ঊর্মিলা শ্রাবন্তি কর। হালের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। একক ও ধারাবাহিক নাটকের মায়াজালে জড়িয়ে আছেন এই লাস্যময়ী। বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে রইলো তার সাক্ষাৎকার।
: কেমন আছেন? বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে?
- হুম...ভালো আছি। বেশ ভালো আছি। আর ব্যস্ততা? সেতো চলছেই। বেশ কয়েকটি একক ও ধারাবাহিক নাটকের শ্যুটিং করছি। শেষ করলাম চয়নিকাদির একটি একক নাটক। আর বিভিন্ন স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচারিত কয়েকটি ধারাবাহিকের শ্যুটিং তো নিয়মিত করেই যাচ্ছি। শীঘ্রই প্রচারিত হবে এজাজ মুন্নার 'আস্থা'। এছাড়া অক্টোবরে প্রচার শুর হবে 'সানফ্লাওয়ার'-এর। সবমিলিয়ে ব্যস্ততার মায়াজালে জড়িয়ে পড়েছি।
: গত ঈদে বিভিন্ন চ্যানেলে আপনার ১৮টি নাটক প্রচারিত হয়েছে। বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন- ইতিবাচক না নেতিবাচক?
- দেখুন, সবাই চায় তার নাটক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হোক। তবে এটাও সত্য যে একসাথে অনেকগুলো নাটক প্রচারিত হলে দর্শক বিভ্রান্ত হয়। যেমন: গত ঈদের চতুর্থ দিন আমার অভিনীত ৬টি নাটক ছয় চ্যানেলে প্রায় কাছাকাছি সময়ে দেখানো হয়। অনেকেই ফোন দিয়ে তাদের হতাশার কথা জানিয়েছেন। কোনটাই তারা ঠিকমতো দেখতে পারেননি। পরবর্তীতে ইউটিউবের মাধ্যমে দেখেছেন। চেষ্টা করছি এবারের ঈদে কিছুটা কম কাজ করতে। তাছাড়া বেশি নাটক হলেও গুণগত মান নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। কারণ কোয়ানটিটি বেশি হলেও কোয়ালিটিতে কোনো আপস করিনি। অবশ্য বরাবরই আমি কোয়ালিটিকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি।
: এবারে ঈদে কি পরিকল্পনা?
- গত ঈদের কথা চিন্তা করে এবার কিছুটা কাজ কম করেছি। তাছাড়া রোজার ঈদ থেকে কোরবানির ঈদে খুব একটা সময় থাকে না। তাই বেছে বেছে কাজ করেছি। শিহাব ভাই, ইশতিয়াক ভাই ও রেদোয়ান রনি ভাইয়ের কাজ করছি। বলতে পারেন যা-ই করছি হান্ড্রেড পার্সেন্ট কোয়ালিটি এফোর্ট দিয়ে করছি। অন্যদিকে, পূজার কয়েকটি নাটকে এবং চলতি কয়েকটি ধারাবাহিকের কারণে ঈদের নাটকে বেশি সময় দিতে পারিনি।
: একটা সময় নাটকেও সিনেমার মতো জুটি প্রথা ছিল। এখন থাকলেও সেরকম আওয়াজ শোনা যায় না কেন?
- দেখুন, আজ থেকে দেড় যুগ আগে স্যাটেলাইট চ্যানেলের প্রাধান্য ছিল না। ছিল না এতো তারকা। আর এখন চ্যানেল বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে নাটকের চাহিদাও বাড়ছে, বাড়ছে তারকার চাহিদা। অর্থাৎ এখন একজন অভিনেতাকে একই দিনে ছয়জন অভিনেত্রীর সঙ্গে পর্দায় দেখা যাচ্ছে। সেইসঙ্গে চ্যানেলের ভিন্নতাও রয়েছে। দর্শকরাও পুরোপুরি পারফেক্ট জুটি নির্ধারণ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাছাড়া এটাও সত্য যে, চ্যানেলের সাথে সাথে তারকা যেমন বেড়েছে, তেমনি কিছু নামমাত্র অভিনেতা-অভিনেত্রীও এসেছেন।
: কোনটাতে বেশি সাচ্ছ্ন্দ্যবোধ করেন? একক, নাকি ধারাবাহিক?
- এককথায় বলতে গেলে একক না। মূল কারণ হলো ধারাবাহিক নাটকে নির্দিষ্ট ইম্প্রেশন বা ক্যারেক্টারের চাহিদা পুরোপুরিভাবে ধরে রাখা যায় না, যেটা কিনা সিঙ্গেল কিংবা একক নাটকে সম্ভব। আর ধারাবাহিকে অনেক সময় কস্টিউম বা পোশাক-আশাকও কন্টিনিউ করা যায় না। কারণ সব প্রোডাকশন হাউজ তো আর এক না। ধারাবাহিকের চেয়ে একক নাটকে দর্শক রেসপন্সটা তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়। তাই এককই আমার বেশি পছন্দ।
: বড় পর্দায় আপনাকে পাচ্ছি কবে?
- হা. হা.. হা...। এই প্রশ্নটা বেশ কয়েকবার শুনতে হয়েছে। আপাতত এইরকম কোনো ইচ্ছাই নেই। তাছাড়া আরেকটা বিষয় কাজ করে এই সিদ্ধান্তে। সেটা হলো আমার অগ্রজ অর্থাৎ লাক্স সুন্দরীদের যারা ছোট থেকে বড় পর্দায় গেছেন তারা খুব একটা পাকাপোক্তভাবে জায়গা নিতে পারেননি বা পারছেন না। জয়া আপু ছাড়া বাকিরা খুব একটা লাইম লাইটে আসতে পারেননি বড়পর্দায়। তাই আমিও চাচ্ছি না শুধু নাম লেখাতেই বড় পর্দায় যাই।
: দাম্পত্য জীবন কেমন চলছে?
- আপনাদের দোয়ায় খুব ভালো আছি। বিয়ের এক বছর পার হয়ে গেল, পরিবারের সবার সহযোগিতা পাচ্ছি। আমিও এই বন্ধনের চাওয়া-পাওয়া পূরণের চেষ্টা করছি। দোয়া করবেন যেন বাকিটা জীবন এভাবে সুন্দর করে কাটিয়ে দিতে পারি।
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