তিনি চান বা না চান, তার জীবন জড়িয়ে রয়েছে বাঙালি। ছোট্টবেলায় মা-বাবার প্রেরণাতেই ঋষি অরবিন্দের মন্ত্রে দীক্ষা নিয়েছিলেন। সেই ভাবধারাই একরকম গড়ে দিয়েছে বলিউড অভিনেত্রী কাল্কিকে। তাই যেকোনও সিদ্ধান্ত নেন নিজের বুদ্ধিতে, স্বাধীনভাবে।
সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন এক বহুজাতিক সংস্থার প্রোডাক্ট লঞ্চ করতেই। আধুনিক যুগে মেয়েরা অবশ্যই মাল্টিটাস্কার। কিন্তু কল্কি মাল্টিটাস্কার হয়েও একাগ্র। অভিনয় করতে হলে একাগ্রতাই অস্ত্র। একথাই জানালেই এই অভিনেত্রী। তিনি আরও বলেন, "বাঙালিরাই তো আমাদের সিনেমার জগতের বড় বড় নাম, তাদের নাম না নিয়ে কি পারা যায়, সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋষি অরবিন্দ... সবার কাছ থেকে আমরা কিছু পেয়েছি, কিছু নিয়েছি।"
কয়েকদিন আগেই বন্ধু ঋতাভরীর সঙ্গে অভিনয় করেছেন ‘নেকেড’ নামের একটি ছবিতে। আর তার পরেই কঙ্কণা সেনশর্মার ছবি ‘আ ডেথ ইন গঞ্জ’। বাঙালি-স্পেশাল সময়ই চলছে তাঁর জীবনে।
‘মার্গারিটা উইথ আ স্ট্র’ ছবিতে জীবনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রটা করে ফেলেছেন তিনি। এখনও সেই চরিত্রের জন্য তার দু’চোখ ভরে আসে পানি। এখনও তার ভেতরে বেঁচে রয়েছে মার্গারিটা। তার প্রেরণা হয়ে।
বলিউডে এখনও বৈষম্য চলছে বলে জানালেন কাল্কি। পারিশ্রমিকের বিচারে পুরুষ-নারীর শ্রেণিবিভাগ বড় বেশি প্রকট। কাল্কির স্পষ্ট করেই বলেন, "কেন এটা নিয়ে দুঃখ পাব? সালমান খান বেশি দর্শক টানেন, তাই বেশি টাকা রোজগার করেন। নায়িকারা এখনও সেটা পারেন না। যেদিন পারবেন, সেদিন নায়কদের থেকে বেশি পারিশ্রমিকের দাবিদার হবেন।"
বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ জুন, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-৮