দুবাইয়ের জুমেরিয়াহ এমিরেটস টাওয়ারের হোটেলে গত শনিবার মারা গেছেন বলিউড ফিমেল সুপারস্টার শ্রীদেবী। কিন্তু মৃত্যুর পর যত সময় গড়াচ্ছে ততই ঘনীভূত হচ্ছে তার মৃত্যু রহস্য! দুবাই পুলিশের ফরেনসিক প্রতিবেদনই এ রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
ওই রিপোর্ট থেকে জানা যায়, মদ্যপ অবস্থায় বাথটবে পড়েই মৃত্যু হয় ভারতীয় সিনেমা জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র শ্রীদেবীর। যদিও সমাজবাদী পার্টির নেতা অমর সিংয়ের দাবি শ্রীদেবী মদ্যপান করতেন না।
শ্রীদেবীর মৃত্যু ঘিরে গোড়া থেকেই ধোঁয়াশা ছিল। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল, ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের কারণেই তার মৃত্যু হয়। তবে বেশ কিছু প্রশ্ন ঘিরে ধরে চাঁদনির শেষযাত্রা। ফলে তা যতটা মসৃণ হওয়ার কথা ছিল, ততটা হতে পারেনি। প্রথমত, স্বামী-মেয়ে ফিরে আসার পরও দুদিন দুবাইয়ের হোটেলে ছিলেন অভিনেত্রী। যদিও তিনি কী কারণে ছিলেন তা স্পষ্ট নয়।
এদিকে, শ্রীদেবীকে সারপ্রাইজ দিতেই নাকি ফের দুবাই যান বনি। স্ত্রীর সঙ্গে তার আধ ঘণ্টা কথাবার্তাও হয়। তারপরই স্নান করতে যান শ্রীদেবী। বেশ খানিকক্ষণ বাথরুম থেকে না বের হওয়ায় সন্দেহ হয় বনির। পরে অভিনেত্রীর সংজ্ঞাহীন দেহ উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাকে। এরও বেশ কিছুক্ষণ পরে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। কেন এত দেরি করে পুলিশকে খবর দেওয়া হল সে প্রশ্নও উঠছে। এই প্রশ্নের মধ্যেই মৃত্যুর কারণ নিয়েও ধোঁয়াশা দেখা দিচ্ছিল।
সোমবার ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ায় জানা যায়, পানিতে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে শ্রীদেবীর। যে সময় তার মৃত্যু হয়, তার রক্তে অ্যালকোহলও পাওয়া গেছে। অর্থাৎ মদ্যপ অবস্থাতেই বাথটবে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
যদিও অমর সিংয়ের দাবি, শ্রীদেবী মদ্যপান করতেন না। অনুষ্ঠান ইত্যাদির ক্ষেত্রে ওয়াইন খেতেন বড়জোর। তার এই দাবিতে ধোঁয়াশা আরও বেড়েছে। তাহলে অভিনেত্রীকে জোর করে কেউ মদ্যপান করিয়েছিলেন। যিনি জানতেন যে মদ্যপানের অভ্যাস না থাকায় বিপদে পড়তে পারতেন শ্রীদেবী। কিন্তু জেনেশুনে অভিনেত্রীকে কে বিপদের মুখে ঠেলে দিল? আর বাথটবে পড়ে গিয়ে উঠতেই বা পারলেন না কেন। ফরেনসিক রিপোর্ট প্রকাশ ও অমর সিংয়ের দাবিকে ঘিরে তাই নতুন ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, সোমবার ফের একদফা বনি কাপুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুবাই পুলিশ। তদন্তভার দেওয়া হয়েছে দুবাইয়ের পাবলিক প্রসিকিউশনের উপর। স্থানীয় আইন মেনেই হবে তদন্ত। বনির বক্তব্য রেকর্ড করে পুরেও ঘটনার পুনর্নিমাণও করা হতে পারে। শ্রীদেবীর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে তবেই পরিবারের হাতে মরদেহ তুলে দেওয়ার পক্ষপাতী দুবাই প্রশাসন।
বিডি প্রতিদিন/২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এনায়েত করিম