বুধবার, ২৫ মে, ২০২২ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার : বিজরী

বাবার হাত ধরে অভিনয়ে আসিনি

বাবার হাত ধরে অভিনয়ে আসিনি

দেশের সুপরিচিত অভিনেত্রী বিজরী বরকতুল্লাহ। শিল্প-সংস্কৃতিমনা পরিবারে জন্মগ্রহণ করা এই তারকা অভিনেত্রী নৃত্যশিল্পী ও উপস্থাপিকা হিসেবেও বেশ জনপ্রিয়।  তাঁর সঙ্গে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

আপনার মায়ের অবস্থা এখন কেমন?

আম্মা আগের চেয়ে ভালো আছেন। ভালোভাবে রাখতে হচ্ছে তাঁকে। মাঝখানে ভীষণ খারাপ অবস্থায় ছিলেন। অনেক জটিলতা ছিল।

 

বাবার অনুপ্রেরণায়ই তো অভিনয়ে আসা...

বাবার প্রোডাকশনে কাজ করেছি। কিন্তু তিনি আমাকে হাত ধরে অভিনয়ে আনেননি। বাবা নাট্যব্যক্তিত্ব হওয়ার সুবাদেই যে নাটকে খুব সহজভাবে সুযোগ পেয়ে গেছি তা নয়; রীতিমতো অডিশন দিয়ে, সাক্ষাৎকার দিয়েই অভিনয়ে আসা। নৃত্যের প্রতিই আমার আগ্রহ বেশি ছিল। বাবা বলেছেন কিছু একটা কর। তখন নাচ শিখি। মায়ের কাছেই নাচের হাতেখড়ি। আসলে বাবা-মা চেয়েছেন আমি পড়ালেখাটাই ঠিকমতো করি।

 

হুমায়ূন আহমেদের নাটকে অভিনয়ের সুযোগ কীভাবে হলো?

তখন এসএসসি পরীক্ষা মাত্র দিয়েছি। সময় হাতে ছিল। বিটিভিতে অডিশন দিয়ে পাস করে এনলিসটেড হলাম। ’৯৩-এর দিকে হুমায়ূন আহমেদ তাঁর প্রথম  প্রোডাকশন ‘কোথাও কেউ নেই’ নির্মাণ করছেন। তখন হুমায়ূন আংকেলের সঙ্গে দেখা করে বলি, আমি তাঁর ভক্ত। তাঁর লেখা অনেক উপন্যাস পড়েছি। এরপর ‘কোথাও কেউ নেই’তে কাজ করার আগ্রহের কথা বললে তিনি আমাকে কাস্ট করেন। তাঁর সঙ্গে ছিল আমাদের পারিবারিক বন্ধুত্ব। এরপর আরও বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে কাজ করেছি। সেলিম আল দীনের শেষ কাজ ‘ছায়া শিকারী’তে অভিনয় করেছি। ‘পাথর সময়’ করেছি। এক ঘণ্টার নাটক ‘তারায় তারায় খচিত’তেও অভিনয় করেছি।

 

অভিনয়ে আসার আগে কিছু বিজ্ঞাপন করেছেন...

প্রথম থেকেই বিজ্ঞাপনে কাজ করেছি। অনেক বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে ছিলাম। প্রথম বিজ্ঞাপন ছিল ‘সনি টিভি’। যখন ক্লাস নাইনে পড়তাম, তখন ‘নন্দিনী প্রিন্ট শাড়ি’ বিজ্ঞাপনটি করেছি।

 

‘নাটকে জুটি’ নিয়ে মন্তব্য কি?

নাটকে জুটি বলতে তেমন কিছু নেই। প্রতিটি চরিত্রই গুরুত্বপূর্ণ। তখনকার দিনে যেই চরিত্রটা মানানসই মনে হতো, তাকে  নেওয়া হতো। সবাই সেভাবেই কাজ করতেন। আমি প্রত্যেকের সঙ্গেই কাজ করেছি। গুণী অভিনেতাদের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখেছি।

 

এই সময়ের নাটক ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আপনার অভিমত?

টিভি তেমন দেখছে না। ইউটিউব-ওটিটির জন্য যা বানাচ্ছে, তাই দেখছে। পারিবারিক গল্প নিয়ে নাটক কম হচ্ছে। মা আর প্রেমিকা ছাড়া নারীকেন্দ্রিক নাটক তেমন হচ্ছে না। ভিউ কাউন্ট করে জনপ্রিয়তা নির্ধারিত হচ্ছে। ভিউ মানে অনেক মানের তা কিন্তু নয়; ভালো গল্পের কম ভিউ নাটকও কিন্তু জনপ্রিয়।

সর্বশেষ খবর