বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ব্যবসার উন্নয়নে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে মুম্বাইয়ের শীর্ষ প্রযোজনা পরিবেশনা সংস্থা রিলায়েন্স বিগ এন্টারটেইনমেন্ট। সংস্থার প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শিবাশীষ সরকার ঢাকা সফরকালে এ আগ্রহের কথা জানান।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির আমন্ত্রণে ২৬ মে ঢাকা আসেন রিলায়েন্সের এই কর্মকর্তা। এখানে অবস্থানকালে তিনি তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ, মাল্টিপ্লেক্স পরিদর্শনসহ ঢাকার চলচ্চিত্র সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। ২৮ মে ঢাকা ক্লাবে চলচ্চিত্র প্রদর্শক ও প্রযোজক সমিতির কর্মকর্তা এবং সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে আলাপ করেন। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে বিনিয়োগ তার কাছে ইতিবাচক মনে হয়েছে এবং ভালো অভিজ্ঞতা নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দেশে ফিরে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন এবং মুম্বাইয়ের প্রডিউসার গিল্ডের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করবেন। তিনি বলেন, রিলায়েন্স হিন্দি ছাড়াও তামিল, তেলেগু ও মালায়াম ছবি নির্মাণে আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। এই তিন ভাষার ছবির চেয়ে দুই বাংলার ছবির দর্শক অনেক বেশি। প্রতি বাংলা ছবিতে ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা আয় সম্ভব। তাই দুই বাংলা যৌথভাবে ছবি নির্মাণ ও পরস্পরের মধ্যে ছবির আদান-প্রদান করলে উভয় বাংলার চলচ্চিত্র শিল্প ব্যবসায়িক দিক দিয়ে লাভবান হবে এবং বর্তমান মন্দা অবস্থা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে। রিলায়েন্স প্রযোজিত 'বুনোহাঁস', 'চতুষ্কোণ', 'জাতিস্মর' ও 'বচ্চন'-এর মতো জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ও ব্যবসাসফল কলকাতার বাংলা ছবিগুলো বাংলাদেশে প্রদর্শন করা যেতে পারে বলেও মত প্রকাশ করেন শিবাশীষ সরকার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির কর্মকর্তা সুদীপ্ত কুমার দাস কিছু দিন আগে মুম্বাইয়ে তাদের দফতরে গেলে এসব বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে আলাপ হয়। এ কর্মকর্তার আমন্ত্রণেই ঢাকা আসেন তিনি। রিলায়েন্স কর্মকর্তা শিবাশীষ জানান, শুধু তার সংস্থা নয়, মুম্বাইয়ের অন্য শীর্ষ প্রযোজনা ও পরিবেশনা সংস্থা ইরোস এন্টারটেইনমেন্টও বাংলাদেশের ছবিতে বিনিয়োগে আগ্রহী। রিলায়েন্সের আমন্ত্রণে চলতি মাসে বিষয়টি চূড়ান্ত করতে মুম্বাই যাবেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও প্রদর্শক সমিতির কর্মকর্তারা। ঢাকা ক্লাবের বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক সমিতির নেতা কে আর মঞ্জুর, নাসিরউদ্দীন দিলু, প্রদর্শক সমিতির কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, সুদীপ্ত কুমার দাস, মিয়া আলাউদ্দীন, সিনিয়র সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদ ও আবদুর রহমান।