বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক বসাল যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কে পণ্য রপ্তানিতে বড় ধাক্কার শঙ্কা অধিকাংশ দেশের। সূচক পতন হয়েছে প্রায় সব পুঁজিবাজারে। জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। বিশ্ব অর্থনীতি অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ব বাণিজ্যের গতিপ্রকৃতি বদলের শঙ্কা। বিশ্বনেতারা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দৃঢ়স্বরে বলেছেন, ট্রাম্পের হঠকারী শুল্কারোপ অন্যায্য। নতুন করে এ শুল্ক আরোপকে ‘বাণিজ্যযুদ্ধ’ আখ্যা দিয়েছে অনেক দেশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার পাল্টা শুল্ক ঘোষণার দিনকে ‘মুক্তির দিন’ অভিহিত করলেও অর্থনীতির ঝানু বোদ্ধাদের বিশ্লেষণে বিশ্ব অর্থনীতিকে বিপন্ন করবে এই ভুল সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশি পণ্যের ওপর নতুন করে ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন। এতদিন গড়ে ১৫ শতাংশ ছিল। বর্ধিত শুল্কের ভার বইতে সবচেয়ে বড় বাজারটিতে বাংলাদেশি পণ্য, বিশেষত তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শক্ত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে বলে শঙ্কা সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারকদের। বাণিজ্য উপদেষ্টার মতে, ট্রাম্পের ঘোষণা বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের ‘সুনামি’। শত বছরেও এমন ঘটেনি। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাঠামোর আওতায় স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ওপর এ ধরনের শুল্কারোপের কথাও নয়। তা-ই এটা আমাদের জন্য বিনামেঘে বজ্রপাতের মতো অনাকাক্সিক্ষত আঘাত। এ ক্ষেত্রে সিপিডির বিশ্লেষণ হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র হিসাব করে বের করেছে, বাংলাদেশ সেদেশ থেকে যেসব পণ্য আমদানি করে, সেগুলোতে গড়ে প্রায় ৭৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ রয়েছে। সেই হিসেবে হয়তো বাংলাদেশের পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এখানে একটা শুভংকরের ফাঁক রয়েছে। টিকফার মতো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আমাদের পক্ষ থেকে বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। তাতে সুরাহার সম্ভাবনা আছে। পাল্টা শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করতে আমরা বিশেষ উদ্যোগ নিতে পারি। লোহা, তুলা, গম, সয়াবিন, গুঁড়া দুধ- এমন অনেক পণ্য রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে যেগুলো অধিক উৎপন্ন হয়। এসব তো আমাদের লাগেই। যদি ওই সব রাজ্য থেকে আমদানি করি- বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে তা ভূমিকা রাখবে। তখন আমরা মার্কিন প্রশাসনের কাছে যৌক্তিকভাবে বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক হ্রাসের দাবি তুলতে পারি। এমন বাণিজ্য-কূটনীতি জোরদার করা এখন জরুরি। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশনের দ্রুতই সক্রিয় কর্মপন্থা গ্রহণ করা উচিত। না হলে দেশের তৈরি পোশাক খাত মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। শক্ত আঘাত লাগতে পারে জাতীয় শ্রমক্ষেত্র ও অর্থনীতিতে। যা না কাক্সিক্ষত, না কল্যাণকর। ফলে সমন্বয় ও সমঝোতার আলোচনা শুরু হোক অবিলম্বে।
শিরোনাম
- পার্বতীপুরে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
- সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
- বিতর্কিত তিন জাতীয় নির্বাচনে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশ
- নাসিরনগরে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
- ডাকসু নির্বাচনের ১০ রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ
- বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- ঢাবি ভর্তিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃক সহায়তা পেল দুই শিক্ষার্থী
- ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত পুতিন-এরদোয়ান
- ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
- রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবেশবান্ধব শিক্ষাঙ্গন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
- শপথের সুযোগ নেই, পরিপক্ব আচরণ প্রত্যাশা করি : আসিফ মাহমুদ
- ‘গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় ফ্যাসিস্টের দোসরদের বয়কট করতে হবে’
- ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করলো পাকিস্তান
- পোশাক শিল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ : বিজিএমইএ সভাপতি
- জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার
- বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির সমন্বয় কমিটি ঘোষণা
- ইসরায়েল থেকে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যাচ্ছে পোল্যান্ড
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সে খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন শুরু
- জামালপুরে কৃষক হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি
- প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা
রপ্তানি খাতে ধাক্কা
বাণিজ্য-কূটনীতি জোরদার করুন
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

‘খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায়’ ট্রাম্পের ভেটো, যা বললেন নেতানিয়াহু
১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনা অব্যাহত রাখতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাতে হবে: ইরান
১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম