শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০৭ আগস্ট, ২০২৪ আপডেট:

কেন এভাবে বিদায় নিতে হলো শেখ হাসিনাকে?

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
কেন এভাবে বিদায় নিতে হলো শেখ হাসিনাকে?

অবশেষে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটল। গত ৫ আগস্ট সোমবার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান। এরকম একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতি শেখ হাসিনার ভাগ্যে আছে এক মাস আগে হয়তো কেউ কল্পনাও করেনি। কিন্তু রাজনীতি এমনই। গত সংখ্যায় আমি লিখেছিলাম, ‘রাজনীতিতে ক্ষমতা আর ঘৃণা পাশাপাশি চলে। এই দেশ জোয়ার-ভাটার দেশ এই দেশের মানুষ প্রচন্ড আবেগপ্রবণ।’ এ কথাগুলো মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবতার ভিত্তি পাবে তা আমিও ভাবতে পারিনি। এক মাস আগে কে ভেবেছিল শেখ হাসিনা সরকারের এমন করুণ পতন হবে। এভাবে তাঁকে একটি অপমানজনক বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বিদায় নিতে হবে?

এই প্রস্থান রাজনীতির জন্য একটি শিক্ষা। টানা সাড়ে ১৫ বছর তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ চালিয়েছেন ২০ বছরের বেশি সময়। ৪৩ বছরের বেশি সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিত্ব করেন। তাঁর এই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি কি একটিবারের জন্যও ভেবেছেন, তাঁর এরকম পরিণতি হবে? সম্ভবত না। রাজনীতি বোধহয় এমনই। রাজনীতির কিছু হিসাবনিকাশ অঙ্কের চেয়েও জটিল। কিন্তু আমরা যদি নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করি তা হলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারব পতন কেন শেখ হাসিনার হলো?

শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার এক নবযাত্রার সূচনা হয়েছিল। ইতিহাস নিশ্চয়ই তাঁকে মনে রাখবে। তাঁর হাত ধরে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, নানা উন্নয়ন স্থাপনাগুলো বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।

কিন্তু দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে কিছু ব্যাধি তাঁকে প্রচন্ডভাবে পেয়ে বসেছিল। তার মাশুল দিতে হলো শেখ হাসিনাকে। আওয়ামী লীগকে। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেন শেখ হাসিনা। এই সরকার গঠনের পর আন্তর্জাতিক মহল থেকে তাঁকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সরকার টিকে গেল এরকম একটি আত্মতুষ্টি এবং অহংকার পেয়ে বসে আওয়ামী লীগের সবাইকে। আর এই আত্মতুষ্টি এবং অতি অহংকারই আওয়ামী লীগের পতনের পথ। আমরা যদি নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করি কেন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটল? কেন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে তছনছ হয়ে গেল শেখ হাসিনার ক্ষমতার দুর্গ তাহলে বেশ কয়েকটি কারণকে সামনে আনতে পারি। তবে আমার বিবেচনায় সবচেয়ে বড় কারণ -  জনবিচ্ছিন্নতা। আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। জনপ্রিয়তা নেমে গিয়েছিল শূন্যের কোঠায়।

২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভূমিধস বিজয় পেয়েছিল। এই নির্বাচনে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের পক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে রায় দিয়েছিল। এরপর দেশ পরিচালানায় তিনি ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন। মহাজোটের সব দলকে নিয়ে তিনি ঐক্যবদ্ধভাবে সরকার পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের পর যে আন্দোলন শুরু হয় সেই আন্দোলন আওয়ামী লীগ সরকারকে চাপে ফেলেছিল তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই চাপ শেখ হাসিনা উতরে গিয়েছিলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিরোধী দলগুলো অংশগ্রহণ করেনি। ১৫০টিরও বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। ভোট ছাড়া এমপি হওয়ার পর সবাই আশা করেছিল দ্রুত আরেকটি নির্বাচন হবে, একটি জাতীয় সংলাপের পথ উন্মুক্ত হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সে পথে হাঁটেনি। তারপরও দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে মেনে নিয়েছিল মন্দের ভালো হিসেবে। কিন্তু ২০১৮ সালের নির্বাচনে যখন বিরোধী দলগুলো কোনো রকম শর্ত ছাড়াই অংশগ্রহণ করতে রাজি হয় তখন গণতন্ত্রকে একটি সঠিক রাস্তায় নিয়ে আসার ঐতিহাসিক সুযোগ পেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেই সুযোগ তিনি কাজে লাগাননি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে কোনো ভোট হয়নি। রাতের ভোটে গণতন্ত্রকে লজ্জিত করা হয়। সেই লজ্জার ভার বহন করতে হয়েছিল গোটা জাতিকে। ২০১৮ সালের নির্বাচন যদি ন্যূনতম অবাধ সুষ্ঠু হতো না। তাহলে আজকে এই পরিণতি হতো। ২০১৮ সালের রাতের ভোটের মাধ্যমে যে কলঙ্ক রোপিত হয়েছিল তারপরও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল আরও পাঁচ বছর। ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রায় দুই বছর আগে থেকেই বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল আন্দোলন শুরু করে। সেই আন্দোলনের দাবি ছিল একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। কিন্তু আওয়ামী লীগ অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের ধারে কাছে যায়নি। বরং বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনের বাইরে রেখে ক্ষমতায় থাকার কৌশল অবলম্বন করেছিল। সেই কৌশলে কিছু সময়ের জন্য জয়ী হয়েছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু কূটকৌশল করে জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে হয়তো কিছুদিন ক্ষমতায় থাকা যায়। চিরকাল না। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ভোট আতঙ্কে ভুগতে থাকে। ভোটার ছাড়া পুলিশ-প্রশাসন দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার এক ব্যাধি আওয়ামী লীগকে ভয়ংকরভাবে পেয়ে বসে। এটিই আসলে সংকটের উৎসস্থল। এই ভোটারবিহীন এমপিরা, জনগণের সঙ্গে সম্পর্কহীন। এই তথাকথিত জনপ্রতিনিধিরাই আওয়ামী লীগের সর্বনাশ করেছে। এরা জনবিচ্ছিন্ন। জনগণের সঙ্গে সম্পর্কহীন থেকে তারা লুটপাটে মত্ত হয়েছিলেন। তারা নিজেদের আখের গোছানোর কাজেই ছিলেন গভীর মনোযোগী। যে কারণে জনগণ যে ক্রমশ তাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল, সেটি তারা বুঝতেই পারেনি।

দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শুরু হয় লুণ্ঠনের রাজত্ব। একদিকে যেমন উন্নতি হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় লুণ্ঠন। রীতিমতো উৎসব হয় দুর্নীতির। যে যেভাবে পেরেছে দুর্নীতি করেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক। জনগণ প্রশ্ন করেছে, দুর্নীতি করে পিয়ন যদি ৪০০ কোটি টাকার মালিক তাহলে বড় ‘কর্তা’ কত টাকার মালিক? আমলা আছে, পুলিশ আছে ক্ষমতা আমাদের - এই সহজ ফর্মুলা দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করেছিল। কিন্তু এভাবে যে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না ৫ আগস্ট তার প্রমাণ।

জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্যই আওয়ামী লীগ জনগণের কণ্ঠস্বর শুনতে পারত না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারত না। দুর্নীতিবাজদের উৎসব আওয়ামী লীগ উপভোগ করেছে, ব্যবস্থা নেয়নি। বেনজীর-মতিউর কিংবা এরকম নাম না জানা এরকম অনেক দুর্নীতিবাজের ফিরিস্তি দেখে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। কিন্তু সরকার ছিল প্রতিকারহীন। দুর্নীতি যেমন বেড়েছিল তেমনি বেড়েছিল অর্থ পাচার, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির সংখ্যা। ব্যাংকগুলো ফোকলা হয়ে গেছে। আর্থিক খাতে নেমে এসেছে এক ভয়ংকর নৈরাজ্য।

আওয়ামী লীগের হাত ধরেই অর্থনীতি একটা সম্মানজনক স্থানে এসেছিল, সেই আওয়ামী লীগের হাত ধরেই অর্থনীতির ধ্বংস যজ্ঞ শুরু হয়। লুটপাটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মুদ্রাস্ফীতি চলে যায় সীমাহীন পর্যায়ে। কয়েকজন মন্ত্রী-এমপির লুণ্ঠনের ফিরিস্তি রূপকথাকেও হার মানিয়েছিল। অথচ এসবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় আসার পর অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে গিয়েছিলেন। আসলে গত ১৫ বছর তিনি একাই দেশ চালিয়েছেন। কোনো মন্ত্রী বা কোনো এমপির দায়িত্ব ছিল না। সব সিদ্ধান্তের জন্য তারা তাকিয়ে থাকতেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে। শেখ হাসিনা কী করবে সেটার অপেক্ষায় থাকতেন সারাক্ষণ। এরকম একটি সার্কাসের শাসন ব্যবস্থা কায়েম হয়েছিল গত প্রায় দেড় দশক ধরে। সবকিছুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থেকে শুধু লুণ্ঠন-বাণিজ্যে মনোযোগী ছিলেন মন্ত্রীরা। আর এ সময় শেখ হাসিনা কঠোর হতে পারেননি। তিনি মন্ত্রীদের দায়িত্ব দিতে পারেননি। বরং তিনি চাটুকার, মোসাহেব এবং স্তাবকদের চারপাশে রেখেছিলেন। এরা চারপাশ থেকে শেখ হাসিনাকে বিভ্রান্ত করেছে, জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। প্রকৃত বাস্তবতা উপলব্ধি করতে দেয়নি। এদের কারণেই শেখ হাসিনার পতন। এই সমস্ত চাটুকার এবং স্তাবকরা শুধু শেখ হাসিনাকে জনবিচ্ছিন্ন করেনি, আওয়ামী লীগ সংগঠনকেও ভেঙে চুরমার করেছে। বাস্তবে আওয়ামী লীগ বলে এখন কোনো সংগঠন নেই।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় আমলা এবং পুলিশের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। তিনি সংগঠনকে শক্তিশালী বা গতিশীল করার দিকে একদম মনোযোগ দেননি। আওয়ামী লীগের অথর্ব, অযোগ্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবে টানা তিনবার দায়িত্ব পালনের রেকর্ড করেছে ওবায়দুল কাদের। তার কথা জনবিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তিনি কথা বললে মানুষ বিরক্ত হতো। শেষ পর্যন্ত এটি মানুষের জন্য ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু তারপরও আওয়ামী লীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের পরিবর্তন করেননি। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে শেখ হাসিনা পরিবর্তন বিরোধী হয়ে ওঠেন। চতুর্থ মেয়াদে তিনি এমন সব আনকোরা-হাইব্রিডদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন যারা ক্রমশ গণশত্রুতে পরিণত হয়েছিল।

কোটা সংস্কার আন্দোলন একটি নমুনা মাত্র। যে আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া থেকে বোঝা যায় সরকার কীভাবে চলত। কোটা সংস্কার নিয়ে যখন প্রথম আন্দোলন শুরু হয় ২০১৮ সালে তখন শেখ হাসিনা এক পরিপত্রের মাধ্যমে কোটা বাতিল করেন। তারপর আওয়ামী লীগের লোকজনই কোটা বাতিলের বিরুদ্ধে রিট আবেদন করেন। মুক্তিযোদ্ধা কোটা রিট আবেদনটি ছিল আওয়ামী লীগেরই সৃষ্ট একটি নতুন সমস্যা। আওয়ামী লীগ যে কূটকৌশলের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকার অভ্যাস রপ্ত করেছিল ঠিক একই কূটকৌশল করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করতে চেয়েছিল। এটির কোনো দরকার ছিল না। হাই কোর্টে যখন রিট পিটিশনটি দাখিল করা হয় তখন সরকারের পক্ষ থেকে প্রচ্ছন্ন সমর্থন দেওয়া হয়েছিল। হাই কোর্ট কোটা সংক্রান্ত পরিপত্রটি বাতিল করে এবং মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়। শিক্ষার্থীরা এত বোকা নয়। তারা বুঝে ফেলে এটা সরকারের চাল। সরকার কোটা পরিপত্র জারি করেছিল তাদের সামলানোর জন্য। আবার সরকারই হাই কোর্টে মামলা করিয়ে এই পরিপত্রটি বাতিল করেছে। এতেই বিশ্বাসের জায়গাটি ভেঙে যায়। যেভাবে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাস ভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে ঠিক একই ঘটনা ঘটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। এরপর সরকার ধাপে ধাপে ভুল করেছে এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পুঞ্জীভূত হয়েছে। এ যেন এক ‘টম অ্যান্ড জেরি’ খেলা। যখন শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে তখন সরকার তাদের অবজ্ঞা করেছে। সরকার তাদের সঙ্গে বসার প্রয়োজনটুকুও অনুভব করেনি। আর এই পরিস্থিতিতে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এক সময় আপিল বিভাগে বিষয়টি যায় এবং সরকারের তৎপরতাই প্রমাণ করে দেয় যে, নেপথ্যের কলকাঠি আসলে সরকারের হাতেই ছিল। কারণ আপিল বিভাগে রায় স্থগিত না করা, তারপর মামলার শুনানির দিন এগিয়ে নিয়ে আসা এবং পরবর্তীতে দ্রুত শুনানি করে কোটার ব্যাপারে একটি নীতিনির্ধারণী নির্দেশনা দেওয়াটাকে শিক্ষার্থীরা মনে করেছে একটি সাজানো নাটক। এ কারণেই তারা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন। সেই ক্ষুব্ধতাই গণবিস্ফোরণে রূপ নেয়।

আমরা দেখেছি, গত ১৫ বছরে একটি চাটুকার শ্রেণি গড়ে উঠেছে সব জায়গায়। সর্বক্ষেত্রে গড়ে উঠেছিল সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের বাইরে কেউই শেখ হাসিনার দরজা পর্যন্ত যেতে পারেনি। তাঁর কাছে পৌঁছানোর দরজা যেন সবার জন্য বন্ধ ছিল। সেরকমই একজন চাটুকার সিন্ডিকেটের সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অনভিপ্রেত এক প্রশ্ন করে বিতর্ক উসকে দেন। আর এখান থেকেই বিস্ফোরণ। এ সময় আওয়ামী লীগের কান্ডজ্ঞানহীন সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করলেন, শিক্ষার্থীদের দমন করার জন্য নাকি ছাত্রলীগই যথেষ্ট। তিনি জনবিচ্ছিন্ন, ধানমন্ডি-৩ নম্বর, ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ এবং তাঁর নিজস্ব মন্ত্রণালয়ের অফিস ছাড়া জনগণের সম্পর্কহীন। যেখানেই তিনি যান চাটুকাররা তাকে ঘিরে রাখে। চাটুকাররা তাকে ‘সাধু সাধু’ বলে। আর তিনি মনে করেন তিনি বোধহয় এ কালের নতুন জমিদার। আর সেই কারণেই বাস্তবতা বিবর্জিত বক্তব্য দিয়ে আন্দোলনে ঘি ঢাললেন। আন্দোলন বিস্ফোরিত হলো। তারপরও একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় অনেকে অনুরোধ করেছিল যে মন্ত্রিসভার রদবদল দরকার। ৫-৬ জন অযোগ্য, অথর্ব, দুর্নীতিবাজ, দায়িত্ব জ্ঞানহীন মন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীর মতো দুর্নীতিবাজ, অযোগ্য, চাটুকাররা শেখ হাসিনাকে ঘিরে রেখেছে। এ পরিস্থিতিতে আন্দোলন চলে গেল নিয়ন্ত্রণের বাইরে। জনগণ আগে থেকেই ক্ষুব্ধ ছিল। সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অর্থ পাচার মানুষের জীবনে এক দুর্বিষহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। সরকারের ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা লোকজন বুঝতেই পারেনি জনগণ কী ভাবছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দেখে নিরীহ মানুষ উৎসাহিত হয়েছে। তারা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে। এক সময় তারা এক দফা ঘোষণা করেছে এবং শেখ হাসিনার অপমানজনক প্রস্থান হয়েছে। শেখ হাসিনার এই দুর্ভাগ্যজনক বিদায় কেউ হয়তো চায়নি। কিন্তু রাজনীতিতে এটি হলো নির্মম বাস্তবতা। একজন শাসককে কীভাবে দুর্নীতিবাজ, চাটুকাররা জনবিচ্ছিন্ন করে তার উদহারণ শেখ হাসিনা। এর ফলে জনবিচ্ছিন্ন শাসকের কি পরিণতি হয় তার উদহারণ ৫ আগস্ট। আমরা জানি, যে আওয়ামী লীগ ফিনিক্স পাখির মতো একটি রাজনৈতিক দল। এর চেয়েও বড় দুর্যোগ আওয়ামী লীগ সামাল দিয়েছে। আওয়ামী লীগে রয়েছে অনেক ত্যাগী, পরীক্ষিত সাহসী মানুষ। যারা দুঃসময়ে দাঁড়াবেন। আবার দুঃসময় এসেছে। এ মানুষগুলো হয়তো আবার সামনে এসে দাঁড়াবেন। সুসময়ের চাটুকাররা এখন পালিয়ে যাবে।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

ইমেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
পিটিয়ে হত্যা
পিটিয়ে হত্যা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
ভ্যাকসিন-সংকট
ভ্যাকসিন-সংকট
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
সর্বশেষ খবর
রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

১ সেকেন্ড আগে | রাজনীতি

আবারও রিমান্ডে সাবেক এমপি জাফর আলম
আবারও রিমান্ডে সাবেক এমপি জাফর আলম

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
হরমুজ প্রণালিতে মাইন বসানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল ইরান: দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে বাসায় ঝুলছিল যুবকের মরদেহ
রাজধানীতে বাসায় ঝুলছিল যুবকের মরদেহ

১৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

মহানবী (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠের ১৫ ফজিলত
মহানবী (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠের ১৫ ফজিলত

১৯ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

গুইরাসির জোড়া গোলে শেষ আটে ডর্টমুন্ড
গুইরাসির জোড়া গোলে শেষ আটে ডর্টমুন্ড

৩০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হজ পালন শেষে ফিরেছেন ৬৩ হাজার ১৮৮ হাজি
হজ পালন শেষে ফিরেছেন ৬৩ হাজার ১৮৮ হাজি

৩৩ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

জুলাই আন্দোলনে ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু, ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জুলাই আন্দোলনে ৬ বছরের শিশুর মৃত্যু, ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

৩৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

টেসলায় সোনালি দিন, কিন্তু ইলন মাস্কের কারণে তিক্ত বিদায় কর্মীর!
টেসলায় সোনালি দিন, কিন্তু ইলন মাস্কের কারণে তিক্ত বিদায় কর্মীর!

৪৭ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‘অ্যালকালাইন ওয়াটার’ সাধারণ পানির তুলনায় কতটা ভিন্ন?
‘অ্যালকালাইন ওয়াটার’ সাধারণ পানির তুলনায় কতটা ভিন্ন?

