অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা বেড়েছে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থার মতে, বন্যা, খরাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম। ২০১০ সালের বিশ্বমন্দার সময়ও এ দেশের অর্থনীতি খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। মূল্যায়নে বিশ্বব্যাংক আরও মনে করছে, এদেশের অর্থনীতি অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। কেননা এদেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ক্রমেই বাড়ছে। বিশ্বব্যাংক সদর দফতর থেকে অর্থবিভাগে পাঠানো এক পর্যবেক্ষণপত্রে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক প্রধান কিম ইয়ং জিমের সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ সফরের পর এ ধরনের একটি পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে সংস্থাটি। এতে আরও বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি সব ধরনের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সেইসঙ্গে রপ্তানি আয় বাড়ছে। প্রবাসী আয়ের গতি সামান্য কমলেও আমদানি কমায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রতিনিয়তই বাড়ছে। ফলে এ দেশের অর্থনীতির ভিত শক্তিশালী হয়ে উঠছে। যা আর্থিক ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। অর্থবিভাগ সূত্র জানায়, বাংলাদেশের বাজেট বাস্তবায়নেরও সক্ষমতা বেড়েছে। দেশের মানুষের আয় বাড়ায় খরচ করার সক্ষমতা বেড়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। তবে আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে হবে। এতে প্রয়োজনে আর্থিক খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করার তাগিদ দিয়েছেন বিশ্বব্যাংক প্রধান। সংশ্লিষ্টরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ঘর ছাড়িয়ে ৭ শতাংশ অতিক্রম করাটাও সক্ষমতা বৃদ্ধির বহিঃপ্রকাশ। এ ছাড়া দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ যে সাফল্য দেখিয়েছে তা বিশ্বের অনেক দেশের জন্যই শিখনীয় এবং অনুকরণীয়। বিশ্বব্যাংক বলেছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করতে বাংলাদেশ যে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে, তা খুব সম্ভাবনাময়। আর এজন্য প্রয়োজন সব ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা। তবে এজন্য রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকা অত্যন্ত জরুরি। কোনোভাবে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হলে এসব কর্মকাণ্ড আবারও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। যার ফলে সরকারের নেওয়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করাও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। বাংলাদেশ সফরের অভিজ্ঞতা বণর্না করতে গিয়ে কিম বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক সাফল্যে তিনি অভিভূত। বিশেষ করে এ দেশের মানুষ যে সৃষ্টিশীল, কর্মঠ- পর্যবেক্ষণে সে বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন কিম। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণভাবে যে চাহিদা সৃষ্টি করতে পারে- তা এশিয়ার অন্য কোনো দেশে নেই। ফলে এদেশের অর্থনীতি প্রতিনিয়তই এগিয়ে যাচ্ছে। তবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, দুর্নীতি কমিয়ে আনা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখাকে এ দেশের অর্থনীতির জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।
শিরোনাম
- মিস ইউনিভার্স মঞ্চে কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা
- আন্তর্জাতিক সহনশীলতা দিবস আজ
- 'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী
- অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে উডকে নিয়ে শঙ্কা নেই
- সিলেটে অ্যাম্বুলেন্স ও বাসে আগুন
- চীনা বিনিয়োগে বৈশ্বিক রপ্তানিকেন্দ্র হওয়ার বিশাল সম্ভাবনা বাংলাদেশের
- ফুয়াদের সুরে কনার গান
- অস্ট্রেলিয়ার এমপিদের সমর্থনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ তারেক রহমানের
- ২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
- কাতারের ক্লাব আল সাদে মানচিনি
- কাভিশ ব্যান্ডের সঙ্গে এক মঞ্চে শিরোনামহীন-মেঘদল
- যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গাজীপুরে চলন্ত বাসে আগুন!
- চীনা নাগরিকদের জাপান ভ্রমণ না করার আহ্বান
- পশ্চিমতীরের ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিল ইসরায়েল
- হাসিনার প্লট দুর্নীতির এক মামলার শুনানি আজ
- জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় পদক্ষেপের দাবিতে ব্রাজিলে বিশাল মিছিল
- হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
- আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
- প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
- সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে