আদালতের রায় তাঁদের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছে। তাই একে অপরের বিরুদ্ধে আর নতুন করে মুখ খুলতে চান না। সেন্সর বোর্ডের প্রধান পহলাজ নিহালনি যেমন ‘উড়তা পঞ্জাব’এর উড়ানকে স্বাগত জানালেন, তেমনই অনুরাগ কাশ্যপ জানালেন, নিহালনির ছবি তাঁর ভালই লাগত।
কয়েক সপ্তাহ ধরে ‘উড়তা পঞ্জাব’এর সার্টিফিকেট পাওয়া নিয়ে সেন্সর বোর্ড এবং অনুরাগের মধ্যে চাপা উত্তেজনা চলছিল। তাতে সামিল হয়েছিল প্রায় গোটা ভারত। মন্তব্য আর পাল্টা জবাবে ভরে যাচ্ছিল সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো। সোমবার বম্বে হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ছবিতে আপত্তিকর কিছু নেই। ৮৯’এর জায়গায় একটি মাত্র দৃশ্য কাট’এর রায় দেয় আদালত।
হাইকোর্টের এই রায়ের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মুখ খুললেন নিহালনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আদালতের রায়কে স্বাগত। প্রযোজককে অভিনন্দন। আমরা প্রযোজকদের পাশেই থাকতে চাই।’’ এতদিন ধরে নিহালনির মুখে যে সুর শোনা যাচ্ছিল, সম্পূর্ণ তার উল্টোদিকে ঘুরে গিয়েছেন তিনি!
উল্টোদিকে অনুরাগও চান না নতুন করে বিতর্ক তুলতে। ‘উড়তা পঞ্জাব’এর টিম মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে নিহালনির প্রযোজিত ছবিগুলো অনুরাগের কেমন লাগত জানতে চান করেন এক সাংবাদিক। জবাবে অনুরাগ বলেন, ‘‘কেউ কেমন ছবি তৈরি করতেন তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। কলেজে পড়ার সময় ওঁর তৈরি ‘আঁখে’, ‘শোলা অউর শবনম’ দেখেছি। বেশ ভালই লেগেছিল। আমি তো গোবিন্দের বেশ ভক্ত ছিলাম।’’
বোঝা যাচ্ছে অনুরাগ আর ব্যক্তিগত আক্রমণে যেতে চান না। যেভাবে তিনি এর আগে নিহালনিকে ‘ডিক্টেটর’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। নিহালনি পাল্টা দাবি করেছিলেন, অনুরাগ আম আদমি পার্টির থেকে টাকা নিয়ে এসব করছেন। অনুরাগ অবশ্য এদিন সেই সব প্রসঙ্গে আর ফিরে যেতে চাননি। বললেন, ‘‘আমার নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। আমি চাই, ওই পুরনো নিময়গুলো যেন এবার বদলানো হয়।’’
কবে নিয়ম বদলাবে? আদৌ কি বদলাবে? এই সংক্রান্ত জবাব নিহালনির থেকে মেলেনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি শুধু নিজের কর্তব্য পালন করছিলাম। যে নিয়মগুলো আমাকে মেনে চলতে হয়, সেই অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ তবে সামান্য ‘খোঁচা’ মেরে এ-ও বলে দিলেন নিহালনি, ‘‘অশ্লীল এবং কুরুচিকর ছবির জন্যও দরজাটা এখন থেকে খুলে গেল।’’
বিডি প্রতিদিন/১৫ জুন ২০১৬/হিমেল-০২