শোবিজ অঙ্গনে দীর্ঘ দেড় দশকের পথচলা তার। যার নাম শুনলেই চোখে ভাসে এক রোমান্টিক চরিত্র, ভালোবাসার গভীরতা বোঝানো এক অভিনয়শিল্পী। তিনি জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। যিনি টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে একজন আলোচিত ও বহুল চাহিদাসম্পন্ন অভিনেতা। ঢাকায় জন্ম নেওয়া এ তারকার মা ফিরোজা আহমেদ ছিলেন রাজশাহী বেতারের শিল্পী। ছোটবেলা থেকেই শোবিজের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা। ফলে অপূর্ব শেষমেশ বর্ণিল ক্যারিয়ারে পা রাখেন ২০০৬ সালে, নাটক ‘বৈবাহিক’-এর মাধ্যমে। এর আগে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল অমিতাভ রেজার বিজ্ঞাপনে আর ২০০২ সালের ‘ইউ গট দ্য লুকস’ প্রতিযোগিতায় ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ খেতাব জয় করে। ২০১৫ সালে আশিকুর রহমানের পরিচালনায় ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষেক ঘটলেও মূলত তিনি ছোটপর্দাতেই নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। তিনি শিহাব শাহীনের ‘মায়াশালিক’ও করেছেন। হইচইয়ের ‘বুকের মধ্যে আগুন’, ‘গোলাম মামুন’ সিরিজের সাফল্যের পর তিনি কলকাতার পরিচালক প্রতিম ডি গুপ্তার ‘চালচিত্র’ সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন। জানা গেছে, সিক্যুয়াল ‘গোলাম মামুন ২’ এবং ‘চালচিত্র ২’-তেও পাওয়া যাবে তাকে। তবে এ কথা হলফ করে বলা যায় যে, ছোটপর্দায় অপূর্বর আত্মপ্রকাশ ছিল যেন রোমান্সের নবজাগরণ। যেখানে অপূর্ব মানেই সংবেদনশীল প্রেম, গল্পের হৃদয়ে ছুঁয়ে যাওয়া আবেগ আর পর্দায় নিখুঁত সৌন্দর্য। যখন একের পর এক অভিনেতা ওটিটি বা বড়পর্দায় চলে যাচ্ছেন, অপূর্ব নাটকের পাশাপাশি ছুটে বেড়াচ্ছেন সিনেমা এবং ওটিটিতে। তিনি শুধু অভিনয়েই নয়, সংগীতেও পারদর্শী। তার কণ্ঠে গাওয়া ‘তুমি আকাশ হয়ে যাও’ গানটি দর্শকপ্রিয়তা পায়। অপূর্ব নাটকে যে সর্বদা সফল তার প্রমাণ এখনো বর্তমান। গেল বছরের ২৪ ডিসেম্বর দীর্ঘদিনের জন্য অপূর্ব আমেরিকাতে গিয়েছিলেন। যাওয়ার আগে তিনি বেশ কিছু ভালো গল্পের নাটকে অভিনয় করে গেছেন। যার মধ্যে কিছু নাটক প্রচারিত হয়েছে রোজার ঈদে, আর কিছু কোরবানির ঈদে। এর প্রায় সব নাটকই রয়েছে আলোচনায়। চলতি বছরের কোরবানির ঈদে বসুন্ধরা টিস্যুর নিবেদনে ক্যাপিটাল ড্রামায় প্রচারিত জাকারিয়া সৌখিনের নির্মাণে ‘প্রিয় প্রজাপতি’ রয়েছে দর্শকপ্রিয়তার শীর্ষে। যেটিতে বর্তমানে ভিউ প্রায় ৯.২ মিলিয়ন (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত)। অন্যদিকে মাসরিকুল আলমের ‘ঘ্রাণ’ ৭.৭ মিলিয়ন এবং ‘মেঘ বৃষ্টি রোদ্দুর’ ৪.৫ মিলিয়ন, দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত সৈয়দ শাকিলের ‘চিঠি দিও’ ২.৪ মিলিয়ন এবং রুবেল হাসানের ‘ফিরে আসা’ ৪.২ মিলিয়ন ভিউ হয়েছে। তার প্রত্যেকটি নাটকেই গল্পের গভীরতা, সহশিল্পীর সঙ্গে রসায়ন এবং অপূর্বর চোখে চোখে অভিনয়, সব মিলিয়ে এক মোহ তৈরি করেছে দর্শকদের মাঝে। দর্শকদের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে অপূর্ব বলেন, ‘আমি দর্শকের প্রতি কৃতজ্ঞ।’