অনেক সময় অনেক তালিকাভুক্ত, দাগী আসামী অপরাধ করে আড়ালে চলে যায়। ছদ্মবেশে মিশে যায়, সামাজিক আইডেন্টিটি তৈরি করে, রাজনৈতিক মতাদর্শ ব্যবহার করে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। তাদের ফাইল রেকর্ড, পুলিশ কেইস, অপরাধ জীবনের ইতিহাস কেউই জানে না।
এই মানুষ গুলো কারো ভাই, কারো বন্ধু, কারো আত্মীয়, কারো রাজনৈতিক সহযোদ্ধা। সমাজের আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন জনের সাথে মিশে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকার পরেও। চেনা যায় না, জানা যায় না।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) মহোদয় এবং বাংলাদেশ পুলিশের রত্ন, পুলিশ বাহিনীর গর্ব ও অহংকার। ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, আমাদের অভিভাবক, হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশনায় সোনারগাঁ ও বন্দর থানার বিভিন্ন জনবহুল স্থানে, বিভিন্ন অফিসে, জনপ্রতিনিধিদের কার্যালয়ে ওয়ান্টেড আসামিদের তালিকা প্রকাশ করেছেন। যিনি বাংলাদেশ পুলিশকে নিজ মেধা শ্রম, প্রজ্ঞায় অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন তিনি আমাদের শ্রদ্ধেয় ডিআইজি মহোদয়, ঢাকা রেঞ্জ।
স্যারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রথম বারের মতো তালিকাভুক্ত আসামিদের তালিকাকে বিভিন্ন জনসম্মুখে প্রকাশের যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
ওয়ান্টেড আসামিরা আর এখন থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা আড়াল করে বাড়তি কোন সুবিধা কোথাও থেকে নিতে পারবে না। এলাকার সর্বত্র তালিকা প্রকাশ করে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকার গণমান্য লোকজন, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, জনসাধারণ যারাই তালিকায় উল্লেখিত কোন ওয়ান্টেড আসামিকে দেখবেন আপনারা নিকটস্থ থানায় তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন। ওয়ান্টেড আসামিদের আইনের আওতায় এনে নিরাপদ সমাজ গড়াই আমাদের উদ্দেশ্য।
অপরাধ এবং অপরাধ মুক্ত সুস্থ সুন্দর সমাজ গড়তে বাংলাদেশ পুলিশ ঐক্যবদ্ধ। প্রয়োজন জনসচেতনতা এবং আপনাদের সহযোগিতা।
লেখক : অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, খ-সার্কেল, নারায়ণগঞ্জ।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা