শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০৭ আগস্ট, ২০২৪ আপডেট:

কেন এভাবে বিদায় নিতে হলো শেখ হাসিনাকে?

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
কেন এভাবে বিদায় নিতে হলো শেখ হাসিনাকে?

অবশেষে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটল। গত ৫ আগস্ট সোমবার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান। এরকম একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতি শেখ হাসিনার ভাগ্যে আছে এক মাস আগে হয়তো কেউ কল্পনাও করেনি। কিন্তু রাজনীতি এমনই। গত সংখ্যায় আমি লিখেছিলাম, ‘রাজনীতিতে ক্ষমতা আর ঘৃণা পাশাপাশি চলে। এই দেশ জোয়ার-ভাটার দেশ এই দেশের মানুষ প্রচন্ড আবেগপ্রবণ।’ এ কথাগুলো মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবতার ভিত্তি পাবে তা আমিও ভাবতে পারিনি। এক মাস আগে কে ভেবেছিল শেখ হাসিনা সরকারের এমন করুণ পতন হবে। এভাবে তাঁকে একটি অপমানজনক বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বিদায় নিতে হবে?

এই প্রস্থান রাজনীতির জন্য একটি শিক্ষা। টানা সাড়ে ১৫ বছর তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ চালিয়েছেন ২০ বছরের বেশি সময়। ৪৩ বছরের বেশি সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিত্ব করেন। তাঁর এই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি কি একটিবারের জন্যও ভেবেছেন, তাঁর এরকম পরিণতি হবে? সম্ভবত না। রাজনীতি বোধহয় এমনই। রাজনীতির কিছু হিসাবনিকাশ অঙ্কের চেয়েও জটিল। কিন্তু আমরা যদি নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করি তা হলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারব পতন কেন শেখ হাসিনার হলো?

শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার এক নবযাত্রার সূচনা হয়েছিল। ইতিহাস নিশ্চয়ই তাঁকে মনে রাখবে। তাঁর হাত ধরে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, নানা উন্নয়ন স্থাপনাগুলো বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।

কিন্তু দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে কিছু ব্যাধি তাঁকে প্রচন্ডভাবে পেয়ে বসেছিল। তার মাশুল দিতে হলো শেখ হাসিনাকে। আওয়ামী লীগকে। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেন শেখ হাসিনা। এই সরকার গঠনের পর আন্তর্জাতিক মহল থেকে তাঁকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সরকার টিকে গেল এরকম একটি আত্মতুষ্টি এবং অহংকার পেয়ে বসে আওয়ামী লীগের সবাইকে। আর এই আত্মতুষ্টি এবং অতি অহংকারই আওয়ামী লীগের পতনের পথ। আমরা যদি নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করি কেন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটল? কেন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে তছনছ হয়ে গেল শেখ হাসিনার ক্ষমতার দুর্গ তাহলে বেশ কয়েকটি কারণকে সামনে আনতে পারি। তবে আমার বিবেচনায় সবচেয়ে বড় কারণ -  জনবিচ্ছিন্নতা। আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। জনপ্রিয়তা নেমে গিয়েছিল শূন্যের কোঠায়।

২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভূমিধস বিজয় পেয়েছিল। এই নির্বাচনে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের পক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে রায় দিয়েছিল। এরপর দেশ পরিচালানায় তিনি ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন। মহাজোটের সব দলকে নিয়ে তিনি ঐক্যবদ্ধভাবে সরকার পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের পর যে আন্দোলন শুরু হয় সেই আন্দোলন আওয়ামী লীগ সরকারকে চাপে ফেলেছিল তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই চাপ শেখ হাসিনা উতরে গিয়েছিলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিরোধী দলগুলো অংশগ্রহণ করেনি। ১৫০টিরও বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। ভোট ছাড়া এমপি হওয়ার পর সবাই আশা করেছিল দ্রুত আরেকটি নির্বাচন হবে, একটি জাতীয় সংলাপের পথ উন্মুক্ত হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সে পথে হাঁটেনি। তারপরও দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে মেনে নিয়েছিল মন্দের ভালো হিসেবে। কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনে যখন বিরোধী দলগুলো কোনো রকম শর্ত ছাড়াই অংশগ্রহণ করতে রাজি হয় তখন গণতন্ত্রকে একটি সঠিক রাস্তায় নিয়ে আসার ঐতিহাসিক সুযোগ পেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেই সুযোগ তিনি কাজে লাগাননি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে কোনো ভোট হয়নি। রাতের ভোটে গণতন্ত্রকে লজ্জিত করা হয়। সেই লজ্জার ভার বহন করতে হয়েছিল গোটা জাতিকে। ২০১৮ সালের নির্বাচন যদি ন্যূনতম অবাধ সুষ্ঠু হতো না। তাহলে আজকে এই পরিণতি হতো। ২০১৮ সালের রাতের ভোটের মাধ্যমে যে কলঙ্ক রোপিত হয়েছিল তারপরও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল আরও পাঁচ বছর। ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রায় দুই বছর আগে থেকেই বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল আন্দোলন শুরু করে। সেই আন্দোলনের দাবি ছিল একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। কিন্তু আওয়ামী লীগ অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের ধারে কাছে যায়নি। বরং বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনের বাইরে রেখে ক্ষমতায় থাকার কৌশল অবলম্বন করেছিল। সেই কৌশলে কিছু সময়ের জন্য জয়ী হয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু কূটকৌশল করে জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে হয়তো কিছুদিন ক্ষমতায় থাকা যায়। চিরকাল না। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ভোট আতঙ্কে ভুগতে থাকে। ভোটার ছাড়া পুলিশ-প্রশাসন দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার এক ব্যাধি আওয়ামী লীগকে ভয়ংকরভাবে পেয়ে বসে। এটিই আসলে সংকটের উৎসস্থল। এই ভোটারবিহীন এমপিরা, জনগণের সঙ্গে সম্পর্কহীন। এই তথাকথিত জনপ্রতিনিধিরাই আওয়ামী লীগের সর্বনাশ করেছে। এরা জনবিচ্ছিন্ন। জনগণের সঙ্গে সম্পর্কহীন থেকে তারা লুটপাটে মত্ত হয়েছিলেন। তারা নিজেদের আখের গোছানোর কাজেই ছিলেন গভীর মনোযোগী। যে কারণে জনগণ যে ক্রমশ তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল, সেটি তারা বুঝতেই পারেনি।

দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শুরু হয় লুণ্ঠনের রাজত্ব। একদিকে যেমন উন্নতি হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় লুণ্ঠন। রীতিমতো উৎসব হয় দুর্নীতির। যে যেভাবে পেরেছে দুর্নীতি করেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক। জনগণ প্রশ্ন করেছে, দুর্নীতি করে পিয়ন যদি ৪০০ কোটি টাকার মালিক তাহলে বড় ‘কর্তা’ কত টাকার মালিক? আমলা আছে, পুলিশ আছে ক্ষমতা আমাদের - এই সহজ ফর্মুলা দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করেছিল। কিন্তু এভাবে যে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না ৫ আগস্ট তার প্রমাণ।

জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্যই আওয়ামী লীগ জনগণের কণ্ঠস্বর শুনতে পারত না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারত না। দুর্নীতিবাজদের উৎসব আওয়ামী লীগ উপভোগ করেছে, ব্যবস্থা নেয়নি। বেনজীর-মতিউর কিংবা এরকম নাম না জানা এরকম অনেক দুর্নীতিবাজের ফিরিস্তি দেখে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। কিন্তু সরকার ছিল প্রতিকারহীন। দুর্নীতি যেমন বেড়েছিল তেমনি বেড়েছিল অর্থ পাচার, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির সংখ্যা। ব্যাংকগুলো ফোকলা হয়ে গেছে। আর্থিক খাতে নেমে এসেছে এক ভয়ংকর নৈরাজ্য।

আওয়ামী লীগের হাত ধরেই অর্থনীতি একটা সম্মানজনক স্থানে এসেছিল, সেই আওয়ামী লীগের হাত ধরেই অর্থনীতির ধ্বংস যজ্ঞ শুরু হয়। লুটপাটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মুদ্রাস্ফীতি চলে যায় সীমাহীন পর্যায়ে। কয়েকজন মন্ত্রী-এমপির লুণ্ঠনের ফিরিস্তি রূপকথাকেও হার মানিয়েছিল। অথচ এসবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় আসার পর অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে গিয়েছিলেন। আসলে গত ১৫ বছর তিনি একাই দেশ চালিয়েছেন। কোনো মন্ত্রী বা কোনো এমপির দায়িত্ব ছিল না। সব সিদ্ধান্তের জন্য তারা তাকিয়ে থাকতেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে। শেখ হাসিনা কী করবে সেটার অপেক্ষায় থাকতেন সারাক্ষণ। এরকম একটি সার্কাসের শাসন ব্যবস্থা কায়েম হয়েছিল গত প্রায় দেড় দশক ধরে। সবকিছুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থেকে শুধু লুণ্ঠন-বাণিজ্যে মনোযোগী ছিলেন মন্ত্রীরা। আর এ সময় শেখ হাসিনা কঠোর হতে পারেননি। তিনি মন্ত্রীদের দায়িত্ব দিতে পারেননি। বরং তিনি চাটুকার, মোসাহেব এবং স্তাবকদের চারপাশে রেখেছিলেন। এরা চারপাশ থেকে শেখ হাসিনাকে বিভ্রান্ত করেছে, জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। প্রকৃত বাস্তবতা উপলব্ধি করতে দেয়নি। এদের কারণেই শেখ হাসিনার পতন। এই সমস্ত চাটুকার এবং স্তাবকরা শুধু শেখ হাসিনাকে জনবিচ্ছিন্ন করেনি, আওয়ামী লীগ সংগঠনকেও ভেঙে চুরমার করেছে। বাস্তবে আওয়ামী লীগ বলে এখন কোনো সংগঠন নেই।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় আমলা এবং পুলিশের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। তিনি সংগঠনকে শক্তিশালী বা গতিশীল করার দিকে একদম মনোযোগ দেননি। আওয়ামী লীগের অথর্ব, অযোগ্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবে টানা তিনবার দায়িত্ব পালনের রেকর্ড করেছে ওবায়দুল কাদের। তার কথা জনবিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তিনি কথা বললে মানুষ বিরক্ত হতো। শেষ পর্যন্ত এটি মানুষের জন্য ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু তারপরও আওয়ামী লীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের পরিবর্তন করেননি। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে শেখ হাসিনা পরিবর্তন বিরোধী হয়ে ওঠেন। চতুর্থ মেয়াদে তিনি এমন সব আনকোরা-হাইব্রিডদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন যারা ক্রমশ গণশত্রুতে পরিণত হয়েছিল।

কোটা সংস্কার আন্দোলন একটি নমুনা মাত্র। যে আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া থেকে বোঝা যায় সরকার কীভাবে চলত। কোটা সংস্কার নিয়ে যখন প্রথম আন্দোলন শুরু হয় ২০১৮ সালে তখন শেখ হাসিনা এক পরিপত্রের মাধ্যমে কোটা বাতিল করেন। তারপর আওয়ামী লীগের লোকজনই কোটা বাতিলের বিরুদ্ধে রিট আবেদন করেন। মুক্তিযোদ্ধা কোটা রিট আবেদনটি ছিল আওয়ামী লীগেরই সৃষ্ট একটি নতুন সমস্যা। আওয়ামী লীগ যে কূটকৌশলের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার অভ্যাস রপ্ত করেছিল ঠিক একই কূটকৌশল করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করতে চেয়েছিল। এটির কোনো দরকার ছিল না। হাই কোর্টে যখন রিট পিটিশনটি দাখিল করা হয় তখন সরকারের পক্ষ থেকে প্রচ্ছন্ন সমর্থন দেওয়া হয়েছিল। হাই কোর্ট কোটা সংক্রান্ত পরিপত্রটি বাতিল করে এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়। শিক্ষার্থীরা এত বোকা নয়। তারা বুঝে ফেলে এটা সরকারের চাল। সরকার কোটা পরিপত্র জারি করেছিল তাদের সামলানোর জন্য। আবার সরকারই হাই কোর্টে মামলা করিয়ে এই পরিপত্রটি বাতিল করেছে। এতেই বিশ্বাসের জায়গাটি ভেঙে যায়। যেভাবে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাস ভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে ঠিক একই ঘটনা ঘটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। এরপর সরকার ধাপে ধাপে ভুল করেছে এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পুঞ্জীভূত হয়েছে। এ যেন এক ‘টম অ্যান্ড জেরি’ খেলা। যখন শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে তখন সরকার তাদের অবজ্ঞা করেছে। সরকার তাদের সঙ্গে বসার প্রয়োজনটুকুও অনুভব করেনি। আর এই পরিস্থিতিতে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এক সময় আপিল বিভাগে বিষয়টি যায় এবং সরকারের তৎপরতাই প্রমাণ করে দেয় যে, নেপথ্যের কলকাঠি আসলে সরকারের হাতেই ছিল। কারণ আপিল বিভাগে রায় স্থগিত না করা, তারপর মামলার শুনানির দিন এগিয়ে নিয়ে আসা এবং পরবর্তীতে দ্রুত শুনানি করে কোটার ব্যাপারে একটি নীতিনির্ধারণী নির্দেশনা দেওয়াটাকে শিক্ষার্থীরা মনে করেছে একটি সাজানো নাটক। এ কারণেই তারা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন। সেই ক্ষুব্ধতাই গণবিস্ফোরণে রূপ নেয়।

