লেখ করার কারণ হলো পঁচাত্তর-পরবর্তী বাংলাদেশ এই দুটিই ছিল সবচেয়ে বড় ক্রান্তিকাল এবং এই দুই ক্রান্তিকালেই একমাত্র ত্রাণকর্তা ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই কৃষক-শ্রমিক-জনতা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছিল। সাহস করেছে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর। মোট চারবার এবং পর পর তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনিই দেশকে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করেছেন। আজ যখন গোটা বিশ্বসহ বাংলাদেশ নানা সমস্যা বিশেষত অর্থনৈতিক সংকটে দগ্ধ; তখন রাজনৈতিক পরিমন্ডলবেষ্টিত পরিবার থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা, বঙ্গবন্ধুর সাহচর্য; যেখানে তিনি ছিলেন জাতির জনকের সবচেয়ে একনিষ্ঠ শিষ্যা এবং পরিবর্তিত বিশ্বের সঙ্গে বারবার নিজেকে ঢেলে সাজানো নেত্রীই পারেন বাংলাদেশকে সংকট থেকে উদ্ধার করতে। আমরা যদি সর্বশেষ বৈশি^ক সংকট কভিড-১৯ এর দিকেও তাকাই, সেখানেও দেখব তাঁর নেতৃত্বের কারণেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও সবচেয়ে কম মৃত্যুর তালিকায় ছিল বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলাতেও ছিল ভারত-পাকিস্তানসহ বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে। সর্বশেষ বিনামূল্যে টিকাদানের কর্মসূচি জননেত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ। দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তা নয়, বরং বিশ্বের অনেক সংকটের নেতৃত্বদানকারী ও অগণিত সংগঠনের শীর্ষমুখ তিনি। যখনই কোনো সংকট মুহূর্ত কিংবা প্রতিকূল পরিস্থিতি এসেছে, তখনই তিনি ত্বরিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সংকট দূর করেছেন। ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর আজ পর্যন্ত প্রচন্ড দৃঢ়তার সঙ্গে নিয়েছেন অনেক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। প্রতিকূল পরিবেশ, সহকর্মীদের শত বাধা এবং সুশীল সমাজ কিংবা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের চিন্তা-চেতনা সম্পূর্ণরূপে তাঁর বিপক্ষে থাকার পরও তিনি এগিয়ে গেছেন। ১৯৮৬ সালের সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে এবং পরবর্তী সময়ে আবার সংসদ থেকে বের হয়ে আসা একটি বিশাল ব্যাপার ছিল। ১৯৯১ সালের পর বিএনপিবিরোধী আন্দোলনে সফলতা, ১৯৯৬ সালের সরকারপ্রধান হিসেবে সাফল্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, তেমনি ১/১১-এর প্রেক্ষাপটে অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া অনন্য সাধারণ। গণতন্ত্র রক্ষায় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনটিও তিনি নিজের দূরদর্শী রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে করেছিলেন। সুতরাং বৈশি^ক সমস্যায় জর্জরিত এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে একমাত্র তাঁরই ক্ষমতায় আসা জরুরি, সময়ের দাবি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু জাতির ক্রান্তিকালে হাল ধরেছেন তা নয়, রাজনীতি-অর্থনীতিসহ নানা ক্ষেত্রে উন্নয়নেও তাঁর অবদান এক ও অনন্য। তিনি জানেন, কীভাবে বাংলাদেশের ভাগ্য বদলাতে হয়। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের দুঃশাসন এবং পরবর্তীতে তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কর্তৃত্বে দেশের সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতিতে যখন অন্ধকার নেমে এসেছিল; ঠিক তখনই প্রায় তিন-চতুর্থাংশ মানুষের সমর্থন নিয়ে ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ও দেশরত্ন শেখ হাসিনা। একুশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানো মূলত সেখান থেকেই শুরু। নানা অর্থনৈতিক সূচকে দেশ যেভাবে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে; তাতে সহজেই অনুমেয়- আগামীর বাংলাদেশ ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশের সারিতে কাঁধ মেলাতে সক্ষম হবে। কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের শীর্ষ ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস ইনভেস্টরস সার্ভিস বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি বলেছে, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কিছুটা চাপ থাকলেও তা কোনো ঝুঁকির কারণ নয়। সংস্থাটি বলেছে, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ধকলে থাকা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে দিগুণ মাত্রায় শ্লথ করেছে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট। এমন বাস্তবতায় আর্থিক সংকটের মধ্যে থাকা দক্ষিণ এশীয় দেশ শ্রীলঙ্কা এরই মধ্যে দেউলিয়া হয়েছে। আরেক দেশ পাকিস্তানেও সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। সেই বিচারে বাংলাদেশ ঝুঁকিমুক্ত বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। মুডিসের সিঙ্গাপুর শাখার রাষ্ট্রীয় (বিনিয়োগ) বিশ্লেষক ক্যামিলে শ্যঁতা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্প্রতি উচ্চ স্তর থেকে নেমে এলেও বাহ্যিক দুর্বলতার সূচকে বাংলাদেশ ঝুঁকিমুক্ত।’

