এক যুগ পর নগরবাউল জেমস

শোবিজ প্রতিবেদক

প্রিন্ট ভার্সন

বাংলা ব্যান্ড সংগীতের জীবন্ত কিংবদন্তি নগরবাউল জেমস। তাঁর গান মানেই তারুণ্যের উন্মাদনা, উত্তেজনা। স্টেজে যখন তিনি আবির্ভূত হন, ভক্তদের ‘গুরু’ রবে ধ্বনিত হয় চারদিক। তিনি তাঁর নজরকাড়া গান দিয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে দেদীপ্যমান। এদিকে এই গুরুর দীর্ঘ এক যুগে কোনো নতুন গান নেই। সেই পুরনো সব জনপ্রিয় গান দিয়ে তিনি এখনো স্টেজ মাত করে চলেছেন। এবার সেই পুরনো গানের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নতুন পালক। এই চাঁনরাতে নতুন গান নিয়ে হাজির হচ্ছেন সবার নগরবাউল। যেটি দেশের সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফরম বসুন্ধরা ডিজিটাল ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হবে। নিবেদনে বসুন্ধরা গুঁড়া মসলা। বৃহস্পতিবার বিকালে বসুন্ধরা ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের কর্মকর্তা ও নগর বাউল জেমস। জানা যায়, চাঁদরাতে প্রকাশিত গানটির নাম এখনো ঠিক হয়নি। ওই দিনই জানা যাবে। এর মধ্যে এককভাবে জেমসের অনেকগুলো গান এই প্ল্যাটফরমে প্রকাশ হবে। যেগুলো পরবর্তীতে অ্যালবাম আকারে প্রকাশ হবে। এ গানটি চিত্রায়ণ শেষ হয়েছে। এখানে জেমসকে মডেল কণ্ঠশিল্পী হিসেবে দেখা যাবে। এর আগে ভক্তদের উদ্দেশে জেমস বলেছিলেন, ‘এ বছর একটি নতুন গান করব। সেটি বছরের শেষের দিকে হলেও। আমি গানের মানুষ। গানের চর্চা আমার জীবনের প্রথম অনুষঙ্গ। খাওয়া-দাওয়া, ঘুমের মতো গানের চর্চা সমান গুরুত্বপূর্ণ। কালজয়ী হওয়া সহজ কথা নয়। কী পেয়েছি, আর হয়েছি এসব কখনো ভাবী না। আমি শুধু ভাবী, আমি আর কী পাব। মানুষের ভালোবাসা পেতে গানই তো আমার একমাত্র অনুষঙ্গ। তাই নিত্যনতুন কী করা যায় সেটি নিয়েই ভাবতে থাকি। নতুন গান করা হচ্ছে না অনেক দিন। কিন্তু যখন করব তখন নতুনত্বের ছোঁয়া নিয়েই হাজির হব।’ নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যেহেতু গানের মানুষ। বিশ্ব সংগীতের খবর যেমন রাখি, দেশে কী ধরনের গান হচ্ছে তাও জানার চেষ্টা করি। কেউ কেউ বেশ ভালোও করছেন। আমি চাই তারা আরও চর্চার মাধ্যমে নিজের দেশের মিউজিককে আরও উন্নত পরিসরে নিয়ে যাবে। নতুন প্রজন্মের প্রত্যেক শিল্পী, মিউজিশিয়ানের প্রতি শুভকামনা।’