আমরা দেখেছি, গত ১৫ বছরে একটি চাটুকার শ্রেণি গড়ে উঠেছে সব জায়গায়। সর্বক্ষেত্রে গড়ে উঠেছিল সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের বাইরে কেউই শেখ হাসিনার দরজা পর্যন্ত যেতে পারেনি। তাঁর কাছে পৌঁছানোর দরজা যেন সবার জন্য বন্ধ ছিল। সেরকমই একজন চাটুকার সিন্ডিকেটের সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অনভিপ্রেত এক প্রশ্ন করে বিতর্ক উসকে দেন। আর এখান থেকেই বিস্ফোরণ। এ সময় আওয়ামী লীগের কান্ডজ্ঞানহীন সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করলেন, শিক্ষার্থীদের দমন করার জন্য নাকি ছাত্রলীগই যথেষ্ট। তিনি জনবিচ্ছিন্ন, ধানমন্ডি-৩ নম্বর, ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ এবং তাঁর নিজস্ব মন্ত্রণালয়ের অফিস ছাড়া জনগণের সম্পর্কহীন। যেখানেই তিনি যান চাটুকাররা তাকে ঘিরে রাখে। চাটুকাররা তাকে ‘সাধু সাধু’ বলে। আর তিনি মনে করেন তিনি বোধহয় এ কালের নতুন জমিদার। আর সেই কারণেই বাস্তবতা বিবর্জিত বক্তব্য দিয়ে আন্দোলনে ঘি ঢাললেন। আন্দোলন বিস্ফোরিত হলো। তারপরও একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় অনেকে অনুরোধ করেছিল যে মন্ত্রিসভার রদবদল দরকার। ৫-৬ জন অযোগ্য, অথর্ব, দুর্নীতিবাজ, দায়িত্ব জ্ঞানহীন মন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীর মতো দুর্নীতিবাজ, অযোগ্য, চাটুকাররা শেখ হাসিনাকে ঘিরে রেখেছে। এ পরিস্থিতিতে আন্দোলন চলে গেল নিয়ন্ত্রণের বাইরে। জনগণ আগে থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল। সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অর্থ পাচার মানুষের জীবনে এক দুর্বিষহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। সরকারের ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা লোকজন বুঝতেই পারেনি জনগণ কী ভাবছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দেখে নিরীহ মানুষ উৎসাহিত হয়েছে। তারা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে। এক সময় তারা এক দফা ঘোষণা করেছে এবং শেখ হাসিনার অপমানজনক প্রস্থান হয়েছে। শেখ হাসিনার এই দুর্ভাগ্যজনক বিদায় কেউ হয়তো চায়নি। কিন্তু রাজনীতিতে এটি হলো নির্মম বাস্তবতা। একজন শাসককে কীভাবে দুর্নীতিবাজ, চাটুকাররা জনবিচ্ছিন্ন করে তার উদহারণ শেখ হাসিনা। এর ফলে জনবিচ্ছিন্ন শাসকের কি পরিণতি হয় তার উদহারণ ৫ আগস্ট। আমরা জানি, যে আওয়ামী লীগ ফিনিক্স পাখির মতো একটি রাজনৈতিক দল। এর চেয়েও বড় দুর্যোগ আওয়ামী লীগ সামাল দিয়েছে। আওয়ামী লীগে রয়েছে অনেক ত্যাগী, পরীক্ষিত সাহসী মানুষ। যারা দুঃসময়ে দাঁড়াবেন। আবার দুঃসময় এসেছে। এ মানুষগুলো হয়তো আবার সামনে এসে দাঁড়াবেন। সুসময়ের চাটুকাররা এখন পালিয়ে যাবে।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
কোরআনে বিজ্ঞান চর্চার তাগিদ
কোরআনে বিজ্ঞান চর্চার তাগিদ
জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত
জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা
কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা
ইরানে হামলা
ইরানে হামলা
ইউনূস-তারেক বৈঠক
ইউনূস-তারেক বৈঠক
মানবকল্যাণের তাগিদ দিয়েছে ইসলাম
মানবকল্যাণের তাগিদ দিয়েছে ইসলাম
মানবতাবাদী প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন
মানবতাবাদী প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
রয়েসয়ে খাওয়ার অভ্যাস ছিল না আওয়ামী লীগের
পুশইন বিড়ম্বনা
পুশইন বিড়ম্বনা
সর্বশেষ খবর
বয়স কেবল সংখ্যা! ৫৮ বছরেও মাঠ কাঁপিয়ে যাচ্ছেন জাপানের ‘কিং কাজু’
বয়স কেবল সংখ্যা! ৫৮ বছরেও মাঠ কাঁপিয়ে যাচ্ছেন জাপানের ‘কিং কাজু’