দুই. গত কয়েক মাস ধরে দেশে নির্বাচনের হাওয়া বইছে; যা দিন দিন আরও ত্বরান্বিত হচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ যেমন বিভিন্ন জেলায় সমাবেশ করছে, তেমনি থেমে নেই বিরোধী পক্ষ বিএনপি। সভা-সমাবেশে আওয়ামী লীগ-বিএনপির হাঁকডাক যাই হোক, নির্বাচন নিয়ে নিকট অতীত সবচেয়ে সুন্দর মন্তব্যটি করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর ভাষায়, ‘দেশের মানুষ বিএনপির সময়ে কী পেয়েছে আর আওয়ামী লীগের সময়ে কী পেয়েছে, সেটার তুলনা করতে হবে। জনগণ কাকে ভোট দেবে, আওয়ামী লীগের বাইরে আর কে আছে? কারা, কেন, কী কারণে, কোন সুখের স্বপ্নে, কোন আশায় বিএনপিকে ভোট দেবে?’ ভোটের হিসাব-নিকাশ যদি বাদও দেওয়া হয় এবং বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়; তাহলে তাদের দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন কে? একদিকে একজন এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। অন্যজন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে দেশান্তরে। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।

আওয়ামী লীগ-বিএনপির তুলনামূলক দু-একটি উদাহরণ দিলে পাঠকমহল বিষয়টি সম্পর্কে আরও পরিষ্কার বুঝতে পারবেন। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতা-পরবর্তী ২০০৭-০৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির আকার ছিল ৯১.৬ বিলিয়ন ডলার; বর্তমানে তা বেড়ে ৪১৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে মাথাপিছু জাতীয় আয় ছিল ৬৮৬ মার্কিন ডলার; বর্তমানে তা বেড়ে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার হয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০২২ ২৩ অর্থবছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ৭ মার্কিন ডলারে গিয়ে ঠেকবে। বিএনপি সরকারের সময় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মাত্র ৩ বিলিয়নের কিছু ওপরে ছিল; তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তা ৫ বিলিয়নের ওপরে এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার সেটাকে ৪৮ বিলিয়নে দাঁড় করিয়েছে। দেশে দারিদ্র্যের হার যেখানে ৪০ শতাংশের ওপরে ছিল, সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা এখন ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০০৯ সালে মাত্র ৪৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় ছিল, মুজিববর্ষে তা শতভাগ হয়েছে। দেশও এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ইতোমধ্যে খাদ্য উৎপাদন ১.১ কোটি টন থেকে প্রায় ৪.০ কোটি টনে বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে। ’৯০-এর দশকে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করা বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল আখ্যা দিয়ে গত ২৮ জুলাই ‘What Bangladesh can teach others about development.’ ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন সম্পর্কে অন্যদের যা শেখাতে পারে’ শীর্ষক এক নিবন্ধ প্রকাশ করেছে বিশ্বখ্যাত দ্য ফিন্যানশিয়াল টাইমস। লেখার শুরুটা হয়েছে এভাবে, ১৯৭১ সালে যে বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজনের একজন শিশু পাঁচ বছর পূর্ণ করার আগে মারা যেত, বর্তমানে সেই এই হার এখন ৩০ জনের মধ্যে একজনে নেমে এসেছে। যদি আরও বড় পরিসরে দেখা হয়, তবে হেনরি কিসিঞ্জারের ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ আখ্যা পাওয়া দেশটি এখন উন্নয়নের সফল এক দৃষ্টান্ত। সংবাদমাধ্যমটির ভাষ্য, নানা সমস্যায় জর্জরিত দেশটি আজ অনেকটাই বদলে গেছে। মাথাপিছু জিডিপি বেড়েছে আট গুণ। নারীদের গড়ে সন্তান সংখ্যা দুজন। অর্থাৎ প্রতিটি সন্তানের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও তাদের ভালো রাখতে বাবা-মা এখন আরও বেশি ব্যয় করতে পারেন। ব্যাংকগুলোর কাছে শিল্প খাতে বিনিয়োগের মতো সঞ্চয়ও বেড়েছে।

