লুপ লাইনে ত্রুটির কারণেই সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রংপুর এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত ও ট্রেনে আগুন লাগে বলে দুর্ঘটনার পর জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার রাতে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফিরোজ মাহমুদ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মেদ তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে বলেন, ঘটনাস্থলে রেললাইনের স্টক রেল ও টাং রেল দু’টি লক থাকার কথা ছিলো, কিন্তু সেখানে লক ছিলো না। দুই লাইনের মাঝখানে গ্যাপ ছিলো। যে কারণে ট্রেনের ইঞ্জিন সেখানে এসে লাইনচ্যুত হয়েছে। এছাড়াও ওই প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার আরো কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো মন্ত্রণালয়ে পাঠনোর পরে তারাই প্রকাশ করবে। ২৯ পৃষ্ঠার ঐ তদন্ত প্রতিবেদনে ৫টি সুপরিশ সংযুক্ত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহমেদ জানান, দুর্ঘটনার দিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটিতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ছাড়াও পুলিশ ও রেলওয়ের কর্মকর্তা ছিলেন। তদন্ত শেষে ৫ কর্মদিবসের মধ্য প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। কমিটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি কারণ বের করেছে। প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা থেকে রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছার আগে এর ইঞ্জিনসহ ৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ সময় ট্রেনের ইঞ্জিনসহ তিনটি বগিতে আগুন ধরে যায়। এ দুর্ঘটনায় আহত হন ১০ জন। এ ঘটনার তদন্তে রেল বিভাগ তিনটি ও জেলা প্রশাসন একটি কমিটি গঠন করে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক
