শিরোনাম
রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

সুরের ধারার মাধ্যমে দেশে সুস্থ সংস্কৃতি তৈরির কাজ করছি

 সুরের ধারার মাধ্যমে দেশে সুস্থ সংস্কৃতি তৈরির কাজ করছি

গতকাল ছিল সুরের ধারার চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব। আর আজ হাজারো কণ্ঠে বর্ষবরণ। দুটি অনুষ্ঠানই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের প্রাঙ্গণে। সুরের ধারার পথচলা ও হাজারো কণ্ঠে বর্ষবরণ নিয়ে কথা হয় জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সঙ্গে। কথা বলেছেন-আলী আফতাব

 

বছরের শেষ দিনে এ ধরনের আয়োজন কবে থেকে শুরু করেছেন?

আপনারা হয়তো জানেন ‘সুরের ধারার’ জন্ম ১৯৯২ সালের ১৪ এপ্রিল। আর অনুষ্ঠান শুরু করি ২০০০ সাল থেকে। আমরা তো সবাই পয়লা বৈশাখ উদযাপন করি। গ্রাম-বাংলায় বছরের শেষ দিনে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব হয়। কিন্তু শহুরে সমাজে বাংলা বছরকে বিদায় জানানোর তেমন আয়োজন তখন চোখে পড়ত না। আর পয়লা বৈশাখে এত অনুষ্ঠান হয়, সবাই সেসব নিয়ে ব্যস্ত থাকি। তাই শুরুতে আমরা নিজেদের জন্য এই আয়োজন করেছিলাম ছোট আকারে। ছাত্রছাত্রী, তাদের অভিভাবক আর আশপাশের সবাই ছিল এই আয়োজনের দর্শক।

 

আয়োজনটি বড় আকার হলো কবে থেকে?

কয়েক বছরের মধ্যেই আয়োজনটি বেশ জনপ্রিয় হয়। ঢাকার বাইরে থেকে প্রচুর দর্শক এতে অংশ নেয়। বিদেশিরাও আসতে শুরু করে। এক সময় দেখি, মাঠ ভরে যাচ্ছে। এখন তো এত দর্শকসমাগম হয় যে, ওই মাঠে আর জায়গা দেওয়া সম্ভব হয় না।

 

‘সুরের ধারা’র বর্তমান অবস্থা কেমন?

খুব ভালো। সুরের ধারা নিয়েই তো আছি। সুরের ধারার মাধ্যমে বাংলাদেশে মুক্তবুদ্ধি ও সুস্থ সংস্কৃতি তৈরি করতেই কাজ করছি। এ ছাড়া ভালো গানের ও সংস্কৃতিচর্চার দেশ হিসেবে তৈরি করতেই কাজ করে যাচ্ছি। নতুন নতুন শিল্পী আসছে। সব মিলিয়ে খুব ভালো চলছে।

 

‘হাজারো কণ্ঠে বর্ষবরণ’ অনুষ্ঠানটি নিয়ে কিছু বলুন।

আমাদের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘লোকজ সুরে বাংলা গান’। প্রতিবছর অনেক শিল্পীকে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। কারণ, এক হাজারের বেশি শিল্পী অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে দশম বর্ষ থেকে ১৫০০ শিল্পীর অংশগ্রহণে বর্ষবরণ উদযাপন করব।

 

এবারের অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ কী থাকবে?

আমরা প্রতিবারই চেষ্টা করি নতুন নতুন বিষয় দিয়ে অনুষ্ঠান সাজাতে। এবারের মেলায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং সস্ত্রীক উপস্থিত থাকবেন। তিনি পড়ালেখা করেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে। তিনি ভালো বাংলা বলতে পারেন এবং বোঝেন। এ ছাড়া আরও থাকছে দেশের জনপ্রিয় নবীন ও প্রবীণ শিল্পীদের পরিবেশনার পাশাপাশি চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ, ক্ষুদে গানরাজ, গানের রাজা ও বাংলার গানের শিল্পীরা। নৃত্য পরিবেশন করবেন চ্যানেল আই সেরা নাচিয়ের শিল্পীরা। বর্ষবরণ উৎসব বিকাল ২টা পর্যন্ত চ্যানেল আই সরাসরি সম্প্রচার করবে।

 

আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে কি রবীন্দ্রসংগীত গাওয়া সম্ভব?

কেন নয়? তবে অনেকেই ভুল করেন। উল্টাপাল্টা যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে; কিন্তু যারা প্রকৃত রবীন্দ্রপ্রেমী, সাধারণ শ্রোতা, তারা অবশ্যই রবীন্দ্রসংগীত সঠিকভাবে গাওয়ার চেষ্টা করবেন। অনেকে তা করছেনও।

 

রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে সামনে কী পরিকল্পনা রয়েছে আপনার?

সামনে বড় করে একটি আয়োজন করব। এটি শুধু সুরের ধারাকে নিয়ে নয়। রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে যারা আছেন, তাদের সবাইকে নিয়ে এটি করব। এ ছাড়াও বেশকিছু কাজ হাতে আছে। শিগগিরই শুরু করব।

 

সর্বশেষ খবর