মাত্র এক যুগের ব্যবধানে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়া, অর্থনীতিতে দ্রুত বর্ধনশীল পাঁচ দেশের তালিকায় জায়গা করে নেওয়া, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়ন, পদ্মা সেতু নির্মাণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকা মেট্রোরেল, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেল ও ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ এবং সর্বশেষ ৭ নভেম্বর দেশের ২৫টি জেলায় নবনির্মিত ১০০টি সেতু ও রাস্তার উদ্বোধনসহ (দৈর্ঘ্য ৫ হাজার ৪৯৪ মিটার এবং নির্মাণ ব্যয় ৮ হাজার ৭৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা) দেশের মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন-সবই তার জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে ক্যারিশম্যাটিক ও দূরদর্শী সফল নেতৃত্বের ফল। দেশবাসী কোনোভাবেই চায় না, ২০২৪ সালেও ২০০৬ ও ২০১৪ সালের দুর্যোগের পুনরাবৃত্তি হোক। তাদের চাওয়া, শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদল; যাতে জনগণ পছন্দসই দলকে বেছে নেবে। উগ্রপন্থা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে কেউ একপক্ষ আরেকপক্ষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে না, যেমনটি বিএনপি-জামায়াত করেছিল ২০০১ সালের নির্বাচনের পর। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি এবং ২০১৮-এর ৩০ ডিসেম্বর- সর্বশেষ এই নির্বাচন নিয়ে বিএনপি যতই অভিযোগের তীর হানুক না কেন, নির্বাচনের পর দলের নেতা-কর্মীদের ঘরছাড়া হতে হয়নি। কাউকে জেলে তোলা হয়নি কিংবা কোনো সংখ্যালঘু এমনকি বিএনপির ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়নি।

বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ যেমন সমার্থক শব্দ, তেমনি উন্নয়নের বাংলাদেশের আরেক নাম হয়ে উঠেছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। সেই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকন্যার বিকল্প এখনো তৈরি হয়নি। সুতরাং শুধু বিশ্বাস নয়, যৌক্তিকভাবে আমাদের চাওয়া, ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ একইভাবে শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখবেন। আগামীর বাংলাদেশ, উন্নত ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনা আছেন, শেখ হাসিনা থাকবেন।

লেখক : বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সদস্য উপদেষ্টা পরিষদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং চেয়ারম্যান, প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি।

এই বিভাগের আরও খবর
জীবনজুড়ে স্রষ্টার করুণার ছায়া
জীবনজুড়ে স্রষ্টার করুণার ছায়া
সুরক্ষাসামগ্রীতেও সিন্ডিকেট
সুরক্ষাসামগ্রীতেও সিন্ডিকেট
মার্কিন হামলা
মার্কিন হামলা
নীতিতে অবিচল সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
নীতিতে অবিচল সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক নরসিংদী
সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক নরসিংদী
সর্বনাশের বুলবুলি, দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি
সর্বনাশের বুলবুলি, দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি
মামলাজট
মামলাজট
চালের দামে দুশ্চিন্তা
চালের দামে দুশ্চিন্তা
ইলিশের একাল-সেকাল
ইলিশের একাল-সেকাল
আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা
আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা
সার্বিক সমৃদ্ধির সোপান
সার্বিক সমৃদ্ধির সোপান
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা আসন্ন!
ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা আসন্ন!
সর্বশেষ খবর
গাকৃবিতে সেমিনার ও যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত
গাকৃবিতে সেমিনার ও যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত

১ সেকেন্ড আগে | ক্যাম্পাস

৭ জেলায় ঝড়ের আভাস
৭ জেলায় ঝড়ের আভাস

৩ মিনিট আগে | জাতীয়

কক্সবাজারে পিস্তল-মর্টার শেল ও আর্জেস গ্রেনেড উদ্ধার
কক্সবাজারে পিস্তল-মর্টার শেল ও আর্জেস গ্রেনেড উদ্ধার

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কতটা ক্ষতি হয়েছে জানালেন ট্রাম্প
মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কতটা ক্ষতি হয়েছে জানালেন ট্রাম্প

১৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১০ জনের দল নিয়েও দুর্দান্ত জয় রিয়ালের
১০ জনের দল নিয়েও দুর্দান্ত জয় রিয়ালের

২০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

দেড় কোটি টাকার স্বর্ণসহ পাচারকারী আটক
দেড় কোটি টাকার স্বর্ণসহ পাচারকারী আটক

৩১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির কারাগারে
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির কারাগারে

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সোনারগাঁয়ে ২২ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ঈদ পুনর্মিলনী
সোনারগাঁয়ে ২২ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ঈদ পুনর্মিলনী

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গাজায় একদিনে অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল
গাজায় একদিনে অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল

৫১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানের ইনকিলাব স্কয়ারের বিক্ষোভে যোগ দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
তেহরানের ইনকিলাব স্কয়ারের বিক্ষোভে যোগ দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেলের বাজারে আগুন, যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ধসের আশঙ্কা
তেলের বাজারে আগুন, যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে ধসের আশঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকবাহী হাউসবোটে নিষেধাজ্ঞা
টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকবাহী হাউসবোটে নিষেধাজ্ঞা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মার্কিন নাগরিকদের জন্য বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা সতর্কতা জারি
মার্কিন নাগরিকদের জন্য বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা সতর্কতা জারি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প
ইরানে সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অত্যন্ত জরুরি : ডুয়েট উপাচার্য
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অত্যন্ত জরুরি : ডুয়েট উপাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মাসুদ উদ্দিন-নিজাম হাজারীসহ দেড়শ জনের নামে জুলাইযোদ্ধার মামলা
মাসুদ উদ্দিন-নিজাম হাজারীসহ দেড়শ জনের নামে জুলাইযোদ্ধার মামলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মিরপুরে ৬ তলা ভবনের গ্যারেজে আগুন
মিরপুরে ৬ তলা ভবনের গ্যারেজে আগুন

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যাঁরা দেশে বিনিয়োগ করেছেন তাঁদের সহায়তা দিতে হবে
যাঁরা দেশে বিনিয়োগ করেছেন তাঁদের সহায়তা দিতে হবে

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ইরানের তোপে সুর নরম, যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
ইরানের তোপে সুর নরম, যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহবান সেনাপ্রধানের
সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহবান সেনাপ্রধানের

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ জুন)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ জুন)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের হয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের প্রস্তাব
ইরানের হয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের প্রস্তাব

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সকালেই ইসরায়েলে ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র  হামলা
সকালেই ইসরায়েলে ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পল্লবীতে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু নিহত
পল্লবীতে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে বন্ধু নিহত

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অটোরিকশার চার্জার খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চালকের মৃত্যু
অটোরিকশার চার্জার খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চালকের মৃত্যু

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি মনিরুল মাওলা গ্রেপ্তার
ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এমডি মনিরুল মাওলা গ্রেপ্তার

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত ৮৬
ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত ৮৬

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নীলফামারীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
নীলফামারীতে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জাবিতে চিকিৎসা কেন্দ্র ঘেরাও
শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জাবিতে চিকিৎসা কেন্দ্র ঘেরাও

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

কাপ্তাই হ্রদের মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি করছে পুকুর ও হ্যাচারির রেনু
কাপ্তাই হ্রদের মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি করছে পুকুর ও হ্যাচারির রেনু

৮ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

সর্বাধিক পঠিত
মার্কিন হামলার পর ইরানের জবাব শুরু
মার্কিন হামলার পর ইরানের জবাব শুরু

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মার্কিন হামলা, যা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ইরানে মার্কিন হামলা, যা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুধু ফরদোতেই ১২টি ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র
শুধু ফরদোতেই ১২টি ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

'১০ বছরের মধ্যে ইরান পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হবে'
'১০ বছরের মধ্যে ইরান পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হবে'

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ১০ লক্ষ্যবস্তুতে সফল হামলা ইরানের, আহত ৮৬
ইসরায়েলের ১০ লক্ষ্যবস্তুতে সফল হামলা ইরানের, আহত ৮৬

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘গোপনে’ সারাবিশ্ব উড়ে বেড়াতে পারে মার্কিন এই বিমান!
‘গোপনে’ সারাবিশ্ব উড়ে বেড়াতে পারে মার্কিন এই বিমান!

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন নৌবহরে হামলা ও হরমুজ প্রণালি বন্ধের হুঁশিয়ারি ইরানের
মার্কিন নৌবহরে হামলা ও হরমুজ প্রণালি বন্ধের হুঁশিয়ারি ইরানের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের তোপে সুর নরম, যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
ইরানের তোপে সুর নরম, যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেল আবিবে ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়াদের খুঁজছে ইসরায়েলি পুলিশ
তেল আবিবে ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়াদের খুঁজছে ইসরায়েলি পুলিশ

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুতিনের সঙ্গে ‘গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’ করতে রাশিয়ায় যাচ্ছেন আরাগচি
পুতিনের সঙ্গে ‘গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা’ করতে রাশিয়ায় যাচ্ছেন আরাগচি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা গ্রেফতার
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা গ্রেফতার

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘আপনি আমাদের জায়গায় থাকলে কি করতেন?’
‘আপনি আমাদের জায়গায় থাকলে কি করতেন?’

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেন ইরানের এই তিন পারমাণবিক স্থাপনাই যুক্তরাষ্ট্রের হামলার লক্ষ্য হলো?
কেন ইরানের এই তিন পারমাণবিক স্থাপনাই যুক্তরাষ্ট্রের হামলার লক্ষ্য হলো?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মার্কিন হামলা:  ট্রাম্পের ‘দুই সপ্তাহ’ কি তবে ছল ছিল?
ইরানে মার্কিন হামলা: ট্রাম্পের ‘দুই সপ্তাহ’ কি তবে ছল ছিল?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মার্কিন হামলার সময় যা করছিলেন ট্রাম্প!
ইরানে মার্কিন হামলার সময় যা করছিলেন ট্রাম্প!

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনার টাকা বাড়ালো সরকার
সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ প্রণোদনার টাকা বাড়ালো সরকার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মৌসুমী, ফারিয়া, সাবিলাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ
মৌসুমী, ফারিয়া, সাবিলাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইরানের হয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের প্রস্তাব
ইরানের হয়ে নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তানের প্রস্তাব

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মার্কিন হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ‘সরাসরি হুমকি’
ইরানে মার্কিন হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ‘সরাসরি হুমকি’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে মার্কিন হামলার পর আকাশসীমা বন্ধ করল ইসরায়েল
ইরানে মার্কিন হামলার পর আকাশসীমা বন্ধ করল ইসরায়েল

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত’, দাবি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত’, দাবি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরও এক মোসাদ গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ইরান
আরও এক মোসাদ গুপ্তচরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ইরান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বড়শিতে আটকে গেলেন ট্রাম্প!
নেতানিয়াহুর বড়শিতে আটকে গেলেন ট্রাম্প!

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার জরুরি বৈঠকে বসবে আইএইএ
ইরান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার জরুরি বৈঠকে বসবে আইএইএ

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিল ইরানের পার্লামেন্ট
হরমুজ প্রণালি বন্ধের অনুমোদন দিল ইরানের পার্লামেন্ট

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ ও মধ্য ইরানের দুই প্রদেশে ইসরায়েলি হামলা
দক্ষিণ ও মধ্য ইরানের দুই প্রদেশে ইসরায়েলি হামলা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সকালেই ইসরায়েলে ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র  হামলা
সকালেই ইসরায়েলে ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত ৮৬
ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত ৮৬

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই ইরানে হামলা চালিয়েছেন ট্রাম্প
কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই ইরানে হামলা চালিয়েছেন ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
কী এই বি-২ বোমারু বিমান
কী এই বি-২ বোমারু বিমান

