শিরোনাম
- গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক
- ডাকসু ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে ইলেকশনের ট্রেনে উঠলো বাংলাদেশ: ফারুকী
- একিতিকের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
- টরন্টোয় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
- বিমানবন্দরে হামলার পর ইসরায়েলে নিরাপত্তা নিয়ে অজানা শঙ্কা (ভিডিও)
- আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
- টানা তৃতীয়বার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে তিউনিসিয়া
- পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে নিজের প্রতি অসম্মানের অভিযোগ গেইলের
- রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৯ সেপ্টেম্বর)
- ট্রাম্পের ‘শেষ সতর্কবার্তার’ জবাবে যা বলল হামাস
- রাজধানীর খিলক্ষেতে অস্ত্রসহ চারজন গ্রেফতার
- লেভারকুজেনের নতুন কোচ ইউলমান
- রাজধানীতে ছিনতাইয়ের সময় গণপিটুনিতে যুবক নিহত
- রাজধানীতে অটোরিকশা চালককে হত্যা, দুইজন আটক
- ভিসা নীতিতে বড় পরিবর্তন আনল যুক্তরাষ্ট্র
- সমুদ্রের বাতাসে লুকিয়ে আছে দীর্ঘ জীবনের রহস্য: গবেষণা
- আগস্টের মাসসেরা হওয়ার দৌড়ে তিন পেসারের লড়াই
- গাইবান্ধায় ফরম পূরণের ফি বৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- ডাকসু নির্বাচনে ঢাবিতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ডিএমপি
আত্মহত্যার প্রতিবেদন আদালতে দাখিল
সালমান শাহ'র বাসায় সারারাত ছিলেন নায়িকা শাবনূর
আদালত প্রতিবেদক
অনলাইন ভার্সন

চিত্রনায়ক সালমান শাহ'র মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ৬০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম।
এ বিষয়ে আদালত পুলিশের নন-জিআর শাখার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আগামীকাল (বুধবার) ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহর আদালতে ওই তদন্ত প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হবে। তবে তদন্ত প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে নির্ধারিত তারিখ ৩০ মার্চ শুনানি হবে।
আদালতে পাঠানো ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিত্রনায়ক সালমান শাহ ও শাবনূরের মধ্যে অতিরিক্ত অন্তরঙ্গতা তৈরি হয়। সালামানের স্ত্রী সামিরা চট্রগ্রামে গেলে নায়িকা শাবনূর দুইদিন সালমান শাহের বাসায় আসে। একদিন সারারাত ছিল, অন্যদিন রাত ১২টার দিকে চলে যায়। সামিরা চট্রগ্রাম হতে এসে জানতে পারে যে, নায়িকা শাবনূর বাসায় এসেছিল। সালমানের সঙ্গে শাবনূরের এই অন্তরঙ্গতা নিয়ে স্ত্রী সামিরার সাহিত ব্যাপক দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। সালমান স্ত্রী সামিরাকে খুব ভালোবাসতো। পাশাপাশি শাবনূরের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক বাজয় রাখতো। এ কারণে দাম্পত্য কলহের এক পর্যায়ে সালমান শাহ জটিল সম্পর্কের বেড়াজালে পড়ে যায়।
এছাড়া, ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফোন করা নিয়ে মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে নিজ বাসায় সে ইনোক্টিন ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এছাড়া ১৯৯২ সালে নভেম্বর মাসে কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবির শুটিংয়ের সময় সামিরার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে সালমান শাহ স্যাভলন খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
সালমান শাহের সঙ্গে তার মা নীলা চৌধুরীর সম্পর্ক ভলো ছিলো না। কারণ সালমান শাহের স্ত্রী সারিার সঙ্গে নীলা চৌধুরীর ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। এক পর্যায়ে সালমান শাহ অতিষ্ট হয়ে সামিরাকে নিয়ে আলাদা বাসা নিতে বাধ্য হয়। পরে সালমান তার মা নীলা চৌধুরীকে প্রতি মাসে হাত খরচ বাবদ এক লাখ টাকা দিত।
সংসার জীবনে সালমান শাহের জীবনে কোন সন্তান হয়নি। তাই সাক্ষী ডলির ছেলে ওমরকে সালমান শাহ সন্তানের মতো ভালোবাসতো। ওমর সালমান শাহকে বাবা বলে ডাকতো। পরবর্তীতে ডলির ছেলে ওমরকে দত্তক নিতে চেয়েছিল। কিন্তু ডলির জোর আপত্তির কারণে দত্তক নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে সালমান শাহের সংসার জীবনে সন্তান না হওয়ার অপূর্ণতা থেকে যায়। এ কারণে হতাশা ছিল। তাই চিত্রনায়ক সালমান শাহ আত্মহতা করেছে, তার মৃত্যু পরিকল্পিত কোন হত্যাকাণ্ড ছিল না মর্মে তদন্তে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়ক সালমান শাহ (চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন) ঢাকার ইস্কাটনের ফ্ল্যাটে মারা যান। তখন একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তার বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে- এমন অভিযোগে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই অভিযোগটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করার আবেদন করা হয়। তখন অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেয় আদালত। ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে সিআইডি জানায়, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেন। সিআইডির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে কমরউদ্দিন চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠায় আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট সেই প্রতিবেদন দাখিল করেন মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক। তাতেও হত্যার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নীলা চৌধুরী বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনে ‘নারাজি’ দেন। তিনি ১১ জনের নাম উলেখ করে দাবি করেন, এরা তার ছেলেকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। মামলাটি এরপর তদন্ত করে র্যাব। তখন রাষ্ট্রপক্ষ আপত্তি তুললে ২০১৬ সালের ২১ অগাস্ট ঢাকার বিশেষ জজ ৬-এর বিচারক ইমরুল কায়েস র্যাবকে মামলাটি আর তদন্ত না করার আদেশ দেন। তখন তদন্তের দায়িত্বে আসে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি-ম্যানেজিং কমিটি ১ ডিসেম্বর থেকে বিলুপ্ত, পরিপত্র জারি
১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তীব্র চাপের মুখে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল নেপাল
৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম