রবিবার, ১২ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

পাটশিল্প ধ্বংস করেছে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাটশিল্প ধ্বংস করেছে বিএনপি

বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, পাটশিল্পের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিগত দিনে বিএনপি সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পাটশিল্প ধ্বংস করেছে। সে সময় একদিকে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পাটকল আদমজী বন্ধ করাতে অর্থ সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। একই সময়ে ভারতে নতুন পাটকল প্রতিষ্ঠায় অর্থ সহায়তা দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। আর সে সময়ের সরকার বিশ্বব্যাংকের ওই প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করে দেশের পাটশিল্পকে ধ্বংস করেছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাটের এই হারানো ঐতিহ্য ও গৌরব ফিরিয়ে আনতে নিরলস কাজ করে যাচ্চ্ছে। তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরে পোশাকশিল্পের সমান সফলতা অর্জন করবে পাট খাত। দেশের তৈরি পোশাক খাত গত ৩০ বছরে যে সফলতা অর্জন করেছে পাট খাত তা পাঁচ বছরে অর্জন করতে সক্ষম বলে তিনি মনে করেন। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পাট খাতের সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন মির্জা আজম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল, স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, মূল প্রবদ্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। আরও বক্তব্য রাখেন পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক মোছলেহ উদ্দিন, বিজেএমসির চেয়ারমান ড. মো. মাহমুদুল হাসান, বিজ্ঞানী মোবারেক আহমেদ খান, বিডিজেএমইএ সভাপতি মো. রাশিদুল করিম মুন্না প্রমুখ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পাট শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনকে (বিজেএমসি) দুর্নীতিগ্রস্ত করা হয়। নারায়ণগঞ্জ থেকে পাট কিনে পঞ্চগড়ে যাতায়াত খরচের ভাউচার দিয়ে বিল তোলা হতো। কেনার চেয়ে কম পাট জমা করা হতো। আবার বিক্রির সময় বাজার মূল্যের কম দামে বিক্রি করে লোকসান গোণা হতো। আর বিজেএমসির প্রধান কাজ ছিল নানা তদবির করে শুধু লোকসানের টাকা অর্থবিভাগ থেকে ছাড় করানো। এমন দুর্নীতি ছিল বিজেএমসির রুটিন মাফিক কাজ। এখনো বিজেএমসিকে একটি ডিজেবল প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিন্তা করা হয়। এখানে সরকার সব সময় লোকসান দেবে এ ধরনের ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে এই দুর্নীতি কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে ১০০ কোটি টাকার লোকসান কমিয়ে আনা হয়েছে। ৭৩০ কোটি টাকা থেকে লোকসান কমিয়ে ৬২৯ কোটি টাকায় এসেছে। এ বছর শেষে লোকসান আরও ২০০ কোটি টাকার কমবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুব শিগগিরই পাট পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করা হবে। যেখানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাট পণ্য তুলে ধরা হবে। এক্ষেত্রে অন্যসব দেশের পণ্যের বৈশিষ্ট্য দেখে নিজেদের পণ্যের মান বাড়ানো সহজ হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের উৎপাদিত পাটের মানই সর্বোত্কৃষ্ট। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, পাটশিল্পকে এগিয়ে নিতে হলে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব আনতে হবে। অন্যথায় এই শিল্পটি ব্যর্থ হবে। একই সঙ্গে কারখানার মেশিনারিজগুলো নিয়মিতভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।

সর্বশেষ খবর