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

উত্তরাঞ্চলের মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে মাঠে হাইওয়ে পুলিশ
উত্তরাঞ্চলের মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে মাঠে হাইওয়ে পুলিশ

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার
তেহরান থেকে আরও দুই মোসাদ এজেন্ট গ্রেফতার

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউটিউব আর চলবে না যেসব ফোনে
ইউটিউব আর চলবে না যেসব ফোনে

১৮ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বোমা আতঙ্কে মাঝ আকাশে ভারত থেকে জার্মানিতে ফিরল বিমান
বোমা আতঙ্কে মাঝ আকাশে ভারত থেকে জার্মানিতে ফিরল বিমান

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস
লন্ডন বৈঠক : রাজনীতিতে সুবাতাস

২৭ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

সড়ক দুর্ঘটনায় ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সড়ক দুর্ঘটনায় ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

৩৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

সব দ্রুত করার জন‍্য তাগিদ আলোন্সোর
সব দ্রুত করার জন‍্য তাগিদ আলোন্সোর

৩৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ মুজিবের মতো হাসিনাও একদলীয় ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন করেছিল : তারেক রহমান
শেখ মুজিবের মতো হাসিনাও একদলীয় ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন করেছিল : তারেক রহমান

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব ছাড়ার কারণ জানালেন কার্স্টেন
পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব ছাড়ার কারণ জানালেন কার্স্টেন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে বাধ্যতামূলক মাস্ক-স্যানিটাইজার
এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে বাধ্যতামূলক মাস্ক-স্যানিটাইজার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কক্সবাজারে বাস-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ৩
কক্সবাজারে বাস-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জেমিনির নতুন ফিচারে থাকছে যে নতুন সুবিধা
জেমিনির নতুন ফিচারে থাকছে যে নতুন সুবিধা

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত
ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের গোয়েন্দাপ্রধান ও দুই জেনারেল নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শুনানি আজ
মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শুনানি আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪ ওভারে ৮১ রান দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ম্যাককার্থি
৪ ওভারে ৮১ রান দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ম্যাককার্থি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বরগুনায় ডেঙ্গুতে শিশুর মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৭৯ জন
বরগুনায় ডেঙ্গুতে শিশুর মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৭৯ জন

১ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

কোন কারণে পার্টি এড়িয়ে চলেন কারিনা
কোন কারণে পার্টি এড়িয়ে চলেন কারিনা

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের জালে গোল উৎসব পিএসজির
অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের জালে গোল উৎসব পিএসজির

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মাদক কারবারের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
মাদক কারবারের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণঅভ্যুত্থানে তাইম-হৃদয় হত্যা : ২ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
গণঅভ্যুত্থানে তাইম-হৃদয় হত্যা : ২ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস
ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ জুন)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৬ জুন)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে কেউ অসুন্দর করলে ব্যবস্থা: চসিক মেয়র
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে কেউ অসুন্দর করলে ব্যবস্থা: চসিক মেয়র

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও পরিবেশ বিপর্যয় : ইসলামী নির্দেশনা
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও পরিবেশ বিপর্যয় : ইসলামী নির্দেশনা

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সোনারগাঁয়ে ওলামা দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সোনারগাঁয়ে ওলামা দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়াবহতা দেখে যা বললেন নেতানিয়াহু
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভয়াবহতা দেখে যা বললেন নেতানিয়াহু

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে যা বলেছে তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইরাক
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে যা বলেছে তুরস্ক, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইরাক

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে ১,৭০৫ বন্দিকে ক্ষমা করলেন খামেনি
যে কারণে ১,৭০৫ বন্দিকে ক্ষমা করলেন খামেনি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানি হামলায় তছনছ ইসরায়েল, হতাহত দুই শতাধিক
ইরানি হামলায় তছনছ ইসরায়েল, হতাহত দুই শতাধিক

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যুক্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রও, ট্রাম্পের ইঙ্গিত

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের ভয়ে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে স্থগিত
ইরানের ভয়ে নেতানিয়াহুর ছেলের বিয়ে স্থগিত

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘সরকার পরিবর্তনে’ এটিই সুযোগ, ইরানের সাবেক যুবরাজের উস্কানি
‘সরকার পরিবর্তনে’ এটিই সুযোগ, ইরানের সাবেক যুবরাজের উস্কানি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে ইরান যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে
ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে ইরান যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : একনজরে গত ২৪ ঘণ্টায় যা যা ঘটল
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : একনজরে গত ২৪ ঘণ্টায় যা যা ঘটল

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাতভর মিসাইল বৃষ্টিতে বিপদে ইসরায়েল
রাতভর মিসাইল বৃষ্টিতে বিপদে ইসরায়েল

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন
ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু, ইসরায়েলে ফের সতর্কতা সাইরেন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান
নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলে আরও ধ্বংসাত্মক হামলা চালানো হবে, ঘোষণা ইরানের
ইসরায়েলে আরও ধ্বংসাত্মক হামলা চালানো হবে, ঘোষণা ইরানের

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মার্কিন স্বার্থে হামলা চালালে ইরানকে যে ভয়ঙ্কর পরিণতির হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প
মার্কিন স্বার্থে হামলা চালালে ইরানকে যে ভয়ঙ্কর পরিণতির হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘পাঁচ ইসলামী ব্যাংক মিলে হবে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা’
‘পাঁচ ইসলামী ব্যাংক মিলে হবে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা’

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে ইরান
হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে ইরান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ, চালক আটক

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেই জরুরি বৈঠকের ডাক বিশ্ব পরমাণু সংস্থার
ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেই জরুরি বৈঠকের ডাক বিশ্ব পরমাণু সংস্থার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত
ইসরায়েলের ওপর ফের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বহু হতাহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোপন হামলার প্রস্তুতির সময় ইরানে মোসাদের দুই সদস্য আটক
গোপন হামলার প্রস্তুতির সময় ইরানে মোসাদের দুই সদস্য আটক

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি দুই গুপ্তচরকে গ্রেফতারের দাবি ইরানের
ইসরায়েলি দুই গুপ্তচরকে গ্রেফতারের দাবি ইরানের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেত্রী সৌন্দর্য থেকে সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যু: নিছক বিমান দুর্ঘটনা, নাকি ষড়যন্ত্র?
অভিনেত্রী সৌন্দর্য থেকে সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যু: নিছক বিমান দুর্ঘটনা, নাকি ষড়যন্ত্র?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পর্তুগালে স্ত্রী-কন্যার সামনেই গুলি করে বাংলাদেশিকে হত্যা
পর্তুগালে স্ত্রী-কন্যার সামনেই গুলি করে বাংলাদেশিকে হত্যা

২৩ ঘণ্টা আগে | পরবাস

৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার
৪৮ ঘণ্টায় ভূপাতিত ৪৪টি ইসরায়েলি ড্রোন ও কোয়াডকপ্টার

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের সঙ্গে সমন্বয় করে ইসরায়েলে হামলা হুথিদের
ইরানের সঙ্গে সমন্বয় করে ইসরায়েলে হামলা হুথিদের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল ‘সবচেয়ে বড় হুমকি’ :  সৌদি যুবরাজকে ফোনে এরদোয়ান
ইসরায়েল ‘সবচেয়ে বড় হুমকি’ :  সৌদি যুবরাজকে ফোনে এরদোয়ান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেতানিয়াহু বিশ্বকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছেন: মার্কিন সিনেটর
নেতানিয়াহু বিশ্বকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছেন: মার্কিন সিনেটর

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের পাল্টা আক্রমণে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা হুমকির মুখে
ইরানের পাল্টা আক্রমণে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা হুমকির মুখে

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে
তারেক ফিরছেন দেড় মাসের মধ্যে

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসরায়েলে ধ্বংসস্তূপ
ইসরায়েলে ধ্বংসস্তূপ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশে নতুন বিপর্যয়ের শঙ্কা
দেশে নতুন বিপর্যয়ের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

আমের ‘ঢলন’ প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষি
আমের ‘ঢলন’ প্রথায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষি

নগর জীবন

কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা
কুশাসক-সুশাসক নির্ণয়ের দাঁড়িপাল্লা

সম্পাদকীয়

সাত বছরে হলো কয়েকটি পিলার
সাত বছরে হলো কয়েকটি পিলার

পেছনের পৃষ্ঠা

হামজাদের দেখে ভারতীয় দলেও প্রবাসী ফুটবলার
হামজাদের দেখে ভারতীয় দলেও প্রবাসী ফুটবলার

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

প্রোটিয়া ক্রিকেটের মহানায়ক টেম্বা বাভুমা
প্রোটিয়া ক্রিকেটের মহানায়ক টেম্বা বাভুমা

মাঠে ময়দানে

নাটক-সিনেমায় অনবদ্য তাসনিয়া ফারিণ
নাটক-সিনেমায় অনবদ্য তাসনিয়া ফারিণ

শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

মাথায় হাত আলুচাষিদের
মাথায় হাত আলুচাষিদের

নগর জীবন

করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
করোনা ঠেকাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না
এক ঘরে দুই পীর থাকতে পারে না

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে
আওয়ামী লীগ ভোটকে হাস্যরসে পরিণত করে

প্রথম পৃষ্ঠা

পাঁচ ইসলামি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, চাকরি হারাবে না কেউ
পাঁচ ইসলামি ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, চাকরি হারাবে না কেউ

প্রথম পৃষ্ঠা

অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে নতুন কৌশল
অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে নতুন কৌশল

পেছনের পৃষ্ঠা

সড়কে তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ বাস
সড়কে তবুও মেয়াদোত্তীর্ণ বাস

পেছনের পৃষ্ঠা

এবার ব্যাংক থেকে ফেরার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই
এবার ব্যাংক থেকে ফেরার পথে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই

প্রথম পৃষ্ঠা

গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন
গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন

নগর জীবন

এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, পলাতক নিরাপত্তাকর্মী
এটিএম বুথে কিশোরী ধর্ষণ, পলাতক নিরাপত্তাকর্মী

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির কমিটি গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ
বিএনপির কমিটি গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ

প্রথম পৃষ্ঠা

হদিস মেলেনি কোটি টাকার, কেউ হয়নি গ্রেপ্তার
হদিস মেলেনি কোটি টাকার, কেউ হয়নি গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

শাহিনের বক্তব্যে তোলপাড় বাফুফে
শাহিনের বক্তব্যে তোলপাড় বাফুফে

মাঠে ময়দানে

আলোচনার পর ভোটের তারিখ সরকারের দিকে তাকিয়ে ইসি
আলোচনার পর ভোটের তারিখ সরকারের দিকে তাকিয়ে ইসি

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইশরাকের
আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইশরাকের

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাস গড়লেন রুকসানা
ইতিহাস গড়লেন রুকসানা

মাঠে ময়দানে

সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে চামড়ার আড়ত, দুর্গন্ধে ভোগান্তি
সরকারি পরিত্যক্ত ভবনে চামড়ার আড়ত, দুর্গন্ধে ভোগান্তি

নগর জীবন

জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত
জাতীয় বাজেট ও কৃষি খাত

সম্পাদকীয়

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়

প্রথম পৃষ্ঠা