শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার :- জয়া আহসান

ওটিটি হলে বাংলাদেশি ডিরেক্টরদের সঙ্গেই কাজ করতে চাই

ওটিটি হলে বাংলাদেশি ডিরেক্টরদের সঙ্গেই কাজ করতে চাই

দুই বাংলার আলোচিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। বিভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ভেঙে-গড়ে প্রমাণ করেছেন তিনি। ঢাকা-কলকাতার পর জয়া বলিউডের ছবিতেও কাজ করছেন। এদিকে ১৪তম বেঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এশিয়ান কম্পিটিশনে তার ‘নকশীকাঁথার জমিন’ সিনেমাটি তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।  সব মিলিয়ে তার সঙ্গে সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

সম্প্রতি মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘পেয়ারার সুবাস’ নির্বাচিত হয়েছে। কেমন লাগছে?

নূরুল আলম আতিকের সিনেমা ‘পেয়ারার সুবাস’। ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে উৎসব, শেষ হবে ২৭ এপ্রিল। আর ২৬ এপ্রিল উৎসবে ‘পেয়ারার সুবাস’র আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে। আমার মনে হয়, এ ধরনের পটভূমিতে আগে হয়তো বাংলা ছবি হয়নি। আমার চরিত্রসহ এই সিনেমার প্রতিটা চরিত্র খুবই শক্তিশালী। পুরো সিনেমায় একটা অন্যরকম ভাষা আছে। সিনেমাটার কাজ আমরা বেশ আগেই শেষ করেছি। সিনেমাটা প্রতিযোগিতা বিভাগে আছে; সেটা একটা খুব আনন্দের ব্যাপার।

 

এর আগে ১৪তম বেঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এশিয়ান কম্পিটিশনে ‘নকশীকাঁথার জমিন’ তৃতীয় স্থান অধিকার করে...

এ আনন্দ যেমন আমাদের সবার, তেমনি আমাদের দেশেরও! ১৪তম বেঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এশিয়ান কম্পিটিশনে, বিখ্যাত সব সিনেমার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ছিল, জীবনঘনিষ্ঠ নির্মাতা আকরাম খানের নির্দেশনায় নির্মিত অনুদানের সিনেমা ‘নকশীকাঁথার জমিন’। এর আগে ছবিটি ‘ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়া’য় ‘ইউনেস্কো গান্ধী মেডেল অ্যাওয়ার্ড’র জন্য মনোনীত হয়েছিল।

 

বলিউড শুটিং কি শেষ?

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী বা যাকে আমরা টনিদা বলে ডাকি তার নেতৃত্বে এমন অসাধারণ টিমে কাজ করতে পেরেছি। আর আমি এটাকে বলিউড ফিল্ম না বলে ইনডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম বলতে চাই। ভিন্ন ধরনের একটি ছবি। অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর বোধহয় এটি দ্বিতীয় কলকাতা-মুম্বাই মিলে প্রজেক্ট। ছবিটা সিংকসাউন্ডে হয়েছে বলে ডাবিংও নেই আসলে। একেবারেই সিংকসাউন্ডে করা হচ্ছে। বাকিটা ঠিক এখনই বলতে পারছি না। নিশ্চয়ই এডিটিং টেবিলে আছে।

 

ওপারের কোন ছবি মুক্তির অপেক্ষায়?

অনেকগুলো ছবি। ভূতপরী রয়েছে, অর্ধাঙ্গিনী রয়েছে, ওসিডি, কালান্তর-চার-পাঁচটা ছবির মতো তো রয়েছে।

 

ওখানে নতুন কোন প্রজেক্ট শুরু করবেন?

কলকাতায় আছে। হ্যাঁ অনেকগুলো আছে।

 

আপনার প্রযোজনা হাউস ‘সি তে সিনেমা’ থেকে রইদ নির্মিত হওয়ার কথা ছিল। সেটির শুটিং শুরু হতে দেরি হচ্ছে কেন?

মেজবাউর রহমার সুমন খুবই ভাবনা-চিন্তা করে কাজ করেন। তবে প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে, লেখালেখি চলছে। হয়তো শুটিং প্রসেসটা একটু দেরি হচ্ছে। আসলে উনি প্রথম সিনেমা হাওয়া নিয়ে খুবই ব্যস্ত ছিলেন। তাই হয়তো একটু সময় নিয়ে, সবকিছু ওয়ার্কআউট করে তারপর ছবির শুটিংয়ে যাবেন। আর আমার প্রযোজনা, হ্যাঁ। যেহেতু সরকারি অনুদানটি আমারই পাওয়া। তবে সঙ্গে কিন্তু আমার ডিরেক্টরের প্রতিষ্ঠান ফেসকার্ড রয়েছে।

 

জয়ার কাছে ভালোবাসার সংজ্ঞাটা কেমন?

ভালোবাসা-ঘুরে ঘুরে এই পৃথিবী কি কথা কয়, সে বলে যায় প্রেমের মতো আর কিছু নয়। সবকিছুতেই ভালোবাসা। সব ভালোবাসাই খুব গুরুত্ব বহন করে।

 

জয়ার পথ ধরে ওপারে মোশাররফ, চঞ্চল, বাঁধন, ফারিণ, মিথিলারা...

অনেক ভালো ছবি বাংলাদেশে কিন্তু আগেও হতো। তবে সেগুলো পশ্চিম বাংলার দর্শক পর্যন্ত আমরা পৌঁছাতে পারিনি। এখন ওটিটি প্ল্যাটফরম আসার কারণে বাংলাদেশি কনটেন্ট সেখানকার দর্শকরা দেখতে পারছেন খুবই সহজে। দেখুন এই প্রত্যেকে যদি জায়গা পায় তাহলে এটা কোনো ব্যাপারই না আমাদের বাংলাদেশি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্য ওই দেশে ভালো করার। প্রত্যেকেই অসাধারণ! বাংলাদেশের আরও অনেকেই এখন ভালো অভিনয় করছে। তবে আমি কখনোই বলব না আমাকে অনুসরণ করে। এটা এখন ওপেন হয়ে গেছে। আমি হয়তো প্রথমদিকে কাজ করেছি। আমি রিস্ক ফ্যাক্টরটা সর্বদা নিতে ভালোবাসি। এ জন্যই গেছি, কাজ করেছি।

 

বলিউড ফিল্ম আমদানি করা নিয়ে আলোচনা...

এটা নিয়ে আমি কিছুই বলতে চাই না।

 

ফেরেশতে, নকশীকাঁথার জমিন কবে মুক্তি পাবে?

সেটা ডিরেক্টর বা প্রযোজক ভালো জানেন।

 

দ্বিতীয়বারের মতো ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত...

আমাদের ইন্টারেস্টগুলো মিলে যাওয়াতে আবারও একসঙ্গে কাজ করছি। একজন সেলিব্রেটি হিসেবে নয়, সাধারণ মানুষ হিসেবে আমার যে যে দায়িত্ব, আমার সোসাইটির ওপর, আমার প্রাণপ্রকৃতির ওপর, অন্যান্য লিভিংয়ের ওপর-সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় বলি।

 

লেখিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন কবে?

কোনো বই বের করার, কোনো রকম ডিরেকশন দেওয়ার কোনো ইচ্ছাই আমার নেই। এটা করার ধৃষ্টতাও আমার নেই। বই লেখার মতো জ্ঞান বা সাহস কোনোটাই নেই।

 

ওটিটিতে জয়াকে দেখা যাবে কবে?

দেখা যাবে। কথাবার্তা চলছে। তবে আমি ওটিটি হলে বাংলাদেশি ডিরেক্টরদের সঙ্গেই কাজ করতে চাই। মানে পশ্চিমবঙ্গের ডিরেক্টরের সঙ্গে নয়। তবে আমি কনভেন্স হব এমন কোনো গল্প হলে কাজ করব। আমার এটা নিয়ে কোনো নাকউঁচু ভাব নেই।

সর্বশেষ খবর