মাছ বাজারে ঢুকলাম মাছ কেনার জন্য। সাথে আমার ছোট ভাই জহির। একটু বড় সাইজের গলদা কিনব। পাঁচটায় এক কেজি হবে। দর-দাম ঠিক করার পর ১১টা গলদা চিংড়ি একটা পলিথিনের ব্যাগে ভরে মাছওয়ালা ডিজিটাল ওয়েটিং স্কেলের উপর রাখল। ওজন ২৩৩০ গ্রাম। ছোট ভাই দোকানদারকে বলল, আপনি পলিথিন ব্যাগ থেকে মাছগুলো বের করে ওয়েটিং স্কেলে রাখেন। দোকানদার গাইগুই শুরু করল। ১৫ বছর ধরে এই ব্যবসা করি, কেউ কোন দিন এমন কথা বলে নাই। পলিথিনের কি কোন ওজন আছে? আরো অনেক কথা।
পরে আমার ছোট ভাই যখন ব্যাগ থেকে চিংড়ি বের করে ডিজিটাল স্কেলে রাখা শুরু করল, তখন মাছওয়ালা অনেকটা বাধ্য হয়ে বাকি চিংড়িগুলো পলিথিন থেকে বের করে ডিজিটাল স্কেলে রাখল। এবার দেখা গেল, সেই ১১টা মাছের ওজন ২১২০ গ্রাম। অর্থাৎ ২১০ গ্রাম কম। কত বড় জালিয়াতি! ২৩৩০ গ্রামের পরিবর্তে ২১২০ গ্রাম।
এখন মাছওয়ালার সব রাগ ডিজিটাল স্কেলের উপর। এই মেশিনে সমস্যা, পুরানো হয়ে গেছে, আগের দাঁড়িপাল্লা ভালো, পুরানো কাস্টমার নষ্ট হয়ে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি বলে মেশিনের গুষ্ঠি উদ্ধার।
মূল বিষয় হল, পলিথিনের ব্যাগে আগে থেকেই কিছুটা পানি রেখে দেওয়া ছিল। মানুষ ঠকানোর এমন অভিনব জালিয়াতির ভাবনা হয়তো শুধু আমাদের মাথা থেকেই বের হয়। এত অসৎ হলে চলবে কি করে?
লেখক: বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা