'বদ্রীনাথ কি দুলহানিয়া’ রিলিজ করার পর আর তো পাত্তাই নেই! কোথায় গেলেন আলিয়া ভাট? মুম্বাইয়ের এই দাপুটে গরমে একটু বেশিই কাবু হয়ে পড়লেন নাকি? ছুটি কাটাচ্ছেন নাকি কোথাও? ঠান্ডার দেশে? সুইজারল্যান্ড নাকি নরওয়ে?
আলিয়াকে জিজ্ঞেস করলেই খিলখিলিয়ে হেসে উঠছেন? আর বলছেন, ‘এই ব্রেকটা কিন্তু দিব্যি উপভোগ করছি! কত্থকের তালিম নিচ্ছি। পিয়ানো শিখছি। আর শুনলে অবাক হয়ে যাবেন মিক্সড মার্শাল আর্টস রপ্ত করছি! আসলে নতুন নতুন জিনিসে শিখে নেওয়ার ক্ষেত্রে একপায়ে খাড়া আমি সবসময়। আসলে যখন টানা কাজ করে যাই সেভাবে তো ফুরসৎ মেলে না। তাই এখন ছুটিটা কিন্তু তুমুল উপভোগ করছি। একেবারে হাত-পা ছড়িয়ে বসে থাকার মেয়ে তো নই। তাই এই ক্লাসগুলোতেও রোজ যে প্রায় ঘণ্টা তিনেক করে কাটাতে পারছি এটাও বেশ এনজয়বেল! সারাদিনে অনেকটা ফাঁকা সময় বার করতে পারছি। শুটিং-টুটিং না থাকলে হাতে প্রচুর সময়।’
খুব তাড়াতাড়িই দুই রণবীরের সঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে চলেছেন। কেমন লাগছে? আলিয়া বলছেন, ‘ওরে বাবা! দুজনেই তো দেশের হার্ট-থ্রব! রনবীরের (কাপুর) সঙ্গে এর আগে বেশ কয়েকটা অ্যাড ফিল্মে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে। কিন্তু ফিল্ম এই প্রথম। আর অন্য রণবীরের (সিং) সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আগে ছিল না। খুব মজার ছেলে।
সারাক্ষণ এমন এমন সব কথা বলবে যে পেটে খিল ধরিয়ে ছাড়বে! যেটা মনে হয়েছে রনবীর সিংয়ের কোনওকিছুই লোকদেখানো নয়। মজা করলে সেটাও ‘আসলি’ আবার কারোর ওপর রেগে গেলে সেই প্রকাশভঙ্গিতেও কোনও রাখঢাক নেই। এটাই ওর সবচেয়ে বড় গুণ। মনে হয় এজন্যই লোকে ওকে এত ভালোবাসে! ভনিতাটা নেই।’
আর রণবীর কাপুর নিয়ে আলিয়া ভাটের কী প্রতিক্রিয়া? একটু চুপ করে থেকে বললেন, ‘এক্কেবারে রণবীর সিংয়ের ঠিক উল্টো! সেটে এসে বেশি কথা বলে না। চুপচাপ। শান্তভাবে সবকিছু পর্যবেক্ষন করে যায়। আর খুব রিল্যাক্সড থাকে।
জানেন তো, ২০০৭ সালে ‘সাওয়ারিয়া’ রিলিজ করার পর থেকেই আমি রণবীর কাপুরের খুব বড় ফ্যান! সুতরাং আমার নতুন ছবিতে ওঁর বিপরীতে কাজ করতে পারাটা আমার কাছে সত্যিই বিরাট ব্যাপার।’
দুই রণবীর না হয় হল। কিন্তু সিদ্ধার্থ মালহোত্রা? আলিয়া উবাচ, ‘আলিয়া ভাটের বয়স এখন ২৪ আর আলিয়া জুহুতে থাকে। এটা যেমন বাস্তব তেমন ‘সিড’-এর নামটা আমার সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়াটাও! লোকে প্রসঙ্গটা উঠলেই এমন ভাব করে যেন আরে হাঁ, ওহ তো কব সে পতা হ্যায়!’ না ভাঙতে চাননি সিদ্ধার্থের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের রসায়ন।
তবে, এটা বুঝিয়ে দিয়েছেন ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ছবির সহ অভিনেতার সঙ্গে তাঁর দোস্তিটা বেশ প্রগাঢ়। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে আলিয়াদের হোম প্রোডাকশনের ব্যানারে তৈরি হতে চলেছে ‘আশিকী ৩’। এবং সেই ছবিতে তিনি নিজেই নাকি নায়িকার ভূমিকায়? ‘ছবির স্ক্রিপ্টের কিছু রদবদল ঘটানো হচ্ছে। গল্পটাও কোনও কোনও ক্ষেত্রে পালটাচ্ছে। বাবাকে (মহেশ ভাট) বলে দিয়েছি তোমার পরিচালনায় প্রথম যে ছবিটা আমি করতে চাই সেটা ‘আশিকী ৩’। এখনও সবকিছু চূড়ান্ত হয়নি। তবে আমরা কিন্তু তৈরি।’
সূত্র: আজকাল
বিডি প্রতিদিন/ ১৮ জুন ২০১৭/ ই জাহান