শিরোনাম
- শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
- প্রথম মরক্কান হিসেবে আফ্রিকার বর্ষসেরা হাকিমি
- ভারতকে হারিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগুলো বাংলাদেশে
- ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
- জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
- চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
- তত্ত্বাবধায়ক ফেরা প্রশ্নে আপিলের রায় আজ
- রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
- বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
- স্বর্ণের দাম বেড়েছে
- বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
- গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ
- অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
- শেখ হাসিনাকে বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে রায় কার্যকর করতে হবে : দুলু
- সাইফের স্ট্যালিয়ন্সকে হারাল তাসকিনের নর্দান ওয়ারিয়র্স
- তা’মীরুল মিল্লাত মাদরাসার টঙ্গী শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
- ৪২ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেন স্কটিশ গোলরক্ষক গর্ডন
- দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
- জিয়া পরিবার ফোবিয়ায় যারা ভোগেন, তাদের জনভিত্তি নেই : প্রিন্স
- বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো ডেনমার্ক
আত্মহত্যার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল
সালমান শাহ'র বাসায় সারারাত ছিলেন নায়িকা শাবনূর
আদালত প্রতিবেদক
অনলাইন ভার্সন
চিত্রনায়ক সালমান শাহ'র মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ৬০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম।
এ বিষয়ে আদালত পুলিশের নন-জিআর শাখার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আগামীকাল (বুধবার) ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহর আদালতে ওই তদন্ত প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হবে। তবে তদন্ত প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে নির্ধারিত তারিখ ৩০ মার্চ শুনানি হবে।
আদালতে পাঠানো ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিত্রনায়ক সালমান শাহ ও শাবনূরের মধ্যে অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা তৈরি হয়। সালামানের স্ত্রী সামিরা চট্রগ্রামে গেলে নায়িকা শাবনূর দুইদিন সালমান শাহের বাসায় আসে। একদিন সারারাত ছিল, অন্যদিন রাত ১২টার দিকে চলে যায়। সামিরা চট্রগ্রাম হতে এসে জানতে পারে যে, নায়িকা শাবনূর বাসায় এসেছিল। সালমানের সঙ্গে শাবনূরের এই অন্তরঙ্গতা নিয়ে স্ত্রী সামিরার সাহিত ব্যাপক দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। সালমান স্ত্রী সামিরাকে খুব ভালোবাসতো। পাশাপাশি শাবনূরের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক বাজয় রাখতো। এ কারণে দাম্পত্য কলহের এক পর্যায়ে সালমান শাহ জটিল সম্পর্কের বেড়াজালে পড়ে যায়।
এছাড়া, ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফোন করা নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে নিজ বাসায় সে ইনোক্টিন ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এছাড়া ১৯৯২ সালে নভেম্বর মাসে কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবির শুটিংয়ের সময় সামিরার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে সালমান শাহ স্যাভলন খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
সালমান শাহের সঙ্গে তার মা নীলা চৌধুরীর সম্পর্ক ভলো ছিলো না। কারণ সালমান শাহের স্ত্রী সারিার সঙ্গে নীলা চৌধুরীর ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। এক পর্যায়ে সালমান শাহ অতিষ্ট হয়ে সামিরাকে নিয়ে আলাদা বাসা নিতে বাধ্য হয়। পরে সালমান তার মা নীলা চৌধুরীকে প্রতি মাসে হাত খরচ বাবদ এক লাখ টাকা দিত।
সংসার জীবনে সালমান শাহের জীবনে কোন সন্তান হয়নি। তাই সাক্ষী ডলির ছেলে ওমরকে সালমান শাহ সন্তানের মতো ভালোবাসতো। ওমর সালমান শাহকে বাবা বলে ডাকতো। পরবর্তীতে ডলির ছেলে ওমরকে দত্তক নিতে চেয়েছিল। কিন্তু ডলির জোর আপত্তির কারণে দত্তক নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে সালমান শাহের সংসার জীবনে সন্তান না হওয়ার অপূর্ণতা থেকে যায়। এ কারণে হতাশা ছিল। তাই চিত্রনায়ক সালমান শাহ আত্মহতা করেছে, তার মৃত্যু পরিকল্পিত কোন হত্যাকাণ্ড ছিল না মর্মে তদন্তে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহ (চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন) ঢাকার ইস্কাটনের ফ্ল্যাটে মারা যান। তখন একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে- এমন অভিযোগে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই অভিযোগটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করার আবেদন করা হয়। তখন অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেয় আদালত। ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে সিআইডি জানায়, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেন। সিআইডির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে কমরউদ্দিন চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠায় আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট সেই প্রতিবেদন দাখিল করেন মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক। তাতেও হত্যার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলা চৌধুরী বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনে ‘নারাজি’ দেন। তিনি ১১ জনের নাম উলেখ করে দাবি করেন, এরা তার ছেলেকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। মামলাটি এরপর তদন্ত করে র্যাব। তখন রাষ্ট্রপক্ষ আপত্তি তুললে ২০১৬ সালের ২১ অগাস্ট ঢাকার বিশেষ জজ ৬-এর বিচারক ইমরুল কায়েস র্যাবকে মামলাটি আর তদন্ত না করার আদেশ দেন। তখন তদন্তের দায়িত্বে আসে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব
এই বিভাগের আরও খবর