বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

‘আমি নিশ্চিত অন্য কোনো জগতে বসে হুমায়ূন তৃপ্তির হাসি হাসছেন’

আজ জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনের জন্মদিন। জন্মদিন ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে—

সাইফ ইমন

‘আমি নিশ্চিত অন্য কোনো জগতে বসে হুমায়ূন তৃপ্তির হাসি হাসছেন’

আজ জন্মদিনটা কীভাবে কাটাচ্ছেন?

  অন্যান্য দিনের মতই। বিশেষ কিছু নয়। তবে এই দিন আমি নিজেকে ছুটি দিয়েছি বাবার অফিস থেকে। বাসাতেই থাকব।

নুহাশ পল্লীতে যাবেন কি না?

যদিও আমি নিজেকে ছুটি দিয়েছি। কিন্তু বাচ্চাদের স্কুলতো রয়েছেই। তাই এদিন নুহাশ পল্লীতে যাওয়া হচ্ছে না।

 

নতুন কি কাজের প্রস্তুতি চলছে?

এখন পরবর্তী চলচ্চিত্র নিয়েই ব্যস্ত আছি। প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে। তাই এখনই এ নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না।

 

হুমায়ূন স্যারের স্কুল শহীদস্মৃতি বিদ্যাপীঠের এমপিওভুক্তকরণ প্রসঙ্গে ...

বর্তমান শিক্ষানীতি অনুযায়ী গত বেশ কয়েক বছর ধরে কোনো স্কুলই এমপিওভুক্ত হচ্ছে না। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি স্কুলের প্রধান দায়িত্ব ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা নিশ্চিত করা এবং ভালো রেজাল্ট করা। এই দিক দিয়ে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা খুবই ভালো করছে। তাদের পড়াশোনা ভালো হচ্ছে। যেহেতু এটি হুমায়ূনের স্কুল তাই স্বাভাবিকভাবেই এই স্কুলের মূলমন্ত্র ছাত্রদের সুশিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি তাদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

আমাদের স্কুল এমপিওভুক্ত হলে শিক্ষকরা আরও সুযোগ-সুবিধা পেত। স্কুলের অবকাঠামো আরও উন্নয়ন করা যেত।

কিন্তু আমাদের স্কুলের জন্য খুবই দুঃসংবাদ হলো সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। উনি স্কুল প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে স্কুলের সঙ্গে ছিলেন। উনি নিজে স্কুলের শিক্ষকদের নিয়োগ দিয়েছিলেন। যখনই তাকে প্রয়োজন হয়েছে তখনই আমরা তাকে পাশে পেয়েছি। তার চলে যাওয়া স্কুলের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

 

তিনটি গ্রাম থেকে ছেলেমেয়েরা সাইকেলে চড়ে এই স্কুলে এসে শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে...

ঠিক তাই। এটা খুবই আনন্দের বিষয়। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যাই বেশি। এরা দূর-দূরান্ত থেকে সাইকেলে চড়ে স্কুলে আসছে। অথচ ’৯৬ সালে যখন হুমায়ূন স্কুলটি স্থাপন করেন তখন তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমায়ূন স্কুলের প্রয়োজনীয়তা সবাইকে বোঝাতেন। ২২ বছর আগে হুমায়ূন যে বীজ বপন করেছিলেন তার সুফল এখন সবই পাচ্ছে। এখনো অনেক অঞ্চলে মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আপনি সেখানে গেলে দেখবেন হুমায়ূনের আলো সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া তো দূরের কথা উল্টো সাইকেলে চড়ে মেয়েরা স্কুলে আসছে দূর-দূরান্ত থেকে। আমি নিশ্চিত আমরা যেমন স্কুলের সাফল্যে আনন্দিত ঠিক তেমনি অন্যকোনো জগতে বসে হুমায়ূন তৃপ্তির হাসি হাসছেন।

 

গত বইমেলায় আপনার লেখা বই পেয়েছিলাম ‘নদীর নামটি ময়ূরাক্ষী’। সামনে আপনার কোনো লেখা পাচ্ছি?

আসলে লেখক হতে হলে ঈশ্বরপ্রদত্ত একটা জিনিস থাকতে হয়। এটা আমার মধ্যে নেই। তবে আমি লিখব। শুধু হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে লিখব। আমার মননজুড়ে তিনি আছেন আমি চলে গেলে আমার সঙ্গে সেসব হারিয়ে যাবে। এটা হতে দিব না। আমি হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে লিখে যাব। তাই আমাকে দিয়ে হয়তো ফিকশান লেখা হবে না। তবে কয়েকটি ছোট গল্প লিখেছিলাম একসময়।

 

সর্বশেষ খবর