শুরুটা রাজা হর্ষবর্ধনকে দিয়েই করি। প্রাচীন ভারত তো বটেই- তামাম দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ শাসকদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তার শাসনকাল ছিল ৬০৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬৪৭ অবধি; প্রায় ৪১ বছর। তাকে নিয়ে আমার নিদারুণ আগ্রহ। কারণ রাজনীতি-দার্শনিকতা-সাহিত্য রচনা-যুদ্ধবিদ্যা এবং সফল সম্রাট হিসেবে তার যে খ্যাতি এমনটি পাকভারত তো দূরের কথা- তামাম দুনিয়ায় খুব বেশি দেখা যায় না। দ্বিতীয়ত, তিনি যে জমানাটি পেয়েছিলেন তা ছিল মানবজাতির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম সময়। আরবে আল্লাহর রসুল (সা.)-এর রাজত্বকাল, চীন দেশে তাং সাম্রাজ্য, পারস্য এবং রোমেও তখন যোগ্যতম ও শ্রেষ্ঠতম শাসকদের শাসন চলছিল।
সম্রাট হর্ষবর্ধনকে নিয়ে বাংলা, বিহার, ওড়িশার জনগণের আগ্রহের অনেকগুলো কারণ রয়েছে। সাহিত্যবোধ এবং একজন লেখক হিসেবে খ্যাতি এবং শিক্ষানুরাগী হিসেবে তার অবদান সারা দুনিয়ায় মশহুর হয়ে আছে। প্রাচীন ভারতের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৪২৭ খ্রিস্টাব্দে। গুপ্ত সম্রাট কুমার গুপ্ত কর্তৃক তা হর্ষবর্ধনের জমানায় এসে এতটাই বিখ্যাত হয়ে ওঠে যে, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারণে সারা দুনিয়ার জ্ঞানী-গুণীরা ভারতবর্ষে আসতে আরম্ভ করেন। বিভিন্ন দেশের ২০ হাজার শিক্ষার্থী এবং তাদের শিক্ষাদানের জন্য নিযুক্ত ১০ হাজার অধ্যাপকের যাবতীয় ব্যয়ভার হর্ষবর্ধনের রাজকোষ থেকে ব্যয় করা হতো।
হর্ষবর্ধনের দরবারে উপস্থিত থাকতেন তৎকালীন দুনিয়ার নামকরা জ্ঞানী-গুণী কবি-সাহিত্যিক-সংগীতজ্ঞ যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মহাকবি বাণভট্ট। সম্রাট হর্ষ তেলবাজি পছন্দ করতেন না- অধিকন্তু তাকে যেন কেউ তেল মারতে না পারেন সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতেন। কিন্তু তারপরও মাঝেমধ্যে তিনি তেলবাজদের কারণে মারাত্মক বিপদে পড়তেন। স্বাধীন ভারতে প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু তার গ্লিম্পসেস অব ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি নামক বইতে সম্রাট হর্ষবর্ধনের রাজদরবারের তেলবাজি অথবা তেল বাণিজ্যের দৃশ্যগুলো যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তা আমার পক্ষে বর্ণনা অসম্ভব। তবু সাধ্যমতো পাঠকদের কাছে হর্ষবর্ধনের রাজদরবারের তেলবাজি সম্পর্কে কিছু বলার চেষ্টা করছি।
সম্রাট হর্ষ সাধারণ তেলবাজদের সামাল দিতে পারতেন। কিন্তু মেধাবী রাজ আমাত্যরা যখন তোষামোদী করতেন তখন সম্রাটের পক্ষে তা অনুধাবন করা অসম্ভব হয়ে পড়ত। মেধাবীরা এত নিখুঁতভাবে তেলবাজি করতেন যা সর্বনাশের পরও সম্রাট বুঝতে পারতেন না। এসব মেধাবী তেলবাজের মধ্যে সবচেয়ে চতুর এবং দক্ষ তেলবাজ ছিলেন সম্রাটের সভাকবি বাণভট্ট। বাণভট্ট সব্যসাচী প্রকৃতির সাহিত্যিক ছিলেন এবং ব্যক্তিগত জীবনে সম্রাট হর্ষের ক্ষমতা ব্যবহার করে করেননি এহেন কুকর্ম নেই। আর্থিক দুর্নীতি, অনাচার-অবিচার-জুলুম এবং বিকৃত চরিত্র ও মনমানসিকতার জন্য তিনি সর্বজন ত্যাজ্য একজন ঘৃণিত ব্যক্তি ছিলেন। কিন্তু সম্রাটের সামনে গিয়ে তিনি তার কথার জাদু, বুদ্ধির পরাকাষ্ঠা, পরিশ্রম ও ন্যায়নিষ্ঠ নীতিকথার ফুলঝুরি এমনভাবে পেশ করতেন যার কারণে বাণভট্ট ছাড়া রাজদরবার সম্রাটের কাছে বিষাদময় মনে হতো। সম্রাট তাকে অন্ধের মতো ভালোবাসতেন এবং কোনোরকম বাছবিচার ছাড়াই বিশ্বাস করতেন। কিন্তু এরই মধ্যে ঘটে গেল এক অভূতপূর্ব ঘটনা।
হর্ষবর্ধনের জমানায় কবি ও কবিতার কদর ছিল খুব বেশি। কোনো মানুষের মধ্যে কবিত্ব থাকলে লোকজন তাকে অলৌকিক সাধু পুরুষ হিসেবে গণ্য করত। হর্ষবর্ধন নীরবে কাব্যচর্চা করতেন বটে কিন্তু তিনি নিজের কাব্য প্রতিভা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান ছিলেন বিধায় তার লিখিত কবিতা তিনি সযতনে গোপন রাখতেন। সম্রাটের কবি হওয়ার খায়েশ দরবারের কেউ টের না পেলেও মহাকবি বাণভট্ট ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি সম্রাটকে খুশি করার জন্য অদ্ভুত এক কান্ড করে বসলেন। তার লেখা উন্নতমানের কয়েকটি কবিতা বিভিন্ন শিলাখন্ডে লিপিবদ্ধ করে তা সম্রাটের লিখিত বলে প্রচার শুরু করলেন এবং সাম্রাজ্যের বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে সেসব শিলাখন্ড স্থাপন করে দিলেন।
সম্রাট হর্ষবর্ধন বাণভট্টের উপরোক্ত কর্মকান্ড সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। ইতোমধ্যে সারা রাজ্যে সম্রাটের কাব্য প্রতিভা নিয়ে হইচই পড়ে গেল। সাম্রাজ্যের বিখ্যাত সব কবি সম্রাটের সাক্ষাৎপ্রার্থী হয়ে রাজধানী কনৌজের রাজপ্র্রাসাদে ভিড় করলেন। তাদের কাছে সম্রাট তার লিখিত কবিতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা শুনে রীতিমতো ভীমরতি খেলেন। পরিস্থিতি কোনো মতে সামাল দিয়ে তিনি পুরো ঘটনা কে ঘটাল কীভাবে ঘটল তা তদন্ত করে জানতে পারলেন যে সভাকবি বাণভট্ট এই কুকর্মটি করেছেন। তিনি প্রকাশ্য দরবারে বাণভট্টকে ভর্ৎসনা করলেন-দরবার থেকে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করলেন এবং বাণভট্ট যখন অবনত মস্তিষ্কে দরবার থেকে বের হয়ে গেলেন তখন উপস্থিত সভাসদদের উদ্দেশে তিনি যে কথাটি উচ্চারণ করলেন তা আজও বিশ্ব ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে আছে। সম্রাট হর্ষবর্ধন বললেন- ‘রাজার সবচেয়ে বড় বিপদ হলো তেলবাজ সভাসদ। কিন্তু বাস্তবতা হলো তেলবাজ ছাড়া রাজদরবার অচল এবং রাজাও বিকল।’
আজকের নিবন্ধের শিরোনাম লিখতে গিয়ে সম্রাট হর্ষবর্ধনের কথা মনে এলো মূলত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করুণ পরিণতি এবং বর্তমান দুরবস্থার প্রেক্ষাপটে। তিনি যেভাবে তেলবাজ আমলা কামলা মন্ত্রী এমপিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দ্বারা বিভ্রান্ত হয়েছিলেন তা হাজার বছরের বাংলার ইতিহাসে দ্বিতীয়বার ঘটেনি। তেলবাজদের কবলে পড়ে তিনি বিবেক বুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছিলেন। ভালো-মন্দের ভেদাভেদ করার শক্তি বিনষ্ট করেছিলেন। নিজের অন্তর্নিহিত ভালো গুণাবলির কবর রচনা করেছিলেন এবং সেই কবরে জুলুম অত্যাচার অবিচার অহংকার এবং অবাধ্যতার বিষবৃক্ষ রোপণ করেছিলেন। ফলে নিয়তি যখন তাকে ডাক দিল তখন একটি উহ শব্দ করার সময় পর্যন্ত তিনি পেলেন না। হর্ষবর্ধন কিংবা শেখ হাসিনার রাজদরবারের তেলবাজির খবর বাদ দিয়ে আজ আপনাদের আরও দুটি ঐতিহাসিক রাজদরবারের কাহিনি শোনাব। প্রথমটি আব্বাসীয় খলিফা আল মনসুরের রাজদরবারের আর দ্বিতীয়টি হলো সম্রাট আকবর এবং তার অন্যতম মন্ত্রী বীরবলের কাহিনি।
আব্বাসীয় খলিফা আল মনসুর তার কঠোরতা, ন্যায়পরায়ণতা, সুশাসন এবং ব্যক্তিজীবনে ধর্মপরায়ণতার কারণে ইতিহাসের অন্যতম কিংবদন্তি শাসকরূপে অমর হয়ে আছেন। রাজদরবারের কাজের চাপ- রাজ আমাত্য অর্থাৎ আমির-ওমরাহ এবং উজির-নাজিরদের তেলবাজি-সব কথায় জি হুজুর এবং অতিমাত্রার ইতিবাচক ফুলানো ফাঁপানো তথ্যে তিনি প্রায়ই হাঁপিয়ে উঠতেন। নিজের মনমানসিকতা চিন্তাচেতনা ও বোধবুদ্ধি ঠিক রাখার জন্য তিনি একাকী ছদ্মবেশে বের হতেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলতেন এবং রাস্তার ভবঘুরে পাগলের সাক্ষাৎ পেলে প্রাণখুলে পাগলের সঙ্গে আড্ডা জমাতেন। মাঝেমধ্যে রাজদরবারে উন্মুক্ত বিতর্কের আয়োজন করতেন এবং খুঁজে খুঁজে নির্লোভ-সাহসী ও জ্ঞানী লোকদের প্রাসাদে নিমন্ত্রণ জানিয়ে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করতেন। এসব কর্ম করতে গিয়ে তিনি এমন সব ঘটনার জন্ম দিতেন যা আজও ইতিহাস হয়ে রয়েছে।
সর্বকালের সেরা মরমি সাধক ইমাম গাজ্জালি তার ভুবন বিখ্যাত সৃষ্টি এহইয়াহ উলুমুদ্দিন বইতে খলিফা আল মনসুরের একটি কাহিনি বর্ণনা করেছেন। ঘটনার দিন খলিফা বললেন, মিথ্যা কথা শুনতে শুনতে ক্লান্ত এবং বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছি। এমন কাউকে নিয়ে আসো যে কি না আমার সামনে এসে অকপটে সত্য কথা বলতে পারবে। খলিফার লোকজন বাগদাদের রাস্তায় তন্নতন্ন করে সত্যবাদী খুঁজতে আরম্ভ করলেন এবং তৎকালীন জমানার মশহুর আলেম মদিনা নিবাসী ওয়াসিল ইবনে আতাকে বাগদাদে পেয়ে গেলেন এবং তাকে রাজদরবারে নিয়ে এলেন।
ওয়াসিল ইবনে আতা যখন রাজদরবারে প্রবেশ করলেন তখন খলিফা মদিনা থেকে আগত দুই দল লোকের বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করছিলেন। এক দলে ছিলেন খলিফা নিযুক্ত মদিনার গভর্নর এবং তার সমর্থকবৃন্দ এবং অন্য দলে ছিলেন গভর্নরের বিরুদ্ধ পক্ষের একটি শক্তিশালী গোত্রের লোকজন। তারা উভয়ে উভয়কে দোষারোপ করছিলেন তাই খলিফা বুঝতে পারছিলেন না কোন পক্ষের বক্তব্য সত্য। বিবদমান লোকজন ওয়াসিল ইবনে আতাকে দেখে বললেন- উনি সৎ এবং সত্যবাদী। সুতরাং তাকে জিজ্ঞাসা করুন। তিনি মদিনার সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি এবং আমাদের উভয় দলকে তিনি খুব ভালো করে জানেন। খলিফা আল মনসুর প্রথমে তার গভর্নরের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী গোত্রের লোকজন সম্পর্কে জানতে চাইলেন।