প্রথম পৃষ্ঠা

সর্বনাশের বুলবুলি, দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি
সর্বনাশের বুলবুলি, দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি

সম্পাদকীয়

পর্যটন স্পটে হুমকিতে নারীর গোপনীয়তা
পর্যটন স্পটে হুমকিতে নারীর গোপনীয়তা

পেছনের পৃষ্ঠা

আন্দোলনে অচল সরকারি দপ্তর
আন্দোলনে অচল সরকারি দপ্তর

পেছনের পৃষ্ঠা

ইলিশ কমছে যে কারণে
ইলিশ কমছে যে কারণে

পেছনের পৃষ্ঠা

‘কুইক রেন্টাল’, বিপুর সোনার ডিম পাড়া হাঁস
‘কুইক রেন্টাল’, বিপুর সোনার ডিম পাড়া হাঁস

প্রথম পৃষ্ঠা

আমার ক্যারিয়ার নিয়ে সন্তুষ্ট
আমার ক্যারিয়ার নিয়ে সন্তুষ্ট

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সাবেক সিইসি নূরুল গ্রেপ্তার জুতার মালা
সাবেক সিইসি নূরুল গ্রেপ্তার জুতার মালা

প্রথম পৃষ্ঠা

রুপালি সম্পদের খনি হালদা
রুপালি সম্পদের খনি হালদা

পেছনের পৃষ্ঠা

কক্সবাজারে বাড়ছে মানব পাচার
কক্সবাজারে বাড়ছে মানব পাচার

নগর জীবন

তিন নায়িকাসহ ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
তিন নায়িকাসহ ২৫ জনের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

পেছনের পৃষ্ঠা

অলআউট যুদ্ধের মহাবিপৎসংকেত
অলআউট যুদ্ধের মহাবিপৎসংকেত

প্রথম পৃষ্ঠা

করোনায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু
করোনায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজ্জাকের হাসি আর থামে না
রাজ্জাকের হাসি আর থামে না

শোবিজ

মাঠে ফেরার অপেক্ষায় তিন পেসার
মাঠে ফেরার অপেক্ষায় তিন পেসার

মাঠে ময়দানে

নাটকের যেসব নায়িকা সিনেমায় সফল
নাটকের যেসব নায়িকা সিনেমায় সফল

শোবিজ

বিশেষ সুবিধা বাড়ল সরকারি চাকরিজীবীদের
বিশেষ সুবিধা বাড়ল সরকারি চাকরিজীবীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

বাফুফের নতুন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ক্রুইফ!
বাফুফের নতুন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ক্রুইফ!

মাঠে ময়দানে

জীবনজুড়ে স্রষ্টার করুণার ছায়া
জীবনজুড়ে স্রষ্টার করুণার ছায়া

সম্পাদকীয়

ঝোপ বুঝে নাজমুলের কোপ
ঝোপ বুঝে নাজমুলের কোপ

মাঠে ময়দানে

আবারও রাজ-ফারিণ
আবারও রাজ-ফারিণ

শোবিজ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ  টেস্ট জেতে ২০১৭ সালে
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ টেস্ট জেতে ২০১৭ সালে

মাঠে ময়দানে

২০২৬ টি-২০ বিশ্বকাপে কানাডা
২০২৬ টি-২০ বিশ্বকাপে কানাডা

মাঠে ময়দানে

দেশব্যাপী ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চায় বিসিবি
দেশব্যাপী ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চায় বিসিবি

মাঠে ময়দানে

আইএসডিতে বার্সা একাডেমি সামার ক্যাম্প
আইএসডিতে বার্সা একাডেমি সামার ক্যাম্প

মাঠে ময়দানে

এবার অপি-তাহসান
এবার অপি-তাহসান

শোবিজ

ওহাইও নদীর তীরে ফুটবল উৎসব
ওহাইও নদীর তীরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

নারী-শিশুসহ আরও ১৪ জনকে পুশইন
নারী-শিশুসহ আরও ১৪ জনকে পুশইন

খবর

পৃথক সচিবালয় হলে স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত হবে বিচার বিভাগের
পৃথক সচিবালয় হলে স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত হবে বিচার বিভাগের

পেছনের পৃষ্ঠা