৪৯ মিনিট আগে | জীবন ধারা

বৃহস্পতিবার যেসব এলাকায় ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
বৃহস্পতিবার যেসব এলাকায় ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

৫০ মিনিট আগে | নগর জীবন

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ১০৯
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ১০৯

৫৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রহ্মপুত্রে নৌকা ডুবি: ২২ ঘণ্টা পর দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার
ব্রহ্মপুত্রে নৌকা ডুবি: ২২ ঘণ্টা পর দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তারেক রহমান জুলাই বিপ্লবের মূল নেতৃত্বে ছিলেন: অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান
তারেক রহমান জুলাই বিপ্লবের মূল নেতৃত্বে ছিলেন: অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন
ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আকাশে দেখা মিলবে ৮টি দুর্লভ মহাজাগতিক দৃশ্য
আকাশে দেখা মিলবে ৮টি দুর্লভ মহাজাগতিক দৃশ্য

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর হাতে খুন হলেন প্রেমিক!
পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর হাতে খুন হলেন প্রেমিক!

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঢামেকের সামনের ফুটপাতে মিলল বৃদ্ধার মরদেহ
ঢামেকের সামনের ফুটপাতে মিলল বৃদ্ধার মরদেহ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার, স্ক্যান করে পাঠানো যাবে নথিপত্র
হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার, স্ক্যান করে পাঠানো যাবে নথিপত্র

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

যাত্রাবাড়ী থেকে হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেফতার
যাত্রাবাড়ী থেকে হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২ ঘণ্টা পর টিকাটুলির ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
২ ঘণ্টা পর টিকাটুলির ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দূর মহাকাশ থেকে পৃথিবী-চাঁদের অপূর্ব ছবি পাঠাল চীনের মহাকাশযান
দূর মহাকাশ থেকে পৃথিবী-চাঁদের অপূর্ব ছবি পাঠাল চীনের মহাকাশযান

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করলো লাগেজ ট্রলি
দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করলো লাগেজ ট্রলি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন
১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শরীরে ‘ইসলামিক’ ট্যাটু করা কি জায়েজ
শরীরে ‘ইসলামিক’ ট্যাটু করা কি জায়েজ

৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা
খেলাধুলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভূমিকা

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

পর্যটনের স্বপ্ন ফাইলেই বন্দি
পর্যটনের স্বপ্ন ফাইলেই বন্দি

৩ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

দেশের ৪০ শতাংশ কৃষক ন্যায্যমজুরি পান না : বিবিএসের জরিপ
দেশের ৪০ শতাংশ কৃষক ন্যায্যমজুরি পান না : বিবিএসের জরিপ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বস্তির জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ আটের মঞ্চে রিয়াল
স্বস্তির জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ আটের মঞ্চে রিয়াল

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, যা বলছে ইসরায়েল-হামাস
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, যা বলছে ইসরায়েল-হামাস

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া
জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা
স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার
আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’
ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের বোম্ব গাইডেন্স কিট বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের
ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের বোম্ব গাইডেন্স কিট বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে আইন পাস
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে আইন পাস

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর হাতে খুন হলেন প্রেমিক!
পরকীয়া প্রেমিকা ও তার স্বামীর হাতে খুন হলেন প্রেমিক!

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু
ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত
ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ
দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ

৮ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, যা বলছে ইসরায়েল-হামাস
ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, যা বলছে ইসরায়েল-হামাস

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬
উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি
ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরমাণু প্রযুক্তি বোমা মেরে ধ্বংস করা সম্ভব নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পরমাণু প্রযুক্তি বোমা মেরে ধ্বংস করা সম্ভব নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন
১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যেভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর
যেভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু
শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টাইগারদের সামনে দশম থেকে নবম স্থানে ওঠার সুযোগ
টাইগারদের সামনে দশম থেকে নবম স্থানে ওঠার সুযোগ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩
যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুদ্ধ থামানো নিয়ে আবারও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের
যুদ্ধ থামানো নিয়ে আবারও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী সপ্তাহের যেকোনও সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্প
আগামী সপ্তাহের যেকোনও সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করলো লাগেজ ট্রলি
দাঁড়িয়ে থাকা বোয়িং বিমানে আঘাত করলো লাগেজ ট্রলি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এখনই: ইলন মাস্ক
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এখনই: ইলন মাস্ক

