বাংলা সাহিত্যে আয়না সনেটের ব্যাপক জনপ্রিয়তার পর এবার বাংলা গানে আসছে নতুন এক ধারার সংকলন। নতুন এই ধারার নাম হচ্ছে—আয়না সঙ্গীত। সম্প্রতি আয়না সঙ্গীতের প্রথম গান ‘প্রিয়তম’-এ কণ্ঠ দিয়েছে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি।
গানটি শেষ করে ন্যান্সি বলেন, প্রিয়তম গানটির একটি বিশেষত্ব আছে যে- এ ধরনের গান আমি পূর্বে কখনো গাই নি। গানটি লিখেছেন রাজুব ভৌমিক। এটি একটি আয়না সঙ্গীত। গানটির কথা শুরুর থেকে শেষে যা—শেষ থেকে আবার শুরু। গানটির যে সুর করেছেন—রাজন দাদা, তিনি এমনভাবে সুর করেছেন যে আমি প্রথমে ধরতেই পারিনি। কাজে আপনাদেরও ধরতে একটু মুশকিল হবে। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ শুনার পর বুঝতে পারবেন গানটি দুই দিক থেকেই গেয়েছি।
ন্যান্সি আরো বলেন, ‘এই ছন্দ মিলানো এবং সেই সাথে সুর মিলানো অনেক কঠিন এক কাজ।’ আয়না সঙ্গীতের সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক রাজন সাহা বলেন, প্রিয়তম গানটি একটি নতুন ধারার সঙ্গীত। একটি ঐতিহাসিক ধারার প্রথম সুরটা আমি করেছি এটা ভেবে ভালো লাগছে।ন্যান্সি গানটি খুব ভালো গেয়েছে।
গানটির গীতকবি তথা এই ঐতিহাসিক আয়না সংগীত এর জনক প্রিয় রাজুব ভৌমিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এমন ঐতিহাসিক কাজের জন্য আমার উপর আস্থা রাখার জন্য। গানটি আশা করি আগামী পবিত্র ঈদুল আজহাতে স্টুডিও জয়ার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আকারে রিলিজ হবে। বাংলা গানের জয় হোক।
আয়না সঙ্গীতটি কি? উত্তরে কবি রাজুব ভৌমিক বলেন, যে গানের প্রতিটি লাইন দশ বর্ণের, গানের মুখ/স্থায়ী উল্টোদিক থেকে গাইলে গানের প্রথম অন্তরা হয়। দ্বিতীয় অন্তরা দুই লাইনের, যা উল্টোদিকে গাইলে চার লাইন হয়। সর্বমোট ছয় লাইনের বা ষাট বর্ণের গান এবং দুই দিক থেকেই গানের সুর করা যাবে। যেহেতু গানগুলো আয়নার মত এবং দুই দিক থেকেই গানের সুর করা যায়, তাই এ গানগুলোর নাম ‘আয়না সঙ্গীত’ দিয়েছি।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক