বলিউডের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যান বটে। তবে পুরস্কার নিতে কখনও মঞ্চে ওঠেন না। মোটা টাকার বিনিময়ে খালি মঞ্চে নেচে-গেয়েই চলে আসেন। তবে লন্ডনে অন্যরূপে ধরা দিলেন সালমান খান।
গত শুক্রবার স্যুটবুটে সেজে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাকে ‘গ্লোবাল ডাইভার্সিটি’ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। অভিনেতা, প্রযোজক এবং জনহিতৈষী হিসেবে হিসেবে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে তার অবদানের জন্যই এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
সালমানের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ কিথ ভাজ। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের কাছে সলমন আদর্শ। শুধমাত্র ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতেই নিজেকে বেঁধে রাখেননি উনি। বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজেও সমানভাবে যুক্ত। দুঃস্থ মানুষের জন্য নিরন্তর খেটে চলেছে ওঁর বিয়িং হিউম্যান সংস্থা। ওঁকে সম্মানিত করতে পেরে আমরা অত্যন্ত খুশি। ভারত এবং সমগ্র এশিয়ার তরুণ সমাজ ওঁর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয় দেখে গর্ব বোধ হচ্ছে।’
বলিউডে পক্ষপাতিত্ব করা হয় বলে কখনও পুরস্কার নিতে যান না সালমান। কিন্তু এমন এক সম্মানে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। পুরস্কার পেয়ে বলেন, ‘আমাকে সম্মানিত করার জন্য ধন্যাবাদ। আমার বাবাও হয়তো ভাবতে পারেননি। এত ভালবাসা ও সম্মান পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ।’
সহকর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠান করতে বর্তমানে ব্রিটেনে রয়েছেন সালমান। প্রায় একদশক পর সেখানে পা রাখলেন তিনি। এর আগে বাংলাদেশের প্রধীনমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অমিতাভ বচ্চন, ঐশ্বরিয়া রাই, জ্যাকি চ্যান, মার্কিন নাগরিক অধিকার আন্দলনের নেতা জেসি জ্যাকসন এবং ফর্মুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন লুইস হ্যামিলটনকে এই সম্মান দিয়েছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্ট।
বিডি প্রতিদিন/ ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ তাফসীর