সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৬ ০০:০০ টা

সীমান্তে রহস্যজনক সিগন্যাল

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

বাংলা ও উর্দু সাংকেতিক ভাষায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বসিরহাট ও সুন্দরবন থেকে রহস্যজনক রেডিও সিগন্যালের সূত্র মিলল। কয়েক মাস ধরেই ওই অঞ্চলে রেডিও সিগন্যালের মাধ্যমে সাংকেতিক ভাষায় সন্দেহজনক কথাবার্তার বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপরই হ্যাম রেডিও অপারেটরকে ‘রাউন্ড দ্য ক্লক’ অনুযায়ী নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত জুন মাসে সাংকেতিক ভাষায় কথাবার্তার বিষয়টি নজরে আসে হ্যাম রেডিও অপারেটরের। বাংলা ও উর্দু সাংকেতিক ভাষায় বসিরহাট ও সুন্দরবন থেকে রহস্যজনক রেডিও সিগন্যালের সূত্র পাওয়া যায়। এরপরই বিষয়টি জানানো হয় কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে। ইন্টারন্যাশনাল মনিটরিং সেন্টার (রেডিও)-তে তাদের ডেকে পাঠানো হয় ও সিগন্যালগুলোকে মনিটরিং করতে বলা হয়। তারপর ওই রেডিও সিগন্যাল খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয় হ্যাম রেডিওর ২৩ জন অপারেটরকে। তারাই সর্বক্ষণ বিষয়টির ওপর নজর রেখে রেডিও সাংকেতিক ভাষা ও তার উৎসস্থল খোঁজার চেষ্টা করছেন। সাংকেতিক ভাষার মাধ্যমে কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী এই তথ্য আদান-প্রদান করে থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে। বেঙ্গল অ্যামেচার রেডিও ক্লাবের সেক্রেটারি অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস জানান, ‘এ ঘটনাটি খুবই সন্দেহজনক এবং আমাদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে খুবই হুমকির কারণ। কারণ আমরা যখনই সংকেত প্রেরকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইছি তখনই তারা কথা বন্ধ করে দিচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পরই তারা ফের উর্দু ও বাংলা কোডে যোগাযোগ শুরু করছে।’ তিনি আরও জানান, ‘যারা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সিতে সংকেত বিনিময় করছে তাদের কথাবার্তায় বাংলাদেশি টান রয়েছে। বিষয়টি নজরে আসার পরই আমি ক্লাবের অন্য সদস্যদের জানাই। তাদের নজরেও এ ধরনের কথোপকথন ধরা পড়েছে। গত জুন মাসে এ ধরনের যোগাযোগের বিষয়টি শুরু হয় এবং গত দুর্গাপূজা পর্যন্ত এটা চলে’। অম্বরীশ জানান, ‘বিষয়টি নজরে আসার পর আমরা কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রাণলয়ে চিঠি লিখি। এরপর ইন্টারন্যাশনাল মনিটরিং স্টেশনের তরফে কলকাতায় একটি বৈঠক ডাকা হয়। এখানে অন্য শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আমরা সব তথ্য জমা দিই। আমাদেরকে বলা হয়, ঘটনাটির ওপর সর্বক্ষণ নজরদারি রাখতে।

সর্বশেষ খবর