শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবার সিরিজ জয়ের হাতছানি ছিল টাইগারদের। স্বপ্ন পূরণ করতে পাল্লেকেলের ম্যাচটি জিততে হতো মিরাজ বাহিনীকে। জিততে পারেননি মিরাজরা। ইতিহাস গড়ার ম্যাচটিতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরে গেছেন ৯৯ রানে। সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরেছিল ৭৭ রানে। দুর্দান্ত কামব্যাক করে দ্বিতীয় ম্যাচ ১৬ রানে জিতে সিরিজে সমতা আনে টাইগাররা। গতকালের ম্যাচটির সমীকরণ দাঁড়ায় সিরিজ নির্ধারণীতে। আকাশসমান গুরুত্বের ম্যাচে কুশল মেন্ডিসের সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান করে শ্রীলঙ্কা। তাওহিদ হৃদয়ের ৫১ রানে ভর করে ৩৯.৪ ওভারে ১৮৬ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। ইতিহাস লেখার ম্যাচটি জিততে রেকর্ড গড়তে হতো মিরাজ বাহিনীকে। কিন্তু পারেনি। এত রান তাড়া করে এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কখনো জেতেনি বাংলাদেশ। আগের রেকর্ড ছিল ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে। দিল্লির ম্যাচটিতে শ্রীলঙ্কার ২৭৯ রান টপকে জিতেছিল টাইগাররা। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ১১৪ বলে ১২৪ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন কুশল মেন্ডিস। এক সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরিতে সিরিজসেরাও হয়েছেন তিনি। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ শেষ। আগামীকাল শুরু তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজ। সিরিজের ম্যাচগুলো যথাক্রমে ১০, ১৩ ও ১৬ জুলাই। প্রথম টি-২০ মাচ পাল্লেকেলেতে। দ্বিতীয়টি ডাম্বুলা এবং তৃতীয়টি কলম্বোয়। সিরিজ জয়ে হাতছানির ম্যাচে মিরাজ বাহিনী খেলেছে এক পরিবর্তন নিয়ে। পেস বোলিং বিভাগকে শক্তিশালী করতে ফেরানো হয় তাসকিন আহমেদকে। প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তাসকিন। ডান হাতি পেসারকে খেলাতে বাদ দেওয়া হয় হাসান মাহমুদের। তাসকিন গতকালও ভালো বোলিং করেন। ১০ ওভারের স্পেলে ৫১ রানের খরচে নেন ২ উইকেট।
খরুচে বোলিং করেন বাঁ হাতি স্পিনার তানভির ইসলাম। ১০ ওভারের স্পেলে ৬১ রানে খরচে নেন ১ উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমান ৫২ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। অধিনায়ক মিরাজ ৪৮ রানের খরচে উইকেট নেন একটি। টস জিতে প্রথম ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে ২৮৫ রান করে আসালাঙ্কা বাহিনী। কুশলের ১২৪ রান ছাড়াও অধিনায়ক আসালাঙ্কা ৫৮ রান করেন। ২৮৬ রানের টার্গেটে বড় কোনো জুটি গড়তে পারেনি মিরাজ বাহিনী। ধারাবাহিক ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৪২ ও চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৪৩ রান যোগ করে। দলের চরম বিপর্যয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন তাওহিদ। ৭৮ বলের ইনিংসটিতে ৩টি চার ও একটি ছক্কা ছিল।