ওয়াসিল ইবনে আতা বললেন, এরা কলহপ্রিয় গোত্র। সর্বদা মিথ্যা বলে এবং সবার পেছনে লেগে থাকে। যুদ্ধবিগ্রহ ও দ্বন্দ্ব ফ্যাসাদ বাধিয়ে এরা ফায়দা লুটে এবং গভর্নরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার জন্য তারা বাগদাদ পর্যন্ত এসেছে কোনো কুমতলব নিয়ে এবং ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে। খলিফা খুব খুশি হলেন এবং আগত মদিনাবাসীকে বললেন শুনলে তো। লোকগুলো মাথা নিচু করে বলল উনি সত্য বলেছেন। এবার আপনার গভর্নর সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করুন। খলিফার নির্দেশ পেয়ে ওয়াসিল ইবনে আতা বললেন, আপনার গভর্নর দুষ্টের শিরোমণি। মন্দ লোকের দরবারের সরদার। সে এবং তার সাঙ্গোপাঙ্গরা মদিনাবাসীর জীবন জাহান্নামে পরিণত করে দিয়েছে। খলিফা রাগান্বিত হয়ে গভর্নরকে বললেন-শুনলে তো। এখন কী বলবে। গভর্নর মাথা নিচু করে বললেন- উনার কাছে আপনার সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞাসা করুন।
খলিফা মনসুর আয়েশি ভঙ্গিতে ওয়াসিল ইবনে আতাকে বললেন, আপনি তো দেখছি সত্যিকার অর্থেই সর্বজনস্বীকৃত একজন সত্যবাদী মানুষ। এবার আমার সম্পর্কে কিছু বলুন তো। জবাবে ওয়াসিল ইবনে আতা বললেন, আপনি হলেন সবচেয়ে বড় শয়তান। আপনার কারণেই রাজ্যজুড়ে অশান্তি। আপনার নিয়োগকৃত লোকজন আপনার দোহাই দিয়ে জনগণের সর্বনাশ করে এবং জনগণের রক্তঝরা উপার্জিত অর্থ জোর করে আদায় করে একাংশ মেরে দেয় বাকি অংশ আপনার কাছে পাঠায়। আপনি সেই অর্থ দিয়ে মৌজমাস্তি করেন এবং জনগণকে মারার জন্য তির ধনুক তলোয়ার এবং চাবুক ক্রয় করেন...। ওয়াসিল ইবনে আতার কথা শেষ হলো না। খলিফা চিৎকার করে উঠলেন। বললেন-ওকে থামাও। ওর সত্য কথা আমি আর শুনতে পারছি না। ওকে আমার সামনে থেকে নিয়ে যাও। না হলে আমি জ্ঞান হারাব।
আমরা আজকের আলোচনার শেষ পর্যায়ে এসেছি। এবার সম্রাট আকবর ও বীরবলের একটি কাহিনি বলে নিবন্ধের ইতি টানব। বীরবলকে নিয়ে সম্রাট একটি গ্রাম্য বাজারে গিয়ে বেগুন দেখে অতিশয় আহলাদি হয়ে বললেন-বীরবল এগুলো কী। বীরবল বললেন-এগুলো হলো বা-গুন। এই তরকারির গুণের শেষ নেই। এগুলো খেলে বলবীর্য বাড়ে। চেহারা সুন্দর হয়, দীর্ঘজীবী হওয়া যায়...। সম্রাট নির্দেশ দিলেন আজ রাতের সব তরকারি যেন বেগুন দিয়ে রান্না করা হয়। রাতে সম্রাট পেট পুরে বেগুনের বাহারি-তরকারি খেলেন। তার শরীরে অ্যালার্জি দেখা দিল। তিনি সারা রাত ঘুমাতে পারলেন না। সকালে বীরবলকে ডেকে ভর্ৎসনা করে বললেন, কীসের বা-গুন খাওয়ালে। বীরবল বললেন, হুজুর বা-গুনের আরেক নাম বে-গুন। ওটার কোনো গুণ নেই। বেগুন খেলে অ্যালার্জি হয় বদহজম এবং অনিদ্রা দেখা দেয়। সম্রাট বিরক্ত হয়ে বললেন, তুমি তো দেখছি ভারি আশ্চর্য মানুষ। কাল বললে বা-গুন। আজ বলছ বেগুন। এক মুখে দুই কথা! বীরবল বললেন, হুজুর আমি বেগুন-বাগুনের চাকরি করি না। আমি আপনার চাকরি করি। গতকাল প্রশংসা শুনতে চেয়েছেন তাই বাগুনের গুণাগুণ রচনা করেছি। আর আজ দোষ জানতে চেয়েছেন তাই বদনাম করছি।
লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক