গান নিয়ে নতুন বছরে নতুন কোনো প্রস্তুতি আছে?
বেশ কয়েকটা গান প্রস্তুত রয়েছে। এখনো প্রকাশ করিনি। এখন তো গান আর শোনার বিষয় নয়; দেখার বিষয়। এখন মানুষ গান শোনার সঙ্গে সঙ্গে দেখতে চায়। তাই মিউজিক ভিডিও করে প্রকাশ করার ইচ্ছে রয়েছে। ৫টি গানের মধ্যে ৩টি গান নচিকেতার কথা ও সুরে আর বাকি ২টি গানের সুর করেছেন শ্রদ্ধেয় সুরকার আলাউদ্দিন আলী, কথা লিখেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার।
আপনারও কি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে?
হ্যাঁ...আমার নামেই। অন্য সব শিল্পীর মতো বেশি গান নেই চ্যানেলে। ৩-৪টি গান আপলোড করেছি।
আজকাল স্টেজ শোতেও কম দেখা যাচ্ছ কেন?
আমি খুবই সিলেক্টিভ। তাই স্টেজ শো কম করছি। আমি বেশির ভাগ করপোরেট বা ইনডোর শোগুলো করি। আমি সবসময় বলি, আমার গানে দেখবার কিছু নেই; শোনার অনেক কিছুই রয়েছে। এখন তো বিভিন্ন শোতে বেশির ভাগ শিল্পীকে গানের সঙ্গে নাচানাচি করতেই দেখি। এটা আমার দ্বারা হয় না।
টিভি শো নিয়ে ব্যস্ততাই মনে হয় বেশি...
সেটা বলতে পারেন। বছরের শুরুতেই দুটি টিভি লাইভ প্রোগ্রাম করেছি। একটি দেশটিভির লাইভ, অন্যটি আরটিভির আয়োজনে। সামনেও আরও কিছু টিভি অনুষ্ঠান করব।
এই সময়ে গানের অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে?
অনেক প্রতিভাবান শিল্পী রয়েছেন এখন। তবে শিল্পীদের মধ্যে শেখার আগ্রহ নেই। অনুশীলন নেই, নেই ভালো গান গাইবার আকাক্সক্ষা। এখন তো একজন শিল্পীর বাড়িতেই মিউজিক স্টুডিও। নিজেই গাইছে, সুর করছে, লিখছে আবার সেটা নিজের ইউটিউব চ্যানেলেই প্রকাশ করছে।
এই একঘেয়েমি গান গাওয়া থেকে কীভাবে বের হয়ে আসা যায়?
ভিন্ন ধরনের গান করতে হবে। ভালো মিউজিক ডিরেক্টরের কাছে যেতে হবে। গুরু ধরতে হবে। ভাইরাল গানের পেছনে না দৌড়ে ভালো গানের পেছনে দৌড়াতে হবে। আর মাঝেমধ্যে মনে হয় আমরা লিরিক সংকটে আছি।
এই সময়ের শিল্পীদের প্রসঙ্গে আপনার অভিমত?
তাদের নিয়ে আমার বলার তেমন কিছুই নেই। আমি এখনো শিখছি। তারপরও বলব ভালোবাসার সঙ্গে চেষ্টা, পরিশ্রম, ধৈর্য থাকলে অনেক কিছু করা সম্ভব। শিখতে হবে ও জানতে হবে। প্রচুর গান শুনতে হবে। এর বিকল্প নেই।