তলবের নোটিশ পেয়েও শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে যাননি মডেল ও অভিনেত্রী জাকিয়া মুন। আজ মঙ্গলবার তার যাওয়ার কথা ছিল সেখানে। কিন্তু শুল্ক অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মুন সেখানে হাজির হননি। তাই তারাও এখন মুনকে খুঁজছে। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ বা তাকে গ্রেফতারও করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগে তলবের চিঠি পাওয়া না পাওয়া নিয়ে বেশ কয়েকবার 'নাটক'র আশ্রয় নেন সম্প্রতি আলোচনায় আশা এ মডেল। মূলত, পাঁচ কোটি টাকা দামের অবৈধ গাড়ি ব্যবহার করে আলোচনায় আসেন তিনি ও তার কথিত স্বামী ব্যবসায়ী শফিউল আজম মহসিন। এরপর থেকেই শুরু হয় নানা গুঞ্জন। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেগবান হতে থাকে মুখোরোচক এসব গুঞ্জন। মিডিয়া পাড়ায় মুনের লাইফস্টাইল নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এমনকি বাসাও বদল করেন তিনি। এরই মাঝে হাইকোর্টে খারিজ হয় তার রিট।
আজ কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছিল। তলব প্রসঙ্গে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, তদন্তের প্রয়োজনে জাকিয়া মুন ও শফিউল আজম মহসিনকে বক্তব্য শুনতে তলব করা হয়েছে। এদিকে মুনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যক্তিগত সহকারী বলেন, 'ম্যাডাম এখন শুটিংয়ে ব্যস্ত। আপনি পরে ফোন দিয়েন।'
অন্যদিকে, মুন ও তার স্বামী ব্যবসায়ী শফিউল আজম মহসিনের রিট আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেসুর রহমান। রিট খারিজ হওয়ার বিষয়টি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রিটে মডেল মুন ও তার স্বামীকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হয়রানি ও গ্রেফতার না করার নির্দেশ চাওয়া হয়।
জানা গেছে, মুন এবং তার কথিত স্বামী যদি শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে হাজির হন, তাহলে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাওয়া হবে—কেন এই অবৈধ গাড়ি মডেল জাকিয়া মুন ব্যবহার করেছেন; শুল্ক ফাঁকির এই গাড়ি কেন কিনেছেন তার কথিত স্বামী। এসব প্রশ্নের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য না হলে মডেল জাকিয়া মুন ও তার কথিত স্বামী প্যাসিফিক গ্রুপের কর্ণধার ব্যবসায়ী শফিউল আজম মহসিনের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে টার্কিশ হোপ স্কুল-সংলগ্ন মডেল জাকিয়া মুনের বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া পোরশা মডেলের গাড়িটির মালিক তার কথিত স্বামী শফিউল আজম মহসিন। গাড়িটি উদ্ধারের সময় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন মুন। মিথ্যা ঘোষণা ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসা উদ্ধার হওয়া এ গাড়ি প্রসঙ্গে শুল্ক গোয়েন্দা জানিয়েছে, ব্রিটিশ রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিয়ে বাংলাদেশে আনা এ গাড়িটি দীর্ঘদিন নজরদারিতে রাখা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৯ এপ্রিল, ২০১৬/ হিমেল-২০