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ১৮ জুলাই
৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ১৮ জুলাই

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির
আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৪৪ তম বিসিএস পুলিশে প্রথম শাবিপ্রবির শরিফ
৪৪ তম বিসিএস পুলিশে প্রথম শাবিপ্রবির শরিফ

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
চতুর্মুখী সংকটে রপ্তানি
চতুর্মুখী সংকটে রপ্তানি

প্রথম পৃষ্ঠা

এশিয়ার বিস্ময় আল হিলাল
এশিয়ার বিস্ময় আল হিলাল

মাঠে ময়দানে

নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে
নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা শুরুর আহ্বান
ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা শুরুর আহ্বান

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু পুলিশের
নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু পুলিশের

পেছনের পৃষ্ঠা

জনশক্তি রপ্তানিতে কামালের পারিবারিক প্রতারণা
জনশক্তি রপ্তানিতে কামালের পারিবারিক প্রতারণা

প্রথম পৃষ্ঠা

সালমানের সেই মুন্নি এখন
সালমানের সেই মুন্নি এখন

শোবিজ

মিয়ানমার চ্যালেঞ্জে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ
মিয়ানমার চ্যালেঞ্জে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

মুদ্রাস্ফীতির কবলে চায়ের আড্ডা
মুদ্রাস্ফীতির কবলে চায়ের আড্ডা

পেছনের পৃষ্ঠা

ওরা গায়ের জোরে প্রতিবেদন দিয়েছে
ওরা গায়ের জোরে প্রতিবেদন দিয়েছে

প্রথম পৃষ্ঠা

যেমন আছেন সিনিয়র তারকারা
যেমন আছেন সিনিয়র তারকারা

শোবিজ

মান্নাকে কেন চাননি ডিপজল
মান্নাকে কেন চাননি ডিপজল

শোবিজ

প্রতারণায় শুরু, দাম চূড়ান্ত হয়নি কয়লার, চাচ্ছে মনগড়া বিল
প্রতারণায় শুরু, দাম চূড়ান্ত হয়নি কয়লার, চাচ্ছে মনগড়া বিল

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে গোপালগঞ্জে
প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে গোপালগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজধানীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
রাজধানীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

মিরাজের নেতৃত্বে ওয়ানডে যাত্রা
মিরাজের নেতৃত্বে ওয়ানডে যাত্রা

মাঠে ময়দানে

স্বৈরাচার যেন আর ফিরে আসতে না পারে
স্বৈরাচার যেন আর ফিরে আসতে না পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

‘বুলবুলের ১৪৫ রানের ইনিংসটি মেসেজ দিয়েছিল’
‘বুলবুলের ১৪৫ রানের ইনিংসটি মেসেজ দিয়েছিল’

মাঠে ময়দানে

জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়
জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি
আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমল
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমল

পেছনের পৃষ্ঠা

যশোরে বারান্দা ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের মৃত্যু
যশোরে বারান্দা ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

সাবিনা ইয়াসমীনের ‘প্রাণের বাংলাদেশ’
সাবিনা ইয়াসমীনের ‘প্রাণের বাংলাদেশ’

শোবিজ

ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু
ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু

নগর জীবন

এনডিপির সভাপতি সোহেল, মহাসচিব জামিল
এনডিপির সভাপতি সোহেল, মহাসচিব জামিল

নগর জীবন

সংস্কারবিহীন নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না
সংস্কারবিহীন নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না
নির্বাচনি বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ কে এম বদরুদ্দোজা আর নেই
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ কে এম বদরুদ্দোজা আর নেই

নগর জীবন