১৯ জানুয়ারি, ২০২২ ০১:০৪

তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক থেকে সরে গেল "রিমেম্বারিং"

অনলাইন ডেস্ক

তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক থেকে সরে গেল


তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক আইডি থেকে সরে গেল "রিমেম্বারিং" শব্দটি। এরপরই বাংলাদেশি এই লেখিকা নতুন একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'পুনরুত্থান'। এর আগে, মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারী) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে নির্বাসিত এই লেখিকার ভেরিফায়েড আইডিতে ঢুকে দেখা যায়, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত হিসেবে দেখাচ্ছে। কিন্তু কী এমন ঘটেছিল?

আসলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া লেখক তসলিমা নাসরিনের এক পোস্টের ভুল ব্যাখ্যা করে ফেসবুক তাকে 'মৃত' বলে মনে করে। আর তাই তার ফেসবুক প্রোফাইলে নামের আগে 'রিমেম্বারিং' দেখায়। পাশাপাশি ফেসবুকের তরফ থেকে লেখা হয়, 'আমরা আশা করি যারা তসলিমাকে ভালোবাসেন, যারা তসলিমাকে স্মরণ করতে চান তারা তার প্রোফাইলে গিয়ে সান্ত্বনা পাবেন।' মূলত তসলিমা নাসরিন কীভাবে তার মৃত্যুকে পর্যবেক্ষণ করতে চান, সে বিষয়ে একটি পোস্ট প্রকাশের পর এদিন তার অ্যাকাউন্টে এই পরিবর্তন দেখা যায়। 

টাইমলাইনে সেই পোস্টে তসলিমা লিখেছিলেন, 'আমি চাই আমার মৃত্যুর খবর প্রচার হোক চারদিকে। প্রচার হোক যে আমি আমার মরণোত্তর দেহ দান করেছি হাসপাতালে, বিজ্ঞান গবেষণার কাজে। কিছু অঙ্গ প্রতিস্থাপনে কারও জীবন বাঁচুক। কারও চোখ আলো পাক। প্রচার হোক, কিছু  মানুষও যেন  প্রেরণা পায় মরণোত্তর দেহ দানে। অনেকে কবর হোক চান, পুড়ে যাক চান, কেউ কেউ চান তাঁদের শরীর পোড়া ছাই প্রিয় কোনও জায়গায় যেন ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কেউ কেউ আশা করেন তাঁদের দেহ মমি করে রাখা হোক। কেউ আবার বরফে ডুবিয়ে রাখতে চান, যদি ভবিষ্যতে প্রাণ দেওয়ার পদ্ধতি আবিষ্কার হয়! অসুখ বিসুখে আমি আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর নির্ভর করি এবং জীবনের শেষদিন পর্যন্ত  করবো। কোনও প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতিতে আমার বিন্দুমাত্র বিশ্বাস নেই, ঠিক যেমন বিশ্বাস নেই কোনও কুসংস্কারে। জীবনের একটি মুহূর্তেরও মূল্য অনেক। তাই কোনও মুহূর্তই  হেলায় হারাতে চাই না। মরার পর আমরা কিন্তু কোথাও যাই না। পরকাল বলে কিছু নেই। পূনর্জন্ম বলে কিছু নেই। মৃত্যুতেই জীবনের সমাপ্তি। আমার জীবন আমি সারাজীবন অর্থপূর্ণ করতে চেয়েছি। মৃত্যুটাও চাই অর্থপূর্ণ হোক।'

জীবিত থাকার পরও মৃত দেখানোয় ফেসবুকের প্রতি বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন তসলিমা নাসরিন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে একাধিক টুইট করেন তিনি। একই সঙ্গে সেখানে ফেসবুকের প্রতি নিজের আইডি ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এক টুইটে ফেসবুককে মেনশন করে তিনি লেখেন, আমি খুবই প্রাণবন্ত আছি। কিন্তু তোমরা আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট স্মরণীয় করে দিয়েছ। কী দুঃসংবাদ! এটা কীভাবে করতে পারলে তোমরা? দয়া করে আমার অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দাও।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর